ভারত
রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ: প্রণয় ভার্মা
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, জ্বালানি সহযোগিতা ভারত-বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদারিত্বের একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ উপাদান’ এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার একটি দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ।
ভারতীয় হাইকমিশনার রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট শনিবার পরিদর্শন করেছেন। যা প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ভারত সরকারের রেয়াতি অর্থায়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হচ্ছে। এর বেশির ভাগ অর্থ দিচ্ছে ভারতের এক্সিম ব্যাংক।
প্ল্যান্টটি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং অত্যাধুনিক সুবিধা দিয়ে সজ্জিত।
এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ধাপটি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীরা উদ্বোধন করেন এবং ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপ শিগগিরই শেষ হবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভারতের পরবর্তী হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা
রূপসা রেল সেতু পরিদর্শনে প্রণয় ভার্মা
গত ৩ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় হাইকমিশনার রূপসা রেল সেতু পরিদর্শন করেন, যা শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র উপ-অঞ্চলের জন্য বাণিজ্য ও যোগাযোগ জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারকে প্রদত্ত ভারত সরকারের রেয়াতি লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) এর আওতায় সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা আগামী ৩-৪ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিভাগে দুই দিনের সফরে বাংলাদেশ-ভারত উন্নয়ন অংশীদারিত্বের আওতায় গড়ে ওঠা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শন করবেন।
রূপসা সেতুর মোট দৈর্ঘ্য পাঁচ কিলোমিটারের বেশি এবং সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৬৯ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
শুক্রবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন বলেছে যে সেতুটি রূপসা নদীর উপর নির্মিত হয়েছে এবং এর নির্মাণ একটি চ্যালেঞ্জিং ইঞ্জিনিয়ারিং কৃতিত্ব, কারণ পাইলিং কাজের জন্য বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজন হয়।
নেভিগেশন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেতুটিতে অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স স্ট্যান্ডার্ড উচ্চ জলের স্তর থেকে ১৮ মিটারেরও বেশি।
ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার। ভারত ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে প্রায় আট বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এলওসি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশন বলছে, সেতুটি ভারত-বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদারিত্বের একটি দৃশ্যমান দৃষ্টান্ত।
রূপসা রেলসেতু ও খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন পণ্য পরিবহনকে ব্যাপকভাবে সহজতর করবে এবং মোংলা বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ ও প্রবেশযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চলের কৃষিপণ্যসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জন্য বাজারে প্রবেশাধিকার উন্নত করবে। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পর্যটন এবং বিশিষ্ট খেলাধুলায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিবাসন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান বাংলাদেশ ও আইওএম-এর
আরও ১ বছর ডি-৮ এর সভাপতি থাকবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি
রোজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে তিন হাজার ৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ১১০ টি ট্রাকে করে ভারতীয় মসুরের ডালের বড় চালান এসে পৌঁছায় বন্দরের ট্রান্সসিপমেন্ট ইয়ার্ডে।
বৃহস্পতিবার রাত ১ টা পর্যন্ত কাস্টমস ও বন্দরের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে মসুরের ডালের চালানটি বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে এক কোটি টাকা সমমূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার
এক হাজার ১৩৬.১৩ মার্কিন ডলার মূল্যে প্রতি মেট্রিক টন মসুরের ডাল আমদানি করা হয়েছে ভারত থেকে।
সিএন্ডএফ এজেন্ট কনফিডেন্স ট্রেড অ্যাসোসিয়েট মসুরের ডাল খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাবমিট করেন বেনাপোল কাস্টমস হাউজে।
সিএন্ডএফ এজেন্ট কনফিডেন্স ট্রেড অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার মুর্তজা শরীফ জানান, আজ চার হাজার মেট্রিক টন মসুরের ডাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। চার হাজার টন এলসির বিপরীতে ১১০টি ভারতীয় ট্রাকে তিন হাজার ৮০০ টন মসুরের ডাল বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
তিন হাজার ৮০০ মেট্রিক টন মসুরের ডাল বন্দর থেকে খালাস নেয়া হলেও বাকি ২০০ টন ডাল দ্রুত আসবে ভারত থেকে।
তিনি আরও জানান, এ মসুরের ডাল আমদানি করতে প্রতি কেজি খরচ পড়ছে ১২৫ টাকা। এ বন্দর থেকে মসুরের ডাল দ্রুত খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।
শুক্রবার সকালেও ডালের ট্রাক বন্দর থেকে খালাস দেয়া হয়েছে।
কাস্টমস কমিশনার আব্দুল হাকিম জানান, টিসিবির ডালের চালান দ্রুত খালাস করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের ডাইরেক্টর আব্দুল জলিল জানান, ভারত থেকে তিন হাজার ৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি হয়েছে। বন্দর থেকে দ্রুত মসুরের ডালের চালানটি ছাড় হয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, সে জন্য তারা সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেন থেকে বিদেশি সিগারেট মদ জব্দ
সাইকেলে হজযাত্রায় বেনাপোল হয়ে ভারত গেলেন থাই নাগরিক সালাম
২ বছর পর দেশে ফিরলেন ভারতে পাচারের শিকার ৯ নারী
ভালো কাজের প্রলোভনে ভারতে পাচার হওয়া ৯ বাংলাদেশি নারীকে দুই বছর পর দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ভারতের ইমিগ্রেশন পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে।
আরও পড়ুন: ভারতে ২ বছর সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৭ তরুণী
ফেরত আসাদের মধ্যে রয়েছে-আঁখি খাতুন (১৬), প্রিয়া দাস (১৮), রিয়া বিশ্বাস (১৯), শান্তি দাস (১৭) মিঠু বেগম (১৯), সনিয়া আক্তার (১৮) শিরিনা আক্তার (১৭) বিথি খাতুন (১৮), বানু খাতুন (১৬)।
এদের বাড়ি ঢাকা, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
ফিরে আসা সোনিয়া খাতুন জানান, ভালো কাজের আশায় গত আড়াই বছর আগে যশোরের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাই। পরে ভারতের হায়দারাবাদে বাসাবাড়িতে কাজ করার সময় ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে।
আদালতের মাধ্যমে তাদের দুই বছরের সাজা হয়। সাজার মেয়াদ শেষে সেখানকার একটি এনজিও সংস্থা তাদের নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখেন।
ফিরে আসা এক নারী বলেন, শেল্টারহোমে আমাদের বয়সী অনেক বাংলাদেশি নারী আছেন। তারা দেশে আসার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি নারীদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ছয়জনকে এবং মহিলা আইন সমিতি তিন জনকে গ্রহণ করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এম এ মুহিত হোসেন বলেন, যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ছয়জন ও মহিলা আইনজীবী সমিতি তিনজনকে তাদের নিজস্ব শেল্টারহোমে রাখবে।
পরে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলেন ৩ বাংলাদেশি নারী
সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৭ বাংলাদেশি যুবক
সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলেন ৩ বাংলাদেশি নারী
দুই বছর সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ভারতে পাচার হওয়া তিন বাংলাদেশি নারী। বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন তারা।
ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন।
তারা হলেন-আফরোজা খাতুন (২২), সোনিয়া আক্তার (১৭) ও আলো আক্তার (১৯)। তাদের বাড়ি ঢাকা ও মাগুরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৪৪ বাংলাদেশি
আফরোজা খাতুন বলেন, আমরা দালালদের মাধ্যমে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভালো কাজের আশায় ভারতে পাড়ি জমাই। এরপর ভারতের বেঙ্গালুরে বাসাবাড়িতে কাজের সময় ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হই। সেখান থেকে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে সংস্থার নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখেন। ওই শেল্টার হোম থেকে বুধবার দেশে ফিরেছি। শেল্টারহোমে আমাদের বয়সী অনেক বাংলাদেশি নারী আছেন। তারা দেশে আসার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি নারীদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের কো-অর্ডিনেটর রোকেয়া খাতুন বলেন, ফেরত আসাদের যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের নিজস্ব শেল্টারহোমে রাখা হবে। এরপর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে দেশে ফিরলেন ২৬ বাংলাদেশি জেলে
ভারত থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৫০ বাংলাদেশি
ঝাড়খন্ডে অ্যাপার্টমেন্টে অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ নিহত ১৪, আহত ১২
ভারতের ঝাড়খন্ড প্রদেশের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ১২ জন।
মঙ্গলবার(৩১ জানুয়ারি) প্রদেশের ধানবাদ এলাকায় এই ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে ১০ নারী, তিন শিশুও রয়েছে বলে জানায় সংবাদ মাধ্যম এএনআই।
ভবনটিতে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ধানবাদের ডেপুটি কমিশনার সন্দীপ কুমার।
জানা যায়, ভবনটিতে অনেক লোক একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল।
ধানবাদের অগ্নিদুর্গত আর্শীবাদ টাওয়ার অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মোংলা ইপিজেডের আগুন ২৪ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে
হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে ভারতের ওপর আক্রমণের অভিযোগ আদানির
এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ভারতের আদানি গ্রুপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ গবেষণা ও শর্ট-বিক্রেতা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের একটি প্রতিবেদনকে প্রত্যাখান করেছে। তারা প্রতিবেদনটিকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ’, ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘নির্দিষ্ট কিছু ভুল তথ্য’ এ পূর্ণ বলেও অভিহিত করেছে।
হিন্ডেনবার্গ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং অন্যান্য অপকর্মের অভিযোগ এনে প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর থেকে গ্রুপের শেয়ার ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
যদিও সোমবার আদানি গ্রুপ কিছু হারানো শেয়ার পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এদিন গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজ ৩.২ শতাংশ লাভ করেছে এবং আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড ৩.৩ শতাংশ লাভ করেছে। এছাড়া আদানির অন্যান্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সাইকেলে হজযাত্রায় বেনাপোল হয়ে ভারত গেলেন থাই নাগরিক সালাম
রবিবার আদানি গ্রুপের প্রকাশিত ৪০০ পৃষ্ঠার প্রতিক্রিয়ায় তারা হিন্ডেনবার্গকে ভারত ও দেশটির প্রতিষ্ঠানগুলোকে আক্রমণ করার এবং সিকিউরিটিজ ও বৈদেশিক মুদ্রার আইন ভঙ্গ করার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
এছাড়া হিন্ডেনবার্গকে অভিযুক্ত করে বলেছে যে এটি আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে এবং এর শেয়ার বিক্রিতে ধস নামানোর চেষ্টা করছে।
আদানির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এটি নিছক কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানির ওপর কোনো অযৌক্তিক আক্রমণ নয়, বরং ভারতের ওপর একটি পরিকল্পিত আক্রমণ। কেননা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা, অখণ্ডতা ও গুণমান হলো ভারতের প্রবৃদ্ধির ঐতিহ্য ও ভবিষ্যত উন্নয়নের প্রত্যাশা।’
জবাবে হিন্ডেনবার্গ ফার্ম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে আদানির প্রতিক্রিয়া মূলত তার ত্রুটিগুলোকে নিশ্চিত করেছে এবং তারা তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
হিন্ডেনবার্গ আরও বলেছে, আদানি গ্রুপ তার উন্নয়নকে ভারতের সাফল্যের সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করছে।
হিন্ডেনবার্গ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি ভারত একটি প্রতিনিধিত্বকারী গণতন্ত্র এবং একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত সমৃদ্ধ একটি উদীয়মান পরাশক্তি। আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে ভারতের ভবিষ্যত আদানি গোষ্ঠীর মাধ্যমে আটকে রাখা হয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে জালিয়াতি মানে জালিয়াতি। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি তা করলেও, তা জালিয়াতিই থাকে।’
আরও পড়ুন: দুই ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, ১ পাইলট নিহত
কয়লা খনির মাধ্যমে গৌতম আদানি এবং তার পরিবার ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। এছাড়াও তাদের রয়েছে অবকাঠামো, বন্দর, ডেটা ট্রান্সমিশন, মিডিয়া, নবায়নযোগ্য শক্তি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন এবং কৃষিসহ বিভিন্ন শিল্পের ব্যবসা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আদানির নিজস্ব সম্পদের পরিমাণ প্রায় দুই হাজার শতাংশ বেড়েছে।
ব্লুমবার্গের বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুসারে, গত বছরের শেষের দিকে প্রায় ১২৫ বিলিয়ন ডলার সম্পদ নিয়ে আদানি অ্যামাজনের প্রধান জেফ বেজোসকে ছাড়িয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তির খেতাব পেয়েছেন।
গত সপ্তাহের লোকসানের পর, ব্লুমবার্গের সূচকে তিনি ৯২.৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে বিশ্বের সপ্তম ধনীর স্থানে রয়েছেন।
হিন্ডেনবার্গ তার প্রতিবেদনে বলেছে দুই বছরের তদন্তের ভিত্তিতে তারা ‘আদানি গ্রুপ: কিভাবে বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি কর্পোরেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কলকাঠি নাড়ছে’-শিরোনামের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
হিন্ডেনবার্গ তার প্রতিবেদনে ৮৮টি প্রশ্ন তালিকাভুক্ত করেছে এবং তারা এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য আদানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এরমধ্যে বেশিরভাগ অভিযোগই গ্রুপের ঋণের মাত্রা, এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের কার্যকলাপ, অফশোর শেল কোম্পানির ব্যবহার এবং জালিয়াতির অতীত তদন্ত বিষয়ে।
বিনিয়োগকারীরা বুধবার আদানি-সংযুক্ত শেয়ারগুলো ডাম্প করা শুরু করে এবং আদানি গ্রুপ প্রায় ৪৮ বিলিয়ন ডলার বাজার মূল্য হারায়।
প্রতিক্রিয়ায় আদানি গ্রুপ বলেছে যে হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনের ৮৮টি প্রশ্নের একটিও ‘স্বাধীন বা সাংবাদিকতাগত তথ্য অনুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে করা হয়নি।’ এগুলোর অধিকাংশই ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর বা পক্ষপাতদুষ্ট।
সোমবার সিএনবিসি টিভি ১৮-এর সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে আদানির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা জুগেশিন্দর সিং বলেছেন, গ্রুপের মোট ঋণ ছিল ৩০ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ৯ বিলিয়ন ডলার ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলোর থেকে নেয়া।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভারতের ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত
হিন্ডেনবার্গ বলেছিল যে আদানি তাদের উত্থাপিত ৮৮টি প্রশ্নের মধ্যে ৬২টির উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আদানির প্রতিক্রিয়ার মাত্র ৩০ পৃষ্ঠা প্রাসঙ্গিক; বাকি পৃষ্ঠাগুলোয় আদালতের রেকর্ড, সাধারণ তথ্য, কোম্পানির আর্থিক ও ‘অপ্রাসঙ্গিক কর্পোরেট উদ্যোগ’ সম্পর্কে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আদানি গ্রুপের আইনি বিভাগের প্রধান যতীন জলন্ধওয়ালা বলেছিলেন যে গ্রুপটি হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে।
হিন্ডেনবার্গ বলেছে যে তারা তাদের প্রতিবেদনে অটল এবং তারা আদানি গ্রুপের আইনি পদক্ষেপকে স্বাগত জানাবে।
পাহাড়ের শিশু-কিশোরদের জন্য আর্ট ক্যাম্প
বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের নিকটবর্তী একটি দুর্গম পাহাড়ি গ্রামে দুই দিনব্যাপী আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়, যেখানে নৃতাত্ত্বিক সম্প্রদায়ের শিশুরা স্কেচের মাধ্যমে তাদের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করার সুযোগ পায়।
মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় হাজং ও গারোসহ বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর ৬০ জন শিশু-কিশোর অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: হলি আর্টিজানে নিহতদের প্রতি রাষ্ট্রদূতদের শ্রদ্ধা
প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশু ও কিশোর-কিশোরীরাও তাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেয়ায় নতুন উদ্যম দেখিয়েছে।
তাদের শিল্পকর্মগুলি তাদের জীবনের একটি ঝলকও সরবরাহ করেছিল যা সমতল ভূমিতে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রার চেয়ে আলাদা।
লাইটশোর ফাউন্ডেশন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছানোর এবং তাদের জীবনযাত্রার উন্নতিতে সহায়তা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: হোলি আর্টিজান ট্র্যাজেডি নিয়ে ছবি মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি অবিন্তার মায়ের
ঢাকায় ১৯তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনালের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
দুই ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, ১ পাইলট নিহত
ভারতের বিমানবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এক পাইলট নিহত হয়েছে।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালের দিকে দেশটির মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের গোয়ালিয়রের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ভারতীয় বিমান বাহিনী টুইটারে জানিয়েছে, বিমানটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। তিনজন পাইলটের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মিরে পাকিস্তানের সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, দুই পাইলট নিহত
এতে আরও বলা হয়, মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের গোয়ালিয়রের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। বিমান বাহিনী দুর্ঘটনা কবলিত বিমানটির নাম জানায়নি। তবে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে যে সুখোই-৩০ এবং মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত চিত্রগুলোতে বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে কালো ধোঁয়া এবং আগুনের শিখা দেখা গেছে।
পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আদর্শ কাটিয়ার প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছেন, দুই পাইলট নিরাপদে বের হতে পারলেও বিমানগুলো সংঘর্ষে পড়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় বিমানবাহিনীকে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনায় ব্রাজিলিয়ান গায়িকা মারিলিয়া মেনডোসা নিহত
তুরস্কে বিমান দুর্ঘটনায় ৭ নিরাপত্তা কর্মী নিহত
ঢাকায় ভারতের ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত
ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করেছে।
বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং প্রেসিডেন্টের ভাষণ পাঠ করেন।
বৃহস্পতিবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতীয় প্রবাসী সদস্যরা দেশাত্মবোধক গান গেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস: হিলি বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
করোনাভাইরাস: বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ কোটি ৩৫ লাখ ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ কোটি ৩৫ লাখ অতিক্রম করেছে।
সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬ হাজার ৮২৫ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৬৭ লাখ ৪৮ হাজার ১১০ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ২৯৬ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছে ১১ লাখ ২৯ হাজার ১৪৫ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মোট শনাক্ত চার কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার ১৫ জন এবং একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ৭৩৫ জনে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ কোটি ১৯ লাখ ছুঁইছুঁই
এদিকে, চীনে ১৩ থেকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে হাসপাতালগুলোতে প্রায় ১৩ হাজার কোভিড-সম্পর্কিত মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যখন একজন শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন যে জনসংখ্যার বিশাল একটা অংশ ইতোমধ্যে সংক্রামিত হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এসময় নতুন করে ১২ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৪৫৬ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে মৃত্যু নেই, শনাক্ত ১২