ইভ্যালি
ইভ্যালি চেয়ারম্যান কারামুক্ত
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন তিনি।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার হালিমা খাতুন জানান, গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিনকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। মুক্তির আদেশ কারাগারে পৌঁছালে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বুধবার সন্ধ্যায় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
উল্লেখ্য,ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেলকে গেল বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় প্রতারণার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন গ্রাহকরা।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান ৩ দিনের রিমান্ডে
ইভ্যালি: রাসেল-শামীমার শেয়ারের ৫০ শতাংশ হস্তান্তরে হাইকোর্টের অনুমতি
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাবেক এমডি মো. রাসেল তার স্ত্রী সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামে থাকা কোম্পানির শেয়ারের ৫০ শতাংশ রাসেলের শ্বশুর-শাশুড়ি ও ভায়রা মামুনুর রশীদের বরাবর হস্তান্তরের অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার ইভ্যালির শেয়ার নিতে ওই তিনজনের আবেদনের শুনানি নিয়ে সম্পত্তি হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞার আগের আদেশ সংশোধন করে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
তবে শেয়ার হস্তান্তর হলে এই তিনজন আদালতের অনুমতি ছাড়া সে শেয়ার আর হস্তান্তর করতে পারবে না। সেই সঙ্গে তারা এই শেয়ারের বিষয়ে ইভ্যালি নিয়ে হাইকোর্টের গঠিত বোর্ডের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। এছাড়া রাসেল ও শামীমা নাসরিন কারাগারে থাকায় তাদের থেকে শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে আইজি প্রিজনকে সহযোগীতা করতে করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া ইভ্যালির ভবন মালিক শেখ সালাউদ্দিনকে আগামি ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে হাজির হতে বলেছেন। তবে তিনি হজির না হলে তাকে গ্রেপ্তার করে হাইকোর্টে নিয়ে আসতে পুলিশের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বজনসহ ইভ্যালির রাসেলের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
বৃহস্পতিবার আদালতে রাসেলের শ্বশুর-শাশুড়ি ও ভায়রার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শামীম আহমেদ মেহেদী। কোম্পানিটি অবসায়নের আবেদনকারী গ্রাহকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন তাপস কান্তি বল।
পরে ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন বলেন, ইভ্যালির ম্যানেজিং ডিরেক্টরের শ্বশুর-শাশুড়ি, ভাই-বোন আজ আদালতে সশরীরে হাজির হন। তারা আদালতকে জানান, ইভ্যালি পুনর্গঠনের জন্য তারা কাজ করছেন। যারা ইভ্যালির কাছে টাকা-পয়সা ও পণ্য পাবেন সেগুলো ফেরত দেয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে চান তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট একটা ডিরেকশন দেন, যাতে ইভ্যালির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যানের যে শেয়ারগুলো আছে সেগুলোর মধ্যে কিছু সংখ্যক শেয়ার যেন তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করতে পারেন।
তিনি বলেন, ইভ্যালির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান জেলখানায় অবস্থান করছেন। এ অবস্থায় পুরো হস্তান্তর প্রক্রিয়া তাদের জেলখানায় থাকা অবস্থাতে হবে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও জেল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে হবে। ওনাদের শেয়ারগুলো তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তখন তারা ইভ্যালি পুনর্গঠনের পাশাপাশি পরিচালনা বোর্ডকে সহযোগিতা করবেন।
ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে এক গ্রাহকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওইদিন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন জানিয়েছিলেন, আবেদনকারী ইভ্যালি অনলাইন শপিংমলে মে মাসে একটি ইলেকট্রনিকস পণ্যের অর্ডার করেন। অর্ডারের সময় তিনি মোবাইলফোনভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবার মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করেছেন। এরপর কোম্পানিটি অনলাইনে তাকে একটি পণ্য কেনার রশিদও দিয়েছেন। কিন্তু এত দিনেও তারা পণ্যটি বুঝিয়ে দেয়নি। আবেদনকারী যোগাযোগ করার পর তাকে আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু পণ্যটি দেয়নি কিংবা টাকাও ফেরত দেয়নি ইভ্যালি। যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি আবেদনকারী। তাই তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। আবেদনে কোম্পানিটির অবসায়ন চাওয়া হয়েছে। তার আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এছাড়া আদেশে ইভ্যালির যত সম্পদ রয়েছে, সেটা যেন বিক্রি অথবা হস্তান্তর না করা যায়। আদালত একটি নোটিশ ইস্যু করেন, কেন ইভ্যালিকে অবসায়ন করা হবে না।
এরপর গত বছরের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে (চেয়ারম্যান) একটি বোর্ড গঠন করেন হাইকোর্ট। বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ ও আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। আর সরকারি বেতনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির ৭ গাড়ি নিলামে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকায় বিক্রি
ইভ্যালির সম্পত্তি যে কোন স্বনামধন্য ফার্ম দিয়ে অডিট করতে নির্দেশ
ইভ্যালির ৭ গাড়ি নিলামে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকায় বিক্রি
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধে প্রতিষ্ঠানটির সাতটি গাড়ি নিলামে বিক্রি করেছেন হাইকোর্টের গঠন করে দেয়া পরিচালনা পর্ষদ।
বৃহস্পতিবার গাড়িগুলো দুই কোটি ৯০ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়।
দীর্ঘ নিলাম প্রক্রিয়ার পর সাতজন ক্রেতা গাড়িগুলো সর্বোচ্চ দামে কিনে নেন। নিলামের পর আয়োজক ও অংশগ্রহণকারী সবাই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: স্বজনসহ ইভ্যালির রাসেলের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
রাজধানীর ধানমন্ডির ভিক্টোরিয়া কনভেনশন সেন্টারে নিলাম শেষে এসব তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ও পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
নিলাম শেষে বিচারপতি মানিক নিলাম প্রক্রিয়া ও দাম নিয়ে তার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘গাড়ির দাম নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।’
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সম্পত্তি যে কোন স্বনামধন্য ফার্ম দিয়ে অডিট করতে নির্দেশ
স্বজনসহ ইভ্যালির রাসেলের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাসহ আত্মীয়দের ব্যাংক হিসাব জব্দে নোটিশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
নোটিশে ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী, ভাই-বোন, পিতা-মাতা, শ্বশুর-শাশুড়ি ও কন্যার ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক যেসব ব্যাংক হিসাব রয়েছে, সেগুলো কেন জব্দ করা হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। এতে রাসেল ও তার পরিবারের সদস্যদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার ইভ্যালি পরিচালনায় আদালত কর্তৃক গঠিত পরিচালনা বোর্ডের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সম্পত্তি যে কোন স্বনামধন্য ফার্ম দিয়ে অডিট করতে নির্দেশ
এ ছাড়া আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ইভ্যালির কিছু গাড়ি নিলামের জন্য সুপ্রিম কোর্টের একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নিলামের স্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার এবং র্যাবের ডিজিকে।
আদালতে বোর্ডের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান। অন্যদিকে রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বোর্ডের আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান বলেন, ‘ইভ্যালির রাসেল, তার স্ত্রী ও বাবা-মাসহ পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কেন ফ্রিজ (জব্দ) করা হবে না মর্মে শোকজ করেছে আদালত। তাদের আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
‘পাশাপাশি ইভ্যালির লিগ্যাল টিমের কো-অর্ডিনেটর দাবি করে ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করা নিঝুম মজুমদারকে ২ সপ্তাহের মধ্যে হাজির হতে বলেছে আদালত। অন্যথায় তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেবে আদালত।’
ইভ্যালির এক গ্রাহকের পক্ষ থেকে কোম্পানির অবসায়ন চেয়ে করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির প্রতারণার মামলা: তাহসান খানের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
এরপর হাইকোর্ট গত বছরের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে (চেয়ারম্যান) পরিচালনা বোর্ড গঠন করে দেয়।
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী ছাড়াও বোর্ডের সদস্য করা হয় স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ ও আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজকে। আর সরকারি বেতনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীরকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
ইভ্যালির অবসায়ন বা পরিচালনায় গঠন করা এ বোর্ডের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
৩০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শাখা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দারাজ, আলেশা মার্ট, ইভ্যালি এবং ই-অরেঞ্জসহ ৩০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে।
বিএফআইইউ সম্প্রতি ব্যাংকগুলোর কাছে তাদের লেনদেনসহ অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত ব্যাংক তথ্য চেয়েছে।
বিএফআইইউ-এর চিঠির সঙ্গে তথ্য পাঠানোর জন্য একটি ফর্মও দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬২ টাকা বাড়ল
সংস্থাগুলোকে ব্যাঙ্কের শাখার নাম, অ্যাকাউন্টের নাম, নম্বর, খোলার ধরন এবং তারিখ, মোট জমা এবং উত্তোলন এবং এর আগে যে ব্যাঙ্কে লেনদেন হয়েছে তার বর্তমান অবস্থা জানাতে বলা হয়েছে।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে এসব ই-কমার্স কোম্পানির ব্যাংক হিসাব তলব করে জব্দ করা হয়। এছাড়া, ব্যাঙ্কগুলোর অ্যাকাউন্ট সক্রিয় বা বন্ধ কিনা তা রিপোর্ট করতে বলেছে।
এছাড়াও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সমন তালিকায় রয়েছে- কিউকম, আলাদিনস ল্যাম্প, বুম বুম, প্রিয়শপ, ধামাকা শপিং, সিরাজগঞ্জ শপ, আদিয়ান মার্ট, ওয়ালমার্ট, নিডস, দালাল প্লাস, ২৪ টিকেটি, থলে, উই কম, ইনফিনিটি মার্কিটিং, আনন্দ বাজার, আকাশ নীল, ব্রাইট হাশ, এনেক্স ওয়ার্ল্ড ওয়াইড, আমার বাজার, আস্থার প্রতীক, বাংলাদেশ ডিল, বাড়ি দোকান ডটকম, স্রেশডো ডটকম, আমিষ বিডি, নিরাপদ এবং আলিফ ওয়ার্ল্ড।
এরই মধ্যে অনেক কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর লেনদেনের তথ্য নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
আরও পড়ুন: ১৫ দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইভ্যালির সম্পত্তি যে কোন স্বনামধন্য ফার্ম দিয়ে অডিট করতে নির্দেশ
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সব সম্পত্তি দেশের যেকোনো স্বনামধন্য অডিট ফার্মকে দিয়ে অডিট করাতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ইভ্যালির পরিচালনা বোর্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে ইভ্যালির বোর্ডের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোরশেদ আহমেদ খান। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন। পরে ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, আজকে আদালতে দুটি আবেদন উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে একজন গ্রাহক ইভ্যালির প্রডাক্টের পেমেন্ট না পাওয়াতে এই মামলায় পক্ষভূক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেন। কোর্ট তার আবেদনটি নথিভূক্ত করেছেন। আরেকটি আবেদন করা হয় ইভ্যালির বোর্ডের পক্ষ থেকে। ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর কোর্ট একটি আদেশ দিয়েছিলেন ইভ্যালিকে অডিট করবে কেপিএমজি নামে একটি কোম্পানি। এই কোম্পানি অডিট করার জন্য ইভ্যালির কাছে ৮৬ লাখ টাকা চায়। এই অ্যামাউন্ট তারা কমাতে চায়নি। এ কারণে ইভ্যালির বোর্ড আদালতের কাছে আবেদন করে যেন অন্য কোনো অডিট ফার্মকে দিয়ে ইভ্যালির অডিট করানো যায়। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আজ আদেশ দিয়েছেন দেশের যেকোনো স্বনামধন্য অডিট ফার্মকে দিয়ে ইভ্যালির বোর্ড তাদের সম্পত্তির অডিট করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির প্রতারণার মামলা: তাহসান খানের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
এর আগে গত বছরের ১৮ অক্টোবর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন-স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় গঠিত বোর্ড কী ধরনের কাজ করবে-সে বিষয়ে নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন, লিখিত আদেশ পাওয়ার পরপরই তারা বোর্ড মিটিংয়ে বসবেন। কোথায় কী আছে, সবকিছু বুঝে নেবেন। কোম্পানি যেভাবে চলে, সেভাবে প্রথমে বোর্ড মিটিং বসবে। তাদের (বোর্ড) দায়িত্ব হলো টাকাগুলো কোথায় আছে, কোথায় দায় আছে, তা দেখা। অডিট লাগবে, বোর্ড অন্য কাজগুলোও দেখবে। এরপর সবকিছু করার পর বোর্ড যদি দেখে কোম্পানিটি চলার যোগ্যতা নেই, তখন অবসায়নের জন্য প্রসিড (প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া) করবে। কোম্পানির অবসায়ন চেয়ে আবেদনকারী আবেদন করেছেন। তখন আবেদনকারীর সঙ্গে বোর্ডও বলবে, কোম্পানিটি অবসায়ন করতে হবে। আর যদি বলে চালানো সম্ভব, তাহলে কোম্পানিটি চলবে। এই আদেশেই বলা হয়, ইভ্যালিকে অডিট করবে কেপিএমজি নামে একটি কোম্পানি।
ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ করছে না-এমন অভিযোগে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় মামলা করার পরদিন বিকালে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে দু’জনই কারাগারে। এরই মধ্যে ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টের কোম্পানি আদালতে আবেদন করেন ইভ্যালির গ্রাহক ফরহাদ হোসেন। এতে ইভ্যালি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠনেরও আবেদন জানান। এ আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এ জন্য একটি নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এর ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত ইভ্যালির সব নথিপত্র ১১ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রেজিস্ট্রার ফর জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মকে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ইভ্যালির সব নথি হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়েছে। জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার এ নথি গত বছরের ১১ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় বোর্ড গঠনের আদেশ দেয়া হয়।
ইভ্যালির প্রতারণার মামলা: তাহসান খানের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
ইভ্যালির প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় হাইকোর্টে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন গায়ক- অভিনেতা তাহসান খান।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আগাম জামিনের আবেদন জানালে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। তাহাসান খান ই-ভ্যালির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
তার জামিন আবেদনের শুনানিকালে আদালত বলেন, সেলিব্রেটিদের দায়িত্ব অনেক বেশি। তাদের দেখে সাধারণ মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ইভ্যালিতে সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা গচ্চা গেছে। এ কারণে বিজ্ঞাপনের মডেল বা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হতে সেলিব্রিটিদের আরও সতর্ক হতে হবে।
আদালতে তাহসান খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মহিউদ্দিন দেওয়ান। এর আগে বুধবার এ মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন অভিনেতা-গায়ক তাহসান খান।
একই মামলায় হাইকোর্ট গত ১৩ ডিসেম্বর অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার হতে পারেন তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া
ইভ্যালির প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক গত ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় এই মামলাটি করেন। মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইভ্যালির শুভেচ্ছাদূত ছিলেন তাহসান খান। মিথিলা ছিলেন ইভ্যালির ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইলের শুভেচ্ছাদূত। আর শবনম ফারিয়া ছিলেন ইভ্যালির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা। তাদের উপস্থিতি এবং বিভিন্ন প্রমোশনাল কথাবার্তায় আস্থা রেখেই বিনিয়োগ করেন বলে দাবি করেন মামলার বাদী সাদ স্যাম রহমান। তারা প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করতে সহায়তা করেছে। আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ তিন লাখ ১৮ হাজার। যা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির প্রতারণা: আগাম জামিন চেয়ে আবেদন মিথিলা ও শবনম ফারিয়ার
ইভ্যালির প্রতারণা: মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন
চট্টগ্রামে ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
দেশের বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে প্রতারণার মামলা করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোছাম্মৎ শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার দুপুর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে মামলাটি করেন মো. ফারুক নামে এক ব্যবসায়ী। অভিযোগের বিষয়ে বাদী মো. ফারুক বলেন,ইভ্যালির বিজ্ঞাপন দেখে প্রভাবিত হয়ে আমি সাত লাখ ৩০ হাজার টাকার পণ্যের অর্ডার দিই। কিন্তু দীর্ঘসময়ে আমার কাছে কোনও পণ্য সরবরাহ করা হয়নি। পরে ইভ্যালির অফিস থেকে চেক দেয়া হয়। সে চেক ব্যাংকে ডিজঅনার হয়।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান ৩ দিনের রিমান্ডে
বাদী পক্ষের আহনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সালেহ উদ্দীন বলেন,চেক প্রতারণার অভিযোগে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী তথা প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালির এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একাধিক মামলা করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা। তাদের একাধিকবার রিমান্ডেও নেয়া হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: ফের রিমান্ডে ইভ্যালির সিইও
ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ইভ্যালির প্রতারণা: মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আট সপ্তাহ পর তারা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের জামিন বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
সোমবার সশরীরে হাজির হয়ে তারা আগাম জামিনের আবেদন জানালে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট এই আদেশ দেন।
আদালতে মিথিলার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক। এবং শবনম ফারিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা। জামিন শুনানি শুরুর আগে বিকেল ৩টার দিকে তারা আদালতে হাজির হন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির প্রতারণা: আগাম জামিন চেয়ে আবেদন মিথিলা ও শবনম ফারিয়ার
উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগের ব্যাপারে ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া জানান, মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, আসামিরা তার তিন লাখ ১৮ হাজার টাকা আত্মসাতে সাহায্য করেছে। তার টাকা তিনি এখনো উদ্ধার করতে পারেননি। তাই তিনি বাধ্য হয়ে মামলা করেছেন। এ মামলায় অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়া আগাম জামিন চেয়ে রবিবার হাইকোর্টে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার হতে পারেন তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া
অনন্য মামুনের পরিচালনায় নিরব-মিথিলার চলচ্চিত্র ‘অমানুষ’-এর শুভমুক্তি ডিসেম্বরে
ইভ্যালির প্রতারণা: আগাম জামিন চেয়ে আবেদন মিথিলা ও শবনম ফারিয়ার
দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির হয়ে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়া।
মিথিলার পক্ষে আইনজীবী নিয়াজ মোর্শেদ এবং ফারিয়ার পক্ষে করেন আইনজীবী জেসমিন সুলতানা পৃথক আবেদন দুটি দাখিল করেন।
আগামীকাল সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও রাসেলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার আদালতে মামলা
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগের ব্যাপারে ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া জানান, মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, আসামিরা তার তিন লাখ ১৮ হাজার টাকা আত্মসাতে সাহায্য করেছে। তার টাকা তিনি এখনো উদ্ধার করতে পারেননি। তাই তিনি বাধ্য হয়ে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির গ্রাহকরা ৬ মাস পাওনার জন্য বোর্ডকে চাপ দিতে পারবেন না: হাইকোর্ট
ইভ্যালি পরিচালনায় বিচারপতি মানিককে প্রধান করে ৫ সদস্যের বোর্ড