হত্যা
মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মানুষ হত্যা করে, পুড়িয়ে কখনও ক্ষমতায় আসা যাবে না। ক্ষমতায় আসতে হলে ভোটের মাধ্যমে আসতে হবে।
তিনি বলেন, আপনারা ( বিএনপি ) অগ্নিসন্ত্রাস করছেন। মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছেন। প্রতিষ্ঠান পুড়িয়েছেন। মানুষকে কষ্ট দিচ্ছেন, অবরোধ করছেন, জ্বালাও-পোড়াও করছেন। বাস-গাড়ি পুড়াচ্ছেন, পুলিশ হত্যা করছেন।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলা মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর টিকা আপাতত কোনো কাজে আসছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে জাহিদ মালেক বলেন, আপনারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চান। আপনারা স্বাধীনতার সময় বিরোধীতা করেছেন, রাজাকার-আলবদর সৃষ্টি করেছেন। দেশকে মুক্তি লাভ করতে দেন নাই। দুই লাখ মা-বোন তাদের সম্ভ্রম হারিয়েছেন। আপনারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন। সিরিজ বোমা, গ্রেনেড হামলা আপনারাই (বিএনপি) করেছেন। বিদ্যুতে, সারে চুরি করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, মানিকগঞ্জবাসী আওয়ামী লীগ, নৌকা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন। আপনাদের ভোটে তিনবার এমপি হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর আস্থা অর্জন করে দুইবার মন্ত্রী হয়েছি। বিগত পাঁচটি বছর আমরা আপনাদের নিয়ে কাটিয়েছি। আপনারা জানেন, করোনার সেই মৃত্যুর কষ্ট, যন্ত্রণা নিয়ে আমরা কাজ করেছি, অনেক সুখের দিকও ছিলও তবে দিনগুলো সবসময় সুখকর ছিল না।
আরও পড়ুন: জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের সকল সরকারি হাসপাতালে ৪০ হাজার বেড ছিল, যা ৭০ হাজার বেডে উন্নতি করা হয়েছে। দেশে দশটি নতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। এ ছাড়া ক্যান্সার, কিডনি ও হার্টের জন্যে দেশের আটটি বিভাগে আটটি হাসপাতাল হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনু্ষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো, যুগ্ম সম্পাদক সুলতানু আজম খান সহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এডিস মশা থাকলে ডেঙ্গু রোগীও থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে পাঁচবিবির ভোলা মণ্ডল হত্যা মামলার ২০ বছর পর ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র দায়রা জজ মো. নূর ইসলাম এ রায় দেন।
এ রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ জন আসামির মধ্যে একজন পলাতক ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বাকিরা হলেন- আব্দুল মান্নান, সানোয়ার হোসেন শাহাজ হোসেন ওরফে ইদা, রমজান আলী, ফারুক হোসেন, দুলু মিয়া, শাহাজাহান আলী, সফিকুল ইসলাম, আব্দুল ওহাব , আনোয়ার হোসেন, আব্দুল খালেক, আনিসুর ওরফে আনিসুর রহমান, দেলোয়ার, রিয়াজ ওরফে রিয়াজ উদ্দিন মণ্ডল ওরফে রেয়াজ।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
এদের বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা ও কুয়াতপুর এলাকায়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা হাকিমপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার মণ্ডলের ছেলে ভোলা মণ্ডল টাকার বিনিময়ে পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করে দিতেন। গত ২০০৩ সালে ৫ জুলাই ভোলা তার চালক মির শহিদকে নিয়ে মাঠে জমি চাষ করতে যান। সেদিন রাতে আরও জমি চাষ করতে হবে বাসায় জানালে, তার অপর তিন ভাই খাবার নিয়ে মাঠে যান। এসময় পাওয়ার টিলার চালাতে দিয়ে ভোলা খাবার খাওয়ার পর চার ভাই পাশের ভিটার উপর বিছানা বিছিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
সে রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করেন। আসামিদের মারধরে ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ভোলা গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই দোলা মণ্ডল বাদি হয়ে পরের দিন পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৩ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
রংপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
রংপুরের পীরগাছায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে রফিকুল ইসলাম অপু (৩৪) নামে এক ব্যাক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম অপু (৩৪) আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হলেও বাকিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর থানার ধীরগঞ্জহাট রহমতপুর গ্রামের আজিম উদ্দিনের মেয়ে সাগরী বেগমের (২১) সঙ্গে বিয়ে হয় রফিকুল ইসলাম অপুর।
বিয়ের সময় আজিম উদ্দিন যৌতুক হিসেবে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর রফিকুল আরও এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে সাগরীকে চাপ দিতে থাকেন। সাগরী এতে রাজি না হলে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।
ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতের কোনো এক সময় সাগরীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন দণ্ডপ্রাপ্ত অপু।
এ ঘটনায় আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে রফিকুল ইসলাম অপু এবং তার মা, বাবা, ভাই ও ভাবিসহ ছয়জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
প্রায় পাঁচ বছর আদালতে বিচারাধীন থাকার পর মঙ্গলবার এর রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘদিন বিচারকাজ চলার পর স্বামী অপুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা হাবিব-শাহজাহানসহ ১৫ জনের ৪ বছরের কারাদণ্ড
বিচারককে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: দিনাজপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরকে এক মাসের কারাদণ্ড
কিশোরগঞ্জে ছোট ভাইকে হত্যায় দায়ে বড় ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ছোট ভাইকে হত্যার দায়ে বড় ভাই নজরুল ইসলাম বিপ্লব নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (৬ নভেম্বর) সাড়ে ১২টার দিকে মামলার একমাত্র আসামির উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাম্মী হাসিনা পারভীন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত নজরুল কাটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য নূরুজ্জামানের ছেলে।
আদালত সূত্র ও মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, পারিবারিক বিরোধীদের জেরে ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল বিকালে নিজের ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছোট ভাই মাসুদ উজ জামানকে কুপিয়ে হত্যা করেন বড় ভাই নজরুল। এসময় হামলায় মাসুদের স্ত্রী ও বাবাও আহত হন।
এ ঘটনায় এ ঘটনার দুদিন পর ২২ এপ্রিল নিহতের স্ত্রী নিপা বেগম বাদী হয়ে কটিয়াদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ নজরুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট একমাত্র আসামি নজরুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা কটিয়াদী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নূরুল ইসলাম। দীর্ঘ শুনানি পর সোমবার আদালতের বিচারক রায়ে নজরুলকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
হবিগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
নাটোরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরের সিংড়ায় যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী ও শাশুড়িকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সদরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুর রহিম পর্যায়ক্রমে রায় দুটি ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিংড়া উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের দুলাল চন্দ্র মহন্ত ও তার মা গীতা রানী মহন্ত।
আরও পড়ুন: বরিশালে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
আদালতের বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, যৌতুকের টাকা না পেয়ে ২০১১ সালের ১৪ মার্চ গৃহবধূ রুবি রানী মহন্ত ও তার বাবা তপন চন্দ্র মহন্তকে মারধর করে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। রুবির বাবা পালিয়ে বাঁচলেও রুবিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দেয়। এ ঘটনায় রুবির বাবার দায়ের করা মামলায় বিচারক রুবির স্বামী দুলাল চন্দ্র মহন্ত ও শাশুড়ি গীতা রানী মহন্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে উভয়কে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে তা বাদীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর একই আদালত নাটোর সদর উপজেলার জালালাবাদ গ্রামে গৃহবধূকে ধর্ষণের অপরাধে ওয়াজেদ আলী নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। ২০১২ সালের ১৪ জুন সদর উপজেলার জালাবাদ গ্রামের প্রতিবন্ধী গৃহবধূ পার্শ্ববর্তী গ্রামে যাওয়ার সময় মাঝখানের ফাঁকা মাঠ থেকে তাকে অপহরণ করেন ওয়াজেদ। পাশের পাট খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে একই এলাকার ওয়াজেদ আলী। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বনফুলের দুই কর্মী হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্বশুরকে হত্যার অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় স্ত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে শ্বশুরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে জামাইয়ের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জামাই শামীম মিয়া পলাতক।
নিহত মো. হাফিজুর রহমান চম্পকনগর ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের মৃত মো. গুলু রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শ্বশুরকে হত্যার মামলায় জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
অভিযুক্ত শামীম মিয়া একই উপজেলার পেটুয়াজুড়ি গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, নিহতের মেয়ে নাহিদার আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে পাশের গ্রামের অভিযুক্ত শামীম মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহের কারণে নাহিদা আক্তার সংসার না করার সিদ্ধান্ত নেন। এতে ক্ষিপ্ত হন শামীম। শনিবার সকালে শ্বশুর বাড়িতে এসে শ্বশুরকে সামনে পেয়ে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে হত্যা করে পালিয়ে যান।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের বুকে, পেটে, পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শামীমকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ভাইয়ের কাছে শ্যালিকাকে বিয়ে না দেয়ায় শ্বশুরকে হত্যা
শ্বশুরবাড়ি থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার, স্বজনদের অভিযোগ হত্যা!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে মোবারক হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে শহরের ছয় বাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক শহরের পীর বাড়ি এলাকার আব্দুল আলীমের ছেলে এবং দুবাই প্রবাসী।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালাল শ্বশুরবাড়ির লোকজন
শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানান, মোবারক সাত থেকে আট মাস আগে শহরের ছয় বাড়িয়ার সফর আলীর মেয়ে তানিয়াকে (১৮) পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে শান্তি ছিল না। একজন আরেকজনকে বিশ্বাস করতেন না।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান মোবারক ও তার স্ত্রী তানিয়া। সেখানে তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মোবারক শোবার ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এদিকে মোবারকের বাবা আব্দুল আলীম অভিযোগ করেন, মোবারককে তার স্ত্রী তানিয়া ও শালা আশরাফুলসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। মোবারকের বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্পিডবোটের ধাক্কায় জেলের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী ও ২ ছেলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে মাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বটি দিয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফতুল্লা রেলস্টেশনের পাশে উকিলবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই নারীর (মা) নাম মধুমালা বেগম (৫৫)। মধুমালা ওই এলাকার নুরুল ইসলামের স্ত্রী। আর তার ছেলের নাম সুমন মিয়া (৩৫)। এ ঘটনায় মধুমালার স্বামী নুরুল ইসলাম থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ সুমনকে ধারালো বটিসহ গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে হত্যার অভিযোগ চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাদকের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে রাতে মা-ছেলের মধ্যে ঝগড়া হয়। মধুমালা টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার ছেলে তাকে রাস্তায় ফেলে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
নিহতের স্বামী নুরুল বলেন, রাতে হোটেল থেকে বাসায় ফেরার পথে দেখতে পাই সুমন ঘর থেকে বটি নিয়ে এসে রাস্তায় তার মাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মুখ, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেছে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মধুমালা। এরপর সুমন বটি হাতে নিয়ে ঘরে গিয়ে খাটে শুয়েছিল। আমি থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ এসে সুমনকে ঘর থেকে বটিসহ গ্রেপ্তার করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত বটিসহ নিহতের ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি আরও জানান, তার পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলেকে ভারসাম্যহীন বলা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তা নদীতে ছুড়ে সন্তানকে হত্যার অভিযোগে বাবা আটক
কনস্টেবল আমিরুল হত্যা: যুবদল কর্মীসহ গ্রেপ্তার ২
তিস্তা নদীতে ছুড়ে সন্তানকে হত্যার অভিযোগে বাবা আটক
তিস্তা ব্রিজ থেকে নদীতে ছুড়ে ফেলে নবজাতক সন্তানকে হত্যার অভিযোগে বাবা লাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ। এর আগে, শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে তিস্তা ব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ৭ কর্মী আটক, আহত ৫ পুলিশ সদস্য
পুলিশ জানায়, জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝার ইউনিয়নের রাবাইটারী এলাকার লাল মিয়া ও ছামিরন ৩ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন। লাল মিয়ার পরিবার এ বিয়ে মেনে না নেওয়ায় তারা স্বামী-স্ত্রী দুইজনে মিলে নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ তেতুলতলা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন।
এরই মধ্যে গত ২২ অক্টোবর ছামিরন তার বাবার বাড়িতে একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান প্রসব করেন। জন্মের পর থেকে তার স্বামী ওই সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করেন। এমতাবস্থায় স্ত্রী ছামিরন প্রতিবাদ করলে গত ২৭ অক্টোবর বিকালের দিকে স্বামী লাল মিয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নবজাতকের ডিএনএ পরীক্ষার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মোটরসাইকেলে করে রংপুরের উদ্দেশে রওনা দেন।
একই দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিস্তা ব্রিজের মাঝখানে স্বামী লাল মিয়া মোটরসাইকেল থামিয়ে নবজাতককে তার মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর কথা বলে বিরতি নেয়। দুধ খাওয়ানোর এক পর্যায়ে ছামিরন লাল মিয়া আকস্মিকভাবে নবজাতককে তার কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ব্রিজের উপর থেকে তিস্তা নদীতে ফেলে দিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে রংপুরের দিকে পালিয়ে যান।
পুলিশ আরও জানায়, পরে ছামিরন কান্নাকাটি ও চিৎকারে লোকজন জমা হয়। তাদের ঘটনাটি জানান ছামিরন। লোকজন কাউনিয়া ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নবজাতকে খোঁজাখুজি করেও কোনো সন্ধান পাননি।
গত ২৮ অক্টোবর রাতে লাল মিয়া ছামিরনের কাছে এলে ৯৯৯ নম্বরে কল করে কচাকাটা থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লাল মিয়া সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. রুহুল আমীন বলেন, এই বিষয়ে নাগেশ্বরী থানায় গত ২৯ অক্টোবর একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হলে সমস্ত ঘটনা বর্ণনা ও সত্যতা স্বীকার করে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আরও পড়ুন: বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া মিয়া আরেফিকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক
ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ-বিএনপি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বিএনপি নেতা আটক
পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার দ্রুত গতিতে করা হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশে এখন আর কেউ বিচারের ঊর্ধ্বে নয়। কথা দিলাম, এটার বিচার দ্রুত গতিতে করা হবে।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে গাজীপুর মহানগরীর মারিয়ালীতে নবনির্মিত রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক৷
আরও পড়ুন: মামলাজটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান আইনমন্ত্রীর
তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। রাজনীতি গণতন্ত্রের একটা অংশ। মানুষের কল্যাণের কথা বলতে কারো বাধা নেই, কিন্তু রাজনীতির নামে যদি সহিংসতা করা হয়, তাহলে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব ব্যবস্থা নিতে এটা স্পষ্ট।
মন্ত্রী আরও বলেন, শনিবার প্রধান বিচারপতির ফটকে লাথি মারা হয়েছে, এটা আমি মনে করি বিচার বিভাগের ওপর লাথি মারা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যে মানুষগুলো আত্মত্যাগ করেছে। যে মানুষগুলো অপেক্ষায় আছে তাদের বুকে লাথি মারা হয়েছে। এটা কোনো সরকার ও বাংলাদেশের জনগণ সহ্য করবে না। এর বিচার ইনশাআল্লাহ হবে
আইন ও বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত) উম্মে কুলসুম, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ শামছুন্নাহার ভূঁইয়া, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ইসির তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী
নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে সেটি প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা: আইনমন্ত্রী