বিশ্ব
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ৯ম
রাজধানীর বাতাসের মান মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকালে ‘মধ্যম’ পর্যায়ে রয়েছে। এদিন সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৯৬ নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী দূষিত শহরের তালিকায় ৯ম স্থানে রয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর, মালয়েশিয়ার কুচিং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই যথাক্রমে ১৫২, ১৪৫ ও ১৪৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর'বলে মনে করা হয়।
এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান সোমবার সকালে ‘মধ্যম’
বিএনপির ‘ আগুনসন্ত্রাস’ বন্ধ করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির আগুনসন্ত্রাস এবং দেশের ভূমি ও সম্পদ বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে দেওয়ার চক্রান্ত রুখে দিতে হবে। দেশের জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, শুক্রবার সমাবেশের নামে গণ্ডগোল করতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এ জন্য তারা শনিবার আবার আগুনসন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ইয়ুথ গ্লোবাল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘রাইজিং ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে, বাস পুড়িয়েছে, মানুষের সম্পত্তিতে আগুন দিয়েছে।
এই অপশক্তি দেশের তেল, গ্যাস, খনি বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালেও স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি অপশক্তি আমাদের মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, মানুষ জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। আজকেও যারা দেশের সম্পদ ও ভূমি বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চায়, মানুষ তা হতে দেবে না, তাদের প্রতিহত করবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, শনিবার বিএনপি যেসব বাস পুড়িয়েছে সেগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস। অনেক কষ্ট করে, অনেক স্বপ্ন নিয়ে যে মানুষ বাস কিনেছে, সেই বাস তারা পুড়িয়ে দিয়েছে। অথচ সেসব মানুষের কোনো অপরাধ ছিল না।
তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এভাবে যারা রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ায়, মানুষের সহায়-সম্পত্তি, স্বপ্নকে পোড়ায়, তাদের বর্জন করতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হবে।
আরও পড়ুন: কাঁটাতার ছিঁড়তে পারেনি নাড়ির বন্ধন: কলকাতায় তথ্যমন্ত্রী
আ. লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে: তথ্যমন্ত্রী
১৪ জুন পালিত হবে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস
১৪ জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। ২০০৪ সালে দিবসটি প্রথম পালিত হয়েছিল। নিরাপদ রক্ত নিশ্চিত করা ও স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উৎসাহ দিতেই বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে দিবসটি।
সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হবে দিবসটি।
দেশে রক্তের চাহিদা পূরণে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে থাকছে নানা কর্মসূচি।
এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘গিভ ব্লাড গিভ প্লাজমা শেয়ার লাইফ শেয়ার অফেন’। সহজ বাংলা করলে দাঁড়ায়- ‘রক্ত দান করুন, দান করুন প্লাজমা, যতবার সম্ভব গ্রহণ করুন জীবন বাঁচানোর এ অনন্য সুযোগ’।
আন্তর্জাতিকভাবে এ বছর বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজক দেশ আলজেরিয়া।
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
আমাদের দেশে বুধবার (১৪ জুন) দিবস পালনে সরকারি নানা উদ্যোগের পাশাপাশি এবারও এগিয়ে আসছে সাড়ে চার লক্ষাধিক সুসংগঠিত ডোনার পুল নিয়ে গঠিত কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
বিকেলে রাজধানীর কাকরাইল আইডিইবি ভবনে দেশে প্রথমবারের মতো দুই শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতা ও দুই শতাধিক থ্যালাসেমিক রক্তগ্রহীতার মিলনমেলা এবং বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করছে কোয়ান্টাম।
স্বেচ্ছা রক্তদাতারা নীরবে তাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ রক্ত দান করে যান। রক্তদানের সময় তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে জানেনও না, এ রক্ত কোন মানুষটির শরীরে বইবে। একইভাবে রোগীদের কাছেও অচেনা থেকে যান রক্তদাতারা।
দাতা-গ্রহীতার আনন্দ আর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের এমন মেলবন্ধনে উদ্বুদ্ধ হবেন নতুন রক্তদাতারা এমনই আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের।
আমাদের দেশে রক্ত চাহিদার একটা বড় অংশ প্রয়োজন হয় থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্যে।
হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ সূত্রে জানা যায়, দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। থ্যালাসেমিয়ার বাহক রয়েছে এক কোটি সত্তর লাখেরও অধিক মানুষ।
দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছে। একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীর প্রতি মাসে ১ থেকে ৩ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। থ্যালাসেমিয়া ছাড়াও রক্তস্বল্পতা, প্রসূতির রক্তক্ষরণ, অগ্নিদগ্ধ রোগী, বড় অপারেশন, দুর্ঘটনা ইত্যাদি নানা কারণে রক্তের প্রয়োজন হয়।
রক্তের এ চাহিদা পূরণে নতুন স্বেচ্ছা রক্তদাতার কোনো বিকল্প নেই। সাধারণত ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী যেকোনো শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ সক্ষম ব্যক্তি প্রতি চার মাস পরপর রক্ত দিতে পারেন।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর প্রায় ৮-১০ লাখ ব্যাগ রক্ত চাহিদার একটা বড় অংশ পূরণ করে কোয়ান্টাম। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দুই দশকের যাত্রায় কোয়ান্টাম গড়েছে ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার স্বেচ্ছা রক্তদাতার সুসংগঠিত ডোনার পুল। আর জীবন বাঁচানোর জন্যে এ পর্যন্ত সরবরাহ করেছে ১৫ লক্ষাধিক ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান।
আরও পড়ুন: সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করবে
ভারতের সঙ্গে মৈত্রী রক্তের বন্ধন: তথ্যমন্ত্রী
বিশ্বজুড়ে রমজানে মুসলমানদের বিবেচনায় জলবায়ু
গ্র্যান্ড ইস্তিকলাল মসজিদটি জাকার্তার কেন্দ্রস্থলে হাজার বছর ধরে স্বপ্ন নিয়ে নির্মিত হয়েছিল।
মসজিদটি ইন্দোনেশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সোয়েকার্নোর চিন্তা থেকে এটি দেশের স্বাধীনতার জন্য একটি চিত্তাকর্ষক প্রতীক হিসাবে নকশা করা হয়েছিল। এর সাতটি দরজা— ইসলামের সাতটি জান্নাতের প্রতিনিধিত্ব করে। মসজিদের সুউচ্চ গম্বুজের অভ্যন্তর দ্বীপপুঞ্জ এবং বিশ্বের দর্শকদের আকর্ষণ করে।
কিন্তু তারা এখানে কেবল আলোকিত দেখতে পায় না, বরং এটি তাদের অনুপ্রেরণা যোগায়।
২০১৯ সালে একটি বড় সংস্কার মসজিদের বিস্তৃত ছাদে ৫০০টি সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। যা এখন ইস্তিকলালের বিদ্যুতের একটি প্রধান এবং পরিবেশবান্ধব উৎস। এবং এই রমজানে মসজিদটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি তৈরির ক্ষমতা বাড়াতে জ্বালানি ওয়াকফকে উৎসাহিত করেছে। এটি ইসলামে এক ধরণের দান যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফল দেয়।
তার পূর্ব পুরুষ রিয়ায়াহ বা ইস্তিকলাল মসজিদের ভবন ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপ্রধান, আশা করেন যে ইসলামের পবিত্রতম মাসে বিশ্বস্ত মুসল্লিরা বেশি সংখ্যায় মসজিদে আসে এবং অনুদানের মাধ্যমে ইস্তিকলালের সৌর প্রকল্পকে গতি দিতে পারে।
জলবায়ু ধাক্কা ইন্দোনেশিয়া এবং সারা বিশ্বে বিভিন্ন মসজিদের ‘সবুজ রমজান’ উদ্যোগের একটি উদাহরণ যা মুসলিমরা পবিত্র মাসে বিভিন্ন পরিবর্তনের প্রচার করে। যেটিতে উপবাস থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রে মানুষ জড়ো হয়ে ভোজ করার উপাদানগুলো দিয়ে ইফতার করে রোযা শেষ করেন।
এই মাসে সংযম এবং দান করার উপর জোর দেওয়া হয়। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে নামাজের আগে অযূ করার সময় কম পানি ব্যবহার করা, সম্প্রদায়ের ইফতারের সময় প্লাস্টিকের বোতল এবং চামুচগুলোকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে প্রতিস্থাপন করা এবং খাবারের অপচয় কমানো। অন্যান্য পরামর্শের মধ্যে রয়েছে মসজিদে কারপুলিং, স্থানীয় পণ্য ব্যবহার, পুনর্ব্যবহারে জোর দেওয়া এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য অনুদান ব্যবহার করা।
ক্রমবর্ধমান খরা, বন্যা এবং তাপ তরঙ্গের কারণ- হচ্ছে বিদ্যুৎ এবং পরিবহনের জন্য নোংরা জ্বালানির ব্যবহার, প্লাস্টিকের মতো পণ্য তৈরির জন্য পেট্রোকেমিক্যাল এবং ল্যান্ডফিলগুলোতে খাদ্য বর্জ্য থেকে নির্গমন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলার কৌশল নিয়ে ইইউ, দক্ষিণ এশিয়ার নীতি নির্ধারক-বিশেষজ্ঞদের আলোচনা
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলোকে সীমিত করতে ইতোমধ্যেই এসবের প্রয়োজন ব্যাপকভাবে কমানো হবে।যদিও স্বতন্ত্র উদ্যোগগুলো সেই পরিবর্তনের একটি ছোট অংশ তবুও বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে জলবায়ু লক্ষ্যগুলোর পিছনে ক্রমবর্ধমান গতি একটি প্রভাব ফেলতে পারে।
ইসলামিক ভিত্তিক পদ্ধতি গ্রহণকারী দলগুলো প্রায়শই পৃথিবী, পানি এবং অপচয়ের বিরুদ্ধে কিছু কুরআনের আয়াত এবং নবী মুহাম্মদের (সা.) বাণী এবং অনুশীলনের পরিবেশগত উপলব্ধি তুলে ধরে।
গত বছর মুসলিম কংগ্রেস ফর সাসটেইনেবল ইন্দোনেশিয়ার এক সভায় দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মা'রুফ আমিন আলেম ও সম্প্রদায়ের নেতাদের ‘পরিবেশগত ক্ষতি সম্পর্কিত বিষয়গুলো জানাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার’ আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে ইস্তিকলাল মসজিদের মতো সৌর প্রকল্পে অনুদানের মাধ্যমে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলেছিলেন।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিশ্বাস-ভিত্তিক নাহদলাতুল উলামার ইনস্টিটিউশনের একজন বোর্ড সদস্য মুহাম্মাদ আলী ইউসুফ বলেছেন, নিরাপদ জ্বালানি সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া মুসলমানদের জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব’, যেখানে মসজিদগুলোর নিজস্ব সৌর প্যানেল স্থাপন একটি বৃহত্তর রূপান্তরের অনুঘটক হতে পারে।
মার্কিন মুসলিম সম্প্রদায়ের পরিবেশবাদী কর্মী ইমাম সাফেট ক্যাটোভিকের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায়, বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে যে পরিবেশগত গোষ্ঠীগুলো একে অপরের থেকে স্বাধীনভাবে গড়ে উঠতে শুরু করেছিল তারা তাদের ধর্মীয় ঐতিহ্যের মধ্যে থেকে ‘সবুজ মুসলিম সমঝোতা’ গঠন করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে, মসজিদগুলো এটি গ্রহণ করেছিল,’ অন্যদের মধ্যে, মসজিদের নেতারা উদ্যোগটি ‘পুরোপুরি বুঝতে পারেনি।’
ক্যাটোভিক বলেন, রমজান একটি ‘বাস্তুসংস্থান সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের সম্ভাবনা প্রদান করে যা মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য অনন্য।’ ‘ত্রিশ দিন কাউকে তাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে দেয়।’
ইসলামিক সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকা ওয়েবসাইট মুসলমানদেরকে ‘একটি পরিবেশ-বান্ধব সম্প্রদায়’ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।এতে বলেছে যে পরিবেশের দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিয়ে ইসলাম আমাদেরকে এই গ্রহের তত্ত্বাবধায়ক এবং রক্ষাকর্তা হিসাবে নিযুক্ত করেছে।’
সারাবিশ্বের কিছু মসজিদ এবং মুসলিম এই ধরনের আহ্বানে সাড়া দিচ্ছে, এক সময়ে এটি একটি ছোট পদক্ষেপ।
এই বছরের রমজানের আগে, ইন্দোনেশিয়ার আল মাহাদুল ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের মসজিদটি ইসলামিক অনুদানের মাধ্যমে সোলার প্যানেল পেয়েছে, যা মসজিদের সমস্ত প্রয়োজনের জন্য যথেষ্ট বিদ্যুত সরবরাহ করেছে। সোলার প্যানেল থেকে পাওয়া বিদ্যুত আশেপাশের স্কুল এবং রাস্তাগুলোকে আলোকিত করে।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের নিজামিয়ে মসজিদ, এর সুউচ্চ মিনার এবং প্রশস্ত অভ্যন্তরসহ, গম্বুজ এবং সৌর প্যানেল সহ একটি ছাদ রয়েছে যা মসজিদ এবং এর আশেপাশের স্কুল, ক্লিনিক এবং বাজারে বিদ্যুৎ চালু রাখতে সাহায্য করে।
১৪৩টি প্যানেল কমপ্লেক্সের বিদ্যুত ব্যবহারের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি কভার করে। যেটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার চাপযুক্ত গ্রিডের মাধ্যমে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য সংগ্রাম করেছে।
এডিসনের নিউ জার্সির মসজিদ আল-ওয়ালি একটি মসজিদ ও কমিউনিটি সেন্টারের বোর্ড সদস্য আকিল মানসুরি বলেছেন, সদস্যদের কাছে পুনব্যবহারের জন্য পানির বোতল বিক্রি করা এবং নিষ্পত্তিযোগ্য প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করার জন্য আরও বেশি পানির কুলার স্থাপন করার মতো পরিবর্তনগুলো গ্রহণ করছে।
মানসুরি বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষা করা ইসলামের সঠিক কাজ। ‘লোকেরা বার্তা গ্রহণ করে, কিন্তু গ্রহণ করা সবসময় ধীর হয়।’
বেশ কয়েক বছর আগে, মসজিদ আল-ওয়ালি একটি ইসলামিক স্কুল এবং মাসিক কমিউনিটি ডিনার, সৌর প্যানেল স্থাপন করেছিল।
মানসুরি বলেন, এই রমজানে মসজিদের সম্প্রদায়ের জন্য খাবার ইফতার আপাতত প্লাস্টিকের প্যাকেজ করে বাক্সে আসে। কিন্তু মসজিদের নেতারা সদস্যদের উচ্ছিষ্টগুলো নিয়ে বাক্সগুলো ফেলে দেওয়ার পরিবর্তে পুনরায় ব্যবহার করতে উৎসাহিত করেন। তিনি আশা করেন আগামী রমজানে বিকল্প খুঁজে পাওয়া যাবে।
যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টল-ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা প্লাস্টিক-এর বিরুদ্ধে প্রজেক্টস, ‘প্লাস্টিক মুক্ত রমজান’ অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
পিএপি প্রতিষ্ঠাতা নাসিম তালুকদার বলেন, ‘একজন মুসলিম হিসেবে আমি মনে করি, মসজিদগুলো হলো সম্প্রদায়ের কেন্দ্র এবং তাদের টেকসই ভিত্তিক এবং পুনর্ব্যবহার করার জন্য একটু বেশি অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া উচিত।’ ‘রমজান মাসে আমি সত্যিই হাস্যকর পরিমাণে প্লাস্টিক ব্যবহার এবং ফেলে দিতে দেখেছি।’
মসজিদগুলোকে প্লাস্টিক দূষণের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং একক-ব্যবহারের প্লাস্টিকের উপর নির্ভরতা কমানোর আহ্বান জানানো হয়। সাতটি ব্রিস্টল মসজিদ গত বছর একটি পাইলট প্রকল্পে অংশ নিয়েছিল, বিভিন্ন ফলাফলের সঙ্গে এবং একটি জাতীয় প্রচারাভিযান, ২০টিরও বেশি অংশগ্রহণকারী মসজিদে এই বছর চালু করা হয়েছিল।
শিক্ষার পাশাপাশি, আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো যখন মসজিদে পুনঃব্যবহারযোগ্য চামুচ, ডিশওয়াশার এবং পানির ফোয়ারা কেনার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল নেই।
তালুকদার বলেন,‘আমরা জানতাম যে আমরা কিছু কঠিন দেয়াল এবং কিছু পুশব্যাককে আঘাত করতে যাচ্ছি, কিন্তু, সত্যি কথা বলতে, আমরা এখন পর্যন্ত যে ব্যস্ততা দেখেছি, তা কিছুটা অপ্রতিরোধ্য ছিল।’ ‘যদিও অগ্রগতি ধীর, তবে মসজিদের মধ্যে এই ধরণের উদ্যোগের জন্য একটি সত্যিকারের ক্ষুধা রয়েছে।’
জলবায়ু পরিবর্তনের সম্মুখীন মুসলিম সম্প্রদায়গুলোকে ক্ষমতায়ন করার একটি জোট উম্মাহ ফর আর্থ-এর গৃহীত উদ্যোগের লক্ষ্য হলো-রমজান মাসে একটি পরিবেশ-বান্ধব অনুশীলন গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য জনগণকে আহ্বান জানানো। এর মধ্যে ইমামগণকে তাদের বক্তব্যে পরিবেশগত সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য জনগণের আহ্বান জানানো, পরিবেশগত দাতব্য সংস্থাকে দান করা এবং টেকসইভাবে কেনাকাটা করা অন্তর্ভুক্ত।
বৈরুত-ভিত্তিক ক্যাম্পেইন এবং বিশ্বব্যাপী গ্রীনপিস মেনার উম্মাহ ফর আর্থ এর প্রকল্প সমন্বয়কারী নৌহাদ আওয়াদ বলেছেন, ‘অনেক মুসলমানই জানেন না যে কুরআনে এবং নবীর বাণীতে পরিবেশগত শিক্ষা রয়েছে এবং তাদের একটি ভূমিকা রয়েছে যার মাধ্যমে তারা গ্রহকে রক্ষা করতে পারে।’
আওয়াদ বলেছিলেন, যখন তারা সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজ করে, প্রচারকারীরা প্রায়ই এই যুক্তির মুখোমুখি হন যে জলবায়ু পরিবর্তন ‘ভাগ্য নির্ধারিত’ এবং ‘আপনি খোদার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আখ্যান পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি।’ ‘আমাদের কাছে এমন কিছু আছে যা আমরা ব্যক্তিগত, সম্প্রদায় এবং রাজনৈতিক পর্যায়ে করতে পারি।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রচেষ্টা জোরদার করুন: প্রধানমন্ত্রী
সবাই মিলে অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গড়ে তোলার আহ্বান পররাষ্ট্র সচিবের
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বিশ্বে ৭৫ মিলিয়নের অধিক মানুষ অটিজমে আক্রান্ত। এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা যাতে তাদের সুপ্ত প্রতিভাকে সর্বাধিক কাজে লাগাতে পারে এবং আমাদের সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য সম্মিলিতিভাবে কাজ করে যাবার নিমিত্ব আজ আমরা আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি। এ লক্ষ্যে আমি সকলকে বিভিন্ন উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার জন্য একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।
সোমবার বাংলাদেশ, কাতার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৩: জীবনব্যাপী অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বাস্থ্যব্যবস্থা’ শীর্ষক একটি উচ্চ-পর্যায়ের সভায় মূলবক্তব্য প্রদানকালে এমন আহ্বান জানান তিনি।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাতারের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আলেয়া আহমেদ সাইফ আল-থানি এবং বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ আব্দুল মুহিত।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ক্ষমতায়নের আহ্বান মাসুদ বিন মোমেনের
পররাষ্ট্র সচিব মোমেন বলেন, বাংলাদেশে গত এক দশকে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জন্য আমি বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি অটিজম ও স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যাবিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদকে, যিনি এই প্রচেষ্টার পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মহত উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন যার মধ্যে রয়েছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ ও নিউরো-ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩ প্রণয়ন; সারাদেশজুড়ে ১০০ টিরও বেশি অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার কেন্দ্র স্থাপন এবং এ সকল কেন্দ্রে কর্মরত কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান।
তিনি আরও বলেন, আমাদের জাতীয় প্রচেষ্টার পাশাপাশি আমরা জাতিসংঘেও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। সাধারণ পরিষদে এ সংক্রান্ত রেজুলেশন গ্রহণে আমরা গভীরভাবে কাজ করেছি। ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উদযাপনে আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে অন্যতম সহ-পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করে থাকি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সময় প্রতিবন্ধি ব্যক্তিরা যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হয় তা মোকাবিলার জন্য দ্বিতীয় গ্লোবাল ডিসএবিলিটি সামিট ২০২২ এর সময় আমরা আমাদের সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছি।
উল্লেখ্য, স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মুহিত প্রতিবন্ধী শিশুরা স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে যে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন তার কথা উল্লেখ করেন এবং এ সকল সমস্যা সমাধানে আশু হস্তক্ষেপ, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা, সৃজনশীল অভিব্যক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যথাযথ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিউইয়র্ক অফিসের পরিচালক মি. ওয়ার্নার ওবারমেয়ার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং এতে বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি, অন্যান্য পর্যায়ের কূটনীতিকবৃন্দ, জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও পররাষ্ট্র সচিব মোমেন জাতিসংঘের রাজনৈতিক ও শান্তি বিনির্মাণ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রোজমেরি এ ডিকার্লো, ইউএন উইমেন-এর নির্বাহী পরিচালক সিমা সামি বাহাউস এবং রাজনীতিবিষয়ক বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ খালেদ খিয়ারি।
এ ছাড়া তিনি জাতিসংঘে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল নেতা বিজন উলফ কু-এর সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
এসব বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব তাদেরকে বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্তমান পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ইস্যুতে জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের বিষয়ে অবহিত করেন। পররাষ্ট্র সচিব রোহিঙ্গাদেরকে স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের সহায়তা কামনা করেন। বিনিময়ে সকলেই পররাষ্ট্র সচিবকে বাংলাদেশের সঙ্গে এ সকল বিষয়ে আগামী দিনগুলোতে একসঙ্গে কাজ করার আশ্বাস প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: সিনিয়র সচিব হলেন মাসুদ বিন মোমেন
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় মঙ্গলবার সকালে ঢাকা তৃতীয়
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় মঙ্গলবার ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। সকাল ৯টা ২০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৯৩ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় ছিল।
পাকিস্তানের লাহোর ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই যথাক্রমে ২১২ ও ২০৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম দু’টি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান শনিবার সকালেও ‘অস্বাস্থ্যকর’
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হল- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’
বিশ্বের শীর্ষ অসুখী দেশের তালিকায় ২০তম বাংলাদেশ
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট -২০২৩ অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ ২০টি অসুখী দেশের তালিকায় উঠে এসেছে। ‘অসুখী দেশের’ তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ২০তম।
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে অসুখী দেশ হিসেবে প্রথম স্থানে রয়েছে। আর
মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন লেবানন রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। হতাশাজনক তালিকার ১২তম অবস্থানে থাকা ভারত আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশের তুলনায় ‘অসুখী’।
ফোর্বস ম্যাগাজিন অনুসারে, টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্কের তত্ত্বাবধানে প্রতিবেদনটি প্রতি বছর আন্তর্জাতিক সুখ দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত হয়। যা আজ (২০ মার্চ) পালিত হচ্ছে।
এতে বলা হয়েছে, দেশগুলোকে গ্যালাপ ওয়ার্ল্ড পোলের মতো উৎস থেকে পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে ছয়টি প্রধান বিষয় বিবেচনা করে র্যাংঙ্ক করা হয়েছে: সামাজিক সমর্থন, আয়, স্বাস্থ্য, স্বাধীনতা, উদারতা এবং দুর্নীতির অনুপস্থিতি।
প্রতিবেদন অনুসারে, এই দেশগুলোর গড় জীবন মূল্যায়নও রয়েছে যা ১০টি সুখী দেশের তুলনায় পাঁচ পয়েন্টেরও বেশি কম (শূন্য থেকে ১০ পর্যন্ত চলমান স্কেলে)।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং আর্চারি: রিকার্ভ মিক্সড টিম ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশ
বিশ্বের ২০টি অসুখী দেশ হলো-
১. আফগানিস্তান
২. লেবানন
৩. সিয়েরা লিওন
৪. জিম্বাবুয়ে
৫. কঙ্গো
৬. বতসোয়ানা
৭. মালাউই
৮. কমোরোস
৯. তানজানিয়া
১০. জাম্বিয়া
১১. মাদাগাস্কার
১২. ভারত
১৩. লাইবেরিয়া
১৪. ইথিওপিয়া
১৫. জর্ডান
১৬. টোগো
১৭. মিশর
১৮. মালি
১৯. গাম্বিয়া
২০. বাংলাদেশ
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০১২ সালে ২০ মার্চকে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস হিসাবে মনোনীত করে। তারপর থেকে, ক্রমবর্ধমান সংখ্যক ব্যক্তি মনে করে যে দেশ হিসাবে সাফল্য নাগরিকদের সুখ দ্বারা পরিমাপ করা উচিত। কীভাবে সুখের পরিমাণ নির্ধারণ করা যায় সে সম্পর্কেও উদীয়মান চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির কারণে, সরকারগুলো এখন জাতীয় সুখকে একটি কর্মক্ষম লক্ষ্য হিসাবে গড়ে তুলতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নর্ডিক দেশগুলো বিশেষ মনোযোগের দাবিদার, ফিনল্যান্ড বিশ্বের ‘সুখী দেশগুলোর’ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। কারণ, তাদের ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক উভয় ক্ষেত্রেই সাধারণত উচ্চ স্তরের আস্থা রয়েছে। ‘তাদের কোভিড-১৯ মৃত্যুর হারও ২০২০ এবং ২০২১ সালে পশ্চিম ইউরোপের বাকি অংশের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ ছিল। নর্ডিক দেশগুলোতে প্রতি এক লাখে ২৭ জন যেখানে পশ্চিম ইউরোপের বাকি অংশে ছিল ৮০ জন।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিনল্যান্ডের পরে অন্যান্য শীর্ষ সুখী দেশগুলো হলো: ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, ইজরায়েল এবং নেদারল্যান্ডস।
বিশ্বের ২০টি সুখী দেশ
১. ফিনল্যান্ড
২. ডেনমার্ক
৩. আইসল্যান্ড
৪. ইসরাইল
৫. নেদারল্যান্ডস
৬. সুইডেন
৭. নরওয়ে
৮. সুইজারল্যান্ড
৯. লুক্সেমবার্গ
১০. নিউজিল্যান্ড
১১. অস্ট্রিয়া
১২. অস্ট্রেলিয়া
১৩. কানাডা
১৪. আয়ারল্যান্ড
১৫. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৬. জার্মানি
১৭. বেলজিয়াম
১৮. চেক প্রজাতন্ত্র
১৯. যুক্তরাজ্য
২০. লিথুয়ানিয়াে
আরও পড়ুন: লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ও মানবিকতার আদর্শে গড়ে তোলার আহ্বান
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ৮ম
ঢাকার বাতাসের বর্তমান অবস্থা ‘অস্বাস্থ্যকর’। শুক্রবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৫৬ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান অষ্টম।
একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
ভারতের দিল্লি, নেপালের কাঠমান্ডু ও মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন যথাক্রমে একিউআই ২১৫, ১৭৮ ও ১৭৫ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা তৃতীয়
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণাধীন এলাকার ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু) অনুসারে, বিশ্বে প্রতি বছর বায়ু দূষণে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর হার বৃদ্ধির কারণ।
আরও পড়ুন: দেশের কোথাও কোথাও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
একিউআই: বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত বাতাসের শহর ঢাকা
ঢাকার বাতাসের বর্তমান অবস্থা ‘অস্বাস্থ্যকর’। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৯৪ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান দ্বিতীয়।
একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে একিউআই ২৮২ ও ১৭৯ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা সপ্তম
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হল- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: রবিবার সকালেও ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা সপ্তম
ঢাকার বাতাসের বর্তমান অবস্থা ‘অস্বাস্থ্যকর’। সোমবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৬১ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান সপ্তম।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও করাচি যথাক্রমে একিউআই ২৩৭, ১৯৩ ও ১৮২ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: রবিবার সকালেও ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণাধীন এলাকার ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু) অনুসারে, বিশ্বে প্রতি বছর বায়ু দূষণে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর হার বৃদ্ধির কারণ।
আরও পড়ুন: একিউআই: বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত বাতাসের শহর ঢাকা