তবে, যশোর জেলায় এখনো পর্যন্ত কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অভয়নগরে চার, বাঘারপাড়ায় তিন, চৌগাছায় ২৪, সদরে ২৭, ঝিকরগাছায় এক, কেশবপুরে ৩০, মণিরামপুরে ১৩ এবং শার্শা উপজেলায় চারজনকে নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরুর পর যশোর জেলায় মোট দুই হাজার ২৩৯ জনকে কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই হাজার ২৩৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে এবং তিনজনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন মোট ১৫৫ জন। এদের মধ্যে অভয়নগর উপজেলায় সাত, চৌগাছায় ১৯, সদরে ৯৯, ঝিকরগাছায় ১৯ এবং শার্শায় ১১ জন রয়েছেন। এছাড়া যশোর জেনারেল হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে একজনকে। অন্যদিকে, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুইজন।
যশোর জেলায় কোয়ারেন্টাইনের আওতায় থাকাদের মধ্যে বাঘারপাড়ার ২৯, চৌগাছার ১২৪, সদরের এক হাজার ১৭৪, ঝিকরগাছার ১৯৯, কেশবপুরের ১৭০, মণিরামপুরের ২০৩ এবং শার্শার ২৪৯ জন বাসিন্দা।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, যশোর থেকে আইইডিসিআর-এ পাঠানো নমুনাগুলোর মধ্যে এখনো পজিটিভ কোনো রেজাল্ট আসেনি। করোনা রোগী শনাক্ত না হলেও সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে।