নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ জানিয়েছেন, রথযাত্রাটি লতিফপুর এলাকার শিব মন্দিরের দিকে যাওয়ার সময় রথের উপরের লোহার রডটি ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তার স্পর্শ করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রবিবার (৭ জুলাই) বগুড়ার সিউজগাড়ি আমতলা মোড়ে রথযাত্রা চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৫ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রথের চূড়ায় রাখা লোহার রড বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এলে আগুন লাগে এবং প্রায় ৫০ জন রথ থেকে রাস্তায় পড়ে যায়, যাদের বেশিরভাগই নারী।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রথযাত্রায় অংশ নেওয়া স্থানীয় সাংবাদিক অরূপ রতন শীল বলেন, ‘যারা দড়ি ধরে রথ টেনে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত ছিল, বগুড়ার ইসকন কমিটির সভাপতি খরজিতা কৃষ্ণ দাস তাদের লাউডস্পিকারের মাধ্যমে রাস্তার ওপর দিয়ে যাওয়া হাই ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তার সম্পর্কে সতর্ক করেন। প্রচণ্ড ভিড় থাকায় লাউডস্পিকারের শব্দও শোনা যায়নি।’
বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানান নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ।
সড়কের ওপর সরবরাহ লাইনের তার খোলা রাখার কারণ জানতে চাইলে এম এ মান্নান বলেন, ‘শুধু বগুড়ায় নয়, সারাদেশে ১১ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তার এভাবেই রয়েছে।’
বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, নিহতদের সৎকারের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ওই হাসপাতালে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে বর্তমানে ৩৮ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ২ জন আইসিইউতে রয়েছেন।
এছাড়াও ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে একজন মারা গেছেন এবং সেখানে আরও ৩ জন চিকিৎসাধীন।
ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।