চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা ৬০ লাখ শলাকা বিদেশি সিগারেট জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম।
জব্দকৃত সিগারেটের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। চালানটিতে ১৪ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
শুক্রবার এআইআরের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে সরিষার বদলে পপি বীজ আমদানি, ৪২ টন জব্দ
তিনি বলেন, সাভারের রাজ ফুলবাড়িয়া এলাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভার্সেটাইল অ্যাটায়ার লিমিটেড চীন থেকে ক্লথিং এক্সোসরিজ ঘোষণায় একটি কনটেইনারে ২ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ পিস প্লাস্টিক হ্যাংগার আমদানি করে। গত ২৮ মে চীনের সাংহাই বন্দর থেকে এমভি অ্যালিয়ন জাহাজযোগে কন্টেইনারটি (জিভিসিইউ ২২১০৫৭৫) চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। পরে ১ জুন পণ্য খালাসের জন্য আমাদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট চট্টগ্রাম আগ্রাবাদের জয়িতা ট্রেড কর্পোরেশন বিল অব এন্ট্রি (সি-৮৮৫২৯৫) অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে এ নোটিং করেন।
পরে শুল্কায়ন কার্যক্রম শেষে বৃহস্পতিবার চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ড থেকে খালাসের চেষ্টাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এআইআর টিম পণ্য চালানটির ডেলিভারি কাভার্ড ভ্যানটি তল্লাশি করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পাথরবোঝাই জাহাজ ডুবি
এ সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা পণ্যের কার্টনের গায়ে অপসারণযোগ্য স্টিকারে গাজীপুরের তুরাগ গার্মেন্টস অ্যান্ড হোশেয়ারি ভিন্ন আরেকটি ইম্পোর্টারের নাম (বিআইএন: ০০০১২২৭৬-০১০৩) মুদ্রিত অবস্থায় ভেতরে অপর দুইটি ইনার কার্টন দেখতে পান। যার ভেতরে লুকানো অবস্থায় বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। পরে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা সিগারেট ভর্তি কাভার্ড ভ্যানটি বন্দরের অভ্যন্তরে আটক করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের জেটি সরকার মো. জাকির হোসেন ও তার সহকারী মো. নেছার উদ্দিন, বন্দর নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও অন্যান্য সংস্থার সদস্য এবং প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এআইআর কর্মকর্তারা চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করেন।
এ সময় কাভার্ড ভ্যান থেকে ২০ লাখ শলাকা ইজি, ২০ লাখ শলাকা মণ্ড ও ২০ লাখ শলাকা ওরিস অর্থাৎ মোট ৬০ লাখ শলাকা সিগারেট পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য সাড়ে ৪ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ৮টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন
পণ্যচালানটিতে শর্ত সাপেক্ষে আমদানিযোগ্য পণ্য সিগারেট আমদানি করে আনুমানিক প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয় বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
অফিসার রেজাউল করিম বলেন, এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার।