পর্যটক
কক্সবাজারে র্যাব পরিচয়ে পর্যটককে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
কক্সবাজারে র্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে পর্যটকে ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শনিবার (১২ আগস্ট) দিবাগত ২টার দিকে শহরের বাসটার্মিনাল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক দুই ব্যক্তি হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌধুরী পাড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে জাহিদ ও একই এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে সানোয়ার হাসান উরফে সনি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাস থেকে নামিয়ে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩
রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) আবু সালাম চৌধুরী জানান, র্যাব পরিচয় দিয়ে একদল লোক শহরের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন আটকে ছিনতাই ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করেন। এসময় এক সিএনজির যাত্রী ফজল করিমের কাছ থেকে টাকা ও দুটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইয়ের পর তারা বাসটার্মিনাল ‘রাজা গেস্ট হাউজে’ ফিরে যায়। ওই গেস্ট হাউজের একটি কক্ষে এক পর্যটক অবস্থান করছিলেন। পরে তারা ওই পর্যটককে র্যাব পরিচয় দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
তিনি জানান, পরে ওই পর্যটক অভিযোগ দিলে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে র্যাব। পরে কটেজের ম্যানেজার ও সহকারী ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদে করা হলে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, র্যাব পরিচয়দানকারী দুইজন একটি কটেজে অবস্থান করছিলেন এই রকম খবর আসে আমাদের কাছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জাহিদ ও সনিকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ ভাই গ্রেপ্তার
সাভারে ১৬ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
কক্সবাজার সৈকতে পর্যটক নিখোঁজ
কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে এক পর্যটক নিখোঁজ হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিকাল ৩ টার দিকে সমুদ্র সৈকতে তিনি নিখোঁজ হন।
নিখোঁজ মো. অনিক (৩২) নরসিংদী সদর থানার পূর্ব দত্ত পাড়ার সাজ্জাদের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শঙ্খ নদীতে নৌকা ডুবে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের উপপরিদর্শক (এসআই) ফরমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে খবর আসে সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে এক পর্যটক ভেসে গেছে।
তিনি আরও জানান, আমরা উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত থেকে নিখোঁজ ২ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
সীতাকুণ্ডে সমুদ্রে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থী নিখোঁজ
পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের করণীয়
পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগই পানি হওয়ায় প্রাণোচ্ছ্বল গ্রহটির সৌন্দর্য্যের পরিমাণও যেন পানিতেই বেশি। আর তার টানেই বিশ্বব্যাপী ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে যান খাল-বিল, নদী-নালা ও সাগর সৈকতে। কিন্তু এই মায়ার ভেতরেও লুকিয়ে আছে ভয়ঙ্কর ঝুঁকি। মনোরম জলীয় সৌন্দর্য্যে অবগাহনের সময় এমনকি ছোট সুইমিং পুলটিও আশঙ্কাজনক বিপদগুলোকে ছাপিয়ে যেতে পারে। তবে এটা দুঃখজনক যে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের পানিতে ডুবে মৃত্যু উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।এরকম দুর্ঘটনা পরিবার তো বটেই, গোটা দেশবাসীর জন্য আশঙ্কাজনক।তাই প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য প্রতিটি দুর্ঘটনার পিছনের সুষ্পষ্ট কারণগুলো যাচাই করা আবশ্যক। যে বিষয়গুলোর ওপর মানুষের হাত নেই, সেগুলোকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয়। এর জন্য ক্ষতি যথাসম্ভব কমিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন পূর্ব সচেতনতা। আর যে কারণগুলোর ওপর মানুষের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার ওপর জোর আরোপ করা। আর এই লক্ষ্যেই এই নিবন্ধে পানিতে ডুবে মৃত্যু এড়াতে ভ্রমণকারীদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা সম্পর্কিত নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। চলুন, সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলোর বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রতিরোধে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের জন্য ১৫টি টিপ্স
নির্ধারিত নিরাপদ অঞ্চলে সাঁতার কাটা
নিরাপত্তা ও উপভোগের জন্য বিশেষভাবে নির্ধারিত এলাকায় সাঁতার কাটুন। সৈকত এবং নদীর তীরবর্তী স্থানে প্রায়ই বিভিন্ন সংকেতের পতাকা দেখা যায়। এগুলো সেই স্থানের দুর্ঘটনা প্রবণতা চিহ্নিত করে।
এ সংকেতগুলো মেনে নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে সাঁতার কাটা উচিত। এই সীমানাগুলো সাঁতারের জন্য শুধু নিরাপদই নয়; এগুলোর মাঝে থাকলে বিশেষত একজন যোগ্য লাইফগার্ডের সজাগ দৃষ্টি সীমার মধ্যে থাকা যায়।
সহসা কোনো অনিশ্চিয়তায় সঙ্গে সঙ্গেই ডাঙায় ফিরে আসা
সাঁতার কাটার সময় চারপাশে অথবা নিজের শরীরে হঠাৎ কোনো অসঙ্গতি অনুভূত হলে তাৎক্ষণিকভাবে ডাঙায় ফিরে আসুন। এটা হতে পারে স্রোত তীব্র হওয়া, প্রচণ্ড বেগে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়া কিংবা শরীরে হঠাৎ মাত্রাতিরিক্ত ক্লান্তি ভাব হওয়া।
কখনও কখনও আসন্ন কোনো বিপদের ব্যাপারে মন আগে থেকেই জানান দিতে শুরু করে। মনে রাখবেন, যে কোন সমস্যায় নিজের সহজাত প্রবৃত্তির ওপর বিশ্বাস রাখাটা বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
সিলেটের সাদাপাথরে নিখোঁজের ৪৪ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের ধলাই নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ৪৪ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদের উৎসমুখ ভোলাগঞ্জে লাশটি ভেসে ওঠে।
নিহত পর্যটকের নাম আবদুস সালাম (২৩)। তিনি ঢাকার মিরপুর এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ চা শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় নিশ্চিত করেন জানান, এর আগে গত রবিবার (২ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে সাদাপাথর এলাকায় বেড়াতে গিয়ে ধলাই নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজ হন ওই যুবক।
তিনি জানান, পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধারে কাজ করলে প্রায় ৪৪ ঘণ্টা পর তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধারের পর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং বলেন, খবর পেয়ে ঢাকা থেকে আবদুস সালামের চাচা এসেছেন। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে জাহাজ দুর্ঘটনা: ৩ জনের লাশ উদ্ধার
মিরসরাইয়ে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ দুই কিশোরের লাশ উদ্ধার
কুয়াকাটায় পর্যটকদের মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের মারধর করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় সোপর্দ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। শনিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় এ হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই সাব্বির হোসেন নামের এক পর্যটক মহিপুর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে চালককে খুন করে ইজিবাইক ছিনতাই
গ্রেপ্তারেরা হলেন-মহিপুরের আব্দুস সালামের ছেলে মো. বাইজিদ ও ফোরকান দফাদারের ছেলে তানভির ওরফে শান্ত।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাইন পারভেজ জানান, শনিবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটা পৌর শহরের আনন্দবাড়ি গেস্ট হাউজের সামনে কয়েকজন নারী ও পুরুষ পর্যটকের পথরোধ করে তাদের মারধর করে এবং সঙ্গে থাকা ১৩ হাজার সাতশ’ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সংঘবদ্ধ ওই গ্রুপের সদস্যদের বয়স ১৭ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে।
তিনি আরও বলেন, পর্যটকরা বিষয়টি মুঠোফোনে ট্যুরিস্ট পুলিশের অভিযোগ কক্ষে জানালে তাৎক্ষণিক তারা অভিযান চালিয়ে ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করে মহিপুর থানায় সোপর্দ করেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার আবুল খায়ের বলেন, দুইজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রবিবার (৬ মে) আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া এ চক্রের পলাতক অপর সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পুলিশের এএসআই আহত
রাজশাহীতে ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২
সিলেটের জৈন্তাপুর-জাফলং ঈদে পর্যটক বরণে প্রস্তুত
প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি খ্যাত সিলেটের জৈন্তাপুর ও জাফলং। সবুজ সমারোহে বেষ্টিত সীমান্তবর্তী উপজেলা জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট। ছায়া সুনিবিড় ছোট ছোট পাহাড় আর স্বচ্ছ জলের নদী ও ছড়ার সমন্বয়ে জৈন্তাপুর-জাফলং। দীর্ঘকাল ধরে এই জনপদ তাই পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় জায়গা।
ঈদ উপলক্ষে লালাখাল-জাফলংকে গড়ে তুলা হয়েছে সবুজ শ্যামল আর অপরূপ সাজে সজ্জিত করে। প্রাচ্যের রাণী সিলেটের নীল নদ খ্যাত সারী নদী, জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট৷ এসব নিয়ে কবি সাহিত্যিকরা রচনা করেছেন শত সহস্র কবিতা, গান আর গল্প। মনের মাধুর্য দিয়ে শিল্পীর তুলির ছোঁয়ায় এঁকেছেন অপরূপ ছবি।
সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী জনপদ জৈন্তাপুর। এক সময় জৈন্তিয়া একটি স্বাধীন রাজ্য নামে পরিচিত ছিল। কালের বিবর্তনে জৈন্তিয়া রাজ্য আজ প্রাকৃতিক শোভা মন্ডিত পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিত।
সিলেট থেকে জৈন্তা-জাফলং যাত্রা শুরু করলেই দেখা যাবে মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থিত সবুজের সমারোহ ও খাসিয়া জৈন্তা পাহাড় বেষ্টিত জৈন্তাপুর জাফলংয়ের অপরূপ সৌন্দর্য্য ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য বিলিয়ে দিচ্ছে।
প্রকৃতিগতভাবে এঁকেবেঁকে যাওয়া সড়ক উঁচু-নিচু পাহাড় আর পাহাড়ী নদী ঘেষা ঝর্ণা, সেই সঙ্গে রয়েছে নীলনদ নামে পরিচিত সারী নদীর স্বচ্ছ জলরাশি। এসব দৃশ্য বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণীয়, বিশেষত রূপের নগরী জাফলংয়ের সৌন্দর্য।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন
জাফলংয়ে পর্যটকের লাশ উদ্ধার, স্ত্রীসহ আটক ৪
সিলেটের জাফলংয়ে রিসোর্টের পাশ থেকে পর্যটকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ওই পর্যটকের স্ত্রী এবং তার কথিত পরকীয়া প্রেমিকসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে জাফলংয়ে রিসোর্টের পাশ থেকে পর্যটকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় প্রেস ব্রিফিং করে বিষয়টি জানিয়েছেন-সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি জানান, ভিকটিমের নাম আলে ইমরান (৩২)। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী থানার গুরই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।
এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
তিনি জানান, গত সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে গোয়াইনঘাট থানাধীন ৩ নম্বর পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের জাফলং বল্লাঘাট রিভারভিউ রিসোর্ট এর পাশে এক অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ পাথরচাপা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় সংবাদ দিলে তাৎক্ষণিকভাবে গোয়াইনঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ১২০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, আটক ১
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত আসামিদের শনাক্তকরণ ও গ্রেপ্তারে গোয়াইনঘাট থানার পুলিশ তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাতে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ এবং জেলা গোয়েন্দা শাখা পরিচালিত পৃথক দুটি অভিযানে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার বেলদি গাজীরটেক গ্রামের মো. জিন্নাতের ছেলে নাদিম আহমেদ নাঈমকে (১৯) নিজ বাড়ি থেকে ও ভিকটিম আলে ইমরানের স্ত্রী কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী থানার ছেত্রা গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে খুশনাহারকে (২১) ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া গ্রেপ্তার নাদিম খুশনাহারের পরকীয়া প্রেমিকের বন্ধু বা সহযোগী।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম আলে ইমরানের স্ত্রী খুশনাহারের সঙ্গে হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামি মাহিদুল হাসান মাহিনের (২৪) দীর্ঘ দুই থেকে আড়াই বছরের প্রেম চলছে।
আসামি মাহিন ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে জিএম পদে কর্মরত।
ভিকটিম আলে ইমরানের সঙ্গে গত ৫ বছর আগে খুশনাহারের বিয়ে হয়। মাহিনের সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর পর থেকেই ভিকটিমের স্ত্রী খুশনাহার এবং তার প্রেমিক মাহিন বিভিন্ন সময় ভিকটিম আলে ইমরানকে হত্যা করার চেষ্টা করে আসছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় হত্যা করার উদ্দেশে খুশনাহার তার স্বামী আলে ইমরানকে নিয়ে বেড়ানোর কথা বলে গত ১৫ এপ্রিল রাতে ভৈরব থেকে ট্রেনযোগে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হন।
অন্যদিকে একই দিনে প্রেমিক মাহিন, মাহিনের অফিসে কর্মরত গ্রেপ্তারকৃত আসামি নাদিম এবং অপর পলাতক সহযোগী ঢাকার কমলাপুর থেকে ট্রেনযোগে সিলেটের উদ্দেশে রওয়ানা হন।
গত রবিবার (১৬ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৮টা থেকে জাফলংয়ের বল্লাঘাটস্থ ‘রিভারভিউ রিসোর্ট অ্যান্ড আবাসিক হোটেল’ এর ১০১ নম্বর কক্ষে ভিকটিম আলে ইমরান এবং তার স্ত্রী খুশনাহার অবস্থান করেন এবং অন্য তিন আসামি জাফলংয়ের বল্লাঘাটে হোটেল শাহ আমিনে অবস্থান করেন।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমের স্ত্রী খোশনাহার হত্যাকাণ্ড সংঘটনের পূর্বে কৌশলে তাদের অবস্থানরত হোটেল কক্ষের সামনের সিসিটিভি ক্যামেরা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেন। পরবর্তীতে মাথাব্যথার ওষুধের কথা বলে রাত ১০টার সময় ভিকটিম আলে ইমরানকে তার স্ত্রী খুশনাহার ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর যখন ভিকটিম আলে ইমরান ঘুমিয়ে যান, তখন স্ত্রী খুশনাহার তার প্রেমিক মাহিনকে হোটেল রিয়ারভিউ রিসোর্ট অ্যান্ড আবাসিক হোটেলে আসার জন্য বলেন।
রাত আনুমানিক ১২টায় হত্যাকারী মাহিন তার অপর দুই সহযোগীকে নিয়ে হোটেল রিয়ারভিউ এর ১০১ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে এবং রাত ২টায় আলে ইমরানের স্ত্রী খুশনাহার ও প্রেমিক মাহিন গলায় গামছা পেঁচিয়ে আলে ইমরানকে হত্যা করেন।
এ সময় গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামি নাদিম আলে ইমরানের পা চেপে ধরেন এবং পলাতক অপর সহযোগী রুমের বাইরে পাহারা দেন। একসময় আলে ইমরানের মৃত্যু নিশ্চিত হলে আনুমানিক রাত ৩টায় হত্যাকারী মাহিন ও অপর দুই সহযোগী আলে ইমরানের লাশ লুকিয়ে রাখার উদ্দেশে হোটেলের পাশে পাথরচাপা দিয়ে রাখে।
পরবর্তীতে হত্যাকারীরা হোটেল থেকে রাত আনুমানিক সাড়ে ৪টায় বের হয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে পালিয়ে যায়।
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার আসামিরা উক্ত হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।
গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট জেলা পুলিশ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে আসামি খুশনাহার ও নাদিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তবে প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় খুশনাহারের পরকীয়া প্রেমিক মাহিন ও তার আরেক সহযোগী রাকিবকে গ্রেপ্তারে কিশোরগঞ্জ এবং নারায়ণগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করছিলো পুলিশ।
এছাড়া প্রেস ব্রিফিং শেষ হওয়া মাত্র খবর আসে-ওই দুইজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসময় সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তার ওই দুইজনকে সিলেট নিয়ে আসা হবে এবং আগে গ্রেপ্তার হওয়া দুইজনকে আজই আদালতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের নামে মামলা, আটক ১
শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার রায়: আদালত চত্বরে বিক্ষোভ, ছাত্রদল নেতা আটক
জাফলংয়ে পর্যটকের লাশ উদ্ধার, ‘স্ত্রী’ পলাতক
সিলেটের জাফলংয়ে একটি হোটেলের পাশ থেকে এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্ত্রী পরিচয় দেওয়া নারী পলাতক রয়েছেন।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) বেলা আড়াইটার দিকে হোটেল রিভার ভিউ এর পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আল ইমরান (৩৩) কিশোরগঞ্জের নিকলীর আব্দুল জব্বারের ছেলে।
আরও পড়ুন: শাহবাগ থেকে রিকশাচালকের লাশ উদ্ধার
তার কথিত স্ত্রীর নাম খোশনাহার (২০)।
পুলিশ জানায়, আল ইমরান তার স্ত্রী খোশনাহারকে সঙ্গে নিয়ে জাফলংয়ে ঘুরতে আসেন। সেখানে তারা দুজন বল্লাঘাটের হোটেল রিভার ভিউ এর ১০১ নম্বর কক্ষে অবস্থান করেন। সোমবার দুপুরে ওই হোটেলের পাশে আল ইমরানের লাশ পড়ে থাকার খবর পায় পুলিশ। এরপর থেকেই ওই নারী পলাতক রয়েছেন।
হোটেলের রেজিস্ট্রার থেকে জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম আল ইমরান। তার সঙ্গে থাকা নারীর নাম লেখা হয়েছে খোশনাহার। তারা দুজন স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই হোটেলে ওঠেন।
জাফলং টুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ জানান, হোটেল রিভার ভিউয়ের অবস্থান নদীর একদম কাছেই। দুপুরের দিকে আমরা হোটেলের নিচে নদীর পাড়ে একটি লাশ পড়ে থাকার খবর পাই।
তিনি আরও বলেন, ওই যুবকের লাশ পাওয়া গেলেও, তার স্ত্রীর পরিচয় দেওয়া নারী পলাতক রয়েছেন। আমরা বিস্তারিত তদন্ত করছি।
আরও পড়ুন: পাবনায় ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
সিলেটে নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর কুশিয়ারা থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারে পর্যটককে ছুরিকাঘাত, আটক ৫
কক্সবাজার শহরে দুই পর্যটককে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত টিপ ছুরি, মোটরসাইকেল এবং লুট করা মোবাইল সেট জব্দ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা হলেন- চাঁদপুরের মনোহরকান্দি বিষ্ণুপুর এলাকার স্বাগতম চন্দ্র দের ছেলে শুভ দে এবং তার বন্ধু আতিক হাসান।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ১৪৮ মণ সরকারি চাল জব্দ, আটক ১
আতিক হাসান এখনও কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আটকরা হলেন-কক্সবাজার শহরের ১০নং ওয়ার্ড উত্তর বাহারছড়া এলাকার বেলাল উদ্দিনের ছেলে আশরাফ উদ্দিন আরিফ (১৯), টেকপাড়া সিকদার মহল এলাকার মো. ফরিদের ছেলে ইরফান ফারদিন (২০), মধ্যম বাহারছড়া এলাকার এম.এ বাদশার ছেলে তাসনিমুল হাসান নাবিল (২১), একই এলাকার মো. গিয়াসের ছেলে মো. সাঈদ (২০) এবং মো. নাছির উদ্দিনের ছেলে আবরার উদ্দিন (১৯)।
রবিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ নাছির উদ্দিন।
তিনি জানান, এই ঘটনায় রবিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে এজাহার দায়ের করেন শুভ দের বাবা স্বাগতম চন্দ্র দে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়-ঢাকা ধামরাই উপজেলার সূয়াপুর ইউনিয়ন ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ফোরামের পক্ষ থেকে গত ১৬ মার্চ প্রায় ৯০ জনের একটি দল কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। এরমধ্যে শুভ দে ও মো. আতিক হাসান গত ১৮ মার্চ রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের রাস্তা দিয়ে ঘুরতে যান। ওই সময় দুটি মোটরসাইকেলে করে পাঁচ জন ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা তাদের মারধর ও ছুরিকাঘাত করে দুটি মোবাইল সেট ও কিছু নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে অবগত করলে শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ডিবি পুলিশ।
কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ নাছির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত পাঁচ ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি ছুরি, দুটি মোটর সাইকেল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় 'ভুল চিকিৎসায়' কলেজছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগে আটক ৩
রামগতিতে ৪ হাজার কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, আটক ৯
সুন্দরবনের আগুনঝরা নদীর বুকে ‘ত্রিকোণ দ্বীপ’, পর্যটকদের আগ্রহ বাড়ছে
সুন্দরবনের দুবলার চর অভিমুখে আগুনঝরা নদীর মোহনায় জেগে উঠেছে একটি দ্বীপ। এই দ্বীপটি জেগেছে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে। বন বিভাগ দ্বীপটির নাম দিয়েছে ‘ত্রিকোণ দ্বীপ’।
সুন্দরবন ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদেরকে দ্বীপটি আকর্ষণ করবে। দ্বীপটি কেবলই কেওড়া গাছের বন। এটিতে পর্যটক নামার কোনও সুযোগ নেই। কারণ এখানে ঘন বন। জোয়ার ভাটায় পানি ওঠার কারণে চরের মাটি নরম ও কর্দমাক্ত।
জানা গেছে, ২২-২৫ বছর আগেও জাহাজ নিয়ে এ স্থান পার হওয়া ছিল ঝুঁকির। কারণ এ মোহনা ছিল প্রচণ্ড খরস্রোতা। দ্বীপের কারণে এখন স্থানটি ধীরে ধীরে অতিক্রম করতে হয়। বামের নদীটিই আগুনঝরা নদী। যা এখন ভরাট হয়ে কাঁদার স্তূপে পরিণত হয়েছে। তবে আগুনঝরা নদী পার হওয়ার সময় এই দ্বীপটির নয়নাভিরাম দৃশ্য নজর কাড়বে পর্যটকদের।
সুন্দরবনে পর্যটকবাহী লঞ্চের সুকানি শফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন সুন্দরবনের বিভিন্ন রুটে লঞ্চ চালাচ্ছি। আগুনঝরা নদীর এই মোহনাটি ছিল বিশাল ও অত্যন্ত খরস্রোতা। ২০-২২ বছর হলো দ্বীপটি সৃষ্টি হয়েছে। ধীরে ধীরে এর এক পাশের নদী মরে যাচ্ছে। অপরপাশ এখনও সচল আছে। ক’দিন সচল থাকবে তা বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে পর্যটকের খরা, হতাশায় ট্যুর অপারেটররা
পর্যটক গোলাম হোসেন বলেন, দূর থেকে দেখলে দ্বীপটি ভালোই লাগে। যেন সুন্দরবনের মাঝে আরেক টুকরো সুন্দরবন। যত কাছাকাছি আসে ততই আকর্ষণ বাড়ে।
পর্যটক মোমিন মিয়া বলেন, দুবলার চর এলাকায় বিভিন্ন চরের সৌন্দর্যের পাশাপাশি এ দ্বীপটিও বেশ ভালো লাগে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘দ্বীপটি বেশ পুরানো। আগুনঝরা নদীর মোহনায় এ দ্বীপের কারণে নদীর দুটি ধারা সৃষ্টি হয়েছে। একটিতে নৌযান চলাচল করছে। অপরটি পলি জমে জমে ভরাট হয়ে উঠছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া খননের কোনও পরিকল্পনা নেই। ফলে ওই অংশটিও ভবিষ্যতে গাছপালায় ভরে জঙ্গলে পরিণত হতে পারে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে আরও ৪ ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার চালু হচ্ছে
পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন খুলছে ১ সেপ্টেম্বর