ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
শুক্রবার(২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের বাররা ও ফুকুরহাটি গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত মর্জিনা বেগম, রেহানা বেগম, মুন্নি আক্তার ও আলামিন মীরকে সদরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানায়, নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের বাররা গ্রামে ১২৭তম শাহ সুফি হজরত রহমান ফকিরের ওরশ মোবারক উপলক্ষে মেলার আয়োজন চলছিল। এই মেলায় বাররা গ্রামের আলামিন ও মুন্নার সঙ্গে ফুকুরহাটি গ্রামের নুরু খাঁর ছেলে রতনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ২
এ ঘটনার সূত্র ধরে আলামিনের দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওরশ মোবারকের স্থানে চলে আসে। এ সময় মেলায় আগত লোকজন ও ফুকুরহাটি গ্রামের লোকজন একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। এসময় ৭-৮টি বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত লোকজন।
শুক্রবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি শান্ত করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে শনিবারও এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাড়িঘর ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- আলামিন, বারেক মীর, লুৎফর মীর, জব্বার মীর, জহুর জমাদ্দার, ইউনুস জমাদ্দার ও মর্জিনা বেগম।
আরও পড়ুন: আফ্রিকার বিরোধপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেইতে সংঘর্ষে নিহত ৫২
নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাররা গ্রামের আলামিন জানান, আমরা কাজী জাফরউল্লার নৌকার নির্বাচন করেছি। আর ফুকুরহাটি গ্রামের রতন ও জুয়েল নিক্সন চৌধুরীর ঈগল প্রতীকের নির্বাচন করেছে। আমরা নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় তারা আমাদের উপরে হামলা করেছে।
এবিষয় স্থানীয় নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম তারেক জানান, বাররা বাজারে প্রতি বছর রহমান শাহের ওরশ উপলক্ষে মেলা আয়োজন করা হয়। মেলায় বাররা গ্রামের আলামিন ও মুন্নার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ফুকুরহাটি গ্রামের নুরু খাঁর ছেলে রতন খাঁর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর তখন মেলার লোকজন রতনের পক্ষ নিয়ে তার ঘরে আলামিন মারধর করে।
ভাঙ্গা থানার এসআই আব্দুল হক জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাররা গ্রামের আলামিন ও ফুকুরহাটি গ্রামের রতনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে। রাতেই ভাঙ্গা থানায় একটা অভিযোগ দিয়েছে।
তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতির শান্ত আছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ২ কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষ: গ্রেপ্তার ১৬, অস্ত্র-ককটেল জব্দ