আমদানি-রপ্তানি
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বনগাঁসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ১০৮টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনের কারণে ভারতে সরকারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন সে দেশের সরকার। নিরাপত্তার স্বার্থে রবিবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য লোড আনলোডসহ কাস্টমসের কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলছে। স্বাভাবিক আছে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল।
বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, আমাদের বনগাঁসহ পশ্চিমবঙ্গের ১০৮টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সিএন্ডএফ মালিক, কর্মচারি, হ্যান্ডলিং শ্রমিক, ট্রাক চালকরা সকলে তাদের নিজ নিজ এলাকায় ভোট দিবেন বলে আজ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম হবে না। নির্বাচন শেষে সোমবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, পেট্রাপোল বন্দর থেকে তাদেরকে জানিয়েছেন রবিবার তাদের পৌরসভার নির্বাচন হওয়ার কারণে আমদানি রপ্তানি সংক্রান্ত কোন কার্যক্রম হবে না। আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকায় দুই বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে শতশত পণ্য বোঝায় ট্রাক। সোমবার থেকে পুনরায় বেনাপোল পোট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি চালু হবে।
তিনি আরও জানান, বনগাঁসহ পশ্চিমবঙ্গে পৌরসভা নির্বাচন থাকায় ভারত সরকার আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন। সরকারি ছুটি থাকায় আজ এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা শিকদার জানান,
দুই দেশের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি রবিবার ভারতে নির্বাচনের কারণে দুই দেশের মধ্যে বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। তবে ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকগুলো বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস করে খালি ট্রাক ফিরে যেতে কোন বাধা নেই। বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কার্যক্রম ও পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক আছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, ভারতে নির্বাচনের কারণে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য খালাস প্রক্রিয়াসহ লোড আনলোড প্রক্রিয়া স্বাভাবিক গতিতে চলছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমসে ৬ মাসে ৫০৯ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি
বেনাপোলে ওয়ারেন্টভুক্ত ৯ আসামি গ্রেপ্তার
বেনাপোল কাস্টমসে ৬ মাসে ৫০৯ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি
বেনাপোল কাস্টমস হাউসে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ৫০৯ কোটি টাকা রাজস্ব কম আদায় হয়েছে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল আড়াই হাজার কোটি টাকা, সেখানে আদায় করা হয়েছে এক হাজার ৯৯১ কোটি টাকা।
২০১৯-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের চেয়ে একশ এক কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে। ওই সময়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা।
একই সময়ে পণ্য আমদানি হয়েছে ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪ মেট্রিক টন। আর রপ্তানি হয়েছে দুই লাখ ৭৬ হাজার তিন মেট্রিক টন। গত বছরের চেয়ে আমদানি কিছুটা কমলেও রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে। তবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি হয়েছিল ১১ লাখ ৭৩ হাজার ৩২ মেট্রিক টন এবং রপ্তানি হয়েছিল এক লাখ ৭৬ হাজার ২৯৬ মেট্রিক টন।
আরও পড়ুন: সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে আসছে না ৩১ লাখ টাকার সেতু
এর জন্য সুষ্ঠুভাবে বাণিজ্য সম্পাদনে অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় এবং ভারতে পার্কিং ও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের হয়রানিসহ আর্থিক ক্ষতিগ্রস্তের কারণে ব্যবসায়ীরা এই বন্দর ছেড়ে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্র জানায়, চলতি বছর আমদানি পণ্য থেকে ছয় হাজার ২৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ছয় হাজার ২৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থবছর শেষে আদায় হয়েছিল চার হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। বছরটিতে রাজস্ব আয়ের গ্রোথ অন্যান্য সময়ের চাইতে বেশি হলেও দুই হাজার ৫৭ কোটি টাকা ঘাটতি ছিল।
এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ঘাটতি ছিল তিন হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঘাটতি এক হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ তে ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ঘাটতি।
অপরদিকে চলতি বছরে এত বড় অংকের লক্ষ্যমাত্রা আদায় নিয়ে সব মহলে সংশয় রয়েছে। তারা বলছেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাস্টমস ও বন্দরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। তা না হলে কখনও এত বড় অংকের রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: ইঁদুরের গর্তে দু-মুঠো খেয়ে বাঁচার স্বপ্ন!
সংশ্লিষ্টরা বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের এ পথে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। তবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকায় ব্যবসায়ী চাহিদা মত পণ্য আমদানি করতে পারেন না। এতেই বার বার রাজস্ব আয়ে ধস নামছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জানান, চলতি অর্থবছরে এত বড় অংকের রাজস্ব আদায় কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কারণ একদিকে করোনা পরিস্থিতি ও অন্য দিকে সুষ্ঠুভাবে বাণিজ্য সম্পাদনে অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও বেনাপোল বন্দরের অব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেকবার বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করেছেন। আবার ভারতের কালিতলায় অবৈধভাবে পার্কিংয়ের নামে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের হয়রানিসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যেকারণে অনেক ব্যবসায়ী এই বন্দর ছেড়ে চলে গেছে।
তবে বেনাপোল বন্দর উন্নয়ন ভারতে হয়রানি বন্ধ হলে এই বন্দর থেকে লক্ষ্য মাত্রার দ্বিগুণ রাজস্ব আয় কাস্টমসের পক্ষ্যে সম্ভব।
আমদানিকারক মামুন বাবু বলেন, ভারতের কালিতলায় পার্কিংয়ের নামে আমদানি পণ্যবোঝাই ট্রাক থেকে মোট অংকের চাঁদাবাজি করছে। চাঁদাবাজির পরও এসব ট্রাক দেশে প্রবেশে করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগছে। প্রতিদিন ট্রাক প্রতি দুই হাজার রুপি দিতে হয়। তাই বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি কমিয়ে অন্য বন্দরে যেতে বাধ্য হচ্ছি।
আরও পড়ুন: বাঁশের সাঁকোই ৩০ হাজার মানুষের ভরসা
তিনি বলেন, বেনাপোল বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সন্তোষজনক নয়। আমদানিকারকদের নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে বন্দরে পণ্য পাহাড়া দিতে হয়। বন্দর থেকে পণ্য চুরি, বারবার রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডে অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্যবসা বন্ধ করেছেন অনেকেই। গত ৯ বছর ধরে আমদানি পণ্যে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চাহিদা মত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্র পূরণে ব্যর্থ হচ্ছেন।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, ব্যবসায়ীরা যেখানে সুবিধা পাবেন সেখানেই আমদানি, রপ্তানি বাণিজ্যে আগ্রহী হবেন এটাই স্বাভাবিক। চট্টগ্রাম বন্দরে অনেক সুবিধা বিদ্যমান তাই ব্যবসায়ী দিন দিন সে পথে আমদানিতে ঝুঁকছেন। বেনাপোল বন্দর দিয়ে রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কাস্টমস ও বন্দরে বৈধ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, শুধুমাত্র ভারতের কালিতলায় অবৈধভাবে আমদানিবাহী গাড়ি আটকিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করা হচ্ছে। তাছাড়া গত আড়াই মাস বেনাপোল বন্দর দিয়ে সোয়াবিন এক্সট্রাক্ট রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় আমদানি কমে গেছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে এবার মিলল সাড়ে ছয়শ’ বছর আগের তৈজসপত্র!
তিনি বলেন, বেনাপোল বন্দরে পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় বাণিজ্য সম্প্রসারণ হচ্ছে না। এতে কয়েক বছর ধরে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। তারপরও চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে আমরা গত বছরের চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় করেছি। প্রবৃদ্ধির হারও বেশি।
বড়দিন উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য উঠা নামাসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এই কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দরে ২ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বাংলাদেশ বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন জানান, শনিবার বিশ্বে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব ক্রিসমাস ডে উদযাপিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীরা আজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি, বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য উঠা-নামাসহ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
রবিবার থেকে পুনরায় বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ঈদে মিলাদুন্নবী: হিলিতে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ঈদে মিলাদুন্নবী: হিলিতে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
দিনাজপুরের বাংলা হিলি কাস্টমস সি অ্যান্ড এফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, ‘সারাদেশে ঈদে মিলাদুন্নবী যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় উদযাপন করা হচ্ছে। এ কারণে আজ সরকারি ছুটি হওয়ায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফলে সকাল থেকে এই দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের পণ্য আনা-নেয়া বন্ধ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাল থেকে যথারীতি এই বন্দর দিয়ে পুনরায় বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হবে। বন্ধের এই বিষয়টি বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক, সি অ্যান্ড এফ এজেন্টসসহ সকল শ্রমিক সংগঠনকে পত্র দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।’
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেকেন্দার আলী জানান, হিলি চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে পাসপোর্টে যাত্রী আসা অব্যাহত আছে। তবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাত্রী যাওয়া বন্ধ রয়েছে।
পড়ুন: আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী
দুর্গাপূজা: হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা চার দিন বন্ধের পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আবার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। ছুটি শেষে ইতোমধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগদান করেছেন।
শনিবার সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। বেনাপোল বন্দর দিয়ে শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ১৮৭ ট্রাক মালামাল আমদানি হয়েছে এবং রপ্তানি হয়েছে ৫৫ ট্রাক মালামাল।
বেনাপোল বন্দরের কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুর রহমান মামুন জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১২ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে চার দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল।
শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য। দু’দেশের মধ্যে চার দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান,দুর্গাপূজার ছুটিতে বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য চার দিন বন্ধ ছিল। এ সময় কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। শনিবার ছুটি শেষে আবারও দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়েছে। বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা ছুটিতে গিয়েছিলেন সবাই কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা যেন বন্দর থেকে আমদানি-রপ্তানি করা পণ্য দ্রুত খালাস নিতে পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দেশের অর্থনীতি সচল ও পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে করোনাকালীন আমদানি-রপ্তানি পণ্য ছাড় করাতে কাস্টমস হাউস যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪ দিন বন্ধ থাকবে বেনাপোল বাণিজ্য কার্যক্রম
মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন: বেনাপোলে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ
রেলযোগে পার্সেল ভ্যানের প্রথম ২ চালান বেনাপোল বন্দরে
দুর্গাপূজা: হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আজ ১১ অক্টোবর (সোমবার) থেকে ১৬ অক্টোরব (শনিবার) পর্যন্ত একটানা ৬ দিন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ভারতের হিলি এক্সপোর্টার এন্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস এসোসিয়েশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত জানান, আজ সোমবার থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে। বিষয়টি ভারতের হিলি এক্সপোর্টার এন্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ধিরাজ অধিকারী আমাদের জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, আজ সোমবার থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত এই ৬ দিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাই এই কয়দিন বন্দরের মাধ্যমে পণ্য আনা-নেয়া হবে না। ১৭ অক্টাবর থেকে যথারীতি বন্দর দিয়ে বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হবে।
বন্দরের কাস্টমসের উপকমিশনার কামরুল ইসলাম জানান, ভারতের ব্যবসায়ীরা ৬ দিন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেও শুধুমাত্র পুজার দশমীর দিন (সরকারি ছুটি) কাস্টমস কার্যালয় বন্ধ থাকবে। তার আগে-পরে অফিসের কাজকর্ম চালু থাকবে। ব্যবসায়ীরা চাইলে সরকারি শুল্ক পরিশোধ করে তাদের পণ্য খালাস করে নিতে পারবে।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেকেন্দার আলী জানান, হিলি চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে পাসপোর্টে যাত্রী আসা স্বাভাবিক থাকবে। তবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাত্রী যাওয়া বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি দিয়ে ভারতে ২২৯ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪ দিন বন্ধ থাকবে বেনাপোল বাণিজ্য কার্যক্রম
দ
বিএসএফের হয়রানি: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বিএসএফ কর্তৃক ভারতীয় ট্রাক চালকদের হয়রানির প্রতিবাদে সোমবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। পণ্য আমদানি বন্ধ থাকায় পেট্রাপোল বন্দরে কয়েক হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে। ফলে সৃষ্টি হয়ে়ছে ভয়াবহ যানজট।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন তরফদার জানান, ভারতের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভারতীয় ট্রাক চালকররা যখন পণ্য নিয়ে পেট্রাপোল বন্দরের দিকে আসে তখন ভারতের জয়ন্তিপুর বিএসএফ ক্যাম্পর সদস্যরা তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করে থাকে।
বিএসএফের এ ধরনের হয়রানি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা বেনাপোল বন্দর দিয়ে পন্য রপ্তানি করবে না বলে জানিয়েছেন।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। যার অধিকাংশই শিল্প কল কারখানাসহ শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ভারতে সমস্যার সমাধান হলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের উপহার `লাইফসাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স’ বেনাপোল বন্দরে
বেনাপোল দিয়ে ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন দেশে পৌঁছেছে
হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বাংলাদেশের ৪৬তম জাতীয় শোক দিবস ও ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রবিবার দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানিসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে চামড়া পাচাররোধে হিলি সীমান্তে সতর্কতা
বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আজিজ জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী আজ। আর অপরদিকে ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছে ভারত। প্রতিবেশি এই দুই দেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে বন্দরের দুই অংশের ব্যবসায়ীরা আজ বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে সকাল থেকে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহ পণ্য লোড-আনলোড বন্ধ রাখা রয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি দিয়ে সপ্তাহে ৩ দিন ভারতে যাতায়াতের সিদ্ধান্ত
তবে মঙ্গলবার থেকে আবার বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।
তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
টানা দুই মাস বন্ধ থাকার পর শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিলেটের গোয়াইনঘাটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভারতীয় পাথরবাহী পাঁচটি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুনঃ অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও আমদানি করা হবে: খাদ্যমন্ত্রীবুধবার সকাল থেকে পুরোদমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে বলে তামাবিল ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন। তামাবিল স্থলবন্দরে দীর্ঘদিন পর পূনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হওয়ায় এখানকার ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে আনন্দের আমেজ দেখা গেছে।
আরও পড়ুনঃ হিলি দিয়ে সপ্তাহে ৩ দিন ভারতে যাতায়াতের সিদ্ধান্ততামাবিল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তামাবিল স্থলবন্দরের কার্যক্রম সচল থাকলেও ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে মেঘালয়জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করে দেশটির রাজ্য সরকার। ফলে গত ১ মে থেকে ডাউকি স্থলবন্দরের পাশাপাশি সকল প্রকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারত। যার কারণে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ডাউকি স্থলবন্দর দিয়ে চুনাপাথর, পাথর ও কয়লাসহ আমদানি-রপ্তানিযোগ্য কোনো পণ্য তামাবিল স্থলবন্দরে প্রবেশ করেনি।
সম্প্রতি মেঘালয়ে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার ফলে বিগত কয়েকদিন ধরে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন ও ভারতীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মাঝে আলোচনার ভিত্তিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ মেনে এই স্থলবন্দরটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুনঃ কঠোর লকডাউনে স্বাভাবিক হিলি স্থলবন্দরের কার্যক্রম
এ বিষয়ে তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন সেদু জানান, করোনার কারণে গত মে মাসের শুরু থেকেই ডাউকি স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারত। দীর্ঘদিন ধরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার ফলে তামাবিল স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বেশ বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েন। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার শ্রমিক।তিনি বলেন, তামাবিল স্থলবন্দরে ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক মিলে প্রায় ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাই আজ থেকে এই বন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হওয়ায় এলাকার সর্বত্র খুশির আমেজ বইছে।
আরও পড়ুনঃ হিলিতে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
এ ব্যাপারে তামাবিল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মাহফুজুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। তবে যতটুকু জানি, শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালু ছিল। কিন্তু চলমান লকডাউনের কারণে ভারত তাদের ডাউকি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল। প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকে এই বন্দর দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি চালু হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সতর্কতা হিসেবে প্রশাসনের উদ্যোগে এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের সহযোগিতায় পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় প্রত্যেকটি পরিবহন স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
লকডাউন: বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার
বেনাপোলে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত টহল দিচ্ছে। স্থলবন্দরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো ছিল ফাঁকা। তবে কাস্টমস ও বন্দর সংশ্লিষ্ট লোকজনদের যাতায়াত করতে দেখা গেছে।
লকডাউনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি চালু ছিল। বন্দর ও কাস্টমস হাউজে স্বাভাবিক নিয়মে কাজ হয়েছে। সকাল থেকে ১৮০ ট্রাক মালামাল আমদানি হয়েছে ও ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৭০ ট্রাক মালামাল।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনেও খোলা ছিল বেনাপোল কাস্টম হাউস
৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম রেজা জানান, ভারতীয় কোন ট্রাক চালক যাতে বন্দরের বাইরে বের হতে না পারে সেজন্য বন্দর এলাকায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও জেলার অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট দীর্ঘ সময় নজরদারি করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে রেলযোগে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৬০ কন্টেইনার সোডিয়াম সালফেট আমদানি হয়েছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কন্টেইনারগুলো নওয়াপাড়ায় যাবে বলে বেনাপোল রেলওয়ের মাস্টার মো. সাইদুজ্জামান নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে আন্তর্জাতিক কিডনি পাচারকারী চক্রের সদস্য আটক
বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনের ওসি আহসান হাবিব জানান, লকডাউনের মধ্যে ভারত থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ৪০ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছে এবং বাংলাদেশ থেকে তাদের প্রত্যেককে বেনাপোলের বিভিন্ন হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টেইনে রাখা হয়েছে।