জাপান
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে বক্তৃতা দিলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি মঙ্গলবার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে (এনডিসি) ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ২০২২-এর প্রধান অতিথি হিসেবে ‘সমসাময়িক জাপান: এর বৈদেশিক নীতি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন কৌশল’ বিষয় নিয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত নাওকি বিশেষ করে এশিয়ার চ্যালেঞ্জিং নিরাপত্তা পরিবেশ এবং জাপানের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতার কৌশল ব্যাখ্যা করেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
এ সময় তিনি নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার তাৎপর্যসহ বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জাপানের সম্পৃক্ততার ওপর জোর দেন।
এছাড়াও, রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে এই অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য একটি ‘ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক (এফওআইপি)’এর রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার সফর শেষ করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
এতে ১৭টি দেশের প্রায় ৯০টি কোর্সের সদস্য বক্তৃতায় অংশ নেন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং জাপান ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে জাপানের সমর্থন চায় বাংলাদেশ
বর্তমান পরিস্থিতি ও সমস্যার কথা তুলে ধরে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ অনুরোধ জানান।
জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি বাংলাদেশের প্রতি তার দেশের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মঙ্গলবারের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বর্তমানে জাপান সফর করছেন।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ সমসাময়িক আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সৌদি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করে: সৌদি রাষ্ট্রদূত
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেন, উত্তর কোরিয়া এবং ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ে জাপানের অবস্থানের রূপরেখা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
মোমেন বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় বাংলাদেশের অবদান, শান্তির সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন।
বৈঠকের শুরুতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সম্মানে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালন এবং সংসদে শোক প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি ঢাকায় জাপান দূতাবাসে শোক বইতে সই করায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, শিনজো আবে দীর্ঘদিন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং তার সময়ে ‘ব্যাপক অংশীদারিত্বে’ দুই দেশের একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বর্তমান সুসম্পর্ক বাড়াতে জাপানের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জাপানকে বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে মোমেন বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
মোমেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেলিমা আহমেদ এমপি ও জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি কর্মী নেবে মলদোভা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
রবিবার রাজধানীর গুলশানের বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাদের বৈঠক চলে।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬১ কোটি ৭০ লাখ ছাড়িয়েছে
বৈঠক শেষে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সমন্বয়ক আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের।
তিনি বলেন, বৈঠকে তারা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে বলেছি আমরা সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করেছি।’
উল্লেখ্য, গতরাতে রাজধানীর বনানীতে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালনকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ক্ষমতাসীন সরকার দলীয় কর্মীদের হামলায় আহত হওয়ার অভিযোগ করেছেন।
বিএনপির পররাষ্ট্র বিদেশ বিষয়ক কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল হামলায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর আগের দিন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় দুর্বৃত্তের হামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু ও তার স্ত্রীসহ চারজন আহত হন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ২ বিমানের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত
বন্যায় চীনে লোহার খনিতে ১৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১
কক্সবাজার সফর শেষ করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি কক্সবাজারে তার দু’দিনের সফর সম্পন্ন করেছেন। ১২-১৩ সেপ্টেম্বরের তার এই সফরটি ঠিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পঞ্চম বার্ষিকী এবং জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে (ডব্লিউএফপি) জাপানের ৮২ লাখ মার্কিন ডলারের অনুদানের পর অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি ইউনিসেফের লার্নিং ও মাল্টি-পারপাস সেন্টার, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক ও স্মৃতি কেন্দ্র এবং ডব্লিউএফপির একটি অ্যাগ্রেগেশন সেন্টার পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও, এফএও-ডব্লিউএফপি দ্বারা উদ্ভাবনী পুনরুদ্ধারের স্থানগুলো জাপান সরকারের অর্থায়নে ক্যাম্প ১১ এবং সম্প্রতি জাপানের অবদানের অধীনে চালু হওয়া ইউএনএইচসিআরের উখিয়া বিশেষায়িত হাসপাতালের অধীনে সবুজ পাইলট প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাপানের অর্থায়নে ৮১ হাজার পাঠ্যপুস্তক হস্তান্তর
কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাপানের অর্থায়নে ৮১ হাজার পাঠ্যপুস্তক হস্তান্তর
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে জাপান।
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ‘এই সংকটের স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা আমাদের জন্য একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য সহায়ক হবে।’
তিনি বলেন, কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য উন্নত জীবনযাপনের জন্য জাপান সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আরও সহযোগিতা করবে।
আরও পড়ুন:দশ বছর মেয়াদী ভিসা দিচ্ছে থাইল্যান্ড: কারা যোগ্য?
বর্তমানে কক্সবাজার ও ভাসানচর দ্বীপে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশে।
সোমবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে শিক্ষা কেন্দ্রে আয়োজিত পাঠ্যপুস্তক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেন নওকি।
অনুষ্ঠানে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াতের উপস্থিতিতে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েটের কাছে জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র প্রতিনিধি কমোরি তাকাশি মিয়ানমারের ভাষার ব্যাকরণ, গণিত, ইতিহাস, সাধারণ বিজ্ঞান এবং অন্যান্য বিষয়ের মোট ৮১ হাজার পাঠ্যপুস্তক হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার ঢাকায় জাপান দূতাবাস জানিয়েছে, জাপানের অর্থায়নে শেখার উপকরণগুলো মিয়ানমারের কারিকুলাম পাইলট বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার করা হবে, যা ২০২০ সালের জানুয়ারিতে অনুমোদিত হয়।
কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে দেড় বছরেরও বেশি সময় পর শিক্ষাকেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু হওয়ায় রাষ্ট্রদূত নাওকি আনন্দ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা আশা করি এই সহায়তা রোহিঙ্গা শিশুদের শেখার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে। আমি বিশ্বাস করি মিয়ানমারের ভাষা, ইতিহাস এবং সংস্কৃতি শেখা তাদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ যাতে তারা তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করার পরে সমাজের সাথে পুনরায় একীভূত হতে পারে।’
আরও পড়ুন:শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ না পেয়ে মোদি সরকারের সমালোচনায় মমতা
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, কম দামে রাশিয়ার তেল কেনার কথা ভাবছে ইন্দোনেশিয়া
জাপানে ছোট দোকানগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে বুদ্ধিমান রোবট
জাপানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানগুলোতে জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে পণ্য সাজিয়ে রাখার জন্য রোবট ব্যবহার করা হয়েছে।
টোকিও শহরে অবস্থিত ফ্যামিলিমার্ট দোকানের তাপানুকূল তাকগুলোর সামনে-পেছনে চলাচল করতে টিএক্স স্কারা নামের এক রোবটকে দেখা যায়।
রোবটটির মূল কাজ হচ্ছে জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে পানীয় তাকে সাজিয়ে রাখা। সহজভাবে বললে, একটি দোকানে কোন পানীয় বেশি চলছে তা সামনের দিকে রাখা। পাশাপাশি তাকের ফাঁকা স্থান পানীয় দিয়ে পুনরায় পূরণ করা।
টিএক্স স্কারার রয়েছে ক্লিপবিশিষ্ট বিশেষায়িত যান্ত্রিক হাত। সাজিয়ে রাখার বিষয়টি যথাযথ করতে রোবটটিতে ব্যবহার করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। একটি তাকের সামনে বা পাশের ফাঁকা যায় নড়াচড়া করে ক্যামেরার সাহায্যে রোবটটি পরখ করে নেয় কোন স্থানটি খালি এবং কোন পানীয় শেষের দিকে। এরপর যান্ত্রিক হাতের সাথে যুক্ত ক্লিপ ব্যবহার করে বোতল বা ক্যান ধরে ওই খালি স্থানে রেখে দেয়।
টিএক্স স্কারা জাপানের ‘কনবিনি’তে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কনবিনি হচ্ছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জলখাবার, পানীয় ও উপহার সামগ্রীর দোকান। যেগুলো মোটামুটি ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে, আছে তিন হাজার ধরনের পণ্য। তবে এসব দোকানে রয়েছে তুলনামূলক কম কর্মচারী।
আরও পড়ুন: জাহাজ পরিষ্কার করবে রোবট!
রোবট কেন প্রয়োজন হতে পারে পানীয় অংশের জন্য তা দোকানগুলো ঘুরে দেখলেই সহজে বুঝতে পারবে যে কেউ। পানীয় অংশ পুরোটাই তাপানুকূল। ফলে একজন মানুষের পক্ষে বারবার সেখানে যেয়ে প্রয়োজনমাফিক পণ্য সাজিয়ে রাখা কষ্টকর। তাছাড়া দোকানের অর্থ পরিশোধের জায়গা থেকে তা বেশ দূরেই হয়ে থাকে। তাই সহজ সমাধান যান্ত্রিক কিছু। এই চরিত্রে টিএক্স বেশ ভালোই খাপ খাইয়ে নিচ্ছে।
তবে রোবটটির মূল্য কত হতে পারে তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। একটি রোবট দিনে এক হাজার বোতল ও ক্যান সাজিয়ে রাখতে পারে। টিএক্স স্কারার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টোকিও ভিত্তিক টেলেক্সিস্টেন্স জানিয়েছে, ফাঁকা স্থান পূরণ ও জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে সাজিয়ে রাখতে রোবটিতে যে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়েছে তার নাম গরডন।
টেলেক্সিস্টেন্সের প্রধান নির্বাহী জিন তোমিওকা বলেন, ‘আমরা মানুষের দ্বারা করা সমস্ত পুনরাবৃত্তিমূলক ও বিরক্তিকর কাজগুলোকে স্বয়ংক্রিয় করতে চাই। সেই দিকেই আমরা যাচ্ছি। আর সেটা করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে রোবট ব্যবহার করা।’
জাপানে ফ্যামিলিমার্ট দোকান রয়েছে ১৬ হাজারটি। যার মধ্যে ৩০০ দোকানে টিএক্স স্কারা রোবট রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের উৎসাহের মধ্যে কুমিল্লায় চলছে ‘রোবট তৈরি’ প্রশিক্ষণ
মঙ্গলগ্রহের জন্য রোবট তৈরিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অপার সম্ভাবনা
রোহিঙ্গা সংকট: তৃতীয় দেশে পুনর্বাসন বিবেচনা করছে জাপান
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য ‘তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের বিষয়টি বিবেচনা করা দরকার’।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের মাধ্যমে উদ্বাস্তুদের গ্রহণ করা একটি স্থায়ী সমাধান। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শরণার্থী সংকটের বোঝা ভাগ করে নেয়ার একটি উপায়।’
২০০৮ সালের ডিসেম্বরে জাপান এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে তৃতীয়-দেশে পুনর্বাসনের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে শরণার্থীদের গ্রহণ করার জন্য একটি পাইলট কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয়।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাসহ ৫৪টি পরিবার ও ২০০ জনকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, তারা ইউএনএইচসিআর-এর নির্দেশনায় জাপানে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের আরও সম্ভাবনা বিবেচনা করতে পারে।
নাওকি বলেন, জাপান, বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে একসঙ্গে মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য পরিবেশ তৈরি করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাহিদার প্রতি গভীর মনোযোগ দিয়ে সক্রিয়ভাবে মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যু আন্তর্জাতিক অগ্রাধিকারে থাকবে: ইইউ
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট: প্রত্যাবাসনের পথ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত নোয়েলিন হাইজার, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকার ইউএস দূতাবাসের আঞ্চলিক উদ্বাস্তু সমন্বয়কারী ম্যাকেঞ্জি রো এবং ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বক্তব্য দেন।
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের মৌলিক সমাধান হচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে জাপান বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত থাকবে। আমরা দ্বিপাক্ষিক সংলাপের মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। আমি দ্রুত প্রত্যাবাসনের জরুরি প্রয়োজন দেখছি।
মিয়ানমারের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয় যে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ গত পাঁচ বছরে মানবিক অবস্থান দেখিয়েছে এবং উদারভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, জাপান অব্যাহতভাবে বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গাদের প্রতি সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে বিভিন্ন দেশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
রোহিঙ্গাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জাপানের প্রধানমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জনসংযোগ বিষয়ক মন্ত্রিপরিষদ সচিব নোরিয়ুকি শিকাতা বলেছেন, শনিবার রাতে কিশিদার সামান্য জ্বর ও কাশি দেখা দেয়। এরপর করোনাভাইরাসের জন্য পিসিআর টেস্ট করা হলে পজিটিভ ধরা পড়ে।
রবিবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিশিদা তার বাসভবনের আইসোলেশনে রয়েছেন।’
৬৫ বছর বয়সী কিশিদা গত সপ্তাহে গ্রীষ্মের ছুটিতে ছিলেন এবং সোমবার কাজে ফেরার কথা ছিল। কোথায় বা কীভাবে তিনি সংক্রমিত হয়েছেন তা স্পষ্ট নয়।
এই মাসের শেষের দিকে তিউনিসিয়ায় আফ্রিকান উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে অংশ নেয়ার কথা ছিল কিশিদার। এখন তিনি ভার্চুয়ালি সেই সম্মেলনে অংশ নেবেন। কিশিদা তার মধ্যপ্রাচ্য সফরও স্থগিত করেছেন।
জাপানে সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। যদিও দেশটির বেশিরভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অন্যান্য বিশ্ব নেতারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সুস্থ হয়েছেন।
পড়ুন: গাড়ি বোমা হামলায় ‘পুতিনের মস্তিষ্ক’ খ্যাত দুগিনের মেয়ের মৃত্যু
তুরস্কে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৫
প্রথমবার জাপান থেকে ১২৮০টি গাড়ি নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ
প্রথমবারের মতো জাপান থেকে আমদানি করা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি নিয়ে একটি জাহাজ দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলায় ভিড়েছে। মালয়েশিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এমভি মালয়েশিয়ান স্টার নামে ওই জাহাজটি রবিবার সকালে বন্দরের ৬ নম্বর জেটিতে নোঙর করে। জাহাজটিতে আমদানি করা একহাজার ২৮০টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি রয়েছে। জাপান থেকে একসঙ্গে এতসংখ্যক গাড়ি মোংলা বন্দরে আসার প্রথম রের্কড।
পদ্মা সেতু চালুর পর এই প্রথম জাপান থেকে সরাসরি এতসংখ্যক গাড়ি নিয়ে কোন জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন জানান, জাপান থেকে রিকন্ডিশন্ড একহাজার ২৮০টি গাড়ি নিয়ে এমভি মালয়েশিয়ান স্টার নামে জাহাজটি সরাসরি মোংলা বন্দরে আসে। এর আগে জাপান থেকে আমদানি করা গাড়ি নিয়ে জাহাজগুলো প্রথমে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তো। সেখানে কিছু সংখ্যক গাড়ি খালাস করার পরে ওই জাহাজ অবশিষ্ট গাড়ি খালাস করতে মোংলা বন্দরে আসতো। সে সময়ে জাহাজগুলোতে ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ গাড়ি আমদানি করা হয়েছে। কিন্তু স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় খরচ এবং কম দুরত্বের কারণে আমাদানিকারকরা জাপান থেকে সরাসরি মোংলা বন্দরের মাধ্যমে গাড়ি আমদানি করছেন।
জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে মোংলা বন্দরের দুরত্ব কম। খরচ এবং সময় বিবেচনায় নিয়ে ব্যবসায়ীরা মোংলা বন্দর ব্যবহারে বেশি আগ্রহী। রপ্তানিকারকদের পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের নজর এখন মোংলা বন্দরের দিকে। এছাড়া সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরকে পিছনে ফেলে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে মোংলা বন্দর রেকর্ড গড়েছে। এখন বিদেশ থেকে গাড়ির চালান নিয়ে জাহাজ সরাসরি মোংলা বন্দরে আসছে। মোংলা বন্দর থেকে আমদানি করা গাড়ি খালাস করে অল্প সময়ের মধ্যে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকায় পৌঁছে যাবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দরের সুবিধা নিতে পারে নেপাল: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নির্মাণসামগ্রী নিয়ে মোংলায় ভিড়েছে প্রথম জাহাজ
জাপানে নারীরা অবমূল্যায়িত: জাপানি মন্ত্রী
জাপানের পুরুষ শাসিত পার্লামেন্টের উদাসীনতা ও অবজ্ঞার কারণে শিশুর জন্মহার কমেছে যা জনসংখ্যা কমিয়ে জাতীয় দুর্যোগ তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির শিশু ও লিংঙ্গ সমতা বিষয়ক মন্ত্রী।
সংবাদ সংস্থা এপিকে দেয়া দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকারে শিশু ও লিংঙ্গ সমতা বিষয়ক মন্ত্রী সিইকো নোডা জাপানে শিশুর জন্মহার কমে যাওয়াকে অস্তিত্বের ঝুঁকি উল্লেখ করে বলেন, এভাবে চলতে থাকলে পরবর্তী দশকে দেশের পর্যাপ্ত সৈন্য বা পুলিশ কিংবা দমকল বাহিনীতে লোক থাকবে না।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শিশুর জন্মহার ২৭ লাখ থেকে কমে গত বছর হয়েছে মাত্র আট লাখ দশ হাজার।
রাজধানী টোকিও’র ডাউনটাউনের মন্ত্রণালয়ের সরকারি ভবনে এপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ৬১ বছর বয়সী নোডা বলেন, ‘জনগণ শিশুদের জাতীয় সম্পদ মনে করে। লিঙ্গ সমতায় নারীরা গুরুত্বপূর্ণ। জাপানের রাজনীতি কখনো পরিবর্তন হবে না যতক্ষণ না ( নারী ও শিশুদের সমস্যা )তুলে ধরা হয়।’
তিনি বলেন, শিশুর জন্মহার হ্রাসের অনেকগুলো কারণ আছে, ক্রমাগত লিঙ্গ বৈষম্য জাপানের জনসংখ্যা ধ্বংস করছে। কিন্ত সংসদে থেকে আমি বিশেষভাবে অবজ্ঞা ও উদাসীনতা অনুভব করছি।’
জাপান পৃথিবীর বৃহৎ অর্থনীতির শক্তিশালী গণতন্ত্রের দেশ হলেও গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে নিম্নজন্মহারের কারণে।
এখানে নারী ও পুরুষের দুরত্ব বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম ২০২২ এর এক জরিপে দেখা যায়, ১৪৬ রাষ্ট্রের মধ্যে জাপানের অবস্থান ১১৬তম। জরিপের বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল আর্থিক সমতা, রাজনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারীর সুবিধা।
নোডা বলেন, জাপানে নারীরা বিভিন্নভাবে উদাসীনতার শিকার হন, ২০ জনের মন্ত্রিপরিষদে মাত্র দুই জন নারী। আমি চাই নারীরা পুরুষের সাথে সমানতালে আগাবে। কিন্তু আমরা তা এখনো দেখিনি এবং ভবিষ্যৎ অগ্রগতির জন্য নারীদের অপেক্ষা করতে হবে।
পড়ুন: ধর্ষণের বিচারকালে নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না
কঙ্গোতে জাতিসংঘবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৫, আহত ৫০