বিনিয়োগ
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরে বিনিয়োগ করতে হবে: ইফাদ প্রধান
জলবায়ু পরিবর্তন এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার অস্তিত্বগত হুমকির সম্মুখীন বিশ্বের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে দারিদ্র্য ও ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি জরুরি মিশন নিয়ে জাতিসংঘ কৃষি উন্নয়ন তহবিলের নতুন প্রধান হিসেবে উন্নয়ন অর্থ বিশেষজ্ঞ আলভারো লারিও দায়িত্ব নিয়েছেন। শনিবার তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
স্প্যানিশ নাগরিক লারিও ২০১৮ সাল থেকে ইফাদের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কয়েক লাখ ক্ষুদ্র কৃষক,বৈশ্বিক ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এবং গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানোর জন্য বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে কাজে লাগানোর প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বোঝা বাংলাদেশকে একা বহন করতে হবে না’
তিনি বলেন,‘খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা,জলবায়ু পরিবর্তন এবং সংঘাত বিশ্বের গ্রামীণ দরিদ্রদের জীবন ও জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলায় আমাদের মিশন এর চেয়ে বেশি জরুরি ছিল না।’
তিনি আরও বলেন,‘ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য আমাদের শক্তি কখনই বেশি ছিল না। তাই আমরা স্থায়ী পরিবর্তনের জন্য প্রতিশ্রুতি ও সম্পদ সংগ্রহ করি।’
লারিও ২০৩০ সালের মধ্যে দরিদ্র গ্রামীণ সম্প্রদায়ের ওপর তাদের প্রভাব দ্বিগুণ করার জন্য ইফাদ-এর লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শুক্রবার রোম থেকে দেয়া তার বার্তা অনুযায়ী,তহবিলের জন্য অগ্রাধিকার হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনকে এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে আংশিকভাবে এটা করা হবে।
দরিদ্র ক্ষুদ্র কৃষকরা বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য উৎপাদন করে। কিন্তু জলবায়ু অর্থায়নের দুই শতাংশেরও কম পায় তারা এবং তারা খরা, বৈরি আবহাওয়ায় ফসলের ক্ষতির মতো পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাৎক্ষণিক ত্রাণের ওপর নির্ভরতার জন্য সংকট থেকে সংকটময় পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা যদি এখন থেকে পাঁচ বছর পর আবার একই জায়গায় ঘুরে আসা ফেরাতে চাই, তাহলে আমাদের মধ্যমেয়াদে বিনিয়োগ করতে হবে।এবং এর অর্থ খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজনের চেয়ে কম কিছু নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি সরকার ও জাতিসংঘ একা করবে না। এটি সরকারি ও বেসরকারি খাতের জন্য সমানভাবে একটি ভাগ করা কাজ। যেহেতু আমরা সকলেই খাদ্য নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার সুবিধাগুলি ভাগ করে নিতে পারি। ঠিক তেমনি আমরা এসব কাজ করতে ব্যর্থ হলে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো আমরা সবাই একসঙ্গে ভোগ করব।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জরুরি: গুয়েন লুইস
ইফাদ জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা, যা একটি আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থাও। এটি একমাত্র বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন সংস্থা; যা একচেটিয়াভাবে কৃষি, গ্রামীণ অর্থনীতি ও খাদ্য ব্যবস্থাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, উৎপাদনশীল, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই করে রূপান্তরের জন্য নিবেদিত।
১৯৭৮ সাল থেকে সংস্থাটি গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মাঝে কম সুদের ঋণ এবং অনুদানে ২৩ বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। যা খাদ্য নিরাপত্তা ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, পুষ্টির উন্নতি এবং বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র ও প্রান্তিকদের মধ্যে স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করে এমন প্রকল্পের মাধ্যমে দেড় বিলিয়নেরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছেছে।
২০২০ সালে আর্থিক লেনেদেনের জন্য সিএফও এবং সহযোগী ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে লারিও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ তালিকাভুক্ত করে তহবিলের জন্য আরও বেশি সংস্থান জোগাড়ের জন্য প্রস্তুত হন।
তার দায়িত্বাধীন ইফাদ প্রথম জাতিসংঘের তহবিল যারা পাবলিক ক্রেডিট রেটিং পেয়েছে।
২০২২ সালে দুটি প্রাথমিক প্রাইভেট-প্লেসমেন্ট বন্ডের সঙ্গে মোট ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ফিচ এজেন্সির মাধ্যমে সেই ডবল এ প্লাস রেটিং ইফাদকে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ সুরক্ষিত করতে সক্ষম করেছে।
লারিও ১ অক্টোবর থেকে চার বছর দায়িত্ব পালন করবেন। গিলবার্ট এফ. হাউংবো,সাবেক টোগোলিজ প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রধান হয়েছেন।
লারিও তার স্থানীয় স্পেনের কমপ্লুটেন ইউনিভার্সিটি থেকে আর্থিক অর্থনীতিতে পিএইচডি করেছেন এবং প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিনান্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন।
তহবিলে সংযুক্ত হওয়ার আগে তিনি বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনে ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন এবং বেসরকারি খাতের সম্পদ ব্যবস্থাপনা শিল্প এবং গবেষণাখাতে নানারকম ভূমিকা পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: সরকার ওজনস্তর রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে: জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিবিসিসিআই নেতাদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল আব্দুল মোমেন বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই) নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি রবিবার সকালে লন্ডনের মারিয়ট হোটেলে বিবিসিসিআই নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে জনশক্তি, যা বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং মানুষের জীবনমান উন্নত করা সম্ভব। কিন্তু এ জন্য প্রয়োজন দেশের জনশক্তিকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা।
তিনি এই খাতে প্রবাসী বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যে ক্যাটারিং সেক্টরে দক্ষ জনশক্তির প্রচুর চাহিদা পূরণে দেশে ক্যাটারিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ ছাড়াও দেশের স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বিনিয়োগের জন্য ও প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।
পড়ুন: সিবিএএ গঠনে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান রেনু’র এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে প্রবাসীদের বিদ্যমান দুর্দশা বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের যাত্রীদের অতিমাত্রায় হয়রানি লাঘবে সরকার পদক্ষেপ নেবে। মন্ত্রী শিগগিরই বিমানের কার্গো সুবিধা চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের কথাও উল্লেখ করেন।
বিবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান রেনু ছাড়াও চেম্বারের ডিজি এএইচএম নূরুজ্জামান, ফাইন্যান্স ডাইরেক্টর আতাউর রহমান কুটি, বিবিসিসিআই’র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এডভাইজার এমিরেটাস শাহাগির বক্ত ফারুক, সদ্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বশির আহমদ ও ডিরেক্টর এন্ড এডভাইজার শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মন্ত্রী বিবিসিসিআই’র চিপ পেট্রন। বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে লন্ডনে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শোকবইয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষর
ধনী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে প্রিমিয়াম ভিসা চালু করছে মালয়েশিয়া
ধনী বিদেশিদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে মালয়েশিয়া একটি প্রিমিয়াম ভিসা প্রোগ্রাম (পিভিআইপি) চালু করতে যাচ্ছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদ্দিন জানিয়েছেন, ‘বিনিয়োগের মাধ্যমে বসবাস’ প্রোগ্রামটির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় ২০ বছর পর্যন্ত থাকা যাবে।
বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা বার্নামায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন এই প্রোগ্রামটির জন্য আগামী ১ অক্টোবর থেকে আবেদন গ্রহণ করা হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে দেশটির সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ ‘বিনিয়োগের মাধ্যমে বসবাস’ প্রোগ্রামটি চালু করা হয়েছে।
হামজাহ জয়নুদ্দিন জানিয়েছেন, ইসরায়েল ও যেসব দেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কূটনৈতিক সংযোগ নেই সেসব দেশ বাদে সব দেশের ব্যবসায়িক টাইকুনদের পিভিআইপিয়ের জন্য আবেদন করতে স্বাগত জানানো হচ্ছে।
বার্নামা প্রতিবেদন অনুসারে, এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীরা ২০ বছর পর্যন্ত ভিসা অনুমোদন, পড়ালেখার অনুমতি, আবাসন, বাণিজ্যিক বা শিল্পখাতে ব্যবহারের জন্য স্থাপনা ক্রয়ের অনুমতি এবং অনুমোদিত শিল্পে সরাসরি বিনিয়োগ করার মতো অনেকগুলো সুবিধা পাবেন।
গতকাল পুত্রজায়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রোগ্রামের অংশগ্রহণকারীদের দেশের নিয়ম মেনে কাজ করার এবং বৈধ বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়া হবে।’
এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অভিবাসন মহাপরিচালক খায়রুল জাইমি দাউদ।
বার্নামা হামজাহকে উদ্ধৃত করে বলেছে, সব বয়সের অংশগ্রহণকারীরা যারা প্রতি মাসে কমপক্ষে ৪০ হাজার রিঙ্গিত (আট হাজার ৯২০ মার্কিন ডলার) অথবা বার্ষিক চার লাখ ৮০ হাজার রিঙ্গিত (এক লাখ সাত হাজার ৪৭ মার্কিন ডলার) অফশোর আয়ের নথি দেখাতে পারবে তারাই এই প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের জন্য ‘ই-লকার’ চালু করবে মালয়েশিয়া
অন্যান্য যোগ্যতার মধ্যে রয়েছে- একটি স্থায়ী সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট যার আমানত কমপক্ষে ১০ লাখ রিঙ্গিত এবং মূল আমানত উত্তোলনের ওপর এক বছরের বাধ্যবাধকতা থাকবে। এর পরে, কেউ বাড়ি কেনা, চিকিৎসা খরচ বা শিক্ষাগত কাজের জন্য ওই অর্থের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত উঠাতে পারবে।
হামজাহ বলেন, তার মন্ত্রণালয় প্রোগ্রামের প্রথম বছরে কমপক্ষে এক হাজার অংশগ্রহণকারীর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যা মালয়েশিয়ার জন্য আনুমানিক ২০ কোটি রিঙ্গিত রাজস্ব এবং ১০০ কোটি রিঙ্গিত স্থায়ী সঞ্চয় আনবে।
তিনি প্রত্যাশা করছেন, ক্রমবর্ধমান চাহিদার জন্য মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের মান বেড়ে যাবে।
তিনি নিশ্চয়তা দেন, মালয়েশিয়ার পুলিশ ও অভিবাসন বিভাগ এই প্রোগ্রামের নীতি ও উদ্দেশ্যগুলোর প্রতি যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করবে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার রাজা-প্রধানমন্ত্রীকে আম উপহার শেখ হাসিনার
৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নিয়োগ শুরু
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্খায় বন্ধুপ্রতীম দেশ,বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বর্ধিত বিনিয়োগ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে ২০২৬ সালের এলডিসিতে উত্তরণের সুপারিশ করা হয়েছে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। সেই উদ্দেশ্যে আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলো থেকে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বর্ধিত বিনিয়োগ প্রয়োজন।’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রথমবারের মতো ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ বিজনেস প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে এডিবির সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য। ভৌত অবকাঠামোর পাশাপাশি সরকার বিনিয়োগ ও ব্যবসা সংক্রান্ত নিয়ম-নীতিগুলোকে আপগ্রেড ও শিথিল করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতি রয়েছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ সংসদের আইন ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তি দ্বারা সুরক্ষিত হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের সড়ক, রেলপথ ও নৌ যোগাযোগের উন্নয়ন করছি।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উদ্ভাবনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। আপনারা যদি চান তবে আমরা একচেটিয়াভাবে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অঞ্চল নির্ধারণ করতে পারি।
তিনি বলেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিশ্চিত করে যে এখানে বিনিয়োগকারীরা প্রতিযোগিতামূলক মজুরিতে দক্ষ মানবসম্পদ পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মার্কিন বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার এবং অন্যান্য বাণিজ্য সুবিধার মাধ্যমে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করা যেতে পারে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উপযুক্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি-এফটিএ আলোচনা শুরু করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত।
তিনি উল্লেখ করেন, গত পাঁচ বছরে রপ্তানির পরিমাণ তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বেড়েছে। রপ্তানির পরিমাণ ২০১৬-১৭ সালে ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২১-২২ সালে সাত দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে অবদান রাখছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য এফডিআই এবং রপ্তানি বাজারের একক বৃহত্তম উৎস।
আরও পড়ুন: বিদেশিদের কাছে অভিযোগ না করতে শ্রমিক নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ইউএস কোম্পানিগুলো এই সুবিধা গ্রহণ করবে এবং শক্তি ও জ্বালানি, আইসিটি, অবকাঠামো, হালকা প্রকৌশল পণ্য, মোবাইল ফোন এবং ইলেকট্রনিক পণ্য, অটোমোবাইল, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিক ইত্যাদির মতো সম্ভাব্য খাতে আরও বিনিয়োগ করবে।’
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন, ইউএস-বাংলাদেশ এনার্জি টাস্কফোর্স যা ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে চালু করা হয়েছিল তা উভয় দেশের স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
এসময় বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের মিশন লিড জে আর প্রায়র, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের বোর্ড সদস্য এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: পেছনের দরজায় নয়, আ’লীগ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে: প্রধানমন্ত্রী
বৃহত্তর বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্কের দিকে দৃষ্টি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার
প্রধান বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হতে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য প্রসার ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণের উপায় বের করতে আলোচনা করেছে।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান দেশটির বাণিজ্য, পর্যটন ও বিনিয়োগমন্ত্রী ড্যান তেহানের সঙ্গে একটি ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠক করেছেন।
জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের আসন্ন সভা ক্যানবেরায় ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ সভাকে সামনে রেখে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টের (টিফা) অধীনে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপটি গঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতায় সন্তুষ্ট সিঙ্গাপুর, সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের অবকাঠামো, আইটি, মাইনিং ও অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতে দেশটির ব্যবসার জন্য প্রধান প্রধান সুযোগ চিহ্নিত করতে একাধিক গবেষণার অনুমোদনের ঘোষণা দিয়েছে।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিভাগের উত্তর ও দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রথম সহকারী সচিব গ্যারি কাওয়ান এবং মন্ত্রীর উপদেষ্টা লাচলান স্মিথ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আশ্বাস আরব আমিরাতের
কানাডায় বাংলাদেশ নিয়ে প্রচারণায় কাজ করবে যৌথ কমিটি
বিনিয়োগ ও বাণিজ্য ত্বরান্বিত করতে কানাডায় বাংলাদেশ নিয়ে প্রচারণা করতে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের পরিকল্পনা করেছে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ কানাডা-বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার দুই দেশের সরকারের মনোনীত সদস্যদের এক ভার্চুয়াল সভায় গ্রুপটি কমিটি গঠনের এ সিদ্ধান্ত নেয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং কনজিউমার হেলথের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চেয়ারম্যান নুজহাত তাম-জামান।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশে বিদেশে বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অবকাঠামোগত সুবিধা, বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার এবং শুল্কমুক্ত সুবিধার কারণে বাংলাদেশ এখন এই অঞ্চলের অন্যতম সেরা বিনিয়োগ গন্তব্য। ‘কিন্তু কানাডিয়ান বিনিয়োগকারীরা এখনও এই সুবিধা সম্পর্কে সচেতন নয়।’ এ জন্য তারা একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সংগঠনটির আগের সভায় পর্যটন, আইসিটি, কৃষি, কৃষি-খাদ্য, শিক্ষা, ফার্মাসিউটিক্যালস ও নবায়নযোগ্য শক্তিকে সহযোগিতার সম্ভাব্য খাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতেও ভারতের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে উন্মুখ বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সমুদ্র অর্থনীতি ও প্লাস্টিক খাতকে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সভায় বাংলাদেশের চামড়া, চামড়াজাত পণ্য এবং কানাডায় জুতা রপ্তানি খাতের সম্ভাবনার ওপর একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এফবিসিসিআই-এর পরিচালক ও এমসিসিআই, ঢাকার সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম।
এছাড়া সাসকাচোয়ান ট্রেড অ্যান্ড এক্সপোর্ট পার্টনারশিপের প্রেসিডেন্ট ক্রিস ডেকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর আরেকটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
কমিটির পরবর্তী সভা চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-রাশিয়া অংশীদারিত্ব দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ পূরণ করে: সের্গেই লাভরভ
কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী: রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেন পুতিন
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে মিশনপ্রধানদের বলিষ্ঠ ভূমিকা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং প্রবাসীদের জন্য বিদেশে বাংলাদেশি মিশনের সেবার মান বাড়াতে মিশনপ্রধানদের বলিষ্ঠ ভূমিকা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এ সময় দুর্নীতির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি সম্পর্কে মিশনপ্রধানদের সতর্ক করেন এবং সংশ্লিষ্ট মিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করতে পারে এমন কোনো ঘটনা এড়াতে তাদের পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির প্রতি জিরো টলারেন্সের বিষয়ে আপনারা সবাই জানেন। বিদেশে আমাদের সুনাম নষ্ট করে এমন কিছু, মিশনে আমি চাই না। আমরা এমন কিছু শুনতে চাই না। এ বিষয়ে আপনারা সতর্ক থাকবেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ একা নয়: সোলাইমান সয়লু
সম্প্রতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমও এ সভায় যোগ দেন।
বাংলাদেশ এখন বিদেশি বিনিয়োগের আকর্ষণীয় স্থান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ এখন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী ও আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ এ অঞ্চলের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।’
তুরস্কের আঙ্কারায় ‘দি ইকনমিক পলিসি রিসার্চ ফাউন্ডেশন অব টার্কি- টেপাভ’ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-তুরস্ক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক’ শিরোনামের গোল টেবিল আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে আমাদের প্রচেষ্টা চলবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন এবং গত এক দশকে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, বর্তমান বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ-সুবিধা ও পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। তুরস্কসহ যেকোন দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগের এই লাভজনক সুযোগ গ্রহণ করে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়নের অংশীদার হতে পারে।
ফরাসি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরাসি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক তুলনায় বাংলাদেশি ফরাসি বিনিয়োগ কম। বাংলাদেশে বিনিয়োগ সুবিধা প্রত্যক্ষ করার জন্য আমি ফরাসি বিনিয়োগকারীদের আহ্বান করছি।’
বুধবার প্যারিসে এমইডিইএফ ইন্টারন্যাশনাল ও ফরাসি বিজনেস কনফেডারেশনের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান করেন।
তিনি বলেন, বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থা ও বিডা সম্ভাব্য সকল উপায়ে ফরাসি বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতা করে খুশি হবে।
তিনি উপদেশ দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের প্রবেশ সহজতর করতে স্থানীয় একজন অংশীদার খুঁজতে পারেন। দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করতে আপনাকে ভালোভাবে পরামর্শ দেয়া হবে।’
হাসিনা বলেন, তিনি নিশ্চিত যে ফরাসি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের বিপরীতে মুনফার সম্ভাবনার বিষয়ে তারা আত্মবিশ্বাসী।
বাংলাদেশ-ফ্রান্স বিজনেস কাউন্সিল স্থাপনের জন্য এমইডিইএফকে ধন্যবাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আপনাদের অবিরত প্রতিক্রিয়া ও সুপারিশকে স্বাগত জানাবো।’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ও প্রধানমন্ত্রী জিন কাস্টেক্সের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বি পক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তারাও একমত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বেরও প্রতিফলিত হওয়া উচিত। আর এ জন্য আমি আপনাদের সক্রিয় সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।’
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০% নবায়নযোগ্য জালানি ব্যবহারে রোড ম্যাপ তৈরির আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে ঢাকা-প্যারিস সম্মতিপত্র স্বাক্ষর
বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার
আদমজি ইপিজেডে ৩১ মিলিয়ন বিনিয়োগ দ. কোরিয়ার
দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানি কিডো ঢাকা লিমিটেড রাজধানীর আদমজি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) উচ্চ মানসম্পন্ন একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি নির্মাণের জন্য ৩১ দশমিক ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।
সোমবার রাজধানীর বেজা কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও কিডো ঢাকা কো. লিমিটেড এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সাক্ষর করেছে। বেজার পক্ষ থেকে প্রচার বিষয়ক কর্মকর্তা আলি রেজা মাজিদ এবং কিডো ঢাকা লিমিটেডের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আন ইয়ং ডো জোসেফ এই চুক্তিতে সাক্ষর করেন।
ইয়ং ডো বলেছেন, বাংলাদেশে আরও অনেকগুলো জায়গায় বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। আদমজি ইপিজেডে বিনিয়োগের মাধ্যমে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হলো।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: দ. কোরিয়ার সহায়তা চায় বাংলাদেশ
তিনি বলেন, তাদের কাছে থাকা উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে তারা দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ইপিজেডের দুর্বল শিল্পগুলোকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করবে।
কিডো খেলোয়ারদের পোশাক প্রস্তুতকারী একটি স্বনামধন্য দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠান। ভিয়েতনাম, মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়ায় বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটির পাঁচটি প্রকল্প রয়েছে।
কিডো ঢাকা লিমিটেড কোম্পানিটি কোরিয়ান কিডো গ্রুপের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিবছর তারা দুই মিলিয়ন পিস জ্যাকেট, মোটরসাইকেল সেফটি জ্যাকেট, চামড়া ও ফাইবার জ্যাকেট, ওয়ার্ক জ্যাকেট, স্পোর্ট জ্যাকেট, ফ্লিস জ্যাকেট, বেবি ওয়ার্মার, সফট শেল জ্যাকেট, সোয়েটশার্ট, ভেস্ট, ওয়ার্ক- পরিধান, কভারঅল, হাসপাতালের গাউন, প্রতিরক্ষামূলক কাপড় এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) উৎপাদন করবে। এর ফলে বাংলাদেশের প্রায় ছয় হাজার ৪০ জন মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
আরও পড়ুন: শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দিতে দ. কোরিয়ার প্রতি ঢাকার আহ্বান
বেজার নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান এবং বেজার বিদায়ী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।