বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত স্মৃতি তরফদার উপজেলার হরিদাসকাঠি ইউনিয়নের কুমারসীমা গ্রামের দীনবন্ধু রায়ের স্ত্রী।
তিন মেয়ে ও এক ছেলের জননী স্মৃতি তরফদার স্থানীয় কুমারসীমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। আর দীনবন্ধু রায় হরিদাসকাঠি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।
স্বামী দীনবন্ধু রায় বলেন, 'কয়েকদিন আগে বাড়িতে প্রেশারকুকার বিস্ফোরিত হলে আমার স্ত্রী ভয় পান। সেই থেকে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর স্মৃতি আমাকে ফোন করে কবিরাজ ডাকতে বলেন। আমি কবিরাজ নিয়ে ঝাড়ফুঁক দেওয়াই। এরপর নিজের হাতে তাকে খাইয়ে দিয়ে রাত ১০টার দিকে সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। একপর্যায়ে তাকে খুঁজে না পেয়ে আমি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে দেখি, স্মৃতি গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে।'
মণিরামপুর থানার এসআই শাহিনুর ইসলাম বলেন, 'সকাল ৮টার দিকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করি। আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। সন্দেহ হওয়ায় লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এই ঘটনায় শিক্ষিকার বাবা বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছেন বলেও জানান তিনি।