কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় আর যাতে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠতে না পারে সেই ব্যাপারে সার্বক্ষণিক তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (৯ নভেম্বর) কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল নিষ্পত্তি করে এই আদেশ দেন। আদালতে জেলা প্রশাসকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি শেষে ২০১১ সালের ৭ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রাখা এবং সমুদ্র সৈকত এলাকায় সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: একদিনে সমুদ্রে ভেসে যাওয়া ৩ শতাধিক পর্যটক উদ্ধার
পরবর্তীতে ২০১৬ সালের পর সমুদ্র সৈকত এলাকা অবৈধভাবে দখল হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করে এইচআরপিবি। আদালত গত ১৪ মার্চ এ বিষয়ে রুল জারি করে। একইসঙ্গে ১৯ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে আদালতে তলব করা হয়। পরবর্তীতে আজ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, কক্সবাজার সুমদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে ২৬০ এবং সুগন্ধা পয়েন্টে ৪১৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
এরপর কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত অপর এক আদেশে বিবাদীদের সমুদ্র সৈকতের বৈশিষ্ট্য রক্ষায় আদালতের রায়ে দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে সব সময় সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়ে ভবিষ্যতে যাতে আর কেউ উচ্ছেদকৃত এলাকা দখল/স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে সে ব্যাপারে সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, আজ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, কক্সবাজার সুমদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে ২৬০ এবং সুগন্ধা পয়েন্টে ৪১৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন দেয়ার পর শুনানি শেষে রুল নিষ্পত্তি করে জেলা প্রশাসককে আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
মনজিল মোরসেদ আরও জানান, আরেক আদেশে আদালত বিবাদীদেরকে কক্সবাজার ‘সি বিচ’র বৈশিষ্ট রক্ষায় আদালতের দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে সব সময় সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে ভবিষ্যতে আর কেউ উচ্ছেদ করা এলাকা দখল বা স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে- সে ব্যাপারে সব সময় ভিজিলেন্স থাকতে বলেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: পায়রা সমুদ্রবন্দরে রিজার্ভের টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে ব্যাখ্যা করুন: সরকারের উদ্দেশে ফখরুল
পায়রা সমুদ্রবন্দরে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে প্রকল্পের মোড়ক উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর