মহাসড়ক
শনিবার দেড়ঘন্টা বন্ধ থাকবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
আগামীকাল দেড় ঘন্টার জন্য বন্ধ থাকবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল। মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের টেরিয়াল নামক স্থানে স্টিল ফুটওভার ব্রিজের ডেকবিম স্থাপনের জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ঢাকা টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে একমুখী যানজটসড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর (সওজ) চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগাধীন ঢাকা (যাত্রাবাড়ী)-কুমিল্লা ( ময়নামতি)- চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-টেকনাফ জাতীয় মহাসড়কের টেরিয়াল নামক স্থানে স্টিল ফুটওভার ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণাধীন ফুটওভার ব্রিজের ডেকবিম স্থাপনের জন্য শনিবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল ৭টা ( ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট) পর্যন্ত সকল প্রকার যানবাহন চলাচর বন্ধ থাকবে।জনসাধারণের সাময়িক অসুবিধার জন্য চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে একমুখী যানজট
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে শনিবারের মতো রবিবারও ঢাকামুখী মানুষের চাপ রয়েছে। এই মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘরমুখো মানুষের চাপেও যানজটমুক্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
সংশ্লিষ্টরা জানান, মাঝে মাঝে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী অধিকাংশ ফাঁকা গাড়িগুলো দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি করছে। আবার ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যেই রাস্তা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। কখনও আবার ধীর গতিতে থেমে থেমে চলছে যানবাহন। রাতে ঢাকাগামী গাড়ির চাপ বাড়লেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ফাঁকা হয়ে যায় রাস্তা। তবে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট
রবিবার সকাল ৯টায় সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার পৌলি ওভার ব্রিজ থেকে সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত ঢাকামুখী রাস্তা ফাঁকা। কিন্তু ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী গাড়ির চাপ রয়েছে। যানজট নিরসনে মহাসড়কে কাজ করে যাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ।
ভোগান্তি উপেক্ষা করে ঢাকায় ছুটছে মানুষ
চলমান কঠোর লকডাউনের মাঝেও কলকারখানা খোলার ঘোষণায় মহাসড়কে বেড়েছে মানুষের চলাচল। শনিবার সকাল থেকেই ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় লেগে আছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ভিড়। বিভিন্ন স্থান থেকে ইজিবাইক, ভ্যান বিকশা যোগে টার্মিনালে এসে হাজির হচ্ছে তারা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষেরা। কাজে যোগ দিতে ইজিবাইক, মাহেন্দ্রসহ ছোট ছোট যানে ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে তাদের। যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। এসময় যানবাহন না পেয়ে অনেককে বসে থাকতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুনঃ ৫ আগস্টের পরও বিধিনিষেধ বহালের সুপারিশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
যশোর থেকে ঢাকাগামী রাশেদুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আমরা যশোর আসছি। আগামীকাল থেকে অফিস খোলা। অফিস তো যেতেই হবে। সেই কারণে বাচ্চাদের নিয়ে অনেক কষ্ট করে সিএনজি, অটোরিকশা করে যেতে হচ্ছে। ফ্যাক্টরি খোলা ঠিক আছে। তবে গাড়িগুলো যদি খুলে দিত তাহলে আমাদের ভোগান্তি কম হতো।‘
একই এলাকা থেকে আসা আব্দুল্লাহ নামের এক যাত্রী বলেন,’ আমি আসছি অভয়নগর যশোর থেকে। এখন যাব ঢাকা। আমার সঙ্গে আমার স্ত্রী আছে। এখন যাব কি করে? ১০ টাকার ভাড়া ১’শ টাকা নিচ্ছে। তাও গাড়ি পাচ্ছি না। খুবই বিপদে আছি।‘
আরও পড়ুনঃ ভোলায় ফেরিঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থেকে আসা নাজমুল হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘সরকার জনগণের কথা কখনো চিন্তাই করে না। আমাদের কথা যদি ভাবতো তাহলে গাড়ি চালু করতো। গাড়ি বন্ধ করে গার্মেন্টস খুলে দেওয়া কোন ভাবেই উচিত হয়নি। মানুষের কথা ভাবেন দয়া করে। এভাবে ভোগান্তি দেওয়া ঠিক না।‘
আরও পড়ুনঃ পাটুরিয়াঘাট দিয়ে ঢাকায় ছুটছে মানুষ
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ ট্রাফিট ইন্সপেক্টর সালাহউদ্দিন বলেন, সকাল থেকে টার্মিনালে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। তারা ছোট ছোট যানবাহনে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
ঈদযাত্রায় ২৪০ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৭৩
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেয়া কঠোর লকডাউন ঈদুল আজহার জন্য শিথিল করা হয়েছিল। বিধি নিষেধ শিথিলের মাঝে মাত্র আটদিন গণপরিবহন চালু ছিল। তবুও এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে। দেশের সড়ক-মহাসড়কে ২৪০ সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৪৪৭ জন। আর সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট ২৬২ দুর্ঘটনা হয়েছে। এতে ২৯৫ জন নিহত এবং ৪৮৮ জন আহত হয়েছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতির পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আরও পড়ুনঃ পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নাটোরে নিহত ২শুক্রবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০২১ প্রকাশকালে এই তথ্য তুলে ধরেন।
লকডাউনের মধ্যে মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় আসছে মানুষ
করোনা সংক্রমণরোধে কঠোর বিধি নিষেধে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও এক শ্রেণির মানুষ মানছে না সরকারি আইন কানুন। আর তাদের সহায়তা করছে আরেক শ্রেণির সুবিধাবাদী মহল।
চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড থেকে মাইক্রোবাসে করে শত শত মানুষ ঢাকায় পাড়ি দিচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, বিশ্বরোডের একটি প্রভাবশালী চক্রের সহযোগিতায় প্রতিদিন শত শত যাত্রী ঢাকায় যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ঘরমুখো মানুষের চাপেও যানজটমুক্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
সরজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড থেকে মাইক্রোস্ট্যান্ডে কতিপয় ব্যক্তি বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে তিন/চার গুণ বেশি ভাড়া নিয়ে ঢাকায় যাত্রী পাঠাচ্ছে। কোন ধরনের সরকারি নিয়ম কানুনের ধার ধারছে না। এতে করে হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য
এ ক্ষেত্রে ওই প্রভাবশালী মহলটি ৫০ শতাংশ কমিশন পেয়ে থাকে। যাত্রীদের মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারে উঠতে তাদের ৫০০/৬০০ টাকা দিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল আলম জানান, এভাবে যাত্রীর চলাফেরা নিষেধ। বিশ্বরোড় মোড়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে
গৌরনদীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ ভাইয়ের মৃত্যু
বরিশালের গৌরনদীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই খালাতো ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার বাইচখোলা নামক স্থানে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ২১
নিহতরা হলেন,পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কলাগাছিয়া এলাকার আব্দুর রহমান মাষ্টারের ছেলে মো. কামরুল হাসান (২০) ও তার খালাতো ভাই হোসেন ভূইয়া (২৫)। তারা ঢাকায় বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গৌরনদী হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মাহাবুব ইসলাম জানান, নিহতরা পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে মোটরসাইকেল যোগে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দিকে যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৩
তিনি বলেন, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তাছাড়া নিহতদের স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে।
গাজীপুরের দুই মহাসড়কে যানজট, ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি
ঢাকা-ময়মনসিংহ এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর অংশের বিভিন্নস্থানে সকাল থেকে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঘরমুখো মানুষ।
স্বজনদের সাথে ঈদ করতে গাজীপুরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক হয়ে ঘরমুখো মানুষ ছুটছেন দলে দলে। এর সঙ্গে রয়েছে গতকাল ছুটি হওয়া লাখ লাখ পোশাক শ্রমিক। সকালে পথে নেমেই তাদের পড়তে হয়েছে যানবাহনের সংকটে। গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঘরমুখো মানুষ।
আরও পড়ুনঃ পাটুরিয়ায় যাত্রীর চাপ, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি
এসব যানবাহনের বেশি সংখ্যক যাত্রী তোলা হচ্ছে আবার নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। পর্যাপ্ত সংখ্যক বাসের সংকট থাকায় অনেকেই ট্রাক, পিকআপ ভ্যানে ওঠে বৃষ্টিতে ভিজেও ছুটছেন তাদের গন্তব্যে। বৃষ্টির কারণে আর সড়কের পাশে পানি জমে থাকায় শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত অসংখ্য মানুষকে নাকাল হতে হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের এই সময়ে চলার পথে কোথাও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্কের ব্যবহার দেখা যায় নি।
আরও পড়ুনঃ রাজধানীতে যানজট, যাত্রীদের ভোগান্তি
বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় এবং সড়কের বিভিন্ন জায়গা ভাঙা থাকার কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহসড়কের টঙ্গী বাজার থেকে টঙ্গী স্টেশন রোড, চেরাগ আলী মার্কেট, বোর্ডবাজার, ভোগড়া বাইপাস এলাকায় যানবাহন চলাচল করছে থেমে থেমে।
আরও পড়ুনঃ ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ১৫ জুলাই থেকে চলবে ট্রেন
অন্যদিকে টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত ও একই চিত্র দেখা যায়। যদিও ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশকে সড়ক-মহাসড়ক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করতে দেখা গেছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৩
ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলায় ট্রাকচাপায় অটোরিকশার তিনযাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কের ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর বোর্ড অফিস নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার সালান্দর এলাকার শিংপাড়া গ্রামের মজিবর রহমান (৫০), একই উপজেলার চোঙ্গাঘাতা এলাকার চঞ্চল (৩৫) ও গোলাম মোস্তফা (৪০)।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে মাথায় গুলি চালিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের ‘আত্মহত্যা’
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টার দিকে একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো- ট- ১৮- ১০১৬) পঞ্চগড়ের দিকে যাচ্ছিল। পথে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কের আউলিয়াপুর বোর্ড অফিস এলাকায় ওই ট্রাকটি বিপরীতমুখী একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে দু’জনের মৃত্যু হয় এবং আহত হন পাঁচজন। হাসপাতালে আনার পর মারা যান একজন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মলম পার্টির ৪ সদস্য আটক: র্যাব
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম তিনজন নিহতের কথা স্বীকার করে জানান, ঘটনাস্থলেই দুই জন নিহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল নেওয়া হলে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়। আহতরা সেখানে চিকিৎসাধীন বলে জানান তিনি।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রাকিবুল আলম চয়ন বলেন, আহতদের অবস্থা আশংকাজনক। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জের নারীকে সিলেটে এনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৪
কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
মহাসড়কের চরবাকর এলাকায় একটি পণ্যবাহী ট্রাকের ধাক্কায় তিন রিকশা আরোহী নিহত হন।
আরও পড়ুন: শিশুপুত্র হত্যা : বাবার ফাঁসির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন
নিহতরা হলেন, কুমিল্লার ছালিয়াকান্দি গ্রামের বাবুল মিয়া (৪০), জেলার মুরাদনগর উপজেলার আবুল কালাম (৪৫) এবং কামরুন্নাহার (৩০)।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অন্য যাত্রী কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।
আরও পড়ুন: জালটাকার সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ৫, দুইদিনের রিমান্ড
অন্যদিকে মুরাদনগর উপজেলার থল্লা মোড় এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় এক শিশু নিহত হয়েছে।
মিরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল ঘোষ জানান, নিহত শিশু নিরব থল্লা গ্রামের সোহেলের ছেলে।
আরও পড়ুন: ব্ল্যাকমেইল করে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
সীতাকুণ্ডে কাভার্ডভ্যান চালককে মারধর: মহাসড়ক অবরোধ
সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির পাক্কা মসজিদ এলাকায় কেডিএস লজিস্টিক এর গার্ড কৃর্তক কাভার্ডভ্যানের চালককে মারধরের জের ধরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে চালক-হেলপাররা। এ ঘটনায় মহাসড়কে প্রায় ১ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
এসময় মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
পরিবহন শ্রমিকরা জানান, সন্ধ্যার দিকে কেডিএস লজিস্টিকে গাড়ি প্রবেশ নিয়ে কাভার্ডভ্যান চালক শাহাদাতকে মারধর করে কারখানার সিকিউরিটি গার্ড। এ ঘটনার জেরে রাতে চালক-হেলপাররা মহাসড়কে গাড়ি দাঁড় করিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। এসময় শত শত চালক হেলপাররা সিকিউরিটি গার্ডের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করে।
কাভার্ডভ্যান চালক কামাল জানান, কেডিএস লজিস্টিকের শত শত গাড়ি রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকে, ভিতরে পার্কিং করার পর্যাপ্ত জায়গা তাদের নেই। অন্যদিকে সড়কে গাড়ি রাখলে হাইওয়ে পুলিশ এসে মামলা দেয়, গাড়ি নিয়ে যায়। এছাড়া কেডিএস লজিস্টিকের দারোয়ানরা প্রায় সময় চালক ও হেলপারদের মারধর করে।
আরও পড়ুনঃ সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ যুবক নিহত
এদিকে রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ, ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক, ফৌজদার হাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম শফিক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ইনচার্জ জহির।
পরে চালক হেলপার, কেডিএস কৃর্তপক্ষ এবং প্রশাসনের ত্রিপক্ষীয় আলোচনার পর রাতে চালকরা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয়।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
এব্যাপারে মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘চালক ও গার্ডদের মধ্যে মারধরের ঘটনায় চালকরা মহাসড়কে ব্যারিকেড দেয়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করি। চালকরা অবরোধ তুলে নিয়েছে।’