হত্যা
রাফসান হত্যার নেপথ্যে কিছু আছে কিনা তদন্ত করতে হবে: কাজী জাফরুল্লাহ
ফরিদপুরের শিশু পুত্র রাফসান হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অন্য কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও সাবেক এমপি কাজী জাফরুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে তিনটায় নিহত রাফসানের জানাযায় অংশ নিতে সদরপুরে এসে নিহতের বাড়িতে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, ঢেউখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানকে হত্যা করতে এসেই তার শিশু পুত্র রাফসানকে হত্যা করা হয়েছে। ফরিদপুরের পুলিশ সুপারকে আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে অনুরোধ জানিয়েছি। নিহত রাফসানের বাবা মিজানুর রহমান ঘটনার পর এ ব্যাপারে কিছু থাকতে পারে বলে তাকে জানিয়েছে বলেও জানান কাজী জাফরুল্লাহ।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত রাফসানের লাশ তাদের সদরপুরের উপজেলা সদরে নানা বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এসময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। বিকেলে সদরপুর স্টেডিয়াম মাঠে জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: হোসেনপুরে নসিমন চাপায় শিশুর মৃত্যু
জানা যায়, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী জাফরুল্লাহ, স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী, জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, সদরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল সিদ্দিকী, সদরপুর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট শাহেদীদ গামাল লিপুসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও মুসুল্লিরা অংশ নেন।
জানাযা শেষে সেখানে উপস্থিত স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী বলেন, এ ঘটনার নেপথ্যে অন্য কিছু রয়েছে কিনা সেটি অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেলে বাড়িতে ঢুকে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় শিশু রাফসানকে হত্যা করে এরশাদ মোল্যা নামে এক যুবক। তাকে বাঁচাতে এসে হামলাকারীর অস্ত্রের আঘাতে আহত হন রাফসানের মা দিলজাহান রত্না। পরে সন্ধায় হত্যাকারী যুবক নিজেও টাওয়ার থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যায়। অভিযুক্ত এরশাদ মোল্যা ঢেউখালি ইউনিয়নের সানু মোল্যার ছেলে। একটি সালিশের জের ধরে সে এ হামলা চালায় বলে জানা যায়। এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।
এদিকে, শিশু রাফসানকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঢেউখালি ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের দুই ছেলের মধ্যে রাফসান ছোট ছিলো। সে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় প্রবাসীর স্ত্রী ও অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার
শিশু ধর্ষণের অভিযোগে সিরাজগঞ্জে রিকশাচালক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে হাতি হত্যার দায়ে বাবা-ছেলে কারাগারে
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বন্যহাতি হত্যা মামলায় বাবা ও ছেলেকে কারাগারে পঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে আত্মসর্মণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।তারা হলেন- রাঙ্গুনিয়ার উপজেলার মোহাম্মদ আবুল হাসেম ও সাহাব উদ্দিন।বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও দক্ষিণ) সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর দক্ষিণ বন বিভাগের রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জের নারিশ্চা বিটে আসামিদের অবৈধভাবে স্থাপনকৃত বৈদ্যুতিক লাইনের বেড়ার সংস্পর্শে এসে একটি বন্যহাতিকে হত্যা করা হয়েছে। সে সময় বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে বন বিভাগের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করা হয়। বৃহস্পতিবার তারা আদালতে আত্মসর্মণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।উল্লেখ্য- এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর হাতি হত্যা মামলায় বাঁশখালী উপজেলার দুইজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। তারাও সম্পর্কে বাবা-ছেলে ছিল। হাতি হত্যার অভিযোগে বাঁশখালীর পর এবার রাঙ্গুনিয়ায় দুইজনকে কারাগারে পাঠানো হলো।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বন্য হাতির আক্রমণে মানসিক প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
রাঙ্গুনিয়ায় বিলের কাদায় আটকে পড়া হাতি ৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার
পদ্মা সেতু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সরাসরি বেগম জিয়াকে ‘হত্যার হুমকি’র শামিল: ফখরুল
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পদ্মা সেতুর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আমি বিস্মিত হয়েছি। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে যিনি রয়েছেন, তিনি যেভাবেই ক্ষমতায় আসুক না কেন, এ ধরনের উক্তি করতে পারেন না। বেগম খালেদা জিয়া একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তাকে সরাসরি হত্যার হুমকির সামিল।
মির্জা ফখরুল ১৯ মে, বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের আয়োজনে এক সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দেয়া, এটা কখনও একটা স্বাভাবিক ব্যাপার হতে পারে না। আমি বিস্মিত হয়েছি এবং ক্ষুব্ধ হয়েছি এবং প্রচণ্ড নিন্দা জানাই। এরকম অরাজনৈতিক, অশালীন বক্তব্য আমরা কেউ কখনও আশা করতে পারি না। কিন্তু উনার স্বভাবই এটা। উনি এভাবেই কথা বলেন এবং এভাবেই তিনি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে অশালীন ভাষায় কথা বলেন, আচরণ করেন। এটা রাজনৈতিক কোন শিষ্টাচারের মধ্যে পরে না। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, এ ধরনের একটি নেতৃত্ব জাতি আজকে সহ্য করছে।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক মন্দা এড়াতে ব্যয়বহুল মেগাপ্রকল্প বাদ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান বিএনপির
বিএনপি নেতা বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ইদানিং যে সকল কথাবার্তা বলে বেড়াচ্ছেন, এটা পুরোপুরিভাবে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভুত, স্বাধীনতা সবকিছুর বাইরে, ভদ্রতার বাইরে কথাবার্তা বলছেন। এই কথাটা বলার অর্থই হচ্ছে একটি হুমকি দেয়ার মত। এটা কল্পনাও করা যায় না। এটা আমরা যারা সুস্থ চিন্তা ভাবনা করি তারা কখনও করতে পারি না। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ ধরনের বক্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি, অন্যথায় আইনের কোন বিষয় থাকলে আমরা তা খতিয়ে দেখবো।
বিদেশিদের নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন- এমন অভিযোগের ব্যাপারে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা তাদের পুরাতন স্বভাব, এটা উনারা সবসময় করে থাকেন। গত দুই নির্বাচন তারা বাক্স লুট করে নিয়ে গেছে। সব সময় জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে করা হয়। জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন না ঘটিয়ে এটা তারা করেছিল। সবসময় আ’লীগ মানুষের ওপর দোষ চাপায়। বরং তারাই বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। আমেরিকা গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাহায্য চেয়েছেন। নির্বাচনে আমাদের সহায়তা করবেন। আমরা বিদেশিদের কাছে এ ধরনের কাজ করিনি, করিওনা। ১/১১ তে তারাই সামরিক সরকার এনেছিল। সেখানেও তারাই ছিল। সেই সরকারকে তিনি সব রকম বৈধতা দিয়েছিলেন। তিনি করেছেনও তাই। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি আ’লীগ সরকারকে।
নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আগামী নির্বাচনে কোন প্রস্তুতি নিচ্ছি না, তবে নির্বাচন কিভাবে হবে সেটা ভাবছি। আমাদের কথা খুব পরিষ্কার যে, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তার পরে নতুনভাবে গঠিত নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার পরিবেশ করতে হবে। সরকারকে জনগণের দাবি মানতে বাধ্য করবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবু নূর, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মো. আব্দুল জব্বার, পৌর শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েসসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠের নেতারা।
আরও পড়ুন: নতুন ফসল উঠলেও ভুল নীতির কারণে চালের দাম বাড়ছে: বিএনপি
বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী হবেন খালেদা জিয়া: মোশাররফ
ছোট ভাইকে হত্যার দায়ে বড় ভাইয়ের ৭ বছরের কারাদণ্ড
নাটোরে ছোট ভাই জনি শেখকে হত্যার দায়ে বড় ভাইকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ মো. শরীফ উদ্দীন এ আদেশ দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম জাহাঙ্গীর শেখ।
সরকারি কৌসুলী সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০১৭ সালের ৭ জানুয়ারি বিকালে নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকায় কুকুরের বাচ্চা নিয়ে দুই ভাইয়ের বিবাদে বড় ভাই জাহাঙ্গীর শেখের পিটুনিতে নিহত হয় ছোট ভাই জনি শেখ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পলি বেগম বাদি হয়ে মামলা করলে প্রয়োজনিয় আইনগত প্রক্রিয়া ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক এ দণ্ড প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অস্ত্র আইনে তিন ছিনতাইকারীর ১৭ বছর কারাদণ্ড
কুড়িগ্রামে হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঝালকাঠিতে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
ঝালকাঠির রাজাপুরে মেহেদী হাসান মনিব শুভ নামে এক যুবককে হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। বুধবার বিকাল ৩টায় বরিশাল বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহামুদুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হল- জসীম খান, হেলাল ফকির, ফয়সাল ফকির ও বেলাল ফকির। তারা সকলে রাজাপুরের বড়ইয়া এলাকার বাসিন্দা।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের স্পেশাল পিপি মামুন চৌধুরী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ রাতে বন্ধুর সঙ্গে পিকনিকের কথা বলে রাজাপুরের বড়ইয়ার এলাকার নিজ বাসা থেকে বের হয় নিহত শুভ। এরপর গভীর রাতে তার বাড়ির পেছন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ৩ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
রাজাপুর হাসপাতালে ভর্তির পর শুভ তার বাবা আব্দুল্লাহ আল মাহাবুবকে জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আসামিরা তাকে কুপিয়ে জখম করেছে। রাজাপুর থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) আনার পথেই মৃত্যু হয় শুভর।
এই ঘটনায় শুভর বাবা মাহাবুব বাদী দ্রুত বিচার আইন রাজাপুর থানায় ২৮ তারিখ ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত করে একটি হত্যা মামলা করেন।২০২০ সালের ২০ জুলাই রাজাপুর থানার ইন্সপেক্টর মো. মাঈনুদ্দিন ও আবুল কালাম আজাদ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন।আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। এসময় পাঁচ আসামিকে মামলা থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
সিলেটে হাফিজ সাদিকুর রহমান সাদিক হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত চারজনকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডেরও নির্দেশ দেন আদালত।
মঙ্গলবার সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারপতি আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট পিপি নওশাদ আহমদ চৌধুরী।
এডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট জোবায়ের বখত জুবের রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সৈয়দা রাখা বেগম, আলী হোসেন ও রেজওয়ান ওরফে রেদওয়ান।
আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন- খালিকুজ্জামান লায়েক। আসামিদের মধ্যে সৈয়দা রাখা বেগম ও খালিকুজ্জামান লায়েক বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কিশোরী পাচার মামলায় খুলনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড
মামলার বিবরণের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ২০১৫ সালের অক্টোবরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। সিলেট সদর উপজেলার নোয়াগাঁও এলাকার সাদিকুর রহমান সাদিক ও সৈয়দা রাখা বেগম নগরীর কালীবাড়িস্থ পীর মঞ্জিলে বিয়ে না করেও স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করছিলেন। সে সময় দুই পরিবারের অমতে তাদের অবস্থান থাকায় দেখা দেয় পারিবারিক কলহ। এক পর্যায়ে সাদিকের পরিবার থেকে তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে অসম্মতি জানালে সৈয়দা রাখা বেগম তার সহযোগী সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিদের নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।
মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট কবির আহমদ বাবর।
মামলার বাদীপক্ষের কাওছার আলী তিনজন আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও চার আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের নির্দেশ দেয়ায় মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন এবং আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ঘুমন্ত স্বামীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে স্ত্রী আটক
কুষ্টিয়ার খোকসায় ঘুমন্ত স্বামীকে গলাকেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। উপজেলার খানপাড়া গ্রামে শনিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনায় গৃহবধূ বন্যা খাতুনকে গ্রামবাসী আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
আহত মিশন শেখের (৩২) বাড়ি ওই গ্রামেই।
মিশন ও তার পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জের ধরে নিজের শোবার ঘরে বন্যা খাতুন ব্লেড দিয়ে গলাকেটে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। আহত মিশনের চিৎকারে পরিবারের লোক ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় রাতেই তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পেশায় রাজমিস্ত্রী মিশন গ্রামের আফজানল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: চুরির অপবাদে কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, আটক ৩
আহত মিশনের ভাবি আঞ্জুয়ারা জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রতিদিনের মত শনিবার রাতেও ঝগড়া হয়। এর জের ধরে মিশন তার নিজের শোবার ঘরের মেঝেই মাদুর পেতে ঘুমিয়ে পরেন। ভোরের আজানের কিছু সময় আগে বন্যা ব্লেড দিয়ে মিশনের গলার ডান পাশে প্রায় তিন ইঞ্চি কেটে ফেলে। এ সময় মিশন চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাতেই গ্রামবাসী বন্যাকে আটক করে। পরে রবিবার সকালে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
আহতের প্রতিবেশীরা জানান, ছয় বছর আগে কুমারখালী উপজেলা পান্টি ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের বন্যা খাতুনকে বিয়ে করে নিয়ে আসে মিশন। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকতো। শনিবার রাতেও ঝগড়ার সময় গৃহবধূ বন্যা তার স্বামীকে ব্লেড দিয়ে জবাই করে হত্যার হুমকি দেয়। এই দম্পতির ঘরে দুটি সন্তান রয়েছে।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, স্বামীকে ব্লেড দিয়ে হত্যা চেষ্টার সম্পর্কে দুই রকম তথ্য পাওয়া গেছে। আহত মিশন ও তার পরিবারের দাবি স্ত্রী বন্যা তাকে হত্যার চেষ্টা করে। আর স্ত্রী বলছে সে নিজেই নিজের গলায় ব্লেড চালায়। আহতের পরিবারের লোকেরা মামলা নিয়ে আসলে মামলা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঘুমন্ত শ্বাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা, পুত্রবধূ আটক
অ্যালুমিনিয়ামের পাইপ দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগে কলেজের অধ্যক্ষ আটক
বন্দি রুশ সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু ইউক্রেনের
যুদ্ধের শুরুর দিকে একজন ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিককে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত একজন বন্দি রুশ সেনাকে বিচারের জন্য কিয়েভের একটি নিম্ন আদালতে বিচার শুরু হয়েছে।
ইউক্রেনের শীর্ষ এক প্রসিকিউটর বলেছেন, তার অফিস তদন্ত করছে এমন কয়েক ডজন যুদ্ধাপরাধের মামলার মধ্যে প্রথম এটির বিচার শুরু হলো।
অভিযুক্ত রুশ সার্জেন্ট ভাদিম শিশিমারিন (২১) এর বিচার শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে আবার দূতাবাস খুলছে ভারত
টানা দু’মাসের বেশি সময় ধরে দেশটির কৌশলগত বন্দর নগরী মারিউপোলে রুশ সেনাদের ক্রমবর্ধমান মরিয়া আক্রমণে শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
মারিউপোলের পতনের ফলে ইউক্রেন একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হারাবে। এর ফলে রাশিয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপে একটি স্থল করিডোর স্থাপন করতে পারবে। ২০১৪ সালে যেটিকে ইউক্রেন থেকে দখল করে নেয় রাশিয়া।
ধারণা করা হচ্ছে ক্রেমলিনের পূর্বের শিল্পাঞ্চল ডনবাস এরপর সেনাদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য হবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনীয় স্কুলে রাশিয়ার বোমা হামলায় বহু নিহতের আশঙ্কা
ইউক্রেনের ইস্পাত কারখানা থেকে আরও ৫০ নাগরিক সরিয়ে নেয়া হলো
আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিনকে হত্যায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমের নিন্দা
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানের সময় ১১ মে আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলাকে গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব)।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিন শিরিনের হত্যায় জড়িতদের জবাবদিহিতার দাবি জানান।
শিরিনের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বানও জানান তারা।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শিরিন আবু আকলাকে হত্যায় আর্টিকেল নাইনটিনের নিন্দা
আরেক বিবৃতিতে ওভারসিজ করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশও (ওক্যাব) এই হত্যার নিন্দা জানিয়েছে।
ওক্যাবের আহ্বায়ক কাদির কল্লোল ও সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম মিঠু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে শিরিনের হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে প্রতিবেদন করতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এপির খবরে বলা হয়, শিরিন মধ্যপ্রাচ্যের একজন অত্যন্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক ছিলেন এবং তার অপ্রতিরোধ্য কভারেজ লাখো দর্শকের কাছে পরিচিত ছিল।
গাজীপুরে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী গ্রেপ্তার
গাজীপুরের টঙ্গীতে পারাবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীর আঘাতে স্বামীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার টঙ্গীর আরিচপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ফয়ছল আলম খান (৩৩)সিলেটের রইস আলী খানের ছেলে এবং পেশায় রং মিস্ত্রি। অভিযুক্ত স্ত্রী মোরশেদা খামারু রাজশাহীর বাগমারা থানার সাদিপুর গ্রামের মৃত মনসুর খামারুর মেয়ে। তারা টঙ্গীর আরিচপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ জানায়, সোমবার পারিবারিক কলহের জেরে উত্তেজিত অবস্থায় বাসায় ব্যবহৃত সিল দিয়ে স্বামীর মাথায় আঘাত করেন মোরশেদা। পরে স্বামীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টাও করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত ফয়ছলকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে তার মৃত্যু হয়।
মোরশেদাকে থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে এবং মোরশেদাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ১
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার