স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
আরও ১ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন একজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্ত রোগী ঢাকা বিভাগের বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে পাঁচ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে তিনজন ভর্তি আছেন। ঢাকার বাইরে ভর্তি আছেন দুইজন ডেঙ্গু রোগী।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১২৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১১৮ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত কোন ডেঙ্গু রোগী মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: ফের করোনায় আক্রান্ত পরিবেশমন্ত্রী
সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ডেঙ্গু: আরও ১ জন হাসপাতালে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন একজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ১০ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে আট এবং ঢাকার বাইরে দুজন ভর্তি আছেন বলে কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন বছরে এখন পর্যন্ত ১২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১২২ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাদের মধ্যে কেউ এখনও মারা যাননি।
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ রূপে ডেঙ্গু!
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বরের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
করোনায় দেশে মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ১৪ হাজার ৮২৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২৩৮ জনে। এছাড়া মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৪ জনে পৌঁছেছে।
আগের দিন ২৪ ঘন্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৯০৬ জনের। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ১৪ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৮০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৬ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৯৯৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮৫৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে একদিনে করোনায় শনাক্ত এক হাজার ছাড়াল
বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ৩৫ কোটি ১৯ লাখ ছাড়িয়েছে
আরও ৩ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন তিনজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে দুইজন ঢাকা বিভাগের এবং একজন ঢাকার বাইরে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ১০ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে ০৮ জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বাইরে ভর্তি আছেন দুইজন ডেঙ্গু রোগী।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১২১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১১১ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত কোন ডেঙ্গু রোগী মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে একদিনে করোনায় শনাক্ত এক হাজার ছাড়াল
বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ৩৫ কোটি ১৯ লাখ ছাড়িয়েছে
করোনায় দেশে মৃত্যু বাড়ছে
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ৯ হাজার ৬১৪ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২০৯ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৭৪ হাজার ২৩০ জনে পৌঁছেছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৩১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ২ শতাংশ।মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৮ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৮২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ঢাকার এক-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিশ্ব পরিস্থিতি
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ কোটি ৬৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩২ এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫৬ লাখ তিন হাজার ১৬০ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা সাত কোটি ১৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৭৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৩ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২২ হাজার ৬৪৭ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৩৭ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪১ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
যুক্তরাজ্যে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা এক কোটি ৫৭ লাখ ৯ হাজার ৫৯ জন। এবং এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৫ লাখ তিন হাজার ৪৯০ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৮৯ লাখ ১ হাজার ৪৮৫ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮৮ হাজার ৯১১ জনে।
আরও পড়ুন: সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত প্রধান বিচারপতি, বিএসএমএমইউতে ভর্তি
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩৪ কোটি ছাড়াল
শূন্যের কোটায় ‘ডেঙ্গু’ আক্রান্ত
দেশে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় কোনো ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়নি। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১৯ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ১১ জন রোগীকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নতুন বছরে এখন পর্যন্ত ১১৬ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ৯৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও ৭ রোগী হাসপাতালে
ঢাকার এক-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনায় দেশে আরও ১২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১৪৩৪
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ১১ হাজার ৪৩৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৯২ জনে। এছাড়া মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৬ জনে পৌঁছেছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে বৃহ্স্পতিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চার জনের মৃত্যু এবং ১০ হাজার ৮৮৮ জন শনাক্ত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ১৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৯ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৭৫২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ঢাকার এক-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
করোনা সংক্রমণ রোধে ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো.সাবিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে পাঁচটি বিধিনিষেধের কথা বলা হয়েছে। বিধিনিষেধগুলো হলো-
১. ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
৩. সামাজিক/ রাজনৈতিক/ধর্মীয়/রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০-র বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবে তাদের অব্যশই টিকা সনদ/২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টফিকেট আনতে হবে।
৪. সরকারি/বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাসমুহে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের টিকা সনদ প্রহণ করতে হবে।
৫. বাজার, শপিং মল, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সধরণের জসমাবেশে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত
ঢাকার এক-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৩৩ শতাংশ এখন করোনা রোগী বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধে সরকার কর্তৃক আরোপিত নতুন বিধিনিষেধের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে যেমনটা সারা বিশ্বে হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রায় ১০ হাজার ৯০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং সংক্রমণের হার একদিনের ব্যবধানে ১০ থেকে ১৫ পরে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
সরকার কর্তৃক জারি করা ১১ দফা নির্দেশনার পরেও লোকেরা স্বাস্থ্যবিধি পালন না করায় সংক্রমণ বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা চলতে থাকলে হাসপাতালগুলোতে কোনো বেড খালি থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আমরা স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছি। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে দুই সপ্তাহের জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
দুই সপ্তাহ পর দেশের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে কারণ বর্তমানে দুই হাজারেরও বেশি লোক সারা দেশে করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে এবং তাদের মধ্যে এক হাজার ঢাকা শহরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
আরও পড়ুন: সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত প্রধান বিচারপতি, বিএসএমএমইউতে ভর্তি
তিনি বলেন, করোনা বিস্তার রোধে আরও কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যেমন কোনো রাজনৈতিক, সামাজিক বা ধর্মীয় কর্মসূচিতে ১০০ জনের বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা এই ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তাদের করোনা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট এবং আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ৫০ শতাংশ কর্মচারী কর্মকর্তা নিয়ে অফিসগুলো পরিচালনার কথা ভাবছি এবং শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
মন্ত্রী মালেক স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে কঠোরভাবে মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মেলা, স্টেডিয়ামে খেলা এবং একুশে বইমেলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এসব জায়গায় ১০০ জনের বেশি জমায়েত হবে না বলা কঠিন তবে করোনা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট এবং আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ফলাফলের নির্দেশনা প্রযোজ্য থাকবে।
জাহিদ মালক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দেশে করোনা ভ্যাকসিনের ১৫ কোটি ১০ লাখ ডোজ দেয়া হয়েছে। আমাদের কাছে এখনও আরও ৯ কোটি ভ্যাকসিনের মজুদ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেড জোনে আরও ১০ জেলা
দেশে করোনায় শনাক্ত প্রায় ১১ হাজার
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ১০ হাজার ৮৮৮ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৮০ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৮২ জনে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ হাজার ২৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৩৭।মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭০ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৭৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৪৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত প্রধান বিচারপতি, বিএসএমএমইউতে ভর্তি
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার ৫৯০ এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫৫ লাখ ৬৩ হাজার ৮১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ছয় কোটি ৮৫ লাখ ৮ হাজার ১৮১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৫৭ হাজার ৬৭৪ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২২ হাজার ১২১ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৩৪ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৭ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৭৯ লাখ ১ হাজার ২৪১ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮৭ হাজার ২০২ জনে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেড জোনে আরও ১০ জেলা
কুমিল্লায় বিদ্যালয়ের সব শিক্ষকের করোনা শনাক্ত, বন্ধ ঘোষণা
দেশে করোনায় শনাক্তের হার ২৫.১১ শতাংশ, মৃত্যু ১২
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও সাড়ে ৯ হাজার। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৭৬ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৪২ হাজার ২৯৪ জনে পৌঁছেছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেড জোনে আরও ১০ জেলা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ হাজার ৮৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭২ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৭৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫৫ লাখ ৫৪ হাজার ছাড়িয়েছে