বইমেলা
২ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও প্রদর্শনী করবে বিএনপি
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে দেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনীসহ দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করতে যাচ্ছে বিএনপি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে গঠিত মুক্তিযুদ্ধ বইমেলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী’ বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আগামী ২৩ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে এ কর্মসূচি শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
বিএনপি নেতা আমান জানান, মেলা ও প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকাল ৫টায়।
বইমেলা ও প্রদর্শনীতে থাকবে বিশিষ্ট লেখকদের মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, গবেষণাভিত্তিক প্রকাশনা, গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও বিশ্লেষণধর্মী বই। এছাড়াও থাকবে আলোকচিত্র ও শিল্পীদের আঁকা ছবি।
আগামী ২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বইমেলা ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ছে
২৪ মার্চ বিকাল ৩টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আমান বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন সংক্রান্ত তাদের দলের কমিটি প্রায় এক বছর আগে কাজ শুরু করে এবং ২৬ মার্চ তা শেষ হবে।
তিনি বলেন, সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কমিটি এক বছর ধরে সারাদেশে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: ইসি’র সংলাপ একটি নির্ভেজাল নাটক: বিএনপি
নারীদের এগিয়ে চলা নিয়ে বইমেলায় আইরিশের ‘অপরাজিতা’
সময়ের সঙ্গে নারীরা এখন অনেক এগিয়ে। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রায় সবক্ষেত্রে নারীরা নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ রাখছেন। মানুষের দুটি সত্তা নারী ও পুরুষ হলেও অধিকারের প্রশ্নে সবাই সমান। সেই কথাগুলো উঠে এসেছে বিশ্বের অনেক লেখদের বইতে। এই জায়গায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও।
দেশের তরুণ অনেক লেখকদের বইতে উঠে আসছে নারীদের নিয়ে আলোচনা। তেমনই একটি বই ‘অপরাজিতা’ এ বছরের একুশে বইমেলায় প্রকাশ হয়েছে। এটির লেখক আইরিশ পারভীন।
অনন্যা প্রকাশনী থেকে ‘অপরাজিতা’ উপন্যাসটি আইরিশ পারভীনের দ্বিতীয় প্রকাশিত বই।
বইটি সম্পর্কে আইরিশ বলেন, ‘নারী শব্দটি খুব দৃঢ় এবং শক্তিশালী এক শব্দ। শব্দের মতোই দৃঢ় এবং শক্তিশালী হয় নারী মানুষ হিসেবেও। নারী সুন্দর, নারী শাশ্বত। তবে আমাদের সমাজে নারী অসহায়, অবহেলিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত। এখানে নারীদের চালে বাঁধা, চলনে বাঁধা। সেসব বাঁধাকে তোয়াক্কা না করে যেসব নারীরা এগিয়ে চলে মনুষত্বের পথে স্বাধীনতার পথে মুক্তির পথে সেসব নারীদেরকে সম্মান ও সালাম জানিয়ে তাদের প্রতিনিধিত্বে এনেছি আমার গল্পের অপরাজিতা চরিত্রটি।’
তিনি আরও জানান, অপরাজিতা এমন একটি চরিত্র যে মনুষত্বের পথে ভালোবাসা বিলিয়ে চলে। যে তার নামের অর্থকে তার জীবনের মাহাত্ম বানাতে চেয়েছে।
পড়ুন: একুশে বইমেলা চলবে ১৭ মার্চ পর্যন্ত: প্রতিমন্ত্রী
গুলশান সোসাইটি আয়োজিত ‘বইমেলা ২’ শুরু
মহান ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে শুরু হয়েছে বইমেলা। ৪ মার্চ (শুক্রবার) শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এই মেলা সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে।
স্বনামধন্য প্রকাশক এবং পুস্তক বিক্রেতাদের ২৫টি স্টল নিয়ে সাজানো হয়েছে মেলা। এটি গুলশান সোসাইটি আয়োজিত দ্বিতীয় বইমেলা।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক শুক্লা সরোয়ার সিরাজ বলেন, ‘মহামারির মধ্যে গতবারের চেয়ে এ বছর মেলার আয়োজন আরও বড় পরিসরে আয়োজন হয়েছে। দুই দিনব্যাপী এই মেলা আয়োজনের প্রথম দিনের দর্শনার্থীদের যে সাড়া পেয়েছি তাতে আমরা মুগ্ধ।’
বইমেলায় বিভিন্ন স্টল থাকলেও সাহিত্য নির্ভর স্টলের অভাব রয়েছে। তবে সেটি আগামীতে থাকবে না বলে আরও জানান শুক্লা সরোয়ার সিরাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে খুবই ছোট পরিসরে মেলা শুরু করেছি। আমাদের কমিউনিটির সাড়া কেমন পাব সেটির অপেক্ষায় ছিলাম বলা যায়। সেটি যেহেতু বেশ ইতিবাচক। তাই সামনে আরও অনেক দিকে আমরা নজর দিব।’
পড়ুন: ৪০০ বছর আগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘কাজল রেখা’
ঢাকাবাসীর কাছে বইমেলা মানেই বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘একুশে বইমেলা’। কিন্তু সময় ও দূরত্বের দিক থেকে যারা সেখানে উপস্থিত হতে পারেননি তাদের অনেকের স্বস্তির কারণ গুলশান সোসাইটি আয়োজিক ‘বইমেলা ২’।
মেলায় দর্শনার্থীদের এমনই একজন নূরুল হক। সন্তানদের নিয়ে দুপুরের পরই বইমেলায় উপস্থিত হন। তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই একুশে বইমেলায় যাওয়া হয়। বই পড়তে আমি সব সময় বই পড়তে ভালোবাসি। কিন্তু এবার এখনও যাওয়া হয়নি। গুলশান সোসাইটিকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি মেলার আয়োজন করে।’
বইমেলা প্রাঙ্গণে আকর্ষণীয় স্টলগুলোর একটি কসমস বুকস। স্টলটির পক্ষ থেকে সৌরভ চৌধুরী বলেন, ‘গতবারের মতো এবারও বেশ সুন্দর আয়োজন হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বই কেনার প্রতি পাঠকদের বেশ আগ্রহ রয়েছে।’
অন্যদিকে ‘বেঙ্গল বই’ স্টলের পক্ষ থেকে মুনা রহমান বলেন, ‘অবশ্যই দারুণ একটি আয়োজন। তবে আয়োজকদের কাছে অনুরোধ থাকবে, বইমেলার সময়টা যদি বাড়ানো যেত। কারণ অনেকেই হয়তো মেলা সম্পর্কে জানতে সময় লেগে যায়। কিন্তু ততদিনে মেলা থাকে না। এছাড়া বলব সবকিছু মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি উদ্যোগ এটি।’
পড়ুন: জায়েদ খানই সাধারণ সম্পাদক: হাইকোর্ট
একুশে বইমেলা চলবে ১৭ মার্চ পর্যন্ত: প্রতিমন্ত্রী
চলমান অমর একুশে বইমেলার মেয়াদ ১৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, প্রকাশক ও লেখকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইমেলার মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন,‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলা চলতে আমরা মনিটরিং করছি। এবার বইমেলার জনসমাগম অনেক বেশি।’
আরও পড়ুন: বইমেলার দ্বিতীয় দিনে এক-তৃতীয়াংশ স্টলই ফাঁকা
এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে সরকার ২০২২ সালের একুশে বইমেলার সময় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা ২০২২ শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ারি যোগ দিয়ে বাংলা একাডেমির অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২ উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বইমেলায়
এবারের মেলা বসছে রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও এর পার্শ্ববর্তী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে জীবন উৎসর্গকারী আটজনের আত্মত্যাগের স্মরণে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বইমেলার আয়োজন করা হয়।
ঐক্য বুকসের যাত্রা
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরু করলো ঐক্য বুকস। বাঙালির প্রাণের বইমেলা চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফরম ঐক্য ফাউন্ডেশনের নতুন অঙ্গ সংস্থা হিসেবে ঐক্য বুকস যাত্রা শুরু করেছে।
উদ্যোক্তারা বলেছেন, অমর একুশের যে শক্তি বাঙালি জাতি তাদের প্রাণে ধারণ করে, সে শক্তিকে উৎস করে এ নতুন অঙ্গ সংস্থার কার্যক্রম শুরু হলো।
সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করে আসছে ঐক্য ফাউন্ডেশন। সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের সকল কার্যক্রম তুলে ধরা এবং তাদের উন্নয়নের জন্য ফাউন্ডেশনটির কয়েকটি অঙ্গ সংস্থা রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার যোগ হলো ঐক্য বুকস।
উদ্বোধনী আয়োজনে প্রকাশনা সংস্থা অনন্যার প্রকাশক মনিরল হক, ঐক্য ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সুরাইয়া আলম, জান্নাতুল ফেরদৌস তিথি এবং তানভির আহমেদ তানিমসহ ফাউন্ডেশনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বইমেলায়
প্রকাশক মনিরুল হক উদ্যোগটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এখন এ পরিস্থিতিতে ঘরে বসেই বই পাওয়ার বিষয়টি পাঠক সমাজে সত্যিই আশার সঞ্চার করবে।’
আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে তানভীর তারেকের ‘স্মৃতিদহন’
রক আইকন আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে প্রথম কোনো গ্রন্থ প্রকাশ পেলো। অনিন্দ্য প্রকাশ এর ব্যানারে তানভীর তারেক এর লেখা ‘স্মৃতিদহন’ বইটি পাওয়া যাবে এবারের বইমেলায় । লেখক তানভীর তারেক এই বইটিকে বলছেন ‘অবলোকন গদ্য’।
তানভীর তারেক বলেন,‘বাচ্চু ভাইয়ের সঙ্গে আমার ২২ বছরের যে পরিচয়-সম্পর্ক তা গীতিকার-শিল্পী বা সাংবাদিক-শিল্পীর বাইরেও অনেক কিছু। সেই সম্পর্কের দীর্ঘ জার্নিতে তার প্রতি মোহগ্রস্ত সময়, মান-অভিমান, মায়ায় জড়ানো কাল বা কৃতজ্ঞতা বাঁধা মনের অবলোকনকেই আমি বইয়ে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি। ‘স্মৃতিদহন’ বইটিতে আমার নেয়া বাচ্চু ভাইয়ের প্রায় অর্ধশত ইন্টারভিউয়ের কোনোটিই গ্রন্থিত করিনি। ইচ্ছে করেই। কারণ ঐসকল ইন্টারভিউতে তৎকালীন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতামত ছিল। যা আগামী প্রজন্মের কোনো এক পাঠকের কাছে খটকা লাগতেই পারে। আমি তাই নিজের স্মৃতির যে দহনবেলা তৈরি হয়েছে আমার ভেতর তা তুলে ধরেছি।’
আরও পড়ুন: আইয়ুব বাচ্চুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দেবের ‘মায়াবী গিটার ফেলে’
তিনি বলেন, ‘এই মানুষটি চলে যাবার পরদিন থেকে নানান স্মৃতি, আক্ষেপ আর ভালবাসার অনুরণন যে ঘুরপাক খেয়েছে সেগুলিই শব্দে সাজানোর চেষ্টা করেছি। আইয়ুব বাচ্চু’র সববয়সী ভক্তরা যেন এই বইয়ের প্রতিটি অংশে নিজেদের সঙ্গে তাদের আইয়ুব বাচ্চুকে সম্পর্কিত করতে পারেন, সেই চেষ্টাটাই করেছি।’
তানভীর তারেক এর এই গ্রন্থের ভূমিকায় আইয়ুব বাচ্চুর সহধর্মিনী ফেরদৌস আক্তার চন্দনা লিখেছেন, ‘তানভীর তারেক- তার এই বইটিতে আইয়ুব বাচ্চুকে দেখা, তার সঙ্গে কাটানো সময় ও গানের কাজ মিলিয়ে আবেগঘন কিছু স্মৃতিগল্প লিখেছেন। যা পড়ে আমারও মাঝে মাঝে ঐসব দৃশ্যকল্প, সমকালীন মানুষটাকে মনে পড়েছে বারবার। আমি জানি, তাঁর অগনিত ভক্তরাও একইভাবে, এই লেখাগুলো পড়ে স্মৃতির সঙ্গে, আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে হাঁটবেন অনেকক্ষণ। দারুণ সুখ পাঠ্য এই স্মৃতিগদ্য ভবিষ্যতে আইয়ুব বাচ্চুর জীবনী বা তাঁকে নিয়ে যে কোনো গবেষণার কাজে দারুণ এক রেফারেন্স হয়ে থাকবে।’
স্মৃতিদহন বইটিতে লেখকের সঙ্গে আইয়ুব বাচ্চুর ২২ বছরের সম্পর্কের নানান খতিয়ান, তৎকালীন মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির নানান দিক উঠে এসেছে ।
বইটি একুশে বইমেলার অনিন্দ্য প্রকাশ প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে। একই সঙ্গে রকমারিসহ বিভিন্ন অনলাইন শপ থেকেও কিনতে পারা যাবে।
আরও পড়ুন: চমকে দেওয়ার দিনটিই ছিল বাপ্পিজির সঙ্গে শেষ দেখা: রুনা লায়লা
বইমেলার দ্বিতীয় দিনে এক-তৃতীয়াংশ স্টলই ফাঁকা
করোনার কারণে এবার স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বিলম্বে শুরু হয়েছে একুশে বইমেলা। বুধবার বইমেলার দ্বিতীয় দিনেও দেখা গেছে বেশ কয়েকজন প্রকাশককে তাদের স্টল সাজাতে।
করোনার মধ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া বইমেলার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ স্টল ফাঁকা দেখা গেছে।
সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে শুরু হয়ে মাসব্যাপী চলে এ মেলা। কিন্তু এ বছর করোনা সংক্রমণের কারণে মেলা দেরিতে শুরু হয়।
রাহাদ উদ্দিন নামে মেলায় আসা এক দর্শনার্থী বলেন, ‘পরিস্থিতি দেখতে আমি এখানে আসি। মেলা এখনও পুরোদমে শুরু হয়নি। আমার মনে হয় পুরোদমে শুরু হতে আরও তিন থেকে পাঁচদিন লাগবে।’
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বইমেলায়
তিনি বলেন, ‘আমি একটা বই খুঁজতে ছিলাম। বিক্রিতারা আমাকে দুদিন পর আসতে বলেছেন।’
স্টল সাজাতে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে এক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মেলা নিয়ে অনিশ্চয়তাকে দুষলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘অনেক প্রকাশকই সন্দেহে ছিলেন মেলা আদৌ হবে কি না।’
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, আমরা আগামীকাল থেকে পুরোদমে বই বিক্রি শুরু করতে পারবো এবং গত বছর যে লোকসান হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে পারবো বলেও আমরা আশাবাদী।’
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলা- ২০২২ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের প্রথম গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বইমেলায়
বিশ্বজুড়ে গ্রাফিক নভেল নিয়ে বেশ উন্মাদনা রয়েছে। বাংলাদেশেও প্রথমবারের মতো এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে বই প্রকাশ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে কাল্পনিক কোনো চরিত্রের ওপর ভিত্তি করে নয় বরং বাস্তব জীবনের এক নায়ককে উপস্থাপন করা হয়েছে এ নভেলে।
মুজিব গ্রাফিক নভেলের ১০ খণ্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনকে চিত্রিত করা হয়েছে। রঙ ও শব্দে ফুটিয়ে তোলা বইটিতে গ্রাফিক নভেল প্রেমীরা জাতির পিতার জীবন সম্পর্কে জানতে পারবেন।
১০ খণ্ডের বইটি একুশে বইমেলার সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন স্টলে (সিআরআই, স্টল নম্বর ৭৩৫ এবং ৭৩৬) পাওয়া যাবে।
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ওপর ভিত্তি করে রচিত সিরিজটিতে তাঁর জীবনের গল্প আঁকা হয়েছে যেখানে অসাধারণ স্বপ্ন নিয়ে একজন সাধারণ ছেলের যাত্রার গল্প বলা হয়েছে।
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এটি প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: পাউরুটি কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন: মুক্ত দুই শিক্ষককে বঙ্গবন্ধুর বই পড়ার আদেশ
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে: প্রধানমন্ত্রী
আপাতত বইমেলা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, অমর একুশে বইমেলা-২০২২ আপাতত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ পর্যন্ত চলবে। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে পরবর্তীতে বইমেলার সময় বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
বুধবার সকালে রাজধানীর বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা ২০২২ এর পরিচালনা কমিটির ৩য় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বইমেলা প্রতিদিন দুপুর ২টা হতে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। তবে দর্শনার্থীরা রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত মেলায় প্রবেশ করতে পারবে এবং রাত ৯টায় মেলার আলোক বাতি বন্ধ করে দেয়া হবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার সহ অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনে মেলা সকাল ১১টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি মেলা সকাল ৮টা হতে শুরু হয়ে রাতে একই সময়ে শেষ হবে।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে বইমেলা শুরু ১৫ ফেব্রুয়ারি
তিনি আরও বলেন, এবার বইমেলায় দৃষ্টিনন্দন শিশু কর্নার স্থাপন করা হবে। তাছাড়া বইমেলায় যাতে কেউ পাইরেটেড বই বিক্রি করতে না পারে, সেজন্য এ সংক্রান্ত একটি টাস্কফোর্স সক্রিয় থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে প্রকাশকরা যাতে ক্ষতির মুখে না পড়েন, সেজন্য বাংলা একাডেমি ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বাংলা একাডেমির সচিব (যুগ্ম-সচিব) এ. এইচ. এম. লোকমান, অমর একুশে বইমেলা ২০২২ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. জালাল আহমেদ, বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দুই সপ্তাহ পিছিয়ে গেল অমর একুশে বইমেলা
শেষ হলো ঢাকা বাণিজ্য মেলা, রপ্তানি আদেশ ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
ফ্রাঙ্কফুর্ট ৭৩তম আন্তর্জাতিক বইমেলা: বাংলাদেশ স্টলের উদ্বোধন
বিখ্যাত জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে বুধবার ৭৩তম আন্তর্জাতিক বইমেলায় শুরু হয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন বইমেলার বাংলাদেশ স্টলের উদ্বোধন করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওইদিন স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার দিকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ স্টলের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ২০০ কেজি সোনায় কারুকার্যমণ্ডিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পবিত্র কোরআন
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী 'মুজিববর্ষ' এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত নির্দেশনা মোতাবেক ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গর্বের বিষয়। করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। এ বছর মুজিববর্ষের সমাপ্তিলগ্নে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সময়োপযোগী ও সফল হয়েছে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে এই অংশগ্রহণ বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’
আরও পড়ুন: এস এম সুলতানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নড়াইলে আর্ট ক্যাম
তিনি বলেন, ‘লাখো শহিদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি বলেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে অংশগ্রহণ করতে পারছে।’
ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্ৰ বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বইসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকদের লেখা চার শতাধিক নির্বাচিত বই নিয়ে অংশগ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গায় ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত
করোনা মহামারি উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. সোহেলা আক্তার, একুশে পদকপ্রাপ্ত জার্মান প্রবাসী কবি নাজমুন নেসা পিয়ারি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর, জার্মানিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মাশিয়াল কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান মিডিয়া কর্মকর্তা নাসরীন জাহান লিপি, প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব ডা. মীর আনোয়ার হোসেনসহ প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।