আসামি
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ৪ আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
২০০২ সালে সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় দণ্ডিত চার আসামির আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের অর্থদণ্ড স্থগিত করে মামলার নথি তলব করেছেন। তবে আদালত তাদের জামিন আবেদন নাকোচ করেছেন। মঙ্গলবার ওই আসামিদের আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন- মো. ইয়াসিন আলী, মো. তোফাজ্জল হোসেন, মো. আব্দুস সাত্তার ও অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। আসামিপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, শুনানির জন্য তাদের আবেদন গ্রহণ করেছেন। জরিমানা স্থগিত করেছেন। কিন্তু জামিন দেননি।
২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখে মাগুরায় যাচ্ছিলেন। কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহর পৌঁছালে একদল দৃর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা, ধারালো অস্ত্র, বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা গুলিবর্ষণ করে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বিরোধীদলীয় নেতা প্রাণে রক্ষা পেলেও তার গাড়িবহরে থাকা সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথী, জোবায়দুল হক রাসেল, শেখ হাসিনার ক্যামেরাম্যান শহীদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হন। বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও এ ঘটনায় আহত হন। ওই দিনই কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন।
২০১৫ সালে এ ঘটনায় আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। বিচার শেষে সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনের সর্বোচ্চ ১০ বছর করে এবং বাকি ৪৭ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন। পরে আসামিরা আপিল করেন।
আরও পড়ুন: টেলিটকের তারেককে গ্রেপ্তারে রেড নোটিশ জারির নির্দেশ হাইকোর্টের
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা: ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি ১৮ অক্টোবর
বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিন কারাগারে
২০১২ সালের বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে (৩৫) গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার তাকে পঞ্চগড় মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হলে আদালতে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলী আদালত-৫ এর বিচারক আলরাম কাজী তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷
এর আগে গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাতেই শিবগঞ্জ থানা পুলিশ পঞ্চগড়ের আটোয়ারী থানা পুলিশের কাছে আলাউদ্দিনকে হস্তান্তর করেন।
জানা গেছে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিন পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার ছোটদাপ গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: বিশ্বজিৎ হত্যা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বগুড়ায় গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ‘আত্মগোপন’ করেন। পুলিশের নথিতে ‘পলাতক’ আলাউদ্দিন তাঁর স্ত্রীসহ গত ৭ জুলাই ঈদের ছুটিতে বগুড়ার মোকামতলা বন্দরে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে আলাউদ্দিনের শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিবগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার দিবাগত রাতে আটোয়ারী থানায় আনা হয়। পরে শনিবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা যায়, বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার এজাহারে ৪ নম্বর আসামি ছিলেন মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। এ মামলার রায়ে আলাউদ্দিনের যাবজ্জীবন সাজা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় পঞ্চগড়ের আটোয়ারী থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। এ কারণে গ্রেপ্তার আলাউদ্দিনকে আটোয়ারী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পরিবহন শ্রমিককে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ
খুলনায় জেল-ইনজেক্টেড চিংড়ি জব্দ, আটক ১৮
খুলনা থেকে দুই হাজার কেজি জেল-ইনজেক্টেড চিংড়িসহ ১৮ জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার রাতে হরিণটানা থানার কৈয়া বাজার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
আসামিরা মাছের ওজন বাড়ানোর জন্য জেল ইনজেকট করে চিংড়ির একটি বড় চালান নিয়ে সাতক্ষীরা থেকে খুলনায় যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে ২-৩টি গাড়ি আটক করে তাদের আটক করে।
আটক ব্যক্তিদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে র্যাব সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বন্যা: নেত্রকোণায় মাছ চাষিদের সাড়ে ১১ কোটি টাকার ক্ষতি
মানবতাবিরোধী অপরাধ: রাজধানী থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে রাজধানীর কলাবাগান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এ কে আমিনুল হক ওরফে রজব আলীর বাড়ি (৬৯) কিশোরগঞ্জে।
র্যাব সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার রাতে রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাবের গোয়েন্দা বাহিনী ও র্যাব-২ এর একটি দল রজব আলীকে আটক করে।
২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার জন্য রজব আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
এ সময় ১৯৭১ সালে কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন ও অপহরণে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
আরও পড়ুন: আড়াইহাজারে মা-ছেলেকে গলা কেটে হত্যা
তিনি ভৈরবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য এলাকায় ‘আল-বদর’ বাহিনী গঠন করেন এবং কিশোরগঞ্জ জেলার কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর রজব আলী যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
১৯৭২ সালে তার বিরুদ্ধে অষ্টগ্রাম থানায় পাঁচটি মামলা হয়। এসব মামলায় তাকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু ১৯৮২ সালে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান, কারণ তিনি মাত্র ১০ বছর কারাবাসের পর রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমা পেয়েছিলেন।
পরে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে পালিয়ে গিয়ে কয়েকবার পাকিস্তানে যান। ১৯৯৭ সালে রজব আবার ঢাকায় আসেন।
২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর তদন্তকারী সংস্থা রজব আলীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র জমা দেয়, তারপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভাইয়ের মৃত্যু, সাড়ে ৫ ঘণ্টার প্যারোলে মুক্ত হাজী সেলিম
চট্টগ্রামে স্বামীকে ফাঁসাতে ইয়াবা ক্রয়, নারী আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মেহেরুল হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার রাতে গোমস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার কালু (৪৫) নয়াদিয়াড়ি এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: অভিযান চালানোর সময় হামলা: খুলনায় ৩ পুলিশ আহত, আটক ৩
র্যাব-৫ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের উপ অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের একটি দল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নয়াদিয়াড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে কালুকে গ্রেপ্তার করা হয়। কালু ২০২০ সালে ২১ ডিসেম্বর গোমস্তাপুর থানায় দায়ের করা মেহেরুল হত্যা মামলার পলাতক আসামি। গ্রেপ্তারের পর তাকে মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৩ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার, আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
২০২০ সালে ২১ ডিসেম্বর সকালে গোমস্তাপুর বেগমনগর মহিলা মাদরাসার পেছনে একটি আম বাগান থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মেহেরুল গোমস্তাপুর উপজেলার রাজারামপুর বালুগ্রাম এলাকার মৃত কবিরুলের ছেলে।
আহসান উল্লাহ’র শিক্ষার্থী সুবীর হত্যা দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
আহসান উল্লাহ ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সুবীর চন্দ্র দাস হত্যা মামলায় পলাতক আসামি ফরহাদ হোসেন সিজু ও মো. হাসানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অপর দুই আসামি সফিক আহসান ওরফে রবিন ও শাওন ওরফে কামরুল হাসানের যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো।
২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারি আহসান উল্লাহ ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সুবীর চন্দ্র দাসকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়া হয়। এরপর ২১ জানুয়ারি সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের কোটালিয়াপাড়া এলাকার বুড়িগঙ্গা নদী থেকে সুবীরের লাশ উদ্ধার করা হয়।এ মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালের ২৬ অক্টোবর দুই জনের ফাঁসি ও দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারিক আদালত। পরে নিয়ম অনুযায়ী এ মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। একই সঙ্গে কারাবন্দী যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আপিল করেন।
আরও পড়ুন: ডবল মার্ডার : বিশ্বনাথে একজনের মৃত্যুদণ্ড, ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা
নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণের পর হত্যা, ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
রাজধানীতে দন্ত চিকিৎসক হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় দন্ত্য চিকিৎসককে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. রিপন।
বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যুগ্ম কমিশনার (সাইবার ও বিশেষ অপরাধ ও ডিবি-উত্তর) মো. হারুন অর রশীদ জানান, বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ ভোরে ডেন্টিস্ট আহমেদ মাহি বুলবুল একটি অটোরিকশায় করে শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন। কাজীপাড়া বেগম রোকেয়া সরণি রোডে পৌঁছালে পাঁচজন ছিনতাইকারী গাড়িটি আটকে তার মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা চিকিৎসককে ছুরিকাঘাত করে। এরপর তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুলবুলের স্ত্রীর অভিযোগ পেয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়।
গত ৩০ মার্চ ডিবির মিরপুর জোনের টিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন- রায়হান সোহেল ওরফে আপন (২৭), রাসেল হোসেন হাওলাদার (২৫), আরিয়ান খান রিদয় (২৩) ও সোলায়মান (২৩)।
তারা সবাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিপন বুলবুলকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
আহমেদ মাহি বুলবুল মগবাজারের একটি ক্লিনিকে চাকরি করতেন। তিনি তার এলাকায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে সুপরিচিত ছিলেন।
ডেসটিনির মামলায় পলাতক ৩৯ আসামিকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির গ্রাহকদের চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ৩৯ আসামিকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার এ মামলায় চার বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের জামিন আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সাবেক সেনা প্রধান হারুন-অর রশিদকে জামিন আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট এ মামলায় পলাতক ৩৯ আসামিকে গ্রেফতারে আইজিপি পুলিশ, এসিসি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি পলাতকদের গ্রেপ্তারে সংশ্লিষ্টদের রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির হারুনকে জামিন দেননি, আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
চলতি বছরের ১২ মে বিচারিক আদালতে এই মামলার রায় হয়। রায়ে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রফিকুল আমিন, মোহাম্মদ হোসেন, এম হারুন-অর-রশীদ, জেসমিন আক্তার, জিয়াউল হক ও সাইফুল ইসলাম কারাগারে রয়েছেন। আসামিদের মধ্যে দিদারুল আলমের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় রায় ঘোষণার পরই তিনি আদালত থেকে বাসায় চলে যান। এছাড়া মামলার বাকি ৩৯ আসামি পলাতক।
পলাতক ৩৯ আসামি হচ্ছেন- ডেসটিনির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, ফারাহ দীবা, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জমশেদ আরা চৌধুরী, জাকির হোসেন, আজাদ রহমান, আকবর হোসেন সুমন, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মো. সাইদুল ইসলাম খান রুবেল, মজিবর রহমান, সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, ড. এম হায়দারুজ্জামান, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কাজী ফজলুল করিম, সফিকুল ইসলাম, ফিরোজ আলম, ওমর ফারুক, সিকদার কবিরুল ইসলাম ও সুনীল বরুন কর্মকর। পলাতক আসামির তালিকায় আরও আছেন পরিচালক ফরিদ আক্তার, এসএম শহিদুজ্জামান চয়ন, আব্দুর রহমান তপন, মেজর সাকিবুজ্জামান খান, এসএম আহসানুল কবির বিপ্লব, এএইচএম আতাউর রহমান, জিএম গোলাম কিবরিয়া মিল্টন, আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, একেএম সফিউল্লাহ, দেলোয়ার হোসেন, সফিকুল হক ও মোল্লা আল আমিন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালকের জামিন প্রশ্নে বিভক্ত আদেশ হাইকোর্টের
ডেসটিনির রফিকুল আমীনের জামিন শুনানি পিছিয়েছে
সিলেটে মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
সিলেটে মাদক মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালত এর বিচারক মিজানুর রহমান ভুঁইয়া এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বিলাল আহমদ ইমন জকিগঞ্জ উপজেলার দিঘলীগ্রাম এলাকার উত্তরকূল গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল ২টার দিকে এস আই (উপপরিদর্শক) মনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জকিগঞ্জের আটগ্রাম বাসস্ট্যান্ড থেকে বিলাল আহমদ ইমনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ থেকে ৩৯ বোতল ভারতীয় অবৈধ ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।এ ঘটনায় এস আই মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ইমনকে একমাত্র আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
এ মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার সিলেট জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালত এর বিচারক মিজানুর রহমান ভুঁইয়া আসামি বিলাল আহমদ ইমনকে অবৈধ মাদক বহন ও বাজারজাত করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এ মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড.শিশির কুমার রায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট জেলা ও দায়রা ও জজ ৩য় আদালত এর এপিপি এডভোকেট জসিম উদ্দিন বলেন, সরকার মাদকের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে মাদক মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
গাইবান্ধায় হাতকড়াসহ পালানো সেই আসামি ৫ দিন পর গ্রেপ্তার
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানা চত্তর থেকে হাতকড়াসহ পালানোর পাঁচদিন পর এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার বিকালে উপজেলার সমসপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সামিউল ইসলাম (২২) নাকাই ইউনিয়নের বালুয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, সিলেটে যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
গোবিন্দগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সামিউল ইসলামের বিরুদ্ধে একই উপজেলার এক মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করেন ওই মেয়ের বাবা। তিনি মেয়েটিকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ৩০ মে পুলিশের একটি দল তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাঁদপুরের মতলব থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন ৩১ মে মঙ্গলবার থানার সামনে পুলিশ ভ্যান থেকে নামানোর সময় এক কনস্টেবলকে ধাক্কা দিয়ে হাতকড়াসহ তিনি পালিয়ে যান এবং আজ বিকালে তাকে সমসপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।