সরকার
আমি নির্বাচন নিয়ে ভারত সরকারকে কিছু বলিনি: ড. মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারতের সাহায্যের আহ্বান জানানোর কথা অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ থেকে আমি অনেক দূরে। আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি নির্বাচন নিয়ে ভারত সরকারকে কিছু বলিনি।’
আরও পড়ুন:জ্ঞান অর্জন করা কঠিন কিন্তু এর ফল মিষ্টি: ড. মোমেন
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগদানের পর মোমেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন জানান, চলমান বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার আলোকে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে তার ভারত সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে মোমেন বলেন, তিনি ভারত সরকারকে শেখ হাসিনাকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারেন।
তার এই বক্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনার জেরে পরের দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর ব্যাখ্যা দেন।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীকে তার সরকারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করার জন্য তিনি ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন।
আরও পড়ুন:সিলেট থেকে পণ্য পরিবহনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে: ড. মোমেন
সফলতার জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা থাকা প্রয়োজন: ড. মোমেন
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সপ্তাহে ২ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারের নেয়া পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীনস্থ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ থাকবে। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শুক্র ও শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। নতুন এই সিদ্ধান্ত শিগগিরই কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:নতুন হলের দাবিতে শেবাচিমের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
উল্লেখ্য, এর আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে গত ১৬ জুন দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে রাত আটটার মধ্যে শপিংমল ও কাঁচা বাজার বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল, কাঁচা বাজার যাতে খোলা না থাকে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২দিন ছুটির সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী
আগারগাঁওয়ে পথ শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
সরকার জ্বালানি খাতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে জনগণের টাকা লুটপাট করছে: বিএনপি
আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের টাকা লুটপাটের অস্ত্র হিসেবে জ্বালানি খাতকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান জ্বালানি সংকটের মূল কারণ দুর্নীতি। এটা (জ্বালানি) তাদের (সরকার) জন্য একটি বড় অস্ত্র। তারা দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাটের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে জ্বালানি খাতকে ব্যবহার করছে।’
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘দুর্নীতি জ্বালানি সংকট এর উৎস’- শীর্ষক সেমিনারে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার জ্বালানি খাত ছাড়াও বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টর থেকে জনগণের অর্থ লুটপাট করছে এবং জনগণের জীবন ও জীবিকা ঝুঁকিতে ফেলেছে।
আরও পড়ুন:আ.লীগ সরকার সংবিধানকে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন কীভাবে তারা স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছে, কোভিডের সময় মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যকে বিপন্ন করেছে। আপনারা আরও দেখেছেন কিভাবে উত্তরায় একটি গার্ডার পড়ে পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া সারাদেশে সেতু ও সড়কে দুর্ঘটনায় শত শত মানুষ মারা যাচ্ছেন।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আওয়ামী লীগ সরকারকে বর্গিদের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, তারা (আ.লীগ) এখন বর্গীর ভূমিকা পালন করছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। যিনি ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানিমন্ত্রী ছিলেন।
মূল প্রবন্ধে মোশাররফ হোসেন অর্থনীতিতে তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরূপ প্রভাব, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ক্ষমতাসীন দলের ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের কথা তুলে ধরেন।
ফখরুল বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম, উদার ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করলেও গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার হরণকারী বর্তমান সরকার দেশকে পুরোপুরি ‘ফ্যাসিবাদী’ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
আরও পড়ুন:প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরা বান্ধব: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ফের করোনায় আক্রান্ত
ইসলামের জন্য শেখ হাসিনার সরকারের মতো কেউ কাজ করেনি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশে ইসলামের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার যে কাজ করেছে, অন্য কোনো সরকার তা করেনি। শুধু মুখে ইসলামের কথা বলে ফায়দা লোটা বিএনপি-জামাতসহ ইসলামের লেবাস ধরে যারা ইসলাম ও দেশের ক্ষতি করতে চায়, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
শনিবার বিকালে রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও তাঁদের পরিবারের সকল শহীদ সদস্য, জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। যে দেশীয় অপশক্তি স্বাধীনতা চায়নি এবং যে আন্তর্জাতিক শক্তি ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তাদের ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অযথা দ্রব্যমূল্য বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা স্বাধীনতা চায়নি তারা ইসলামের কথা বলে দেশের লাখ লাখ নিরীহ মুসলমানকে হত্যা করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তিরিশ লাখ শহীদের মধ্যে ২৯ লাখ বা তার বেশি মানুষ মুসলমান। ইসলাম রক্ষার কথা বলে এদেশের যে নারীদের পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদেরকে 'গণিমতের মাল' বলে ফতোয়া দিয়েছিল। বাংলাদেশের পক্ষ নেয়ায় গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছিল। অথচ এদেশের হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে।’
বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষেরা বাগদাদ থেকে ধর্ম প্রচারের জন্য এদেশে এসেছিলেন স্মরণ করিয়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউণ্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন, ইসলামী দেশগুলোর সংস্থা ওআইসি'র সদস্য হয়েছিলেন এবং দাবি তুলেছিলেন বাংলাদেশকে পাকিস্তানের স্বীকৃতি দিতে হবে। আর তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ইসলামের জন্য অভূতপূর্ব অবদান রেখে চলেছেন। কওমী মাদরাসার স্বীকৃতি অন্য কেউ দেয়নি, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় অন্য কেউ প্রতিষ্ঠা করেনি, জেলা-উপজেলায় মসজিদ-মক্তব নির্মাণ করে ইমাম, প্রশিক্ষকদের বেতন-ভাতা অন্য কেউ দেয়নি, বঙ্গবন্ধুকন্যা ও তাঁর সরকার দিয়েছে।’
দেশে প্রায় এক লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা, মক্তবপ্রতি শিক্ষককে মাসে পাঁচ হাজার দুইশত টাকা ভাতা দেয়া, পাশাপাশি বিশ হাজার দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের বারো হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা দেয়া শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে চালু করেছেন, জানান তথ্যমন্ত্রী।
‘সেকারণে বিএনপি-জামাত যারা শুধু নির্বাচন এলে মধুর মধুর কথা বলে, কিন্তু ইসলামের জন্য কোনো কাজ করে না, তাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এবং ইসলামের লেবাস ধরে যারা ইসলাম ও দেশের ক্ষতি করতে চায়, তাদের বিষয়ে সদাসতর্ক থাকতে হবে,’ বলেন হাছান মাহমুদ।
ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে ওলামারা সভায় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জনগণের শক্তিতে বলীয়ান, ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু: তথ্যমন্ত্রী
ফিলিস্তিন, মিয়ানমারে নজর দিন, অগ্নিসন্ত্রাসের শিকারদের কথা শুনুন: তথ্যমন্ত্রী
সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর উপায় বের করছে: প্রধানমন্ত্রী
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাওয়া নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে আনার উপায় নিয়ে ভাবছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এনইসিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) নিয়মিত বৈঠকে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সহনীয় পর্যায়ে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নামিয়ে আনা এখন গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি সরকারের ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এক কোটি মানুষকে বিশেষ পরিবার কার্ড দেবো, যার মাধ্যমে তারা ন্যায্য মূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে সক্ষম হবে। আমরা এই পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিম্ন-মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীকে ভোগান্তি থেকে বাঁচাতে সরকারকে আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: ডলার সাশ্রয়ে টেলিটকের ২৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প স্থগিত
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, নিম্ন-আয়ের মানুষ, মধ্যম-আয়ের মানুষ এবং সীমাবদ্ধ আয়কারী মানুষ মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা তা বুঝতে পারি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি জনগণের জন্য তার রাজনীতি করেন এবং যখনই জনগণের কষ্ট হয়, তিনিও কষ্ট অনুভব করেন।
প্রধানমন্ত্রী আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্ববাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ক্রয় করার ক্ষমতা ছিল, কিন্তু দাম আমাদের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাইরে চলে গেছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখনই এগিয়ে যেতে শুরু করেছে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করেছে; তখনই বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে এই ধরনের অনিশ্চয়তা আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের প্রতি জনগণের আস্থা সরকারের সাফল্যের চাবিকাঠি: প্রধানমন্ত্রী
তরুণদের উদ্যোক্তা হতে দক্ষতা অর্জনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারকে যেভাবে সহযোগিতা করবে শাবিপ্রবি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের কথা বিবেচনা করে সপ্তাহের একদিন অনলাইনে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওইদিন সশরীরে ক্লাসের পরিবর্তে অনলাইনে ক্লাস নিবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
গত বৃহস্পতিবার উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অনলাইনে এবং অন্য চারদিন সরাসরি ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে যা আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এছাড়া ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে এবং অন্যান্য দিনেও কিছু পরিবহন সেবা কিছুটা হ্রাস করা হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শাবিপ্রবিতে সপ্তাহে ১ দিন অনলাইন ক্লাস
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণে সৃষ্ট জাতীয় এ সমস্যায় আমরা দেশবাসীর পাশে থাকতে চাই। আমাদেরকে দেশপ্রেমের সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় করোনা মহামারিতে ক্যাম্পাসে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেশের মানুষের পাশে ছিল। এবারও বিশভাগ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে তাদের পাশে থাকবো। তবে কোনকিছুতেই যাতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকার জন্য বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকদের প্রতি তিনি অনুরোধ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো.কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক যে সংকট তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ সরকার জ্বালানি সাশ্রয় নীতি গ্রহণ করেছে। সেই হিসেবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয়ের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান তাই বিশ্ববিদ্যালয় এটি মানতে বাধ্য।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারের যাতে কোনো রকম বিঘ্নতা না ঘটে এবং একই সঙ্গে সরকারের জ্বালানি সাশ্রয়ের নির্দেশ পালন করা হয় সেই লক্ষ্যেই আমাদের একদিনের অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের একটি উপদেষ্টা কমিটি আছে। উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অধ্যাপক কামরুজ্জামান বলেন, প্রতি বৃহস্পতিবার আমাদের পরিবহন দপ্তরের গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিবহনগুলো (বিশেষ করে অ্যাম্বুলেন্স সেবা) ও অন্যান্য জরুরি দপ্তরের গাড়ি চলাচল চালু থাকবে। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে যদি বলি যেহেতু একদিনের সশরীরে ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে সেক্ষেত্রে অনেক লাইট, ফ্যান ও এসিও বন্ধ থাকবে। এছাড়াও বৃহস্পতিবারের পর শুক্র ও শনিবার সাধারণ ছুটি হিসেবে বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তর থেকে সাশ্রয়ী সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কাছে হত্যার বিচার চাইলেন শাবির শিক্ষার্থী বুলবুলের মা
তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে নির্দেশনা আছে তা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্বালানি ও বিদ্যুতের যে বাজেট সে জায়গাটিতে ২০ শতাংশ সাশ্রয়ী করতে হবে। সেই আদেশ বাস্তবায়নে,সরকারকে সহযোগিতা করতে এবং একাডেমিক কার্যক্রম বিঘ্নতা না ঘটাতে এই একদিনের অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমরান আহমেদ চৌধুরী জানান, বর্তমানে প্রতিদিন বিশ্বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ৮টি বাস ৩৩টি, শিক্ষার্থীদের জন্য ১০টি বাস ৩৭টি ও স্টাফদের জন্য ৪টি ট্রিপসহ মোট ৭৪টি ট্রিপ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর থেকে পরিচালিত হয়। সরকারের জ্বালানি সাশ্রয়ের সহযোগিতায় শাবিপ্রবি প্রশাসন এই বাসট্রিপ বন্ধ রেখে পাশে থাকার চেষ্টা করবে। তবে জরুরি খাতের পরিবহনগুলো সচল রাখা হয়েছে।
জনতার ঢেউয়ে সরকার ভেসে যাবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসক আওয়ামী লীগ সরকার জনরোষের সুনামিতে ভেসে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ জেগে ওঠায় তাদের (সরকারের) পতন অনিবার্য। রাজপথে জনতার যে ঢেউ উঠবে সেই ঢেউয়ের সুনামিতে এই ফ্যাসিবাদী ও দানবীয় আওয়ামী লীগ সরকার ভেসে চলে যাবে।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ সংকট, পুলিশের গুলিতে রাজনৈতিক নেতার মৃত্যু এবং বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনগণকে সংগঠিত করার জন্য তিনি বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
ফখরুল বলেন, ‘তারা (সরকার) বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আত্মাকে ধ্বংস করেছে বলে জাতি এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সেই আত্মাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। এই সরকারকে সরাতে আমাদের রাজপথ দখল করতে হবে।’
তিনি বলেন, নতুন করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ এখন তাদের সংসার চালাতে চরমভাবে হিমশিম খাচ্ছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে ‘বিশাল শোডাউনের’ প্রস্তুতি বিএনপির
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের অবস্থা কী তা এখন বলার দরকার নেই। কত ভাড়া বাড়ানো হয়েছে তা রাস্তায় বাস যাত্রীদের জিজ্ঞাসা করুন। রিকশাচালক, কৃষক ও শিক্ষকসহ সকল মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে।’
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, মধ্যবিত্ত মানুষ, যারা তাদের দুঃখ প্রকাশ করতে পারে না এবং পণ্যের অতিরিক্ত দাম বহন করতে পারে না, তারা জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সবচেয়ে বেশি শিকার।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দেশের চাপের কারণে সরকার এখন বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল ও প্ল্যাটফর্মকে কোনো ঝামেলা ছাড়াই সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিচ্ছে। ‘তারা এখন একটি গণতান্ত্রিক এবং বিনয়ী দল হওয়ার ভান করছে। এটা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রতারণা তাদের চরিত্রের মধ্যে গেঁথে আছে।’
সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না: ফখরুল
ফখরুল আরও বলেন, ‘ব্যাপক লুণ্ঠনের কারণে ব্যাংকগুলো নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও লুট হয়েছে।’
তিনি বলেন, সরকার কিছুদিন আগে বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পরিণত করার স্বপ্ন দেখছিল, কিন্তু ডলারের রিজার্ভ কমে যাওয়ায় এখন ঋণ চাইছে। ‘তারা আমাদের সম্পদ চুরি ও ছিনতাই করেছে এবং বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মতে, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৮২৭ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পাচার হচ্ছে।’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করতে সরকারকে পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া এবং নিরপেক্ষ প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ফলাফল কারচুপি করে ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরতে চাইছে। ‘ইভিএম প্রতারণার হাতিয়ার। ক্ষমতায় বসতে আওয়ামী লীগের কাছে ইভিএম ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। ইভিএমের মাধ্যমে ধানের শীষে ভোট দিলে ভোট গণনা হবে নৌকায়। তাই তারা ইভিএম ব্যবহার করতে চায়।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র মঞ্চকে স্বাগত জানাল বিএনপি
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
জ্বালানি সংকট: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ২দিন ছুটি ঘোষণা নিয়ে ভাবছে সরকার
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন করা যায় কিনা তা ভেবে দেখা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তেই কোনো সিদ্ধান্তের কথা বলা যাচ্ছে না, হয়তো শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানানো যাবে।
শুক্রবার রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগামী বছর ২০২৩ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই দিন ছুটি থাকছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন থেকে তা কার্যকর করা হবে কিনা বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবছি।’
শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শাবিপ্রবিতে সপ্তাহে ১ দিন অনলাইন ক্লাস
শিক্ষার্থীরা আনন্দের মধ্যদিয়ে সক্রিয় শিখন পদ্ধতিতে লেখাপড়া শিখবে: শিক্ষামন্ত্রী
জ্বালানি সংকট: শিল্পাঞ্চলসমূহে ভিন্ন ভিন্ন সাপ্তাহিক ছুটির দিন নির্ধারণ সরকারের
সারাদেশের শিল্পাঞ্চলসমূহে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার বিকালে ভিন্ন ভিন্ন দিনে সাপ্তাহিক ছুটির দিন নির্ধারণ করেছে সরকার।
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১১৪(২) ধারার ক্ষমতাবলে সারা দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য জনস্বার্থে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ধার্য করা হলো।
পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত জনস্বার্থে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ধার্য করা হলো বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে সারা দেশে শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন, বৈদ্যুতিক এলাকা এবং এলাকার নাম উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে জনগণের কাছে যান, জ্বালানি বিভাগকে মন্ত্রিসভা
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিপিসি কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
জনদুর্ভোগ নিয়ে সরকার খুব একটা চিন্তা করে না: জিএম কাদের
বর্তমান সরকারকে গণবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সরকার এখন জনদুর্ভোগ নিয়ে কম মাথা ঘামায়।
তিনি বলেন, ‘সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তারা জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ বাড়িয়েছে’।
বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তেলের ওপর ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রত্যাহার করলে এবং বিগত বছরগুলোতে অর্জিত মুনাফা সমন্বয় করলে সরকারকে আর জ্বালানির দাম বাড়াতে হতো না।
তিনি বলেন, ‘যে সরকার জনদুর্ভোগের কথা না ভেবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে মুনাফা করে, তারা জনগণের সরকার হতে পারে না। গণবিরোধী সরকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বোঝে না।’
আরও পড়ুন: দেশে স্বৈরতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে: জিএম কাদের
সরকার নানাভাবে মুনাফা করছে এবং উন্নয়ন ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে লুটপাট করছে বলে এসময় অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
তিনি আরও বলেন, সরকার বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের অর্জিত মুনাফার অর্থ ব্যাংকে রাখছে এবং এক চতুর্থাংশ বিভিন্ন অজুহাতে ঋণ নিয়ে সেই অর্থ বিদেশে পাচার করছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দেশে প্রজাতন্ত্রের নামে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশে এখন গণতন্ত্রের নামে স্বৈরাচারী শাসন চলছে। উন্নয়নের নামে দেশে ঘুষ-দুর্নীতির জোয়ার বইছে।’
অনুষ্ঠানে জিএম কাদেরকে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম রব্বানী।
আরও পড়ুন: বাংলদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে: জিএম কাদের
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে মানুষ: জিএম কাদের