কারাগার
কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদি শুক্রবার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৩টার দিকে আত্মহত্যাচেষ্টা করেন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (৮ জুলাই) ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়।
মৃত আমিরুল ইসলাম (৩৪) নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মধ্যম চেঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলাম চৌকিদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে ২ কয়েদির মৃত্যু
কারাসূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই কয়েদি টয়লেটের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে চাদর পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে কারগারের ভেতরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কক্ষের অন্য বন্দিরা বিষয়টি টের পেয়ে কারা কর্মকর্তাদের খবর দিলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কারা হাসপাতাল এবং পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়।
কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, ওই কয়েদি ২০১৫ সালের ২১ আগস্ট কুমিল্লা কারাগার থেকে কাশিমপুর কারগারে আসেন।
তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে হাতিয়ায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ২০১৪ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের পর আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বজনদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
কারাগারে ‘চিকিৎসক নিয়োগ বিধিমালা’ চূড়ান্তে ১ মাস সময় দিলেন হাইকোর্ট
দেশের কারাগারগুলোয় আগামী ১ মাসের মধ্যে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৬ জুন) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কারা কর্তৃপক্ষকে শূন্য পদে কারা চিকিৎসক নিয়োগের অগ্রগতি এক সপ্তাহের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের গ্রামীণ কল্যাণের লভ্যাংশ দেওয়ার রায়ে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জে আর খান রবিন। কারা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান।
মঙ্গলবার (৬ জুন) শুনানিকালে এখন কারা হাসপাতালগুলোতে কতজন চিকিৎসক আছেন-আদালতের এমন প্রশ্নে কারা অধিদপ্তরের আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ১২৫ জন।
তখন আদালত জানতে চান, বাকিগুলো পূরণ করছেন কিভাবে?
জবাবে কারা অধিদপ্তরের আইনজীবী জানান, শূন্যপদ পূরণের কাজ চলছে।
আদালত তখন বলেন, কত বছর লাগবে? ডাক্তারের তো অভাব নেই। নিয়োগ দেন না কেন? কেন্দ্রীয় কারাগারেই দিচ্ছেন না, তাহলে জেলা কারাগারগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ।
আদালত আরও বলেন, শুধু চিঠি চালাচালি করছেন। ক্ষমতা অপব্যবহার করার জন্য না, মানুষের সেবা করার জন্য। কারাগারে গরিব মানুষ থাকে, ধনীরা থাকে না।
ধনীরা কারাগারে গেলেও তাদের জন্য ডিভিশনের ব্যবস্থা থাকে। গরিবদের বাঁচান।
এরপর কারা চিকিৎসক নিয়োগের বিধিমালা চূড়ান্ত করা কথা বলে আদালত কারা কর্তৃপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা এক মাস পর তারিখ রাখছি। এর মধ্যেই চূড়ান্ত করবেন। এর আগে, গত ১৩ ডিসেম্বর আদালতে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৬৮ কারাগার এবং কারা হাসপাতালে ১৪১টি চিকিৎসকের পদের বিপরীতে প্রেষণে ও সংযুক্ত মিলিয়ে মোট ৯৩ জন চিকিৎসক রয়েছেন।
এরপর আদালত শূন্য পদগুলোতে অবিলম্বে কারা চিকিৎসক নিয়োগ দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়ে অগ্রগতি জানাতে বলেন।
এর ধারাবাহিকতায় মামলাটি কার্য তালিকায় আসে। ২০১৯ সালে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন।
তখন আদালত কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা নিয়ে রুল জারি করেন। সেই সঙ্গে কারাগারের চিকিৎসা ব্যবস্থা, চিকিৎসক নিয়োগসহ কারাগারের সার্বিক অবস্থা নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
পরে কারা কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন দিয়ে কারাগারে ২৪ জন চিকিৎসক থাকার কথা জানায়। পরে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি হাইকোর্ট শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকায় পুকুর দখলে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা
৪২ ঘন্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত; পুলিশ সুপার যোগাযোগ করায় অসন্তোষ হাইকোর্টের
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা মামলায় পৌর মেয়র কারাগারে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেম হত্যা মামলায় উচ্চ আদালতে জামিন পাওয়া প্রধান আসামি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক নির্মলেন্দু দাশ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুর জেলা কারাগারে বিএনপি নেতার মৃত্যু
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নাজমুল আজম জানান, জেম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোখলেসুর রহমান মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত বিচার-বিশ্লেষণ করে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, হত্যা মামলার ৪৮ জন আসামির মধ্যে ৩৪ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেয়। এরপর গত ৩০ মে উচ্চ আদালতে জামিন পাওয়া ৩২ জন জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত ২৬ জনের জামিন মঞ্জুর করেন এবং ছয়জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এর আগে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচজন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারক্তি দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের উদয়ন মোড় এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খায়রুল আলম জেমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা,পরে গত ২২ এপ্রিল নিহত খাইরুল আলম জেমের বড় ভাই মনিল ইসলাম বাদী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র,দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৪৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা: ৬ আসামি কারাগারে
কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩ জুন) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হাজতি মো. একরামুল হোসেন এরশাদ (৩৫) কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার কামাত আঙ্গারী এলাকার শওকত আলীর ছেলে।
এদিকে নিহতের পরিবারের অভিযোগ- পুলিশি নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। আর পুলিশ জানায়, নিহত একরামুল এলাকার চিহ্নত মাদক কারবারি ও মাদক সেবনকারী। তাকে নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যা।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
জানা যায়, গত বুধবার বিকালে ওই হাজতিকে মাদক ব্যবসার অভিযোগে আটক করে পুলিশ। তার কাছে কোনো ধরনের মাদকদ্রব্য না পেলেও বৃহস্পতিবার সকালে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ অবস্থায় শনিবার একরামুল হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়লে কারাগার থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
হাজতির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার আবু সাইম।
তিনি জানান, একরামুল হোসেন নামের ওই হাজতি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে।
মৃত্যুর পর একরামুল হোসেনের বোন শিউলি বেগম অভিযোগ করেন- তার ভাইকে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ মাদকের অভিযোগে ধরে নিয়ে আসার পর টাকা দাবি করেন। সেই টাকা দিতে দেরি হওয়ায় পুলিশ তাকে নির্যাতন করে কারাগারে পাঠায়।
পুলিশের নির্যাতনের ফলে তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, একরামুল হোসেন এলাকার একজন চিহ্নত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবনকারী।
তিনি জানান, তার নামে ভুরুঙ্গামারী থানায় ৮-৯টি মাদকের মামলা রয়েছে। মাদক কেনা-বেচার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। পরে তার কাছে মাদক না পাওয়া গেলেও ১৫১ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, তবে তাকে কোনো প্রকার নির্যাতন করা হয়নি। নির্যাতনের বিষয়টি মিথ্যা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
শেরপুর জেলা কারাগারের হাজতির মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা: ৬ আসামি কারাগারে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও শিবগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর খায়রুল আলম জেম হত্যা মামলায় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল হক লিটনসহ ছয় আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আদীব আলী তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত একই মামলার আত্মসমর্পণ করা ৩২ আসামির মধ্যে ২৬ জনকে জামিন দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: দুই আসামি কারাগারে
জামিন নামঞ্জুর হওয়া ছয় আসামি হলেন- জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল হক লিটন, চরবাগডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ রানা টিপু, আব্দুল কাদের, আলমগীর হোসেন, জামিল হোসেন ও মাহিন রেজা উরফে মুমিন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নাজমুল আজম জানান, খাইরুল আলম জেম হত্যা মামলায় পৌর মেয়রসহ ৩৪ আসামি উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন।
নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার ৩২ জন জেলা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। তবে বিচারক ছয় জনের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং ২৬ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
এদিকে মামলার প্রধান আসামি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোখলেসুর রহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল সন্ধায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উদয়ন মোড়ে কুঁপিয়ে হত্যা করা হয় খায়রুল আলম জেমকে। এই ঘটনায় তার ভাই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ১ হাজার ১২ জনকে আসামি করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় এজাহারভুক্ত ১১ জনসহ মোট ১৪জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে ৫ জন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হাতি হত্যা: শেরপুরে ২ আসামি কারাগারে
ফরিদপুরে হাইওয়ে থানায় হামলা: ৭ আসামি কারাগারে
চট্টগ্রামে স্ত্রীর মামলায় আইনজীবী কারাগারে
চট্টগ্রামে স্ত্রীর করা যৌতুক নিরোধ আইনের মামলায় এক আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (২১ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম জুয়েল দেব এর আদালত এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী এ এস এম নূরে খোদা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
অভিযুক্ত শুভ ধর (৩৮) চট্টগ্রামের পটিয়ার ছনহরা এলাকার অশোক কুমার ধরের ছেলে এবং চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এদিন সকালে আইনজীবী শুভ ধর স্ত্রীর করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। দুপুরে শুনানিকালে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
বাদীর আইনজীবী পপি বিশ্বাস (লিগ্যাল এইড) জানান, ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি হিন্দু ধর্মীয় রীতিনীতি অনুয়ায়ী বাঁশখালী উপজেলার ওই নারীর সঙ্গে বিয়ে হয় শুভ ধরের। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে শুভ তার বোনের বাসায় থাকতেন। তাদের একটি ছেলে সন্তান আছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা ভুক্তভোগীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী লিগ্যাল এইডের সহযোগিতায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে চুরির মামলায় ইউপি সদস্য কারাগারে
সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ৬৭ জন কারাগারে
ময়মনসিংহে চুরির মামলায় ইউপি সদস্য কারাগারে
পিকআপ চুরি মামলায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যসহ চার আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে ময়মনসিংহের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক ড.রাশেদ হোসাইন আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অভিযুক্ত মো. আলমগীর হোসেন উপজেলার ৪নং আঠারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং মৃগালী ওয়ার্ডের সদস্য।
আরও পড়ুন: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ধর্ষণ মামলায় কারাগারে
বাকি আসামিরা হলেন-সুমন, শহীদ মিয়া ও রবিন মিয়া। তারা সবাই উপজেলার আঠারবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।
মামলার বাদি আ. রশিদ জানান, বিগত ইউপি নির্বাচনের আগে তার একটি পিকআপ গাড়ি চুরি করে নিয়ে যায় আসামিরা। এনিয়ে এলাকায় একাধিক শালিস বৈঠক হলে তারা গাড়িটি ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গাড়িটি ফেরত না দেওয়ায় তিনি আদালতে মামলা করেন।
ময়মনসিংহ আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট এবিএম ফজলুল করিম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, একটি চুরির মামলায় আসামিরা স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। এ সময় আদালতের বিচারক তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ৬৭ জন কারাগারে
সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ৬৭ জন কারাগারে
কুমিল্লার একটি পূজা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখাকে কেন্দ্র করে সিলেটের জকিগঞ্জ কালিগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ৬৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৮ মে) উপজেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে এ ৬৭ জন হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক শ্যামকান্ত সিনহা জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জকিগঞ্জ আদালতের জিআর বাসুদেব এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখাকে কেন্দ্র করে জকিগঞ্জের কালিগঞ্জে পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়েছিলো। তখন আক্রমণকারীরা হামলা চালিয়ে ইউএনও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার শেল ছোঁড়ে। সংঘর্ষে পুলিশ-জনতাসহ ৩৫ থেকে ৪০ জন আহত হন।
ঘটনার পরে পুলিশ বাদী হয়ে ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন হত্যার ২০ বছর পর খুনি গ্রেপ্তার
কয়েকদিন আগে ১৭৪ জনকে অভিযুক্ত করে আলোচিত এ মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।এ মামলায় এর আগে বেশ কয়েকজন আসামি পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে।
গত ৪ মে বৃহস্পতিবারও ২৯ জন আসামি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। পরে বিজ্ঞ বিচারক শ্যামকান্ত সিনহা তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। সর্বশেষ সোমবার এ ৬৮ জনকে কারাগারো পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় বাবাকে হত্যার পর মাটিচাপা, ছেলে গ্রেপ্তার
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ধর্ষণ মামলায় কারাগারে
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রহমান খানকে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার বিকাল ৪টায় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুস সালাম খান জামিন আবেদন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুবেল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুর জেলা কারাগারের হাজতির মৃত্যু
আদালত থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং বর্তমান রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে মামলা করেন উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকরী (পিএ)।
এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন উপাচার্য।
জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে পুনরায় জামিনের আবেদন করেন।
সোমবার বিকালে ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুস সালাম খান আবেদন বাতিল করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী ওই নারী ২০২১ সালে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোরকিপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য শহীদুর রহমান নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় ভাড়া করা প্রশাসনিক ভবনের ৫ম তলায় একা থাকতেন। কিন্তু সেখানে খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় রেজিস্ট্রার ওই নারীকে উপাচার্যের খাবারের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেন।
এরপর থেকে ওই নারী প্রতিদিন তাকে খাবার পৌঁছে দিতেন। সেই সুবাদে উপাচার্য বিভিন্ন সময় তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। ভুক্তভোগী তার কথায় রাজি না হয়ে বিষয়টি রেজিস্ট্রারকে জানান। ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই ভুক্তভোগী খাবার দিতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রেজিস্ট্রারের সহযোগিতায় উপাচার্য তাকে ধর্ষণ করেন।
উপাচার্যের কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে ওই নারী তার স্বামীকে তালাক দেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে উপাচার্য ও ওই নারী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মেলামেশা করতে থাকে। পরে উপাচার্য বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ওই নারী আদালতের শরণাপন্ন হন।
উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খান ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে গেছেন। তিনি সেখানে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্পাদকসহ ৬ নেতা কারাগারে
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্তব্য তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র: ফখরুল
চীন সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক কারাগার: প্রেস গ্রুপ
প্রেস ফ্রিডম গ্রুপের মতে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার সমাজের উপর নিয়ন্ত্রণ কড়াকড়ি করায় চীন গত বছর ১০০ জনেরও বেশি সাংবাদিককে কারান্তরীণ করে। ফলে সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক কারাগার ছিল চীন।
রিপোর্টার্স উইদাউট বোর্ডার্সের মতে, শি’র সরকার গুজব ছড়ানোর জন্য অন্যতম বড় রপ্তানিকারক ছিল। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার গ্রুপের বার্ষিক সূচকে প্রতিবেশী দেশ উত্তর কোরিয়ার পরই চীন দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি চীনে গণমাধ্যমের ওপর ইতোমধ্যেই কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। যেখানে সমস্ত সংবাদপত্র এবং সম্প্রচারকারী রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে সেন্সরশিপ প্রয়োগ করতে হবে যা একদলীয় শাসনের বিরোধিতা ছড়াতে পারে এমন উপাদান নিষিদ্ধ করে।
কয়েক দশকের মধ্যে চীনের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব শি ২০১৬ সালে সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকে ডেকেছিল। যারা ‘জনমতের সঠিক অভিযোজন’ মেনে চলার জন্য তাদের জন্য সরকারি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস বুধবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, শি ‘সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধ’ চালিয়ে যাচ্ছেন। এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় চীনের পতনকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে অভিহিত করেছে।
বেইজিং পরিচালনা করে যা বিশ্বের সবচেয়ে বিস্তৃত ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা হিসাবে বিবেচিত হয়। এর ফিল্টারগুলো চীনা জনসাধারণকে নিউজ আউটলেট, সরকার এবং মানবাধিকার এবং অন্যান্য কর্মী গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত বিদেশের ওয়েবসাইটগুলো দেখতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।
চীনা সাংবাদিকদের গুপ্তচরবৃত্তি, জাতীয় গোপনীয়তা ফাঁস এবং ঝগড়া বাছাই করার অভিযোগে বিচার করা হয়েছে, যা ভিন্নমতাবলম্বীদের কারাগারে ব্যবহৃত একটি অস্পষ্ট অভিযোগ। অন্যরা নজরদারি, ভয়ভীতি এবং হয়রানির শিকার হয়।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানে ৭০ চীনা সামরিক বিমান ও ১১ নৌ জাহাজ শনাক্ত
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ফেলো এবং ক্ষমতাসীন দল-অধিভুক্ত সংবাদপত্রে কাজ করা সাংবাদিক ডং ইউয়ু এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আটক থাকার পরে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। গত সপ্তাহে তার পরিবার এই তথ্য জানিয়েছেন।
মার্চ মাসে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেছিলেন, ২০২২ সালে চীনা বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিক চেং লেইকে জাতীয় নিরাপত্তার অভিযোগে চীনে বিচার করা হয়েছিল কিন্তু এখনও রায় জানা যায়নি।
বিদেশি দর্শকদের লক্ষ্য করে পরিচালিত ইংরেজি ভাষার রাষ্ট্রীয় টিভি সিজিটিএন কাজ করেন চেং। তাকে ২০১৯ সালের আগস্টে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা শেয়ার করার অভিযোগে আটক করা হয়েছিল।
হংকং-এ, কমিউনিস্ট পার্টি গণতন্ত্রপন্থী অনুভূতির উপর ক্র্যাকডাউনের অংশ হিসাবে একটি বিশিষ্ট সংবাদপত্র অ্যাপল ডেইলিকে বন্ধ করতে বাধ্য করেছিল।
অ্যাপল ডেইলির প্রতিষ্ঠাতা জিমি লাই গত বছর প্রতারণার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। যেটিকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন তার সমর্থকরা। পত্রিকাটির আরও ছয়জন সাবেক নির্বাহী দোষ স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার সঙ্গে লেনদেনকারী সংস্থাগুলোর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন