শিশু
শিশুদের বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা থেকে দূরে রাখতে করণীয়
১১ হাজার ভোল্টের ট্রান্সমিশন কেবলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাত থেকে কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ৭ বছর বয়সী এক শিশুর। ঘটনাটি কুমিল্লার সংরাইশ নামক একটি এলাকার; ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি)। শিশুটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
শুধু প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোই নয়; দেশের আধুনিক শহরগুলোও মুক্ত নয় এমন নির্মম দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে। বিশেষ করে আবাসিক এলাকাগুলো যেখানে উচ্চ ভোল্টের বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ দ্বারা পরিবেষ্টিত, সেখানে শিশুর খেলার জায়গাটি নিমেষেই পরিণত হতে পারে মরণফাঁদে। এমনকি ঘরের ভেতরটাও এই ঝুঁকির বাইরে নয়। তাই শিশুর নিরাপদ বিচরণক্ষেত্র নিশ্চিত করতে অনতিবিলম্বে প্রয়োজন জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের।
এই পরিপ্রেক্ষিতে চলুন দেখে নিই, ঘরের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা থেকে শিশুর জীবন বাঁচাতে কি কি উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে।
বৈদ্যুতিক শক থেকে শিশুদের রক্ষা করার উপায়
ঘরের ভেতরে প্রয়োজনীয় সাবধানতা
দেয়ালের বৈদ্যুতিক সকেটগুলো আবৃত রাখা
ঘরের দেয়ালের নিচের দিকে প্রায় সময় দেখা যায় বিদ্যুৎ সংযোগের উৎসগুলো অনাবৃত থাকে। এছাড়া ব্যবহার শেষে প্লাগ খুলে ফেলার পর সেগুলো অনাবৃত অবস্থাতেই রেখে দেওয়া হয়। এগুলো বাচ্চাদের হাতের নাগালেই থাকে। খেলার ছলে এগুলোর ছোট গর্তগুলোতে বাচ্চাদের হাত চলে যেতে পারে। এমন অনর্থ থেকে বাঁচতে বৈদ্যুতিক আউটলেট কভার বা সেফটি প্লাগের আবির্ভাব।
আরও পড়ুন: শহরে রান্নার জন্য গ্যাসের চুলার সেরা কয়েকটি বিকল্প
প্লাগগুলো মূলত টু পিং ও থ্রি পিং সকেটের জন্য সামঞ্জস্য করে তৈরি করা হয়। আর কভারের ক্ষেত্রে বর্তমানের অত্যাধুনিক স্লাইডিং আবরণীগুলো ব্যবহার শেষে কোনো অ্যাডাপ্টারের প্লাগ খুলে ফেলার সঙ্গে সঙ্গেই স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সকেটটিকে ঢেকে ফেলে। এতে করে বিদ্যুৎ সংযোগের গর্তগুলো আবৃত হয়ে যায় এবং তাতে বাচ্চাদের হাত পড়লেও কোনো বিপদের আশঙ্কা থাকে না।
বিদ্যুতের কেবলগুলো গুছিয়ে রাখা
শুধু নিরাপত্তার জন্য নয়, ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে কেবল অর্গানাইজার। এলোমেলো করে ছড়ানো-ছিটানো কেবল বা তারগুলোতে বাচ্চাদের ছোট ছোট হাত-পা জড়িয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে চঞ্চল শিশুরা ছুটে বেড়াতে যেয়ে এগুলোতে পা জড়িয়ে পড়ে যেয়ে আঘাত পেতে পারে। আর কোনো একটিতে ছোট্ট কোনো চিড় বা লিকেজ থাকলে তা মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তাই নিদেনপক্ষে দড়ি বা ফিতে দিয়ে কেবল বা তারগুলোকে বেধে পরিপাটি করে রাখা উচিৎ।
তাছাড়া এখন অধিকাংশ ইলেকট্রনিক পণ্যের সঙ্গে এগুলোর কেবল গুছিয়ে রাখার জন্য ছোট ছোট প্লাস্টিকের তার সরবরাহ করা হয়। এগুলোর যথাযথ সদ্ব্যবহার করে তার বা কেবলগুলো আড়াল করে রাখা উচিৎ। কর্ড সংগঠক ব্যবহার করে বা অতিরিক্ত কর্ডের দৈর্ঘ্য বেঁধে দড়িগুলোকে সংগঠিত এবং নাগালের বাইরে রাখুন। এটি দড়িতে ছিটকে যাওয়ার বা টানার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: নিপাহ ভাইরাস সতর্কতা: কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার ঝুঁকি
ওভারলোড না করা
একটি আউটলেটে একাধিক ডিভাইস ব্যবহারের উপায় থাকলেও তার সুবিধা নেওয়া উচিৎ নয়। বিশেষ করে উচ্চ পাওয়ার রেটিংয়ের বৈদ্যুতিক আসবাব একটি আউটলেটে একটির বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে আউটলেটগুলো অতিরিক্ত গরম হয়ে সকেটের পেছনে তার বা আসবাবের কেবল পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া শর্ট সার্কিট হলে একসঙ্গে একাধিক যন্ত্র নষ্ট হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
বিদ্যুতের প্রতিটি সংযোগের ত্রুটিহীনতা নিশ্চিত করা
ঘরের প্রতিটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ঠিক মতো কাজ করছে কি না তা রুটিন মাফিক যাচাই করা হলে সময় মতো ত্রুটিগুলো চোখে পড়বে। এতে করে যন্ত্রপাতিগুলো রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় থাকবে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হবে প্রত্যেকটির নিরবচ্ছিন্ন ব্যবহার। আর ঘরের ভেতরে শিশুর খেলার জায়গাটিও হবে ঝুঁকি মুক্ত।
বৈদ্যুতিক যন্ত্রাদিকে কোনোভাবেই পানির সংস্পর্শে না আনা
রান্নাঘর ও টয়লেটের বৈদ্যুতিক আউটলেটগুলোকে কোনোভাবেই ভেজা রাখা যাবে না। প্রয়োজনে নিয়মিত শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে রাখতে হবে। দিনের অধিকাংশ সময়ই এই স্থানগুলোতে পানির কাজ থাকে। ফলে যে কোনো ভুলে মেঝেতে পানি পড়ে তা গড়িয়ে চলে আসতে পারে ডাইনিং বা অন্যান্য ঘরগুলোতে। পরিণতিতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে শিশুর খেলে বেড়ানোর জায়গাটি।
ফ্রিজ বা ওভেনের মতো উচ্চ ভোল্টেজের যন্ত্রপাতির পেছনের স্থান কোনোভাবেই যেন পানির সান্নিধ্যে না আসে। এগুলোর কেবলে হঠাৎ পানি লেগে গেলে দ্রুত পাওয়ার অফ করে শুকনো কাপড় দিয়ে তা মুছে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
হাত হারানো শিশুকে ৩০ লাখ টাকা ডিপোজিট করে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ওয়ার্কশপে কাজ করতে গিয়ে তিন বছর আগে হাত হারানো ১৩ বছর বয়সী শিশু নাঈম হাসান নাহিদকে ৩০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাকী ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট করতে হবে। ১০ পছর পর নাঈম হাসান নাহিদ ডিপোজিটের টাকা উঠাতে পারবে।
আরও পড়ুন: অধস্তন আদালতের কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
একইসঙ্গে শিশুটি এইচএসসি পাস না করা পর্যন্ত তাকে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা করে দিতে বলা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের ভৈরবের নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক ইকবালকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
এদিন আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও আইনজীবী মো. বাকির উদ্দিন ভূইয়া। তারা বিনা পয়সায় শিশুটির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন।
অন্যদিকে, কিশোরগঞ্জের ভৈরবের নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক ইকবালের পক্ষে ছিলেন সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: আসামিদের গণহারে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো যাবে না: হাইকোর্ট
২০২০ সালে নাঈম নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে কাজ নেয়। একদিন নাঈমের ডান হাত একটি মেশিনের ভেতরে ঢুকে যায়। অস্ত্রোপচার করে তার ডান হাত কেটে ফেলতে হয়।
এ ঘটনায় নাইমের বাবা পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পেতে রিট করেন হাইকোর্টে।
নাঈমের বাবার অভিযোগ, ঘটনার দিন ওয়ার্কশপের ম্যানেজার রাজু আহমেদ তার ছেলেকে জোর করে মেশিন চালাতে দিলে এমন দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ১০ অক্টোবর নাঈমের চাচা ওয়ার্কশপ মালিক ও ম্যানেজারসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় ওয়ার্কশপের মালিক ইয়াকুব হোসেন, ওয়ার্কশপের মিস্ত্রি স্বপন মিয়া, জুম্মান মিয়া, সোহাগ মিয়া ও ব্যবস্থাপক রাজু মিয়াকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল
২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর নাঈমের বাবা দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেন।
এরপর চলতি বছরের গত ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শিশু নাঈমের এক হাত হারানোর ঘটনায় তাকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এই রুলের উপর চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট বুধবার এ রায় দেন।
হবিগঞ্জে একদিনে শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
হবিগঞ্জে একদিনে দুই নারী ও এক শিশুসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার লাশগুলো উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর মধ্যে আছিয়া খাতুন নামে এক নারীর রক্তাক্ত লাশ মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়। ফুল জাহান বেগম নামে অপর আরেক নারীর লাশ পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়াও বানিয়াচং উপজেলায় একটি ব্রীজের নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আড়াই বছরের এক অজ্ঞাত শিশুর লাশ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাবা-ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, মঙ্গলবার সকালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার চানপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী খেলার মাঠে আছিয়া খাতুনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি তাৎক্ষণিক সদর থানা পুলিশকে অবগত করা হলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
ওসি আরও জানান, ভোরে হয়তো ওই নারীকে খুন করা হয়। নারীর লাশেহের পাশে রক্ত ও তার গায়ে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃত নারী আছিয়া খাতুন চানপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত নারীর ছেলে আব্দুল মজিদকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে জেলার লাখাই উপজেলার জিরুন্ডা গ্রামে একটি পুকুর থেকে ফুল জাহান বেগম নামে এক নারীর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নারী জিরুন্ডা গ্রামের মৃত আলী আহমদের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বন্ধ ঘর থেকে মা-বাবা-মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
অপরদিকে, জেলার বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা গ্রামের পশ্চিম ব্রিজের নিচ থেকে আড়াই বছরের অজ্ঞাত এক কন্যা শিশুর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কাগাপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এরশাদ আলী বলেন, স্থানীয় এক কৃষক প্রথমে ওই শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দেয়। পরে আমি বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
তবে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত শিশুটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দোলোয়ার হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটির পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ভোলার মেঘনায় ট্রলারডুবি, ৮ দিন পর লাশ উদ্ধার
বাবা-মাসহ অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার ১৮ মাসের শিশু
বরিশালে দুর্বৃত্তদের নিক্ষেপ করা অ্যাসিডে শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে ১৮ মাসের এক কন্যা শিশুর।
সেইসঙ্গে তার মা-বাবাও অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। ধার নেওয়া টাকা ফেরত চাওয়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এই ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে দুর্বৃত্তের ছোড়া অ্যাসিডে মাদরাসার শিক্ষার্থী দগ্ধ
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার চর নেহালগঞ্জ এলাকার রশিদ হাওলাদারের বাড়িতে অ্যাসিড সন্ত্রাসের ঘটনাটি ঘটে।
অ্যাসিডে মুখমণ্ডল ঝলসে যাওয়া রশিদ হাওলাদারের ছেলে ও দিনমজুর রিয়াজ হাওলাদার জানান, প্রতিবেশী ও সম্পর্কে চাচাতো ভাই ফিরোজ ও মিরাজদের সঙ্গে তার জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। কয়েক বছর আগে তার কাছ থেকে ফিরোজ ও মিরাজ ১ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। ওই টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন সময় নানা টালবাহানা ও হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন চাচাতো ভাইয়েরা।
রিয়াজ বলেন, আমার স্ত্রী খাদিজা বেগম, ১৮ মাসের শিশু সন্তান জান্নাতী ও আমি বিছানায় শুয়ে ছিলাম। শুক্রবার রাত ৯টার পরে হঠাৎ করে বসতঘরের জানালা দিয়ে তরল অ্যাসিড নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা।
ওইসময় চাচা খালেক হাওলাদারের ছেলে ফিরোজ-মিরাজের সঙ্গে নিজাম ও নাসির ছিল বলে দাবি করছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, তাদের ছোঁড়া অ্যাসিডে আমার স্ত্রীর শরীরের পেছনের অংশ এবং শিশু জান্নাতী ও আমার মুখসহ বেশ কিছু অংশ পুড়ে ফোসকা পড়ে গেছে। পরে স্থানীয়রা আমাদের রাতেই বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।
রিয়াজের স্ত্রী খাদিজা বেগম বলেন, টাকা-পয়সা ও জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকলে আমাদের সঙ্গে আছে কিন্তু অবুঝ শিশু সন্তানটি কী দোষ করেছে। ওর গায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করার কি দরকার ছিল। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আরও পড়ুন: ঘুমের মধ্যে ব্যাটারির অ্যাসিড পুশ করে স্বামীকে হত্যা
এদিকে স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া না হলেও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অ্যাসিড নিক্ষেপের সত্যতা পেয়েছে।
সেই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চালাচ্ছে। তবে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে রয়েছে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল জানান, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ওসি আরও জানান, এর আগে শুক্রবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলার চর নেহালগঞ্জ এলাকার রশিদ হাওলাদারের বাড়িতে অ্যাসিড সন্ত্রাসের ওই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: যশোরে সাবেক স্বামীর ছোড়া অ্যাসিডে স্ত্রী দগ্ধ
মাদরাসা থেকে পালাতে গিয়ে ৬ তলার কার্নিশে আটকে পড়ল শিশু
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের একটি মাদরাসা থেকে পালাতে গিয়ে ভবনের ছয়তলার কার্নিশে আটকে পড়ে এক শিশু।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর পরিদর্শক (মিডিয়া) আনোয়ার সাত্তার।
তিনি বলেন, শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে সালমা সাঈদ তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার এক শিক্ষার্থী পালানোর জন্য সাততলা মাদরাসা ভবনের ছাদ থেকে দড়ি বেয়ে নামছিল।
আরও পড়ুন: পাবনায় চাচাতো ভাইয়ের ঘরে বাক্স থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
কিছুদূর নামার পর সে আতঙ্কিত হয়ে ছয়তলার কার্নিশে আটকে পড়ে। এরপর সে নিচেও নামতে পারছে না, উপরেও উঠতে পারছে না।
সাগর নামে একজন কলার ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে জরুরি উদ্ধার সহায়তার অনুরোধ জানান।
কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল কাজী রাসেল। কনস্টেবল রাসেল তাৎক্ষণিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ঘটনাটি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানায়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসের ধাক্কায় শিশুসহ ভ্যানচালক নিহত
সংবাদ পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সাড়ে ১৩ বছর বয়সী শিশুটিকে উদ্ধার করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্ব দেওয়া সিনিয়র স্টেশন অফিসার নাজমুল আলম ৯৯৯-কে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পানিতে ডুবে ইব্রাহীম হোসেন নামে তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ইব্রাহীম হোসেন চৌবাড়িয়া গ্রামের ওমান প্রবাসী শরিফুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, শিশুটির মা তাকে খাওয়ানোর পর নিজে সকালের নাস্তা করছিলেন। এ সময় সে বাইরে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর সন্তানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ঘেরের পানিতে ইব্রাহীমকে ভাসতে দেখেন। তাকে উদ্ধার করে নলতা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, ইব্রাহীম আমার দ্বিতীয় সন্তান। আমার ১০ বছর বয়সের একটি মেয়ে রয়েছে।
সাত দিন আগে তিনি ওমান থেকে দেশে ফিরেছেন বলে জানান।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কচুয়ায় পানিতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে পানিতে ডুবে ভাই ও বোনের মৃত্যু
ফিলিস্তিনি শিশুদের রক্ষায় জাতিসংঘ মহাসচিবকে সুপ্রিম কোর্টের চাইল্ড রাইটস কমিটির চিঠি
ফিলিস্তিনি শিশুদের রক্ষায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে চিঠি পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের চাইল্ড রাইটস কমিটি।
কমিটির সভাপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের স্বাক্ষরে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নিম্ন আদালতে কালো কোট-গাউন পরার আবশ্যকতা নেই: সুপ্রিম কোর্ট
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় শিশুদের নিরাপত্তা প্রদানে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১৪ জানুয়ারি জাতিসংঘ মহাসচিবকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট চাইল্ড রাইটস কমিটি চিঠি পাঠিয়েছে। প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুযায়ী এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, চিঠিতে ফিলিস্তিনের গাজার সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে জাতিসংঘের শিশু অধিকার কনভেনশনের (ইউএনসিআরসি) অনুচ্ছেদ ৩৮ (১) ও (৪) এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের ফলে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট চাইল্ড রাইটস কমিটি।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধের রায় কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ
শিশুদের জীবন ও সামগ্রিক কল্যাণের জন্য, শিশুদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতার অবসান, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যকর কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের সূচনা, শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা প্রদান এবং যথাযথ আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা প্রয়োগসহ দ্রুত ও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছে।
বিশ্বের সব শিশুর আনন্দ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিতকরণে যেহেতু আমাদের সমষ্টিগত নৈতিক দায়বদ্ধতা রয়েছে, সেহেতু বিশ্বের শিশুদের প্রতিপালন ও উন্নতি বিধানকল্পে জাতিসংঘের সব উদ্যোগে সমর্থন ও অবদান রাখতে সুপ্রিম কোর্টের চাইল্ড রাইটস কমিটি বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর: ২৫ আইনজীবীর আগাম জামিন
সুপ্রিম কোর্ট চাইল্ড রাইটস কমিটির সদস্য বিচারপতিরা হলেন— বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী।
খুলনায় শীত উপেক্ষা করে ঝিনুক কুড়িয়ে বাড়তি আয়ে খুশি এলাকাবাসী
খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার শাকবাড়িয়া খালে হঠাৎ যেন টাকার খনি পাওয়া গেছে! এলাকার শিশু, কিশোর, নারী-পুরুষ, শিক্ষার্থী এমনকি বয়স্করাও যেন কিছু একটা খুঁজছেন।
কেউ পানিতে ডুব দিয়ে তুলছেন, আবার কেউ তীরে খুঁজে চলেছেন। মাঝে মধ্যে শীতে কাঁপতে কাঁপতে রাস্তার ওপর উঠে রোদে গাঁ শুকিয়ে আবারও নামছেন পানিতে।
খালের পাশ দিয়ে হেটে যেতে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে সেখানে। পাশে যেয়ে জিজ্ঞাসা করতেই জানা গেল, ঝিনুক খুঁজছেন তারা। খালে প্রচুর ঝিনুক পাওয়া যাচ্ছে। তা কুঁড়িয়েই ভালো আয় হচ্ছে তাদের।
তবে খালে কাঁচের টুকরা কিংবা ঝিনুকের খোলসে হাত-পা কেটে আহতও হওয়ার কথাও জানান তারা।
এদিকে, উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় শামুক-ঝিনুক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এরা যেসব জলাশয়ে থাকে সেখান থেকে ময়লা-আবর্জনা খেয়ে পানি দূষণমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। এজন্য এদেরকে প্রকৃতির ফিল্টার বলা হয়।
হোসেন গাজী নামে ষাটোর্ধ বৃদ্ধ বলেন, কয়েকদিন ধরে ঝিনুক কুঁড়িয়ে বেশ আয় হচ্ছে। প্রতিদিন ৭০/৮০ কেজি ঝিনুক পাচ্ছি।
শীত লাগছে কি না জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘গরীবের আবার শীত! সৎভাবে কিছু আয় হচ্ছে এটাই বড় কথা। বসে নেই এলাকার নারীরাও। তারাও দরিদ্র সংসারে আয়ের খবরে খুশি মনে খাল থেকে ঝিনুক তুলছেন।’
তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে অনেকেই লজ্জায় কথা বলেননি।
দেয়াড়া গ্রামের শাহিনুর রহমান, স্বপরিবারে ঝিনুক কুঁড়াচ্ছেন। আবার এলাকার লোকদের কাছ থেকে কিনে ২০ কিলোমিটার দূরের পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী বাজারে বিক্রিও করছেন তার ছেলে আজমল।
আজমল বলেন, ‘আমাদের কুঁড়ানো ৩-৪ মণের সঙ্গে এলাকা থেকে ১০-১২ মণ কিনে নিজ ভ্যানে চাঁদখালী বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছি। ভালো আয় হচ্ছে।’
তামিম নামের এক কিশোর বলেন, ‘৪ দিন আগে জানতে পারি। প্রতিদিন দেড়-দুই মণ ঝিনুক পাচ্ছেন তিনি। প্রথম দিন ৪ টাকা কেজি বিক্রি করেন। তবে আজ বিক্রি হয়েছে ৬ টাকা কেজি।’
শিমলার আইট গ্রামের কয়েকজন নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা হয়। তারা বলেন, ভাটায় খালে পানি কমে যায়। তখন তুলতে সুবিধা হয়। প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করে অনেকে ৬-৭ শত টাকাও আয় করছেন। যে যেমন তুলতে পারছেন তার আয় তেমন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বিপর্যস্ত খুলনাঞ্চলের জনজীবন
হুদুবনের হাফিজুল ইসলাম বলেন, এলাকা থেকে কিনে পাইকগাছায় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা মণ বিক্রি করছি। এ খাল থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ ব্যক্তি ৮-৯ শত মণ ঝিনুক তুলছেন।
তিনি আরও বলেন, আগে কখনও এগুলো বিক্রি হতে দেখিনি। মাঝে মধ্যে কাউকে কাউকে কুঁড়াতে দেখা গেছে। তবে তারা বিক্রির কথা স্বীকার করতেন না। হঠাৎ ১০-১৫ দিন ধরে এ এলাকায় বিক্রি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। আর তখন থেকে খালে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে শামুক ও ঝিনুক ক্রয় করে আসছেন। মূলত বর্ষার মৌসুমে বেশি পাওয়া যায়। সুন্দরবন থেকে শামুক-ঝিনুক কুঁড়িয়ে সেখানে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে উপকূলের বহু পরিবার।
চাঁদখালী বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, তারা ৩৫০ টাকা মণ কিনছেন। এটা দিয়ে চুন তৈরি করে বিক্রি করছেন তারা। তবে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
সেখানকার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. কাইয়ুম হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি প্রথমে স্বীকার করেন চাঁদখালী বাজারের বেশ কিছু ব্যক্তি ঝিনুকের ব্যবসা করেন। তবে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
কয়রা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক বলেন, ‘শামুক-ঝিনুক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এগুলোকে প্রকৃতির ফিল্টার বলা হয়। তবে কিছু ক্ষুদ্র শামুক রয়েছে সেটা মাছ চাষের জন্য ক্ষতিকর।’
তিনি আরও বলেন, বণ্যপ্রাণী নিধন আইনে প্রাকৃতিক উৎস্য থেকে শামুক-ঝিনুক আহরণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অবৈধভাবে এ ব্যবসা করলে কিংবা প্রাকৃতিক উৎস্য থেকে আহরণ করলে আইন অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনা হবে।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, সমুদ্রের শামুক-ঝিনুক আহরণ ও ব্যবসা করা আইনত অপরাধ। চাঁদখালী বাজারে কেনাবেচার বিষয়ে তার জানা নেই। খোঁজ নিবেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গ্রামে নগরায়নের ছোঁয়া, খুলনায় মিলছে না খেজুরের রস
চাঁদপুরে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা, চলতি মাসে ২ শিশুর মৃত্যু
চলতি মাসে শীতের তীব্রতায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চাঁদপুর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ক্রমাগত বাড়ছে শিশুসহ রোগীর চাপ। আক্রান্তের বেশিরভাগই শিশু।
চলতি মাসের শুরু থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ঠান্ডাজনিত রোগে এ হাসপাতালে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহে ২৮৩ জন ভর্তিসহ এ পর্যন্ত দেড় হাজারের অধিক শিশু রোগী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। হাসপাতালের ৪২ বেডের বিপরীতে গড়ে দৈনিক ৮৫ জন শিশু রোগী ভর্তি থাকলেও বেড সংকটে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ঠান্ডাজনিত শিশুরোগীর সংখ্যা বাড়ছে
যশোরে শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু, বাবা-মা আটক
যশোরে আয়েশা নামের দেড় বছরের এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের পিতা ও বিমাতাকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পুকুরে ডুবে ২ বছরের শিশু মৃত্যু
শিশু আয়েশা যশোর শহরের খড়কী ধোপাপাড়া এলাকার পিন্টুর মেয়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শিশু আয়েশাকে বিমাতা হত্যা করেছেন।
পুলিশ ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: কচুয়ায় পানিতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
নিহত শিশুর পিতা পিন্টু জানান, আয়েশা দুর্বল ছিল। সে বারবার পড়ে যেতো। শনিবার পড়ে গিয়ে সে অচেতন হয়ে পড়ে।
পিন্টু আরও জানান, ৪-৫ মাস আগে শিশুর মা জান্নাতুলের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। এ ঘরে তার আরও এক ছেলে রয়েছে।
জান্নাতুলের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি পারভীনকে বিয়ে করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৫
যশোর কোতয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত জানান, শনিবার দুপুর ১টার দিকে শিশুটিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনেন তার পিতা পিন্টু। এসময় তার সৎ মা(বিমাতা) পারভীনও সঙ্গে ছিলেন।
তিনি আরও জানান, চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তিনি জানান, মৃত্যুটি রহস্যজনক হওয়ায় তার পারভীন ও বাবা পিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে নারীর মৃত্যু
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার আফসার আহমেদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু