আওয়ামী লীগ
দেশের রাজনীতিতে বিএনপি ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া: কাদের
দেশের রাজনীতিতে বিএনপি ‘ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনীতিতে বিএনপি হচ্ছে ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া। এই বিষফোঁড়া যতদিন আছে ততদিন হত্যা, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, যত প্রকার অশান্তি, অস্থিরতা, সবকিছু থাকবে। কারণ এসবের মূলহোতা বিএনপি।’
শনিবার রাজধানীর বনানীতে জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে তাকে শ্রদ্ধার জানানোর পর তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি বন্ধুদের সমর্থন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে জাতীয় যত রক্তাক্ত ট্রাজেডি তার মূলে রয়েছে জিয়া পরিবার। পঁচাত্তর তাদেরই সৃষ্টি। এর মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমান। ৩ নভেম্বরের হোতাও তিনি। একুশে আগস্টের মাস্টার মাইন্ড তার ছেলে তারেক রহমান। মূলত এই পরিবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে।
বিএনপি দেশে আবারও সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে। তারা নির্বাচন নয়, পেছনের দরজা দিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চোরাগলি পথে ক্ষমতায় যেতে চক্রান্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: খেলা হবে তারেক ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল বলছেন আওয়ামী লীগকে গুগলি মেরে বোল্ড আউট করে ফেলেছে। গুগলি তো করেছেন, বলতো নো বল। নো বলে গুগলিও হবে না, বোল্ড আউটও হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ শহীদ শেখ কামালে জন্মদিন। মানুষের জন্মদিন কতই আনন্দের, কিন্তু আমাদের জীবনে আজ শোকের বার্তা বয়ে যাচ্ছে।
আ. লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটি অনুমোদন
আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে এই কমিটির অনুমোদন দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদকে। সদস্য সচিব হিসেবে আছেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান।
উপকমিটিতে ৮৬ জন সদস্য রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৭ বছর পর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের গণসমাবেশ: পোলো গ্রাউন্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: আওয়ামী লীগের রিফাত মেয়র নির্বাচিত
আ. লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যেমন মাথাচাড়া দেবে, জঙ্গিবাদও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে কলকাতা প্রেসক্লাবে 'সাংবাদিকদের মুখোমুখি' অনুষ্ঠানে ভারতীয় সাংবাদিকদের উন্মুক্ত প্রশ্নের জবাব দেন ভারত সফররত মন্ত্রী হাছান।
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে এখানে সাম্প্রদায়িকতা ফণা তুলবে কি না -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন একসঙ্গে বাংলাদেশে ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছিল। শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, আফগানিস্তানের ট্রেনিং প্রাপ্তরা প্রকাশ্যে মহড়া দিতো। এই হচ্ছে বিএনপি সরকারের আমল।'
তিনি বলেন, 'যখন আমরা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করি তখন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া প্রকাশ্যে বলছেন, 'কিছু লোককে ধরে এনে আটকিয়ে রাখা হয়, চুল-দাড়ি লম্বা হলে তাদের জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হয়'। বাংলাদেশে যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকে তাহলে সেই সাম্প্রদায়িকতা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা আবার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে।'
নিজদলের আদর্শ তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশ হিসেবে সংগ্রাম করেছে এবং অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে যে দলটি প্রতিষ্ঠিত, সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, '১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর সেই সাম্প্রদায়িকতাকে আবার ফিরিয়ে এনেছেন। আমাদের দেশে স্বাধীনতার পর ধর্মীয় রাজনীতিটা বন্ধ করা হয়েছিলো, সেটি '৭৫ সালে আবার চালু করা হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপির বহুদলীয় জোটের মধ্যেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আছে। সেখানে অনেক দল আছে যে দলের নেতারা তালেবানের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। এ সমস্ত অনেক নেতা প্রকাশ্যে 'বাংলা হবে তালেবান' স্লোগান দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না -এ প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, 'বিএনপি গণমানুষের দল বলে তারা দাবি করে। কিন্তু সিটি করপোরেশন এমন কি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তাদের দলের সবাইকে অংশ নিতে বারণ করেছে। এ সত্ত্বেও তাদের অনেকেই কাউন্সিলর, মেম্বার এমন কি চেয়ারম্যান পদেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।'
তিনি বলেন, 'বিএনপি নেতাদের বেশিরভাগই নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু তাদের নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত দিতে পারে না বিধায় তারা পারে না। যারা নিজেদের জনগণের দল হিসেবে দাবি করে বা গণমানুষের দল হিসেবে টিকে থাকতে চায় তাদের জন্য ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করা অত্যন্ত ক্ষতির কারণ। আগামী নির্বাচনও যদি তারা বর্জন করে তাহলে সেই ক্ষতি তারা আরও টের পাবে।'
রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ে প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি চট্টগ্রামের মানুষ, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বহুবার গিয়েছি, আমার হিসেবে এখন প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশ। আমাদের দেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, কোনো রকমে আমরা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমাদের জন্য একটা চাপ, অর্থনীতির চাপ। তাদের খাওয়াতে হচ্ছে, পরাতে হচ্ছে, চিকিৎসাসহ সবকিছু দিতে হচ্ছে। এ জন্য ভারত সরকারের সঙ্গে আমরা সবসময় আলাপ আলোচনা করছি।'
বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতার প্রশ্নে বাংলাদেশের সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে ভারতের এবং অন্যান্য দেশের আন্তরিক সহযোগিতা আছে। আমাদের শুধু বাণিজ্যে সহযোগিতা নয়, নিরাপত্তা থেকে শুরু করে নানাবিধ সহযোগিতা আছে। আমরা মনে করি আমাদের অঞ্চলকে নিরাপদ রাখা, এখানে শান্তি, স্থিতি বজায় রাখা আমাদের আন্তরিক দায়িত্ব। একইসঙ্গে ভারতেরও দায়িত্ব। অর্থাৎ এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজন আমাদের দু’দেশের সহযোগিতা।
ইদানিং মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশে কূটনীতিকদের বিবৃতি দিতে দেখা যাচ্ছে -মন্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতে কিংবা পশ্চিমা দেশেও কথায় কথায় কেউ বিবৃতি দেয় না। কারণ তাতে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন হয়। আমাদের এখানে এ ধরনের বিবৃতির কড়া ভাষায় প্রতিবাদ করা হয়েছে।
কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর, সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ এ আয়োজনে অংশ নেন। কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক অপরাধ থেকে সমাজ রক্ষায় কাজ করুন: তথ্যমন্ত্রী
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন, ইইউ-মার্কিন সফর ইতিবাচক: তথ্যমন্ত্রী
আ. লীগের অভ্যন্তরীণ মতবিনিময় সভা আজ
আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এতে সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়।
আরও পড়ুন: যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ ২৭ জুলাই
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
আবারও দরকার শেখ হাসিনার সরকার: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আবারও দরকার শেখ হাসিনার সরকার।
শনিবার (২২ জুলাই) বিকালে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে জিলা স্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মিথ্যাচার করবেন না ফখরুল সাহেব। আজ নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের জেলা সমাবেশ হচ্ছে; বিভাগীয় সমাবেশ নয়। আমি দেখতে পারছি মাঠের কানায় কানায় লোকে লোকারণ্য।
তিনি বলেন, তারেক রহমান ১৬ বছর পর রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন। এখন শুনি তিনি নাকি শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাবেন।
আরও পড়ুন: সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘টাকার কোনো সমস্যা হবে না, টাকা হলে আন্দোলন করা যায় এ কথা আপনি কিভাবে বলেন তারেক রহমান? আপনি এদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন। শেখ হাসিনা সরকার বিদেশ থেকে ৪০ কোটি টাকা উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। সে সব কথা সারা দুনিয়ার মানুষ জানে। কোথা থেকে এত টাকা এলো তারেক রহমান?’
কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের মুখ শুকিয়ে গেছে এখন আর তাদের আন্দোলন হয় না। আবার বলে রোজার পরে আবার বলে কোরবানির পরে, আবার বলে পরীক্ষার পরে এভাবে ১৪ বছরে ও আন্দোলন হয় না।’
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানকে বাংলাদেশের মানুষ চেনে। তার নেতৃত্বে আন্দোলন কি মানুষ করবে?’
মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের আরও ৪ মাস বাকি। দিকে দিকে একি শুনি নৌকা মার্কার জয় ধ্বনি, খেলা হবে হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে। মির্জা ফখরুলের মিথ্যাচারের পতন ঘটবে।’
নৌকা নিয়ে সকল নেতা কর্মীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ, ভালো ব্যবহার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিদেশিরা আসে-যায় বিএনপির আশা পূরণ হয় না: কাদের
বিএনপির বিজয় মিছিল নয়, পরাজয়ের মিছিল: কাদের
বিএনপির এক দফা দাবি হালে পানি পায়নি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি আশা করেছিল বিদেশি প্রতিনিধিরা এসে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের কথা বলবে, এটা কেউ বলেনি। কারো সঙ্গে কোনো আলাপে এই প্রসঙ্গটাই আসেনি।
তিনি বলেন, বিএনপির এক দফা হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকার গঠন। এটি বাংলাদেশে যেমন হালে পানি পায়নি, বিদেশিদের কারো সমর্থনও তারা পায়নি।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ইউজি ক্যাম্পাসে কম্পিউটার সায়েন্স-ব্রিজ প্রোগ্রামের সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুধু আলোচনায় এসেছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। এমনকি সবার অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, সেই কথাটাও আসেনি। অবশ্যই আমরা চাই বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, সবাইকে নিয়ে আমরা নির্বাচন করতে চাই। তবে সংবিধান অনুয়ায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সংসদ বিলুপ্তির দাবি সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির দুরভিসন্ধি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল গত বুধবার পল্টনে সমাবেশ করে একদফা ও বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে ৩১ দফা ঘোষণা প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত পরশুদিন বিএনপি ঘোষণা করেছিল ১ দফা, পরের দিন দেখলাম ৩১ দফা, আসলে বিএনপির কয় দফা এটা নিয়েই অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে। বিএনপির যে এক দফা, এটাও ওনারা কিছুদিন পরপর, বছরান্তেই একদফা আন্দোলন বলে। ২০১৩ সাল থেকেই একদফার আন্দোলন শুনে আসছি। এটি হচ্ছে সাপের খোলস বদলানো এবং একই ঢোল বারবার বাজানোর মতো। সাপ যেমন ক’দিন পরপর খোলস বদলায়, বিএনপিও সাপের খোলস বদলানোর মতো বছরান্তে একদফার কথা বলে, এতে নতুনত্বের কিছু নেই।
তিনি বলেন, নতুনত্ব যেটি আছে, সেটি হচ্ছে তারা উম্মুখ হয়ে বসেছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা যখন আসবে তখন তারা তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিদেশিদের দেখানোর উদ্দেশ্য ছিল তারা কত বড় সমাবেশ করতে পারে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নয়াপল্টনের সামনে পুরো রাস্তাজুড়ে বড়জোর ৩০ হাজার মানুষ ধরে। সেখানে না হয় আরও ১০ হাজার আমি যোগ করলাম। এর চেয়ে তো বেশি মানুষ হয়নি সেখানে। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১২ ঘণ্টার নোটিশে তিনটা রাস্তাজুড়ে আমরা লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ করেছি। সবাই দেখেছে কতবড় সমাবেশ আওয়ামী লীগ করার ক্ষমতা রাখে।
সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সরকার সংলাপের উদ্যোগ নেবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংলাপ নিশ্চয়ই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে হতে পারে। সুতরাং নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যদি কোনো কথাবার্তা বলতে হয় সেটি ইসির সঙ্গে বলতে হবে। তারা ইসির কাছে যেতে পারে, তাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারে। ইসি যদি আমাদের ডাকে আমরাও যাব।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের প্রতিষ্ঠতা ড. কামাল এখানে আন্তর্জাতিক মানের মেডিকেল স্কুল ও হাসপাতাল গড়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, এজন্য আপনাদের আরও কিছু জায়গার প্রয়োজন। আমি এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি, আপনারাও আপনাদের পক্ষ থেকে প্রক্রিয়া চালিয়ে যান। চট্টগ্রামে একটি আন্তর্জাতিক মানের মেডিকেল স্কুল ও হাসপাতাল গড়ে উঠলে এখানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি চট্টগ্রামের রোগীরাও আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা পাবে।
অনুষ্ঠানে উপউপাচার্য ডেভিড টেলর, কম্পিউটার সায়েন্স ব্রিজ প্রোগাম-এর পরিচালক অধ্যক্ষ শামস ফররুখ আহমেদ ও অনলাইনে ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. রুবানা হক ও প্রফেসর শাহাদাত হোসেন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান শেষে কোর্সের শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: অতীতের নৈরাজ্যের জন্য বিএনপি দায়ী: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির ‘এক দফা’ কোনো গুরুত্ববহন করে না: তথ্যমন্ত্রী
দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গণতন্ত্র বজায় রাখতে হবে: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা চায়।
তিনি বলেন, আমরা চাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকুক। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলমান থাকায় আমরা দেশের উন্নয়ন করতে পেরেছি এবং উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি।’
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য নতুন অফিস উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ধারা দীর্ঘ সংগ্রামের ফল এবং সকলকে মনে রাখতে হবে এটা রাতারাতি ঘটেনি।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়নের পথে বারবার বাধার মুখে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর এখন পর্যন্ত আমরা সরকারে রয়েছি। আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে পেরেছি। এর ফলে পুরো দেশ বদলে গেছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে একটি স্থিতিশীল গণতন্ত্র বিরাজ করায় বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন করেছে।
অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে নিজেদের স্বতন্ত্রতা বজায় রেখে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ ঘটান: প্রধানমন্ত্রী
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অফিসের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নতুন অফিস কম্পাউন্ডে স্থানান্তর করা হবে।
এছাড়া আগামী অক্টোবরের মধ্যে সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, কর্ম ও সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের একটি আর্কাইভ নির্মাণ করা হবে বলেও জানান স্পিকার।
এর আগে বিকালে ফিতা কেটে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের নবনির্মিত কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে স্পিকার, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ ও হুইপ, সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন।
নতুন কার্যালয় প্রাঙ্গণে পৌঁছালে স্পিকার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রমাণ দিয়েছে: ৫ সিটি মেয়রের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমার লক্ষ্য: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী, কোনো বর্হিশক্তির পরামর্শে নয়।
তিনি বলেন, আমরা কারো ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা এসব বিবেচনা করে নির্বাচনে যাচ্ছি না। আমাদের নজর সংবিধানের দিকে, দেশের জনগণের দিকে।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর স্বামীবাগে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব উপলক্ষে ইসকন স্বামীবাগ আশ্রমে আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় ভারতকে সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। এরসঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। আজকে বিশ্বে অনেক বিষয় যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি ও জ্বালানি সংকট। এখানে বাংলাদেশ বিষয়ে কোনো কথা হবে কিনা এটা নিয়েতো ভারতের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়নি। কিংবা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমরা কোনো প্রস্তাব পাঠাইনি বাইডেনকে বোঝানোর জন্য।
বাংলাদেশের কোন নির্বাচন নিয়ে ভারত কোন প্রশ্ন বা হস্তক্ষেপ করেছে- এমন জানা নেই বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: বিদেশি শক্তি বন্ধু হতে পারে কিন্তু নির্বাচনে জয়ী করতে পারে না: কাদের
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিছু কিছু দেশ আছে যাদের নিজেদের গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত নয়, প্রশ্ন আছে- তারা কি গণতন্ত্র শেখাবে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে কোনো কোনো মহল আছে, তাদের কাছে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের অর্থ যখন আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে। আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে নির্বাচন সুষ্ঠু; এটা হচ্ছে বিএনপি সহ কিছু দলের মনোবাসনা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সনাতন ধর্মালম্বীদের শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে দুঃসময়ে, দুঃখ, কষ্টে ও দুর্যোগে আওয়ামী লীগ সনাতন ধর্মালম্বীদের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।
এসময় ওবায়দুল কাদের সনাতন ধর্মালম্বীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের নিজেদের কখনো সংখ্যালঘু মনে করা উচিত না। অন্যান্য ধর্মের মতো আপনারাও দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক।
আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জি, বাংলাদেশে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মনিন্দ্র কুমার নাথ।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী।
পরে এক বর্ণাঢ্য রথযাত্রা বের করা হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় বাংলাদেশ, আমাদের নিজস্ব নীতিও থাকতে পারে : ওবায়দুল কাদের
বিএনপির অনেক নেতা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
প্রশাসনের সকল দপ্তর এখন আওয়ামী লীগের দপ্তর: বিএনপি
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার বলেছেন, ২০১৪ সালে বিনা ভোটে, ২০২৮ সালে রাতের অন্ধকারে আর এবার নতুন যাদুর বাক্স ইভিএম দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য প্রশাসনের সকল দপ্তরকে আওয়ামী লীগের দপ্তর বানিয়ে দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় বিএনপির ৪০ নেতাকর্মীর বিচার শুরু
রবিবার (১৮ জুন) দুপুরে নগরের সদর রোডের দলীয় কার্যালয়ে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি, সিমাহীন দুর্নীতি, শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বরিশাল বিভাগীয় শ্রমিক সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ভালো করেই জেনে গিয়েছিলো দেশনেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাহিরে থাকলে তার অবৈধ ক্ষমতার চেয়ার টিকবে না। তাই মিথ্যে মামলা দিয়ে তাকে বন্দি করে রেখেছে।
তিনি বলেন, অবৈধ সরকার আমাদের বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। আমরা শুধু উন্নয়ন চাই না, উন্নয়নের সঙ্গে দেশে আইনের ন্যায়বিচারসহ গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার চাই।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সরকার সাধারণ মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে শুধু উন্নয়ন দেখায়, যার ফলে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম পাগলা ঘোড়ার মত ঊর্ধ্বগতিতে দৌড়াচ্ছে। এসময় সরোয়ার শ্রমিকদলের বিভাগীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন ও সফল করার জন্য আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ফের প্রধানমন্ত্রীকে ‘হত্যার হুমকি’: সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতার স্লোগানের ভিডিওতে আ.লীগের নিন্দা
বিএনপি মাঠে নেমেছে, অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরবে : মির্জা ফখরুল
চাঁদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবলীগ কর্মী নিহত
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবলীগ কর্মী মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও চারজন।
শনিবার বিকাল প্রায় সাড়ে ৩টার দিকে মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর চরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোবারক হোসেন বাবু (৪৮) মোহনপুর ইউনিয়নের যুবলীগ কর্মী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার অনুসারী বলে স্থানীয়রা জানায়।
আহতদের মধ্যে জহির (২০) ও ইমনকে (১৮) গুলিবিদ্ব অবস্থায় মতলব উত্তর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকায় রেফার করা হয় বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৫
নিহত বাবুর ভাই আমির হোসেন কালু জানান যে মায়া চৌধুরীর নিদের্শে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে আসার সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তার ভাই বাবু গুলিবিদ্ব হয়ে মারা যায়।
বিষয়টি মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় মুসা নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে মিজান গ্রুপের অনুসারী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ২ মামলা
স্থানীয়রা জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পক্ষ দু’টি হচ্ছে- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া গ্রুপ এবং মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজান গ্রুপ।
ওসি মহিউদ্দিন বলেন, হাসপাতালে নেওয়া হলে এক যুবক মারা যায়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে ৩ কমিটি