স্বাস্থ্য
ঢাকা বিশ্বের তৃতীয় দূষিত বাতাসের শহর
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। বুধবার বেলা ১১টা ৩২ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ২৮২।
ভারতের দিল্লি ও পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ৪০৬ ও ৩৮২ একিউআই সূচক নিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। এসময় স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ প্রত্যেক নগরবাসীর জন্য জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: পঞ্চগড়ে জনজীবনে দুর্ভোগ
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দুষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বছরের সর্বনিম্ন ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা, জনজীবন বিপর্যস্ত
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৩৯ জন হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩৯ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ১৩৪ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় ১৭ জন ও ঢাকার বাইরে ২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ২১৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২৭ হাজার ৯৭৯ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১০৩ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ২৮ জন হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৭ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর প্রকোপ: আরও ৪০ রোগী হাসপাতালে
করোনার বুস্টার ডোজ রবিবার শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আগামী রবিবার থেকে ট্রায়াল বুস্টার ডোজের টিকা দেয়া শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যানমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘দেশে যারা বয়স্ক মানুষ রয়েছে, ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কার হিসেবে যে সমস্ত ডাক্তার, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকেরা কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরকে বুস্টার ডোজ দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে মানিকগঞ্জ শুভ্র সেন্টারে পিঠা-পুলি উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বুস্টার ডোজ দেয়ার যাবতীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বুস্টার ডোজ দেয়ার জন্য অনুমোদন দিয়েছেন। সুরক্ষা অ্যাপ আপডেটের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বুস্টার ডোজ দেয়ার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
দেশে ভ্যাকসিনের কোন অভাব নেই জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, দেশে এখন সাত লাখ ফাইজার ভ্যাকসিনের টিকা হাতে আছে। আগামী মাসে আরও দুই কোটি টিকা আসবে। সব ভ্যাকসিন মিলিয়ে দেশে এখন পৌনে পাঁচ কোটি ভ্যাকসিন রয়েছে।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত সাত কোটি সিঙ্গেল ডোজ এবং সাড়ে চার কোটি ডাবল ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী এসময় জানান।
পিঠা-পুলি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসময় জেলা প্রশাসক আবদুল লতিফ, পৌর মেয়র রমজান আলী, সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ফটোসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বস্তিবাসীদের টিকাদান শুরু আজ
সারাদেশের স্কুলে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনা: আরও ৪ জনের প্রাণহানি, শনাক্ত ২৯৭
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে আরও ২৯৭ জন। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৩৮ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৮০ হাজার ৩০২ জনে পৌঁছেছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ১৫৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার এক দশমিক ০৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৬৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ৯৩৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ২৭ কোটি ১৪ লাখ ছাড়িয়েছে
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বে বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ কোটি ১৪ লাখ ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ কোটি ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৯৬৫ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৫৩ লাখ ২০ হাজার ২৩৬ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা পাঁচ কোটি দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৮ জন এবং মারা গেছেন আট লাখ ৩৪৩ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৬ হাজার ৯৭০ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৭৫ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৯৮ লাখ ৯৯ হাজার ১৩৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে দুই লাখ ৮৬ হাজার ২৩ জন পৌঁছেছে।
এদিকে, বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৭ লাখ তিন হাজার ৬৪৪ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৮ জনে।
আরও পড়ুন: নারী ক্রিকেট দলের আরেক সদস্য করোনা আক্রান্ত
করোনা: আরও ৩ জনের প্রাণহানি, শনাক্ত ২৯৫
ওজন কমাতে ১০ কার্যকরী পানীয়
ওজন কমানোর জন্য সর্বোত্তম উপায় হলো নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা। একদম শূন্য ক্যালোরির হওয়ায় অতি সাধারণ এই খাবার পানি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই শরীরকে সরাসরি হাইড্রেটেড রাখতে পারে। যারা ইতোমধ্যে নিয়মিত পানি খাওয়ার অভ্যাসের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছেন তাদের সুষম খাবারের সঙ্গে আর কোন পানীয়র সংযোজনের প্রয়োজন পড়ে না। তবে একটু মুখরোচক ও শরীরের তাৎক্ষণিক চাঙ্গা ভাবের জন্য যারা পানির সঙ্গে যথাযথ পুষ্টিও পান করতে চাইছেন তাদের জন্যও রয়েছে উপযুক্ত উপায়। ১০ কার্যকরী পানীয়র ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
ওজন কমানোর জন্য ১০ পানীয়
জাম্বুরা ও ডালিমের শরবত
ওজন কমাতে জাম্বুরা খুবই কার্যকরী। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা এবং পোস্ট-গ্লুকোজ ইনসুলিনের মাত্রা উন্নত করে দেহের স্থুলতা কমায়। আর ডালিম প্রদাহ কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে যা মূলত ওজন হ্রাসের দিকে ধাবিত করে।
আরও পড়ুন: কঠোর ডায়েটের স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ জেনে নিন
নারকেলের পানি
অল্পের মধ্যে পুরো একবেলা আহারের জন্য নারকেলের জুড়ি নেই। এর পানি ক্ষুধা দমন করে এবং অল্পতেই তৃপ্তি মিটিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি কিডনির সঠিক কার্যকারিতার জন্যও ভালো।
মধু দিয়ে লেবুর শরবত
লেবু এবং মধুর মিশ্রণ ওজন কমানোর জন্য সেরা পানীয়গুলোর মধ্যে একটি। কারণ মধু অন্ত্রের সমস্যা প্রতিরোধ, কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ফলশ্রুতিতে দেহ স্বাস্থ্যসম্মত ওজন হ্রাসের দিকে এগিয়ে যায়। অন্যদিকে, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, টক্সিন বের করে দেয়, শরীরে পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পিংক সল্ট বা হিমালয় লবণের উপকারিতা
আপেল সিডার ভিনেগার
এই বহুল জনপ্রিয় কম ক্যালোরির ভিনেগারটি মুখের রুচি বাড়ায়, রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে, উচ্চ রক্তচাপকে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে, অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নতি করে। ফলে অন্যান্য মুখরোচক ফ্যাটযুক্ত খাবারের একটি সেরা বিকল্প হিসেবে এটি কাজ করে।
পেঁপের শরবত
পেঁপের সুস্বাদু শরবত অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: লাল চাল: কেন খাবেন এবং কারা এড়িয়ে চলবেন?
অতিরিক্ত আবেগ হতে পারে শরীরের ক্ষতির কারণ
রাগ, ভয় ও দুঃখ মানুষের খুব স্বাভাবিক আবেগের পরিস্ফুটন হলেও অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় এগুলো শরীরের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। এগুলোকে চিন্তা করা যায় অনেকটা মানুষের ভেতরে বাস করা ভয়ঙ্কর কোন দানবের সাথে। ভুলবশত হঠাৎ ছাড়া পেয়ে গেলে ভেতরে লুকিয়ে থাকা এই দানবগুলোই মানুষের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
মানুষের মস্তিষ্ক প্রসূত এই আবেগগুলোর সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর। তাই এগুলোর অনিয়ন্ত্রিত প্রকাশভঙ্গি এন্টিবায়োটিকের মাত্রাতিরিক্ত ডোজের মতই মানবদেহের ওপর নেতিবাচক ভূমিকা রাখে। এই ফিচারের মাধ্যমে জানা যাবে সেই ক্ষতিকর প্রভাবগুলো।
অতিরিক্ত আবেগের শারীরিক প্রতিক্রিয়া
অতিরিক্ত রাগ
যখন কেউ অত্যাধিক রাগান্বিত হয় তখন অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিগুলো শরীরে অ্যাড্রেনালিন এবং কর্টিসল হরমোন নিঃসরণ করে। শারীরিক পরিশ্রমের প্রস্তুতির জন্য মস্তিষ্ক অন্ত্রের দিকে সঞ্চালিত রক্ত সরিয়ে পেশীর দিকে সঞ্চালন করে। ফলশ্রুতিতে হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ ও শ্বাস-প্রশ্বাস বৃদ্ধি পায়, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক ঘামতে থাকে।
আরও পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
অতিরিক্ত ক্রোধ থেকে স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যায় মধ্যে আছে মাথাব্যথা, পেটে ব্যথা, অনিদ্রা, উৎকন্ঠা বৃদ্ধি, বিষন্নতা, উচ্চ রক্তচাপ, একজিমা, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক।
প্রচন্ড দুঃখের অনুভূতি
দুঃখিত বোধ করাটা যদি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় তবে তা বিষন্নতায় রূপ নিতে পারে। এর ফলে সারাক্ষণ ক্লান্ত বোধ বা রাতে অনিদ্রা হতে পারে। এ রকম বিষন্নতায় মাথাব্যথা, পেটব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। প্রবল মাত্রায় এটি কখনও কখনও স্নায়বিক রোগেরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সাধারণত কোন কাজে মনোনিবেশ করতে অক্ষমতা, স্মৃতিশক্তির সমস্যা ও সিদ্ধান্ত নেয়ার অসুবিধার মতো লক্ষণগুলো পরিলক্ষিত হয়।
দীর্ঘস্থায়ী ভীতি
এর শুরুটা হয় বাইরের কোন উৎস থেকে পাওয়া যে কোন ধরনের হুমকির মস্তিষ্কের সংবেদনশীল সিস্টেমগুলোকে আলোড়িত করার মাধ্যমে। মস্তিষ্কের হুমকি সনাক্তকরণ অংশগুলো উদ্বেগ বা ভয়জনিত উত্তেজনার স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। এই পরিবর্তনগুলোই দীর্ঘ পরিসরে ব্যাধিতে পরিণত হয়। দীর্ঘস্থায়ী ভীতির ফলে মাথাব্যথা রূপ নেয় মাইগ্রেনে, শরীরের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় পরিণত হয় এবং হালকা শ্বাসকষ্ট পরিণত হয় হাঁপানিতে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১০ শহর
স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক আবেগের প্রভাব
সুখের অনুভূতি
আনন্দ ও সুখের দিগ্বিজয়ী অভিব্যক্তি হাসিতে ম্লান হয়ে যায় সকল বিবাদ ও কষ্ট। হৃদয়গ্রাহী হাসি শারীরিক উত্তেজনা এবং চাপ থেকে মুক্তির প্রতিষেধক যা দেহের পেশীগুলোকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত শিথিল রাখে। স্ট্রেস হরমোন হ্রাস এবং রোগ প্রতিরোধক কোষ বৃদ্ধির মাধ্যমে হাসি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত রাখে। হাসি শরীরে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরণ করে, যা সামগ্রিকভাবে সুস্থতার অনুভূতি বাড়ায়।
রক্তনালীগুলোর কার্যকারিতা উন্নত করে এবং রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে হাসি যা হার্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য হৃদপিণ্ড সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রক্ষা করে। দিনে ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাসি প্রায় ৪০ ক্যালোরি বার্ন করতে পারে, যা এক বছরে তিন থেকে চার পাউন্ড ওজন হারানোর জন্য যথেষ্ট। সুখী মানুষদের রক্তে ক্রমাগতভাবে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কম থাকে তাই তাদেরকে বিবাদে জড়াতে দেখা যায় না।
আশাবাদের দৃষ্টিভঙ্গি
বিষয়টি মনস্তাত্ত্বিক হলেও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার বিরুদ্ধে এর কার্যকারিতা ব্যাপক। কারণ এটি মূলত হতাশার বিপরীত তাই এক্ষেত্রে হতাশা থেকে উদ্ভূত স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলো এখানে থাকে না। পাশাপাশি আশাবাদীরা নিজেদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে ইতিবাচক থাকে বলে প্রতিদিনি নতুন উদ্যম নিয়ে নিজেদের যত্ন নেয়। নিজের মধ্যে ভালো কিছুর আশা জন্মানোর অনুশীলন করাটা দুশ্চিন্তা দূর করার সেরা উপায়। আর তাই এটি শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলোতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলশ্রুতিতে স্নায়ুতন্ত্র বিপজ্জনক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পায়।
আরও পড়ুন: হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে করণীয়
সর্ব সাকূল্যে নেতিবাচক আবেগের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আবেগের ভারসাম্যতা বজায় রাখতে জীবন ধারণের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা জরুরি। যে কোন পরিস্থিতিতে আবেগ প্রকাশের আগে ভালো ভাবে চিন্তা করা, কৃতজ্ঞতা বোধ ও ক্ষমার চর্চা করা এবং সর্বপরি, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার মাধ্যমে জীবন ধারণকে স্বাস্থ্যকর করা যেতে পারে।
হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে করণীয়
প্রেসার সিস্টোলিকে ৯০ মিলিমিটার পারদ চাপ এবং ডায়াস্টোলিকে ৬০ মিলিমিটার পারদ চাপ হলো নিচের দিকে রক্তচাপের স্বাভাবিক মাত্রা। এর কম হলেই তখন লো প্রেসার জনিত বিভিন্ন জটিলতা শুরু হয়। বসা বা শুয়ে থাকা থেকে দাঁড়ানোর সময় প্রেসার কমে যাওয়া লো প্রেসারের সবচেয়ে সাধারণ রূপ। বয়স্ক লোকদের সাধারণত খাওয়ার পরে হঠাৎ করে প্রেসার কমে যেতে দেখা যায়। এছাড়া অনিয়ন্ত্রিত রক্তপাত ও গুরুতর সংক্রমণের জন্য লো প্রেসার অনেক সময় জীবন-হুমকির কারণ হতে পারে। চলুন জেনে নেই হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে কি করতে হবে।
হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে করণীয়
প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণ
সোডিয়াম দ্রুত প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে। তবে বেশি সোডিয়াম গ্রহণ হৃদরোগেরও কারণ হতে পারে। তাই শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে আগে থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে যে, হঠাৎ সোডিয়াম খাওয়া ঠিক হবে কি না।
লবণাক্ত খাবার প্রেসার বাড়াতে পারে। টিনজাত স্যুপ, পনির, আচারযুক্ত আইটেম এবং জলপাই ইত্যাদি লবণাক্ত খাবার হিসেবে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।
আরও পড়ুন: মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
অপ্রক্রিয়াজাত খাবারে টেবিল লবণ যোগ করা যায়। এতে কতটা লবণ খাওয়া হচ্ছে তার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার প্রেসার বৃদ্ধি করে। ফোলেট-সমৃদ্ধ খাবারগুলো হলো- মটরশুটি, মসুর ডাল, শাক, ডিম এবং সাইট্রাস ফল যেমন লেবু, কমলা।
ক্যাফেইনযুক্ত চা বা কফি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে এবং হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে অস্থায়ীভাবে প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:
‘ওমিক্রন’ সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৫ পদক্ষেপ
দেশে করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন ‘ওমিক্রন’ সংক্রমণ রোধে ১৫ দফা পদক্ষেপ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলামের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার রাতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অন্যান্য দেশে করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) ‘ওমিক্রন’-এর সংক্রমণ দেখা দেয়ায় অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন নিয়ে জরুরি বৈঠক: বিদেশে যাওয়ার মাঝপথে দেশে ফিরলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সব দেশকে এ সম্পর্কে সতর্ক করেছে। যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, এসওয়াতিনি ও লেসোথোর সাথে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ করেছে। নতুন এ ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা থেকেও অধিক সংক্রামক বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। তাই এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে দেশে ১৫ পদক্ষেপ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে অধিদপ্তর।
দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, এসওয়াতিনি, লেসোথো ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক সময় সময় ঘোষিত অন্যান্য আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বন্দরগুলোতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে।
সব ধরনের (সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/অন্যান্য) জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে।
প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে গেলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে সর্বদা সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
রেস্তোরাঁতে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম করতে হবে।
সব জনসমাবেশ, পর্যটন স্থান, বিনোদন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল/থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি)
ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কমসংখ্যক লোক অংশগ্রহণ করতে পারবে।
মসজিদসহ সব উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
আক্রান্ত দেশসমূহ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘ওমিক্রন’: বিশ্বজুড়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদরাসা, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সেবা গ্রহীতা, সেবা প্রদানকারী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সর্বদা সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
করোনা উপসর্গ/লক্ষণযুক্ত সন্দেহজনক ও নিশ্চিত করোনা রোগীর আইসোলেশন ও করোনা পজিটিভ রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
কোডিড-১৯ এর লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা এবং তার নমুনা পরীক্ষার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সহায়তা করা যেতে পারে।
অফিসে প্রবেশ ও অবস্থানকালে বাধ্যতামূলকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা দাপ্তরিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট: যুক্তরাজ্যে নতুন সতর্কতা
কোডিড-১৯ রোগ নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাস করার নিমিত্তে কমিউনিটি পর্যায়ে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সচেতনতা তৈরির জন্য মাইকিং ও প্রচারণা চালানো যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে
প্রয়োজনে মসজিদ/মন্দির/গির্জা/প্যাগোডার মাইক ব্যবহার করা যেতে পারে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর/ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।
এদিকে,জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ৪৮তম সভা শেষে চারটি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, ওমিক্রন সংক্রমিত দেশ থেকে বাংলাদেশে যাত্রী আসা বন্ধ রাখা, এসব দেশ থেকে এলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ, বন্দরে কোভিড পরীক্ষা জোরদার ইত্যাদি।
খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর দাবি স্বাস্থ্যগত নয়, রাজনৈতিক: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর দাবি স্বাস্থ্যগত নয়, রাজনৈতিক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘তারা বেগম জিয়াকে বিদেশ পাঠিয়ে দিতে চান। তারা বিশেষত বেগম জিয়াকে পাঠাতে চান লন্ডনে, যেখানে তারেক জিয়া আছে। দন্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়েও বেগম জিয়া যাতে সেখান থেকে আবার রাজনীতি করতে পারেন। তারেক রহমানও দন্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়ে সেখান থেকে রাজনীতি করছেন। বেগম জিয়াকে পাঠিয়ে দিয়ে তারা সে কাজটি করতে চান।’
বুধবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চট্টগ্রাম জার্নালিস্ট ফোরামের নবনির্বাচিত পরিষদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন-এটি কে বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রিজভীসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। কোন ডাক্তার এখনও বলেননি বেগম খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন। এখন বিএনপির নেতারা কি চিকিৎসক হয়ে গেছেন, এটি আমার প্রশ্ন। এখন বিএনপি নেতাদের প্রেসক্রিপশনে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে কিনা, সেটিও এখন প্রশ্ন।’
আরও পড়ুন: বেগম জিয়াকে বিদেশে নেয়ার দাবি উদ্দেশ্য প্রণোদিত: তথ্যমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, ‘অতীতেও আমরা দেখেছি, বেগম জিয়া যখন অসুস্থ হয়েছেন তখনও সব সময় তারা দাবি তুলেছে, বেগম জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে হবে। হাঁটু ও গায়ের তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও তাকে বিদেশ পাঠাতে হবে, কিছু হলেই বিদেশ পাঠাতে হবে- এই জিকির তোলার কারণ কী? কারণ হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।’তিনি বলেন, ‘ডাক্তার বা এভারকেয়ার হাসপাতাল এ দাবি দিচ্ছে না, এ দাবি দিচ্ছে বিএনপির নেতারা।’
আরও পড়ুন: আইন-আদালত মানে না বলেই বিএনপি দায়িত্বহীন কথা বলে: তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, খালেদা জিয়া কি তা পারতেন: তথ্যমন্ত্রী
মহামারি শুরুর পর প্রথমবার মৃত্যুহীন বাংলাদেশ
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির পর এই প্রথম মৃত্যুহীন দিন দেখল বাংলাদেশ। ২০২০ সালের ৩ এপ্রিলের পর শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৭ হাজার ৯৪৬ জনে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে ১৭৮ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৯ জনে পৌঁছেছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ১০৭ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার এক দশমিক ১৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা ফি’র আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ, টেকনোলজিস্টের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম চলমান থাকলেও করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার ৬৬ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা চার কোটি ৭৬ লাখ ৬০ হাজার ৩৭৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে সাত লাখ ৭০ হাজার ৬৯১ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১২ হাজার ৩৭০ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২০ লাখ তিন হাজার ৩১৭ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬২৩ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৬৫ হাজার ৮২ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্ত সাড়ে ২৫ কোটির কাছাকাছি
করোনা পিল: মার্কিন কর্মকর্তাদের অনুমতি চেয়েছে ফাইজার