নারী
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নারী পুলিশ নিহত
মাগুরায় চলন্ত বাসের ধাক্কায় এক নারী পুলিশের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় পুলিশের কনস্টেবল স্বামী ও মেয়ে গুরুতর আহত হন। তাদের দুজনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে ঢাকা জেলার কসুন্দী এলাকায় মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত লাবনী ভদ্র(২৬) ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ থানার কোলাবাজার এলাকার অনিল ভদ্রের মেয়ে।
আহতরা হলেন- প্রসেনজিৎ বিশ্বাস (২৯) ও অঙ্কিতা বিশ্বাস (৪)।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
প্রসেনজিৎ বিশ্বাস জানান, রাজবাড়ি রেলওয়ে পুলিশে কর্মরত ছিলেন তারা দু’জন। পাঁচদিন আগে ছুটিতে গ্রামের বাড়ি শালিখা উপজেলার ধনেশ্বরগাতী বেড়াতে আসেন। রবিবার কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেলে করে রওনা দিলে ১০ টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তুহিন পরিবহন নামের একটি বাস একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে তাদেরকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই তার স্ত্রী পুলিশ সদস্য লাবনী মারা যান।
মাগুরা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, পুলিশ বাসটিকে আটক করলেও চালক পালিয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে বাস খাদে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯
নারী পুলিশ দিয়ে প্রথম ডগ স্কোয়াড পরিচালনা দলের যাত্রা শুরু
অপারেশনাল কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে বাংলাদেশ পুলিশ বিমানবন্দরের নারী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যদের সমন্বয়ে প্রথম নারী পুলিশ কুকুর পরিচালনা দল চালু করেছে।
কে-৯ ডগ হ্যান্ডলার কোর্স থেকে প্রশিক্ষণ পেয়ে সাতজন মহিলা এপিবিএন সদস্যকে পুলিশ ডগ হ্যান্ডলার দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তারা পেশাদার কুকুর স্কোয়াড প্রশিক্ষক টনি ব্রিসন (ইউকে) এবং মেলিন ব্রডউইক (নিউজিল্যান্ড) থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। মার্কিন দূতাবাস ও বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষণ শেষে তাদের হাতে সনদ তুলে দেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১৩-এর কমান্ডিং অফিসার তোফায়েল আহমেদ।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে কর্তব্যরত অবস্থায় নারী পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ২০১৭ সালে দুটি ল্যাব্রাডর, দুটি জার্মান শেপার্ড এবং চারটি ম্যালিনিও কুকুর নিয়ে কে-৯ ডগ স্কোয়াড ইউনিট শুরু করে।
ডগ স্কোয়াড ইউনিট যাত্রীদের চেকিং এবং লাগেজ পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ডগ স্কোয়াড গ্রুপে কুকুরের সংখ্যা ৬৬-এ উন্নীত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কার্যক্রমের কথা বিবেচনা করে সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
২০২৩ সালে ডগ স্কোয়াডে আরও পনেরটি কুকুর যুক্ত করা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একটি পূর্ণাঙ্গ ডগ স্কোয়াড নাশকতা, মাদক চোরাচালান ও মুদ্রা চোরাচালান প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আরও পড়ুন: ডিআর কঙ্গোর উদ্দেশে নারী পুলিশ কন্টিনজেন্টের যাত্রা
গাজীপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
গাজীপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়। রবিবার সকালে নগরের পূবাইল থানাধীন করমতলা এলাকার সুমনের ভাড়া বাড়ি থেকে এই লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নাজমা (৩৫) সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার জালালপুর গ্রামের মাহমুদ আলীর মেয়ে। তিনি স্বামী ফারুকের সঙ্গে স্থানীয় ‘নেক্সট কম্পোজিট গার্মেন্টস’-এ অপারেটর পদে চাকরি করতেন।
নিহত নাজমার বাবা জানান, প্রায় দুই বছর আগে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার তেলিয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ওমর ফারুককে বিয়ে করে। তিনি গত শনিবার সকালে মেয়ের খবর নেয়ার জন্য ভাড়া বাসায় গেলে তার জামাতা ফারুক রুমের দরজার সামনে থেকে সুকৌশলে কথা বলে এবং জানায় আমার মেয়ে ঘুমাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মেঘনা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
পরে জানায়, তাদের দু’জনের অফিস ছুটি নারায়ণগঞ্জ কোনো আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যাবে। তিনি ওই দিনই দুপুরে মেয়ের ভাড়া বাড়িতে গিয়ে রুম তালাবদ্ধ দেখতে পান। রবিবার সকালে ভাড়া বাড়ির লোকজন জানালা দিয়ে দেখতে পায় রুমের এক পাশে আমার মেয়ে পড়ে আছে। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুমের তালা খুলে লাশটি উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জানান,ভুক্তভোগীর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তে রঞ্জিত। ধারণা করা যাচ্ছে যে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে তাকে খুন করে স্বামী রুমে তালা লাগিয়ে পালিয়ে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পলাতক স্বামীকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১
নারী ও পুরুষের বৈষম্য দূর করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, একটি সুন্দর পৃথিবী গড়তে নারী ও পুরুষের সমান ভূমিকা রয়েছে। এজন্য নারী ও পুরুষের বৈষম্য দূর করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী-পুরুষের সকল বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলেন।
এছাড়া নারীকে তার যোগ্যতায় নিজের জায়গা করে নিতে হবে।
তিনি বলেন, তিনি আমৃত্যু শোষণ-বঞ্চনাহীন একটি বাংলাদেশ তৈরি করতে চেয়েছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশের সকল অগ্রগতি-অগ্রযাত্রায় নারীরা অনন্য ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন: সমাজের কাছে ইমামদের কথা গুরুত্ব বহন করে: শিক্ষামন্ত্রী
শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে চাঁদপুরে উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে রোটারি ভবনে উদ্যোক্তাদের মেলা পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যা নারী ছাড়া হয়। নারীদের জড়তার জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নারীদের হাত ধরে এগিয়ে দিয়েছেন। এখন আমাদের কাজটা করে যেতে হবে। নারীদের প্রযুক্তি শিখতে হবে। নারীকে তার যোগ্যতায় নিজের জায়গা করে নিতে হবে।
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, চাঁদপুরের মেয়েরা বহুকাল আগে থেকেই শিক্ষা-সাহিত্য-সস্কৃতিতে এগিয়ে আছে। এখনও দেশে-বিদেশে চাঁদপুরের মেয়েরা তাদের কর্মদীপ্ত আলো ছড়াচ্ছে। গত কয়েক বছরে চাঁদপুরে অসংখ্য নারী উদ্যোগতা সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া চাঁদপুর উইমেন চেম্বারের আয়োজনে উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করেছে। এটি নারীদের প্রেরণা দিতে একটি মহৎ উদ্যোগ।
আমি এ মেলার আয়োজক এবং অংশগ্রহণকারী সবাইকে অভিনন্দন জানাই।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করবে: শিক্ষামন্ত্রী
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম আম্বিয়া খাতুন (৫৩)।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার মোকার মোড় নামক স্থানে ভোর ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আম্বিয়া মোকার মোড় এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার আম্বিয়া খাতুন তার ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় মাটিভর্তি একটি ট্রলি সরু রাস্তা দিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় আম্বিয়া খাতুনকে ধাক্কা দিলে তার কাপড় টলির সঙ্গে পেঁচিয়ে যায়।
এরপর ট্রলিটি তাকে টেনে হিছড়ে অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন ডাকাডাকি করলে ট্রলি থামিয়ে চালক পালিয়ে যায়।
চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. হারুন অর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়রা তাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ট্রলিটি আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত ২, আহত ৪
প্রতি ২ মিনিটে একজন নারী গর্ভাবস্থা বা প্রসবকালীন জটিলতায় মারা যায়: জাতিসংঘ
জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রতি দুই মিনিটে বিশ্বব্যাপী একজন নারী গর্ভাবস্থা বা প্রসবকালীন জটিলতায় মারা যায়।
প্রতিবেদনের 'মাতৃমৃত্যুর হার' নারী স্বাস্থ্যের জন্য উদ্ভূত উদ্বেগগুলোকে আবারও সামনে নিয়ে আসে। কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলে মাতৃমৃত্যু হয় বেড়েছে বা আগের অবস্থায় রয়েছে (অবস্থার উন্নয়ন হয়নি)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মহাপরিচালক ডা. তেদ্রোস আধানম গেব্রেইসাস এ বিষয়ে বলেন, ‘গর্ভাবস্থা একজন নারীর জীবনে অত্যন্ত আনন্দের ও মূল্যবান সময়; তাই এই সময়টা প্রতিটি নারীর জন্য ইতিবাচক অভিজ্ঞতা হওয়া উচিত। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এখনও বিশ্বের কয়েক লাখ নারীর জন্য এটি একটি ভয়াবহ ও বিপজ্জনক অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই নতুন পরিসংখ্যানগুলোতে বোঝা যায় প্রসবের আগে, প্রসবের সময় এবং পরে প্রতিটি নারী ও মেয়ের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ থাকার গুরুত্ব কতটা এবং তারা যেন তাদের প্রজনন অধিকার পুরোপুরি প্রয়োগ করতে পারে তা নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি।’
২০০০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জাতীয়, আঞ্চলিক ও বিশ্বব্যাপী মাতৃমৃত্যুর হার অন্তর্ভুক্ত করা এই প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ২ লাখ ৮৭ হাজার মাতৃমৃত্যু হয়েছে। এটি ২০১৬ সালের ৩ লাখ ৯ হাজার থেকে সামান্য হ্রাস পেয়েছে।
২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত জাতিসংঘের আটটি অঞ্চলের মধ্যে দুটিতে অর্থাৎ ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় মাতৃমৃত্যুর হার ১৭ শতাংশ বেড়েছে এবং ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে এ হার ১৫ শতাংশ বেড়েছে। অন্যত্র, এ হার আগের অবস্থায়ই রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের ৭৮ মিলিয়ন শিশু কোনোদিন স্কুলে যায় না: জাতিসংঘ প্রধান
তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব।
তবে প্রতিবেদনটি বেশ কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতিও দেখিয়েছে। জানা যায় যে একই সময়ে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে মাতৃমৃত্যুর হার ৩৫ শতাংশ এবং মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় এ হার ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন, ‘লাখ লাখ পরিবারে মাতৃমৃত্যুর কারণে সন্তান জন্মদানের ঐশ্বরিক আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একটি শিশুকে পৃথিবীতে আনার সময় কোনও মাকে যেন তার জীবন হারানোর ভয় না পেতে হয়। বিশেষ করে যখন সাধারণ জটিলতাগুলোর চিকিৎসার সুযোগ ও প্রযুক্তি আমাদের কাছে আছে। বিশ্বব্যাপী মায়েদের স্বাস্থ্যসেবার সুযোগের সমতা থাকা দরকার; তিনি যেই হোক বা যেখানেই থাকুক না কেন, নিরাপদ প্রসবের ন্যায্য সুযোগ ও তাদের পরিবারের সঙ্গে একটি সুস্থ ভবিষ্যত কাটানোর অধিকার তাদেরও আছে।
মূলত বিশ্বের দরিদ্রতম অঞ্চলে এবং সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে মাতৃমৃত্যুর হার বেশি। ২০২০ সালের মোট মাতৃমৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশই সাব-সাহারান আফ্রিকায় হয়েছিল।
গুরুতর মানবিক সংকটের সম্মুখীন নয়টি দেশে মাতৃমৃত্যুর হার বিশ্বের গড় মাতৃমৃত্যুর দ্বিগুণেরও বেশি।
বিশ্বব্যাংকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা বিষয়ক গ্লোবাল ডিরেক্টর এবং গ্লোবাল ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটির ডিরেক্টর জুয়ান পাবলো উরিবে বলেন, ‘এই প্রতিবেদনটি বোঝায় যে নারী ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের জন্য আমাদের কার্যক্রম বাড়ানো খুবই জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ করা এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থা আরও স্থিতিস্থাপক ও শক্তিশালী করার মাধ্যমে আমরা অনেকের জীবন বাঁচাতে পারি।’
অধিক রক্তপাত, উচ্চ রক্তচাপ, গর্ভাকালীন নানা সংক্রমণ, অনিরাপদ গর্ভপাত থেকে সৃষ্ট জটিলতা এবং অন্তর্নিহিত রোগব্যাধী যা গর্ভাবস্থার কারণে বৃদ্ধি পেতে পারে (যেমন এইচআইভি/এইডস ও ম্যালেরিয়া) মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ।
এগুলো উন্নত স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে প্রতিরোধ ও নিরাময়যোগ্য।
কমিউনিটিকেন্দ্রিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নারী, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের চাহিদা মেটাতে পারে এবং প্রসব ও প্রসব-পরবর্তী যত্ন, শিশুদের টিকা, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনার মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলোতে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: জলাভূমি পুনরুদ্ধারে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জাতিসংঘের
কিন্তু, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় তহবিলের অভাব, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব এবং চিকিৎসা প্রযুক্তির দুর্বল সরবরাহ চেইন এই বিষয়গুলোর অগ্রগতির জন্য হুমকিস্বরূপ।
বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ নারী প্রসবপূর্ব আটবার চেকআপের চারটিরও সুযোগ পান না, প্রসবোত্তর প্রয়োজনীয় যত্ন পান না এবং প্রায় ২৭০ মিলিয়ন নারী আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণের সুযোগ পান না।
তাদের প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর তাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। বিশেষ করে কখন তারা সন্তান ধারণ করবেন সে সিদ্ধান্ত নেয়া, সন্তান জন্মদানের পরিকল্পনা ও স্থান এবং নিজেদের স্বাস্থ্য রক্ষা নিশ্চিত করা ইত্যাদিতে তাদের কোনও ভূমিকা পালনের সুযোগ দেয়া হয়না।
তবে আয়, শিক্ষা, জাতি বা জাতিগত বৈষম্যগুলো প্রান্তিক গর্ভবতী নারীদের জন্য এসব ঝুঁকি আরও বাড়ায়।
ইউএনএফপিএ-এর নির্বাহী পরিচালক ডা. নাটালিয়া কানেম বলেছেন, ‘এটা মেনে নেয়া যায় না যে এত বেশি সংখ্যক নারী গর্ভাবস্থা ও প্রসবের সময় মারা যাচ্ছেন। এক বছরে ২ লাখ ৮০ হাজারের বেশি প্রাণহানির ঘটনা সত্যিই অসংবেদনশীল।’
তিনি আরও বলেন ‘আমরা জরুরিভাবে পরিবার পরিকল্পনায় বিনিয়োগ করে এবং ৯লাখ মিডওয়াইফের বৈশ্বিক ঘাটতি পূরণ করে এ পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে পারি। যাতে প্রতিটি নারী তার প্রয়োজনীয় জীবনরক্ষাকারী যত্নটুকু পেতে পারে। প্রতিরোধযোগ্য মাতৃমৃত্যু বন্ধ করার জন্য আমাদের কাছে সরঞ্জাম, জ্ঞান ও সম্পদ রয়েছে; আমাদের এখন রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার।’
কোভিড-১৯ মহামারি মাতৃস্বাস্থ্যের অগ্রগতিকে আরও বাধাগ্রস্ত করেছে।
এই প্রতিবেদনে ২০২০ সাল পর্যন্ত তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। মাতৃমৃত্যুতে মহামারির প্রকৃত প্রভাব বোঝার জন্য আরও তথ্যের প্রয়োজন।
তবে, করোনা সংক্রমণ গর্ভাবস্থায় মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই বিশ্বের সকল দেশের গর্ভবতী নারীদের এবং যারা গর্ভধারণের পরিকল্পনা করছে তাদের; করোনা টিকা এবং কার্যকর প্রসবপূর্ব যত্নের সুযোগ রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের জনসংখ্যা বিভাগের পরিচালক জন উইলমোথ বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হলো মাতৃমৃত্যুর হার কমানো।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিরোধযোগ্য মাতৃমৃত্যুর অবসান ঘটাতে এবং মানসম্পন্ন মাতৃস্বাস্থ্য পরিচর্যায় সার্বজনীন সুযোগ প্রদানের জন্য টেকসই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা এবং শক্তিশালী প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন। এটা নিশ্চিত করা আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব যে প্রতিটি মা প্রসবের সময় বেঁচে থাকবেন। যাতে সন্তান নিয়ে তারা আনন্দময় জীবন কাটাতে পারেন।’
প্রতিবেদনটিতে বোঝা যায় যে মাতৃমৃত্যু হ্রাস করার জন্য বিশ্ববাসীকে দ্রত পদক্ষেপ নিতে হবে। না হয় ২০৩০ সালের মধ্যে আরও এক মিলিয়নেরও বেশি নারীর জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুন: নমনীয় কাজের সময়সূচি সবার জন্য লাভজনক: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
ওকলাহোমায় স্কাইডাইভিং দুর্ঘটনায় ৪৪ বছর বয়সী নারী নিহত
সালিসো, ওকলাহোমাযুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব ওকলাহোমার পুলিশ জানিয়েছে, স্কাইডাইভিংয়ের সময় মাটিতে পড়ে ৪৪ বছর বয়সী এক নারী নিহত হয়েছেন।
সালিসোর পুলিশ জানিয়েছে, পোটো শহরের হিদার গ্লাসগো শনিবার বিকালে মাটিতে পড়ার পর একটি হাসপাতালে মারা যান।
সালিসো পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয় যে স্কাইডাইভের সময় একটি অজানা সমস্যা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: তুরস্কে নতুন করে ভূমিকম্পে নিহত ৩, আহত ২ শতাধিক
প্রত্যক্ষদর্শীরা তদন্তকারীদের জানিয়েছে, গ্লাসগোর প্যারাসুট খুলেছিল, কিন্তু তিনি ঘুরপাক খাচ্ছিলেন এবং আর্কানসাস স্টেট লাইনের কাছে ও ওকলাহোমা সিটির প্রায় ১৫০ মাইল পূর্বে সালিসোতে মাটিতে আঘাত করেন।
গ্লাসগো কতদূর পড়েছিলেন তা স্পষ্ট নয় এবং মঙ্গলবার তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের মুখপাত্র কিছু বলেননি।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্লাসগো একক লাফ দেয়ার আগে ট্যান্ডেম লাফ (একজন প্রশিক্ষক সঙ্গে রেখে স্কাইডাইভিং) সম্পন্ন করেন, তখন তিনি পড়ে মারা যান।
এ ঘটনায় ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) তদন্তে সহায়তা করছে।
এফএএ এক বিবৃতিতে বলেছে যে তারা মূল এবং সংরক্ষিত প্যারাসুটগুলোর প্যাকিং তদন্ত করছে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তদন্তের অন্যান্য দিকগুলোর দায়িত্বে রয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত: অবশেষে লাশ হস্তান্তর
তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় নারীদের এগিয়ে আসতে হবে: শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারীরাই স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় নারীদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে ইকমার্সের ৮০ শতাংশ ব্যবসা পরিচালনা করছে নারীর। ফ্রিল্যান্সিং এ নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ‘কালের কথা’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সফল বাস্তবায়ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা করেছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালিত উপজেলা পর্যায়ে ইনকাম জেনারেটিং একটিভিটিজ (আইজিএ) প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি নারীকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকার নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে।
এছাড়া নারীদের কম্পিউটার ও আইসিটিতে দক্ষ করে তুলতে প্রকল্প রয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল।
মতবিনিময়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল কাদির মিয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, প্রকল্প পরিচালক মো. তরিকুল ইসলাম, পরিচালক মনোয়ারা ইশরাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসিনা ফেরদৌস ও সাংবাদিক মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল।
আরও পড়ুন: চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
জুন থেকে স্কুল ফিডিং চালু হবে: প্রতিমন্ত্রী
গোলাপগঞ্জে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ২, আহত ৩
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ট্রাক ও অটোরিকশা সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন। রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-বিয়ানীবাজার উপজেলার নয়াগ্রামের বাসিন্দা ফারুক আহমদ (৪০) ও রাশেদা বেগম (৩৮)।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২
অটোরিকশাটিতে মোট পাঁচজন যাত্রী ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি দ্রুতগামী ট্রাক বিয়ানীবাজার থেকে সিলেটগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই দুই যাত্রী নিহত হন। এ সময় চালকসহ আহত হন আরও তিনজন।
স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর পর ট্রাক রেখে চালক ও হেলপার পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় রাস্তায় দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। পরে পুলিশ এসে প্রায় দুইঘন্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
আরও পড়ুন: ভোলায় মোটরসাইকেল-অটোরিকশা সংঘর্ষে যুবক নিহত
মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে অটোরিকশা সংঘর্ষে শিশুসহ আহত ৬
সিরাজগঞ্জে নারীসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার: র্যাব
সিরাজগঞ্জে নারীসহ দুই মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের ২১০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার নিউমার্কেটে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র্যাব।
আরও পড়ুন: মাদক ব্যবসা: গাজীপুরে ৭ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
আটকরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার রেহাইচর গ্রামের আবদুস সালামের স্ত্রী সানজিদা বেগম (৩০) এবং পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানার নিকুরাহ গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে হুমায়ুন কবির (৩৮)।
র্যাব-১২ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এরশাদুর রহমান জানান, শহরের নিউমার্কেট এলাকায় একটি কাপড়ের দোকানের সামনে অভিযান চালিয়ে নারীসহ দুইজনকে আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার ও একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় মাদক জব্দ, বরখাস্ত পুলিশ সদস্য আটক
মাদকের আখড়া এখন ফুলের রাজ্য