পর্যটক
প্রমোদতরি ‘এম ভি গঙ্গা বিলাস’: ষাট গম্বুজ মসজিদ পরিদর্শনে ২৫ বিদেশি পর্যটক
খুলনার বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদ ঘুরে দেখলেন ‘এম ভি গঙ্গা বিলাস’ প্রমোদতরিতে করে বাংলাদেশে আসা ২৫জন বিদেশি পর্যটকের একটি দল। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে ওই পর্যটকেরা ষাট গুম্বুজ মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করেন এবং পরবর্তী এক ঘন্টা ধরে তারা মসজিদের ভিতর এবং বাইরের অংশ ঘুরে দেখেন।
২৫জন বিদেশি পর্যটকের মধ্যে ২৪ জন সুইজারল্যান্ড এবং একজন জার্মান নাগরিক।
প্রথমে তারা ষাট গম্বুজ মসজিদ চত্বরের জাদুঘরে গিয়ে খানজাহানের সময়ের বিভিন্ন প্রত্নতত্ত্ব দেখেন। এরপর তারা ষাট গম্বুজ মসজিদ ঘুরে দেখেন। এসময় তাদের অনেকেই ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনে মসজিদের ছবি ধারণ করেন।
ষাট গম্বুজ মসজিদের অনন্য স্থাপত্যশৈলী এবং লাল পোড়া ইটের উপরে নয়নাভিরাম কারুকার্য ও ইটের দেয়ালে দৃষ্টিনন্দন টেরাকোটা দেখে মুগ্ধতার কথা জানান বিদেশি পর্যটকরা।
তারা জানান, বহুপুরাতন এই মসজিদের স্থাপত্যশৈলী অসাধারণ, যা তাদের মুগ্ধ করেছে। তারা মসজিদের ইতিহাস জানার চেষ্টা করেছেন।
ষাট গম্বুজ মসজিদে তাদেরকে ফুল দিয়ে অভ্যার্থনা জানান বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হাফিজ আল-আসাদ, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের বাগেরহাট যাদুঘরের কাস্টোডিয়ান যায়েদ, ষাট গম্বুজ মসজিদের ইমাম মো. হেলাল উদ্দিন এবং ট্যুর অপারেটর জার্নি প্লাসের প্রধান নির্বাহী তৌফিক রহমান।
আরও পড়ুন: গঙ্গা বিলাস প্রমোদতরি বাংলাদেশ ও ভারতকে সংযুক্ত করতে নদীর শক্তি প্রদর্শন করেছে: প্রণয় ভার্মা
সৈকতে দাঁড়িয়ে বছরের শেষ সূর্যকে বিদায় জানালেন লাখো পর্যটক
বছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করতে ৩১ ডিসেম্বর লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিখ হয় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
শীতের হিমেল হাওয়ায় চারপাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। সামনে ঢেউয়ের গর্জন। এরই মাঝে ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যায় ২০২২ সালের শেষ সূর্য।
অনেক প্রাপ্তি, হতাশা, ক্লান্তি ও নানা ঘটনা আর অঘটনকে ছাপিয়ে শেষ হলো আরও একটি বছর।
সমুদ্রের পানিতে অস্তমিত সূর্যের অপরূপ রোমাঞ্চকর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন পর্যটকরা।
আরও পড়ুন: টানা তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল
উচ্ছ্বসিত পর্যটক সহ স্থানীয় মানুষ ২০২২ সালকে সূর্যাস্তের মাধ্যমে বিদায় জানিয়েছেন। আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সমুদ্র সৈকতে ভিড় করেন। পড়ন্ত বিকালে বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।
কক্সবাজারের সূর্যাস্তের দৃশ্য ছবির ফ্রেমে আটকে রেখেছে পরিবার পরিজন প্রিয় জনকে সঙ্গে নিয়ে। এছাড়া কক্সবাজারের সৈকতে উপস্থিত পর্যটকরা হাত নেড়ে বিদায় বছরের শেষ সূর্যকে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক দম্পতি মাসুদ চৌধুরী ও সামান্তা রহমান জানান, ২০২২ সালে জীবনের কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ২০২২ সালের সূর্যাস্তের সঙ্গে হতাশা, দুঃখ ও না পাওয়ার বেদনাকে বিসর্জন দিতে এবং আনন্দ উল্লাসে ২০২৩ সালকে বরণ করবো কক্সবাজারে ভ্রমনের মাধ্যমে।
নরসিংদী থেকে আগত পর্যটক নেওয়াজ আলী বলেন, তিন বন্ধু মিলে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন।
প্রাকৃতির সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই কক্সবাজার। এখানকার বৈচিত্র্যময় সমুদ্রের বিশালতা ও প্রশান্তি মন টানে বার বার।
তা এই শীত মৌসুমে এখানে তেমন বেশি শীত নেই। তাই এখানে ভ্রমনের মজাটাই আলাদা।
শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়াতে পযর্টন নগরী কক্সবাজারে বেশ কয়েকদিন ধরেই পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত ছিলো।
সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে গোধূলি বেলার সূর্যাস্ত দেখে বিমোহিত পর্যটকরা।
দর্শনীয় স্থানসহ পর্যটনমুখী ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চোখে পরছে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়।
সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি শহরের বার্মিজ মার্কেট, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়াটেক সহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোতে রয়েছে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়।
হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ২ জানুয়ারি পর্যন্ত হোটেলের ৯০ ভাগ রুম বুকিং রয়েছে। এছাড়া পর্যটকদের আতিথেয়তায় ব্যস্ত সময় পার করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা, বীচ কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, পর্যটকদের আগমনে কক্সবাজার যেন পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে।
জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ জানান, বিজয় দিবস, বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষের ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে দেশি-বিদেশি প্রকৃতি আর সমুদ্রপ্রেমী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ইংরেজি ২০২২ সালকে স্মৃতিময় করে রাখতে আর ২০২৩ সালকে স্বগত জানাতে কক্সবাজার সৈকতে জড়ো হয়েছে লাখো পর্যটক।
তাদের সেবায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান জানান, কক্সবাজারের প্রত্যেক পর্যটন জোনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এছাড়া ভ্রাম্যমান পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড়
কক্সবাজারের মিষ্টি পান যাচ্ছে বিদেশেও
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড়
এবারও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত কক্সবাজার। ৩১ ডিসেম্বরকে ঘিরে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের শহর কক্সবাজার যেন পর্যটকের মেলায় পরিণত হবে।
বছরের এই দিনটিতে তরুণ-তরুণীরা হইচই আর আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে। বাদ যান না শিশু আর প্রবীণরাও।
আর তাই শহরের হোটেল-মোটেল ও পর্যটন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আলাদা করে প্রস্তুত রয়েছে। ইংরেজি নতুন বছরকে বরণে বিভিন্ন হোটেলে থাকছে ইনডোর আয়োজন। তবে কয়েক বছরের মতো এবারও সমুদ্রসৈকতসহ আউটডোরে কোনো আয়োজন নেই।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম আনু জানান, ইংরেজি বছরের শেষ দিন মানে থার্টি ফার্স্ট। দেশের সব পর্যটকদের দৃষ্টি থাকে কক্সবাজারে। কারণ সৈকতে ২০২২ সালের শেষ সূর্যাস্ত উপভোগ এবং বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রোমাঞ্চকর অনুভূতি কক্সবাজার থেকে পাওয়া যায়। তাই ইতোমধ্যে কক্সবাজারে পর্যটকরা চলে এসেছে। পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত কক্সবাজারও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাইরে বড় কোনো অনুষ্ঠান না থাকলেও বিভিন্নভাবে বড় পরিসরে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন হবে কক্সবাজারে। শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় ও রাতে বিভিন্ন হোটেলের ইনডোরে নতুন বছরকে বরণ করতে থাকছে নানা আয়োজন।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটতে পারে। সে বিষয়কে কেন্দ্র করে হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসগুলো আলাদা করে প্রস্তুতি নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, নববর্ষের সাজসজ্জাসহ নানা ধরনের কারুকার্য সম্পন্ন করেছে। থার্টি ফাস্ট নাইটকে ঘিরে ২৯ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকরা আসছেন। ৩০ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৭০ ভাগ হোটেলের রুম বুকিং হয়ে গেছে। তবে অন্যান্য বছর থার্টি ফাস্ট নাইটের, অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বরের আগে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ বুকিং হয়ে যায়। আউটডোরে অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকলে শতভাগ পর্যটক ভরপুর থাকতো।
আবুল কাশেম সিকদার জানান, তারকামানের হোটেলগুলোতে বরাবরের মতোই ফুল বুকিংয়ের প্রত্যাশা রয়েছে। সবকটি তারকা হোটেল থার্টি ফার্স্ট নাইটের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এসব অনুষ্ঠানের জন্য অগ্রিম টিকিটও বিক্রি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ইনানীর তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপের এজিএম নাভেদ চৌধুরী বলেন, ১ জানুয়ারি পর্যন্ত আমাদের হোটেল শতভাগ অগ্রিম বুকিং রয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইট ও নতুন বছর বরণে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। দুইজন তারকা শিল্পী অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন।
একইভাবে তারকামানের হোটেল ওশ্যান প্যারাডাইস, কক্স টুডে, সায়মন বিচ ও লং বিচেও নানা জমকালো আয়োজন থাকবে বলে জানা গেছে। এছাড়া আরও কিছু বড় মানের হোটেলেও নানা অনুষ্ঠান থাকবে।
জেলা প্রশাসন ও পুলিশ জানিয়েছে, নতুন বছর বরণকে কেন্দ্র করে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। একইভাবে জেলা প্রশাসন বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, সরকারিভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবারও উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফার্স্ট নাইটের কোনো আয়োজন করা যাবে না। তাই কক্সবাজারেও কাউকে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান জানান, কক্সবাজারে সাড়ে চারশ’ আবাসিক হোটেলে প্রায় দেড় লাখ লোক রাত্রিযাপন করতে পারেন। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি হোটেলে সিসিটিভি ক্যামেরা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি জানান, ১ জানুয়ারি থেকে সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল শুরু হলে সেখানে ও হিমছড়ি, ইনানী ও পাটুয়ারটেক জোনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজার শুধু দেশের নয় পৃথিবীর একটি আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র। তাই যেকোনো বিশেষ দিন উপলক্ষে কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড় থাকে। এবারও পর্যটকরা থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজারমুখী হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
তিনি আরও বলেন, পর্যটকদের সেবার মান বাড়াতে এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মনিটরিং কমিটি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করবে।
আরও পড়ুন: নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ে খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
সাজেকে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়, খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন
মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক ভ্যালিতে টানা তিন দিনের ছুটিত এবং বড়দিনকে ঘিরে পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ধারণ ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ পর্যটক সাজেকে প্রবেশ করায় কটেজ-রিসোর্টে রুম সংকট দেখা দিয়েছে।
শীতের এই মৌসুমে হাজারো পর্যটককে মেঘের রাজ্যখ্যাত পর্যটন স্থান রাঙ্গামাটির সীমান্তবর্তী বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে কটেজ না পেয়ে শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দর্শনার্থীদের রিসোর্টের বারান্দায় ও রাস্তায় রাত কাটাতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ফেরার পথে ‘চান্দের গাড়ি’ খাদে পড়ে পর্যটক নিহত
সাজেকে বছর জুড়েই থাকে পর্যটকের চাপ। ছুটির দিনগুলোতে সেই চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সাপ্তাহিক ছুটি ও বড়দিনের টানা ছুটিতে পর্যটকমুখর হয়ে উঠেছে সাজেক ভ্যালি। তবে পাহাড়ের রূপ উপভোগ করতে গিয়ে এবারের টানা ছুটিতে পর্যটকের চাপে দেখা দিয়েছে আবাসন সংকট। ফলে বাধ্য হয়েই অনেক পর্যটককে রাত কাটাতে হচ্ছে গাড়িতে কিংবা মসজিদে অথবা স্থানীয় ক্লাবে।
ঢাকা থেকে আসা শাহ আলি (৩০), ময়মনসিংহ থেকে স্বপরিবারে আসা সুলতান মিয়া (২৮) ও নেত্রকোনার পর্যটক আশরাফ আলি জানান, ছেলে-মেয়েদের ছুটির কারণে চলে এসেছেন।
এসে দেখেন কোনো হোটেলে রুম খালি নেই। এমন অবস্থায় বিশাল বিপাকে পড়েছেন তারা।
সাজেকের নীল পাহাড়ি রিসোর্ট ও মর্নিং স্টার রিসোর্টের মালিক আলফার্ড লুসাই জানান, বড়দিনকে সামনে রেখে প্রায় একমাস আগে রুম বুক হয়েছে। আজ (শনিবার) অনেক পর্যটক পথে পথে ঘুরেও রিসোর্ট পাচ্ছেন না, এটা সত্যি কষ্টের।
সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, শনিবার প্রায় সাত হাজারের মতো পর্যটক সাজেকে এসেছেন। যদিও সাজেকের ১১২টি কটেজে পর্যটক থাকতে পারেন চার হাজারের মতো।
সাজেকে আসা পর্যটকদের অনেকেরই ছিল না আগাম বুকিং। ফলে রুম না পাওয়ায় অনেক পর্যটক বিকালেই ফেরত আসেন। যারা থেকে গিয়েছেন তাদের অনেকেই বিভিন্ন কটেজের বারান্দায় ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে রুম ভাড়া নিয়ে রাত পার করেছেন।
সাজেকের হিল রিসোর্টের ম্যানেজার সুব্রত চাকমা বলেন, বুধবার থেকেই সাজেকে অসংখ্য পর্যটক আসছেন। এই মুহূর্তে কোনো রিসোর্টেই রুম খালি নাই। আমাদের রিসোর্টও দুই মাস আগে থেকেই শতভাগ বুকিং হয়ে আছে রোববার পর্যন্ত।
রুম না পেয়ে পর্যটকদের গাড়িতে রাত কাটানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, যখন খুব বেশি পর্যটকদের চাপ থাকে, তখন যারা আগাম বুকিং না দিয়ে সাজেক আসেন তাদের রুম পেতে বেগ পেতে হয়। তখন তাদের হয়তো স্থানীয়দের বাড়িতে বা গাড়িতে থাকতে হয়।
সাজেক হিল ভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্রজিৎ চাকমা বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে সাজেকে ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি পর্যটক এসেছেন। সবগুলো কটেজ মিলিয়ে সাজেকে আড়াই হাজারের বেশি পর্যটক থাকতে পারেন না, কিন্তু এই কদিন পর্যটক সংখ্যা সব সময় চার হাজারের ওপরে।
বাড়তি পর্যটকদের এই চাপ সামাল দেয়া কষ্টকর। তাই অগ্রিম বুকিং না করে সাজেক না আসার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাজেকে চাঁদের গাড়ি ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পর্যটকের মৃত্যু
সাজেকে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত ১, আহত ১
টানা তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল
সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার সঙ্গে যোগ হয়েছে খ্রিষ্টানদের বড়দিনের ছুটি। সব মিলিয়ে তিনদিনের টানা ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে।
আর তাদের নিরাপত্তায় কাজ করছে টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসকের বিচ কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম এই সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে চলে এসেছেন হাজার হাজার মানুষ। টানা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের ভালো সাড়া পেয়েছেন কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা। ইতোপূর্বেই শতকরা ৯০ ভাগ হোটেল কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি এবং ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের ছুটিতে অগ্রিম হোটেলের কক্ষ বুকিং দিয়েছেন পর্যটকরা।
হোটেল মালিকরা জানান, বৃহস্পতিবার থেকে সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা তিন দিন সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই পর্যটকরা কক্সবাজার পৌঁছেছেন।
কয়েকটি হোটেল ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ হোটেল পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। কক্ষ পেতে ব্যাগপত্র নিয়ে এক হোটেল থেকে অন্য হোটেলে ছোটাছুটি করতেও দেখা যায় বেশকিছু পর্যটককে।
অন্যদিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে হাজারো পর্যটককে ভীর করতে দেখা গেছে। কেউ বালিয়াড়িতে দৌঁড়ঝাপ, কেউ সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত। পর্যটকরা যে যার মতো করে আনন্দে মেতেছেন।
আরও পড়ুন:কক্সবাজার সৈকতে মাছ কুড়ানোর উৎসব!
সাজেকে চাঁদের গাড়ি ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পর্যটকের মৃত্যু
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি সাজেক পর্যটনকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে চাঁদের গাড়ি ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে হৃদয় (৩০) নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নরুল আলম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে সাজেক পর্যটনকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে মাচালং এলাকায় পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে হৃদয় নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটক গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
দেবীদ্বারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল থেকে নারী পর্যটকের লাশ উদ্ধার
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ‘হোটেল ঝিলিক’ নামের একটি আবাসিক হোটেল থেকে শনিবার সকালে অজান্তা বেগম নামের এক নারী পর্যটকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতের স্বামী পরিচয় দেয়া সুজন (৩২) পটুয়াখালীর বাউফল সদরের রফেজ সিকদার ও আমেনা বেগমের ছেলে বলে হোটেলের রেজিস্ট্রারে উল্লেখ রয়েছে।
হোটেল সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় কুয়াকাটায় ঘুরতে এসে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সুজন ও অজান্তা বেগম নামের দুজন পর্যটক হোটেল ঝিলিকের ২০৪ নাম্বার রুম ভাড়া নেয়। পরে গতকালকে সারাদিন তারা হোটেলে অবস্থানসহ বাইরেও ঘোরাঘুরি করে বলে জানায় তারা। শনিবার সকালে নিহত নারীর অবস্থানকৃত রুম চেক আউটের জন্য ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ওই পর্যটককে হোটেলের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বরিশালে আবাসিক হোটেল থেকে জাহাজ শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
হোটেল ঝিলিকের মালিক লিয়াকত আলী জানান, আজকে সকাল ১০টায় হোটেল চেক আউটের সময় হলে তাদেরকে ফোন দেয়া হয়। ফোনে না পেয়ে রুমে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ পওয়া যায়নি। রুমের ভেতর থেকে তালা লাগানো থাকায় আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেই, পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
মহিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে আমরা এক নারী পর্যটকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছি। তবে স্বামী পরিচয় দেয়া সুজনকে পাওয়া যায়নি। ওইরুম থেকে আলামত হিসাবে একটি স্মার্ট ফোন, একটি জামাকাপড়ের ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে। হোটেল রেজিস্ট্রিকৃত নাম পরিচয় নিয়ে আমরা তাদের শনাক্তের চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, লাশটিকে ময়নাতদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ফাঁকা বাড়ি থেকে স্কুল ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফুলবাড়ীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বেনাপোল দিয়ে ভারতে ফিরল ৯ দেশের পর্যটকবাহী কার র্যালি
বিশ্বের বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির শত বছরের পুরোনো ১৬টি কার ও দুটি মোটরসাইকেলের র্যালি নিয়ে বাংলাদেশ ভ্রমণে আসা ৪৩ ইউরোপীয় পর্যটকের দলটি বেনাপোল দিয়ে ভারতে ফিরে গেছেন। বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা পরিদর্শন করে ছয়দিন পর তারা ভারতে ফিরে গেলেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কার র্যালির ৪৩ জন পর্যটক ভারতে প্রবেশ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার যশোরে হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে তারা রাত্রিযাপন করেন।
গত রবিবার (৬ নভেম্বর) সকালে ভারতের ডাউকি সীমান্ত হয়ে সিলেটের তামাবিল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ আসেন ৪৩ জনের বিদেশি পর্যটকের একটি দল। পরে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিকালে তারা গাজীপুরের সারাহ রিসোর্টে পৌঁছান।
সারাহ রিসোর্টে একদিন রাত্রিযাপন শেষে বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে তারা পাবনার উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে একরাত থাকার পর বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) যশোর পৌঁছায় পর্যটক দলটি। যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে শুক্রবার কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন তারা।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
ভ্রমণকালে বাংলাদেশের মানুষ, প্রকৃতি, শিল্প, সংস্কৃতি ও খাবারের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন বিদেশি এই পর্যটক দলটি।
ইউরোপীয় পর্যটক দলটি যশোরের মানুষের আচার-আচরণ, প্রাকৃতিক রূপ, আর আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানান তারা।
২০ অক্টোবর থেকে ইস্ট হিমালয়া ক্লাসিক্যাল কার র্যালি শীর্ষক ভিনটেজ কার র্যালিতে অংশ নেয়া দলটি এ বছর বাংলাদেশসহ তিনটি দেশ ভ্রমণ করে। তিন হাজার ২৪৪ কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিয়ে র্যালিটি কলকাতায় গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
শত বছরের পুরানো বিশ্বের নামিদামি মডেলের বিভিন্ন কোম্পানির কার দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন বেনাপোলের মানুষ। র্যালিটি বেনাপোল পৌঁছালে কয়েকশ’ লোক শত বছরের পুরানো কারগুলো দেখার জন্য ভিড় জমায়।
বেলজিয়াম, পর্তুগাল, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্যসহ অন্তত ৯টি দেশের নাগরিক নিজেদের খরচে এই ভ্রমণে অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিবছর তারা এই অ্যাডভেঞ্চার আনন্দ শোভাযাত্রা করে থাকেন বলে জানা গেছে।
পর্যটক দলের কো-অর্ডিনেটর ও দ্য জার্নি ওয়ালেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান জানান, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের আন্তর্জাতিক র্যালি প্রবেশ করেছে। কার র্যালিতে অংশ নেয়া বিদেশি নাগরিকরা বাংলাদেশের আতিথেয়তায় অত্যন্ত খুশি। তারা বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতিকে বেশ পছন্দ করেছেন।
এসময় বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া ও ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ পর্যটকদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শার্শার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম ও ৪৯ বিজিবির আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার নজরুল ইসলামসহ অনেকে।
এব্যাপারে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ইউরোপীয় পর্যটকের একটি কার র্যালি শুক্রবার সকালে বেনাপোল চেকপোস্টে আসলে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ইমিগ্রেশনের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর তারা ভারতে প্রবেশ করেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল চেকপোস্টে স্ট্রোক করে ভারতীয় নারীর মৃত্যু
বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ৯ টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
বান্দরবানের ৪ উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি
নিরাপত্তাজনিত কারণে বান্দরবানের ৪টি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এনিয়ে চতুর্থ বারের মতো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো।
শুক্রবার বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক গণ বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে এ বিষয়টি জানানো হয়।
উপজেলাগুলো হলো- রুমা,রোয়াংছড়ি,আলীকদম ও থানচি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টহল কার্যক্রম পরিচালনা এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রোয়াংছড়ি, রুমা,আলীকদম ও থানছি উপজেলায় স্থানীয় এবং বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ৫ নভেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের আরও ২ উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
এর আগে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। পরে রুমা ও থানচিসহ ৪টি উপজেলায় গত ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর এবং ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য গত ১০ অক্টোবর থেকে পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। এ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ দেশিয় অস্ত্রসহ ৭ জঙ্গি এবং ৩ জন স্থানীয় সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে যৌথ বাহিনী। অভিযানের অংশ হিসেবে সন্দেহভাজনদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে ভ্রমণের ওপর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে বান্দরবান। শহরের আবাসিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট গুলোর বেশির ভাগই ফাঁকা। পর্যটকবাহী গাড়ি গুলো নির্ধারিত স্থানে পড়ে আছে। শ্রমনির্ভর শহরের ৫০ শতাংশ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বুনো হাতির আক্রমণে নিহত ২, আহত ১
বান্দরবানে ৪ উপজেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাড়ল
একদিনে সমুদ্রে ভেসে যাওয়া ৩ শতাধিক পর্যটক উদ্ধার
কক্সসবাজারে টিউব নিয়ে সমুদ্রে গোসলে নেমে স্রোতের টানে ভেসে যাওয়া তিন শতাধিক পর্যটককে উদ্ধার করেছে সি সেইফ লাইফ গার্ড। আর এতে সহায়তা করে জেট স্কি চালকরা। বুধবার (২ নভেম্বর) কক্সবাজারের সুগন্ধা, লাবণী , সীগাল বীচ পয়েন্ট থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, এদিন সকালে প্রতিদিনের মতোই হাজার হাজার পর্যটক গোসল করতে নামে। এর অধিকাংশ পর্যটক চাকার টিউব নিয়ে সমুদ্র গোসলে মেতে ওঠে। এসময় সমুদ্রে ঢেউ টিউবে থাকা পর্যটকদের তীর থেকে দূরে নিয়ে যায়। এভাবে সমুদ্রের ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যায় গভীর সমুদ্রে। ভেসে যাওয়া এসব পর্যটক ঝুঁকির মুখে পড়ে যায়। এই অবস্থায় সি সেইভ লাইফ গার্ডের কর্মীরা দ্রুত ছুটে গিয়ে ভেসে যাওয়া এসব পর্যটকদের উদ্ধার করে।
সমুদ্রে টিউব নামানো নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও কিছু ব্যক্তি পর্যটকদের টিউব ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করছেন। আর পর্যটকরা এসব টিউব নিয়ে সমুদ্রে গোসল করতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন।
ফেনি থেকে আসা মো. সোলেমান নামের এক পর্যটক জানান, তাকে ডুবে যাওয়ার আগ মুহুর্তে সি সেইফ গার্ড বাঁচিয়ে তীরে ফিরিয়ে এনেছে। তিনি বুঝতে পারেননি কখন স্রোতের টানে তীর থেকে এত দূরে চলে গিয়েছেন।