বাংলাদেশ
৭ম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স: বাংলাদেশের নেতৃত্বে পর্যটনমন্ত্রী
৭ম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সে যোগ দিতে অস্ট্রেলিয়া গেলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।
সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে তার ১১ তারিখে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
৯-১০ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার পার্থে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনটিতে মন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
প্রতিনিধি দলে তিনি ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আল্লামা সিদ্দিকী থাকছেন।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে: পর্যটনমন্ত্রী
সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি তিনি যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, মালদ্বীপ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরের মন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে বৈঠক করবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে ভারত মহাসাগর উপকূলবর্তী দেশসমূহকে নিয়ে এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনটিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, মন্ত্রীবর্গ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা সমূহের প্রধানগণ, গবেষকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
এতে পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে, যা অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করছে।
এ পর্যন্ত সর্বমোট ছয়টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ষষ্ঠ ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স ২০২৩ সালের ১২-১৩ মে তারিখে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কাজের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে: পর্যটনমন্ত্রী
বাংলাদেশে হতাহত ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিন: মিয়ানমারকে বাংলাদেশ
বাংলাদেশে হতাহতের কারণ হতে পারে এমন 'যেকোনো অগ্রহণযোগ্য পরিস্থিতি' বন্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের আর কোনো অনুপ্রবেশ এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় আকাশসীমা লঙ্ঘন না করার বিষয়ে বাংলাদেশ তার অবস্থান দৃঢ় করেছে।
মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল ও গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলব
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার উইং) মিয়া মো. মাইনুল কবির রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক বৈঠকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে এই প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করেন।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে আরও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়- রাখাইন রাজ্যের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনকারীদের প্রধান উদ্বেগের বিষয়।
উপযুক্ত সময়ে প্রত্যাবাসন শুরু করতে পরিস্থিতির উন্নয়নে মিয়ানমার সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সীমান্তে উত্তেজনা: মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে যা বলল ঢাকা
২০২৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের কথা উল্লেখ করে তাদের ফিরিয়ে নিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। বাংলাদেশের সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের নীতির ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জবাবে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে তাদের কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দেন।
তিনি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে বিজিপি সদস্যদের দ্রুততম সময়ে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তার সরকারের অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে যা বলল মার্কিন দূতাবাস
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডে সরাসরি চলবে জাহাজ : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলের লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে থাইল্যান্ডে সরাসরি জাহাজ চলাচল কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে। দুই বছর আগে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। দ্রুত দুই দেশের যৌথ গ্রুপের মিটিং হবে। ব্যবসায়িক কাজ দ্রুত চালু করতে পারব।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর সাক্ষাত শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মেরিন সেক্টরে বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সিঙ্গাপুর ও কলম্বো হয়ে থাইল্যান্ডে যেতে হয়। এতে জাহাজ চলাচলে সময় লাগে ২০ থেকে ২২ দিন। সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হলে সময় লাগবে ৩ থেকে ৪ দিন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫০ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সে সম্পর্ক যাতে আরও জোরদার হয় সে লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থায় (আইএমও) ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হওয়ায় থাইল্যান্ড বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং ভালোভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। দুই দেশের মধ্যে সংস্কৃতিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে খুব মিল রয়েছে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাড়াতে কাজ করছি।
মিয়ানমারের সংঘাত বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেকোনো সংঘাত ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করে। এটা মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এ সংঘাতের কোন প্রতিফলন ঘটলে আমরা চুপ থাকব না। চোখ বুঝে থাকব না। তাদের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কিছু সদস্য এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছি। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, দেশের সার্বিক নিরাপত্তা, দেশের মানুষের জীবন, জীবিকায় কোন সমস্যা হলে আমরা বসে থাকব না। মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছি।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের সংঘাতে টেকনাফ স্থলবন্দরে কোন প্রভাব পড়ার সংবাদ নেই। কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার কোন খবর নেই।
আরও পড়ুন: সদরঘাট ফিটফাট আছে, থাকবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বাল্কহেড ধাক্কা দেওয়ায় ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর জোরালো আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
এশিয়ার দেশগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মজুতদারি রোধে কঠোর হবে সরকার: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা ভোগ করতে পারে। আঞ্চলিক যোগাযোগ ও সম্পদ বিনিময় হচ্ছে ‘সাপ্লাই চেইনের’ সংকট সমাধানের অন্যতম মাধ্যম।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করা। এখানে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের মধ্যে পূর্ব এশিয়ার একাধিক বন্ধু দেশ আছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেছেন। ‘একটি গ্রাম, একটি পণ্য’ উদ্যোগ সফল হলে নারী ক্ষমতায়নসহ রপ্তানিযোগ্য পণ্যে বৈচিত্র্য আনা সম্ভব হবে। দেশের মূল রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প ছাড়াও চামড়া, ফার্মাসিউটিক্যাল ও হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিতে আগ্রহী মঙ্গোলিয়া: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
দেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের নতুন বাজার খোঁজার নির্দেশ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাকে নেপাল সরকার কাজে লাগাতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাকে নেপাল সরকার কাজে লাগাতে চায়।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ফেডারেল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি।
এসময় নেপাল রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন- নেপাল দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ইয়োজানা বামজান।
আরও পড়ুন: নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন
সাক্ষাৎকালে নেপাল সরকারের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে কীভাবে নেপালেও কাজে লাগানো যায়, এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান নেপালের রাষ্ট্রদূত।
এ প্রসঙ্গে নেপাল রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের চিন্তা এবং এর সম্প্রসারণ সবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মস্তিষ্ক নিঃসৃত বিষয়।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ দূরদর্শী চিন্তার ফসল হিসেবে স্বাস্থ্য সেবা এখন বাংলাদেশের একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে চলে গেছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত প্রায় ৭৮টি দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ধারণাকে গ্রহণ করেছে। এসব ক্লিনিক থেকে ৩২ রকমের ওষুধ বর্তমানে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে এসব ক্লিনিকের সেবার পরিধির আরও বিস্তার করার চিন্তাভাবনাও চলছে আমাদের। আর নেপাল সরকার এ কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে নিজ দেশে কাজে লাগাতে চাইলে বাংলাদেশ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করব।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাতে আস্থা নেই বলেই মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আলাপকালে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভুটানের এক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে নেপাল রাষ্ট্রদূতকে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভুটান থেকে একজন রোগী চিকিৎসা নিতে আমাদের দেশের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে ভর্তি আছেন। ভুটানে ওই রোগীর যে চিকিৎসা সম্ভব হয়নি, তা এখন বাংলাদেশেই হচ্ছে।
তিনি বলেন, অনুরূপভাবে নেপাল থেকেও কোনো গুরুতর রোগী চিকিৎসা নিতে আমাদের দেশে এলে আমরা তাদেরও চিকিৎসা সেবা দিতে সচেষ্ট হব।
নেপালের রাষ্ট্রদূত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে নেপালের বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর পড়ালেখার বিশেষ সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে নেপাল-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য পর্যটন খাত তৈরি করা বিষয়েও তারা আলাপ করেন।
সাক্ষাৎকালে, দুই দেশে ভ্যাকসিন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানো, চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ বিনিময় করা নিয়েও কথা হয়।
আরও পড়ুন: সায়মা ওয়াজেদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
বাংলাদেশের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে: নবনিযুক্ত বিজিবি মহাপরিচালক
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ২৬৪ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি বলেন, 'সীমান্ত পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আমরা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বজায় রেখে যতটা সম্ভব মানবিক উপায়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলব
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এ কথা বলেন নবনিযুক্ত বিজিবি মহাপরিচালক।
নবনিযুক্ত বিজিবি মহাপরিচালক জানান, সোমবার রাত পর্যন্ত ১১৫ জন ও মঙ্গলবার সকালে আরও ১১৪ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী আত্মসমর্পণ করেছেন। দুপুরে আরও ৩৫ জন যোগ হয়ে মোট ২৬৪ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী আত্মসমর্পণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি, খাবারের ব্যবস্থা করেছি। এরমধ্যে ১৫ জন আহত ছিল। তাদের মধ্যে ৮ জন গুরুতর আহত ছিল, ৪ জনকে কক্সবাজার ও ৪ জনকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে উত্তেজনা: মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে যা বলল ঢাকা
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীর সংখ্যা ১০৬: বিজিবি
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১১ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াল ১০৬ জনে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে এ পর্যন্ত ১০৬ জন বিজিপি সদস্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
বিজিবি সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি নির্বাচন: চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে বিজিবি মোতায়েন
এর আগে সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন, মিয়ানমারের ১৪ সদস্যকে আশ্রয় নিতে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের পর আটক করা হয়েছে এবং কূটনৈতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
শরিফুল ইসলাম জানান, রবিবার সকাল থেকে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড ফোর্সের (বিজিপি) সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যের সংখ্যা ছিল ৩৯ জন, রাত ৮টা পর্যন্ত এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৮ জনে এবং রাত ৮টার পর আরও ৩৮ জন এসেছেন।
তিনি বলেন, এছাড়া রবিবার আহত ১৫ বিজিপি সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাখাইন জাতিগত সংখ্যালঘু আন্দোলনের সুপ্রশিক্ষিত ও সুসজ্জিত সামরিক শাখা আরাকান আর্মি, যা মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে স্বায়ত্তশাসন চায়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঠেকাল বিজিবি
এটি সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠীর একটি সদস্য। এরা সম্প্রতি মিয়ানমারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কৌশলগত অঞ্চল হিসেবে অর্জন করেছে। মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি এবং তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির সঙ্গে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামে একত্রে কাজ করে – এটি ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর চীন সীমান্তবর্তী উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে একটি সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে এই অভিযান মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জোটের বরাত দিয়ে অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) জানিয়েছে, তারা ২৫০টিরও বেশি সামরিক চৌকি, পাঁচটি সরকারি সীমান্ত ক্রসিং এবং চীন সীমান্তের কাছে একটি বড় শহরসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করে নিয়েছে।
রাখাইনে ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর নৃশংস বিদ্রোহ দমন অভিযানের ফলে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার সদস্য সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল। রাখাইন পুরোনো নাম আরাকান নামেও পরিচিত।
আরও পড়ুন: তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন বিজিপির ৫৮ সদস্য, ৪ বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ: নসরুল হামিদ
ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সচিবালয়ে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হার্তান্টু সুবোলোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভ্রাতৃপ্রতীম দেশটি বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে: নসরুল হামিদ
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। উভয় দেশই অভিজ্ঞতা বা সম্পদ বিনিময়ের মাধ্যমে আরও বেশি উপকৃত হতে পারে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের ফলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে স্বাগত জানানো হবে।
তিনি বর্তমান পরিস্থিতি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে তার দেশের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে চায় এবং পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে এই সক্ষমতা বাড়ানো যাবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদনে হাইড্রোজেন ও অ্যামোনিয়া কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে সরকার: নসরুল হামিদ
দু-একদিনের মধ্যে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বাড়বে: নসরুল হামিদ
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের পর নিজেদের বাঁচাতে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশকারী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মিয়ানমার।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তারা তাদের বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে চায়। মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, কারণ তারা (বিজিপি সদস্যরা) ফিরে যেতে চায়। উভয় দিক থেকে যোগাযোগ চলছে।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন হাছান মাহমুদ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষে দেশটির সীমান্ত পুলিশের আরও ৩৭ সদস্য বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, এ নিয়ে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা ৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ও মিয়ানমারের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
হাছান বলেন, ‘আকাশ পথে নাকি সড়ক পথে তাদের ফেরত নেওয়া হবে, তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। আপনারা জানেন, মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এর আগে ভারতীয় ভূখণ্ডেও ঢুকেছিল, কিন্তু তাদের আকাশ পথে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। আমরাও তাদের ফেরত পাঠাব।’
সীমান্ত সুরক্ষা ও এক্ষেত্রে জাতিসংঘের সহায়তা লাগবে কি না -এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্ত সুরক্ষিত আছে। প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছে। সকাল পর্যন্ত ৯৫ জন রেজিস্টার্ড হয়েছে। তারা তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। ফলে তৃতীয় পক্ষ ডাকার সুযোগ নেই।’
'বাইডেনের চিঠিকে আমরা স্বাগত জানাই'
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের লেখা চিঠিকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে। এই চিঠির মাধ্যমে সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর পরিষ্কার হয়েছে বলে মনে করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
তিনি বলেন, 'প্রেসিডেন্ট বাইডেনের লেখা চিঠিকে আমরা স্বাগত জানাই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এই চিঠির মাধ্যমে আমাদের অংশীদারিত্ব আরও এগিয়ে যাবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে আর কোনো 'অস্বস্তি' নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন।
তিনি একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার চিঠিতে বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্যসমূহে সমর্থন এবং একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের পরবর্তী অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এবং আরও অনেক বিষয়ে তাদের কাজ অব্যাহত রাখার আন্তরিক আকাঙ্ক্ষার কথা জানাতে চান তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, 'সমস্যা সমাধানে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে জনগণের শক্তিশালী বন্ধনই এই সম্পর্কের ভিত্তি।'
মার্কিন দূতাবাস সম্প্রতি চিঠিটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র: প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে বাংলাদেশের অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এই চিঠিটি ইউএনবির এই প্রতিবেদক সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছেন। বাইডেন তার চিঠিতে বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উচ্চাভিলাসী অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলোতে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: ‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের পরবর্তী অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এবং আরও অনেক বিষয়ে তাদের কাজ অব্যাহত রাখার আন্তরিক আকাঙ্ক্ষার কথা জানাতে চান তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, 'সমস্যা সমাধানে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে জনগণের শক্তিশালী বন্ধনই এই সম্পর্কের ভিত্তি।'
মার্কিন দূতাবাস সম্প্রতি চিঠিটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া মিয়া আরেফিকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক