মানুষ
গোয়ালন্দে জেঁকে বসছে শীত, দুর্ভোগে পদ্মা পাড়ের মানুষ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে কয়েক দিন ধরে কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। শুক্রবার সারাদিন দেখা মেলেনি সূর্যের। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। কেবলমাত্র প্রয়োজনের তাগিতে বের হচ্ছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। এছাড়া নদী ভাঙন এলাকার শ্রমজীবী মানুষ শীতে বাড়তি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গোয়ালন্দে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
গোয়ালন্দ উপজেলায় আবহাওয়া অধিপ্তরের কোনো কার্যালয় না থাকলেও প্রয়োজনের তাগিদে উপজেলা প্রশাসন আবহাওয়ার খোঁজ খবর নিয়ে থাকেন।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোয়ালন্দ উপজেলায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চলছে। যা এ বছরের সর্বনিম্ন বলে মনে করছেন তিনি। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ১৮ জানুয়ারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এরপর তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে পারে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, ঘাট এলাকায় যাত্রীদের উপস্থিতি অনেক কম। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষজন পেটের তাগিদে বাইরে বের হয়েছেন। লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে মানুষের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। কিছু মানুষ এলেও বেশিরভাগ চায়ের দোকানে গরম কাপে চুমুক দিতে দেখা যায়। জরুরি কাজ না থাকলে সহজে কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। উপজেলার উজানচর, দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম অঞ্চলের নদী ভাঙন এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষজন অনেক কষ্টে দিন পার করছে। শীতে তাদের বাড়তি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) একজন ভ্যানচালক। প্রতিদিন গোয়ালন্দ বাজার, দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করে থাকেন। কিছু মাছের ট্রিপ ধরতে এসেছেন দৌলতদিয়া ঘাটে।
দৌলতদিয়ার ৪ নম্বর ফেরি ঘাটে আলাপকালে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এমন শীত পড়েছে, মনে হচ্ছে জমে যাচ্ছি। এমন শীত আগে দেখিনি। ঘরে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে রয়েছে। রোজগার না করলে খাওন জুটবে না। ৩০০ টাকা ভাড়ায় দৌলতদিয়ায় আইছি। কনকনে ঠান্ডা বাতাসে দাঁড়ায় থাকতে পারছি না।
ঘাটে কর্তব্যরত বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুর রহিম পন্টুনের একটি কক্ষে গিয়ে বসে আছেন। এসময় তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড শীত পড়ছে। এরপর ঘাট এলাকায় শীতের সঙ্গে বাড়তি বাতাস থাকায় ডিউটি করা অনেক কষ্টকর। মাঝে মধ্যে বাতাস উঠলে দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। উপায় না পেয়ে একটু উষ্ণতা নিতে চায়ের দোকানে ঠাঁই নিতে হয়।
আরও পড়ুন: শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ, হাসপাতালে বাড়ছে শিশুরোগী
দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম বলেন, এর আগে এত ঠান্ডা পড়েনি। আজকে সারাদিন ঘরেই বসে আছি। নদী ভাঙন এলাকার মানুষজন ঠান্ডায় কাতর হয়ে পড়ছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে কিছু কম্বল দিয়েছিল তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এত মানুষকে এখন কী দেব?
এদিকে প্রচণ্ড ঠান্ডা আর কুয়াশায় শীতকালীন অনেক ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ। ধানের বীজতলা, দানা পেঁয়াজ, সরিষা।
দৌলতদিয়া তোরাপ শেখের পাড়ার কৃষক হুমায়ন আহম্মেদ বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডা আর কুয়াশায় ধানের বীজতলা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। দুই দিন ধরে বীজতলার ওপর পলিথিন দিয়ে ঘিরে দিচ্ছেন। সরিষা খেতে পোকার আক্রমণ বাড়ার আশঙ্কাও করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডা আর কুয়াশায় মুড়িকাটা ও দানা পেঁয়াজের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ অঞ্চলে পেঁয়াজ তোলা শেষের দিকে। সরিষার অনেক ভালো ফলন হয়েছে। সরিষা খেতে পাতায় এক ধরনের পোকার আক্রমণ হতে পারে। ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ জন্য কৃষকদের সতর্কতার সঙ্গে কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে বলেছি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে জেকে বসেছে শীত, বিক্রি বেড়েছে হকার্স মার্কেটে
সিন্ডিকেট রোধে কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে এক কোটি মানুষকে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ করেছেন।
তিনি বলেন, নতুন সরকার গঠনের পর কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ব্যবসা করতে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স লাগবে: মেয়র তাপস
বুধবার (১০ জানুয়ারি) নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকায় ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কারসাজি করে কোনো সময় পেঁয়াজ, কখনও আলু, কখনও ডিমের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে। শেখ হাসিনা টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি মানুষকে ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে ন্যায্যমূল্যে খাবার বিতরণ করে সিন্ডিকেটের এ কারসাজিকে প্রতিরোধ করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: আন্তঃজেলা বাস ঢাকার বাইরের আর নগর পরিবহন ঢাকার অভ্যন্তরের টার্মিনাল ব্যবহার করবে: শেখ তাপস
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন মুনাফাখোরেরা কারসাজি করে পার পাবে না। এক সময় টিসিবি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সে সময় আকাশচুম্বী হয়ে গিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকে সেজন্য একেকটি অভিনব পন্থা বের করেন। যখনই দেখা যায় ডিমের দাম বাড়ছে সঙ্গে সঙ্গে তিনি ব্যবস্থা নেন। কর মওকুফ করে দেন। যাতে করে ডিম আমদানি করে নিয়ে আসা যায় এবং আবার ডিমের দাম কমে যায়।
মেয়র বলেন, যখনই দেখা যায় চিনির দাম বেড়ে গেছে, তিনি তখনই ব্যবস্থা নিয়ে আবারও চিনির দাম কমানোর ব্যবস্থা নেন। মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে এ সকল কারসাজি করে আসছে। কিন্তু শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন তারা এসব করে পার পাবে না।
আরও পড়ুন: আগামী বর্ষায় বুড়িগঙ্গায় নৌকাবাইচ আয়োজন করা হবে: মেয়র তাপস
নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধে আরও কঠোরতা দেখানো হবে জানিয়ে তাপস বলেন, এবার সরকার গঠন করার পরে আমরা এ ব্যাপারে আরও কঠোর হবো। যারা কারসাজি করে, তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, একমাত্র শেখ হাসিনাই এ সব সিন্ডিকেটের মাথা ভেঙে দিয়ে তাদের নির্মূল করতে পারবেন। যেমনি তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন তেমনি এসব সিন্ডিকেটকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসলে দ্রব্যমূল্য সকলের জন্য সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: জনগণ সচেতন হলেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: মেয়র তাপস
শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ, হাসপাতালে বাড়ছে শিশুরোগী
তাপমাত্রা কমতে থাকায় কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন। ঠান্ডায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। হাসপাতালে বেড়েছে শিশুরোগী।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে শীতার্তদের কষ্ট লাঘবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ৪৩ হাজার কম্বল বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: শীতে কাবু কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষ
শীত ও কনকনে ঠান্ডায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন হতদরিদ্র মানুষজন। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
মঙ্গলবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ২০ জন শিশু। সেখানে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন আক্রান্তরা। হাসপাতালটিতে বর্তমানে ভর্তি রয়েছে ৪৩ শিশু।
এদিকে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাহিল হয়েছে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষগুলো। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় কাজে যেতে না পারায় কষ্টে পড়েছে শ্রমজীবীরা।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
মানুষ পুড়িয়ে হত্যা সহ্য করা হবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে মানুষ পুড়িয়ে ও নির্বাচন বানচাল করে কাউকে ফায়দা লুটতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘মানুষ জ্বালিয়ে, নির্বাচন বন্ধ করে তারা যে ফায়দা হাসিল করে, তা বাংলার মাটিতে হতে দেওয়া হবে না।’
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা অগ্নিসংযোগকারীদের এবং তাদের নির্দেশ দাতাদের নিন্দা জানিয়ে বলেন, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা মহাপাপ, কোনো ধর্মই এটা মেনে নেয় না।
তিনি বলেন, যদি কারো জনসমর্থন পেতে হয়, তাহলে তারা জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নে তাদের অঙ্গীকার তুলে ধরতে পারে।
যিশু খ্রিস্টের জন্মস্থান ফিলিস্তিন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে জায়গাটি এখন রক্তক্ষয়ী হামলার শিকার। এমনকি হাসপাতালগুলোতেও হামলা চালানো হচ্ছে। এমনকি অল্পবয়সী শিশু ও নারীরাও হামলা থেকে রেহাই পায়নি।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এটা আমাদের জন্যও দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা আমাদের দেশেও কিছু লোককে দেখছি রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষকে হত্যা করছে তারা।
তিনি বলেন, মানুষ হত্যার জন্য এই লোকেরা রেললাইন উপড়ে ফেলে এবং ট্রেনের বগিতে আগুন দেয়। ‘আমি জানি না এটা কী ধরনের রাজনীতি যে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। কেন এই আগুনের খেলা? কারো যদি আদর্শ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকে, তারা জনগণের কাছে গিয়ে তাদের সামনে তুলে ধরতে পারেন।
সম্প্রতি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে মা ও তার কোলে থাকা একটি শিশু জীবন্ত দগ্ধ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমন করুণ দৃশ্য দেখতে চাই না। তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য মানুষের ক্ষতি করে পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের কী লাভ হচ্ছে? এটা আমার প্রশ্ন। আমরা চাই এই ধরনের সহিংসতা বন্ধ হোক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবতা সব ধর্মের শিক্ষা। তাই তার সরকার এই শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশ চালাচ্ছে।
তিনি ববলেন, ‘এই মাটিতে শ্রেণি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সবাই স্বাধীনভাবে বসবাস করবে। আমরা সব মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়ন কামনা করি।’
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত করেছিলেন। কারণ তিনি চেয়েছিলেন সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
তিনি বলেন, ‘যেখানে সব ধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে এবং আমরা সবাই মিলে (ধর্মীয়) উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করি। আমি মনে করি বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ।’
শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে তার পক্ষ থেকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা বড়দিনের ক্যারোল ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন।
ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় নাইসেফরাস ডি'ক্রুজ এবং বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে বড়দিনের শুভেচ্ছা কার্ড তুলে দেন।
নির্মল রোজারিওর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বড়দিনের কেক কাটেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি জুয়েল আড়ং, এমপি, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, এমপি, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. এ হামিদ জমাদ্দার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান লীগের সভাপতি ড্যানিয়েল নির্মল ডি'কস্তা এবং বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত আই কোরায়া প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
গণপরিবহনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে অগণতান্ত্রিক শক্তির বিকাশ হয়: টিআইবি
রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন বা আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ানোর অধিকার কোনো রাজনৈতিক দলের নেই বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
ট্রেনে দেওয়া আগুনে তিন বছরের শিশুসহ চারজনকে হত্যা, গণপরিবহনে আগুন, রেললাইন কাটা ইত্যাদি ধ্বংসাত্মক ঘটনা থেকে বের হয়ে আসার জন্য রাজনৈতিক মহলকে আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: মুক্ত সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হতাশাজনক ব্যর্থতার স্বাভাবিকতার দৃষ্টান্ত: টিআইবি
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ট্রেনের একটি বগি থেকে মা, শিশুসন্তানসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বিষয় হিসেবে দেখার সুযোগ নেই উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মানুষ পুড়িয়ে কীসের রাজনীতি? ক্ষমতা কি মানুষের জীবনের থেকে বেশি মূল্যবান? লাশ নিয়ে রাজনীতির অধিকার কোনো রাজনৈতিক দলের নেই।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত: টিআইবি জরিপ
বলপ্রয়োগ ও সহিংসতাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বাভাবিকতায় পরিণত করা হয়েছে উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, ‘রাজনীতি বা রাজনৈতিক দলের মূল উদ্দেশ্য যে প্রক্রিয়ায় জনকল্যাণ থেকে সরে ক্ষমতায় স্থির হয়, ঠিক সেই প্রক্রিয়ায়ই রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা প্রকটতর হতে থাকে। মানবতাকে জিম্মি করে, অনেক ক্ষেত্রে মানুষের লাশকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা বা দলীয় এজেন্ডা হাসিলের জন্য ব্যবহারের ঘটনাই সময়ের পরিক্রমায় আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। বিবাদমান দুই রাজনৈতিক প্রভাব বলয়ের সব মহলের কাছে আমাদের দাবি, নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ গরম আর মাঠ দখলের নামে সব প্রকার বলপ্রয়োগসহ মানুষের জীবননাশের রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসুন। অগণতান্ত্রিক শক্তির বিকাশের পথ থেকে সরে আসুন।
আরও পড়ুন: প্রতিবাদ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে টিআইবির চিঠি
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘চলমান আন্দোলনের মাঝে এসব ধারাবাহিক নৃশংসতার দায় আন্দোলনরত দলগুলো এড়াতে পারে না। আবার, এর পেছনে সরকারি মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ মিথ্যা হলে, তা প্রমাণের দায়িত্ব সরকারের ও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের। আমরা সত্যিকারের অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। নৃশংসতার সুযোগসন্ধানী রাজনীতি জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা বা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি আদায়ের পথ হতে পারে না।
অন্যদিকে, সহিংসতা প্রতিরোধের নামে বলপ্রয়োগ, সংগঠনের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করা হবে, ঢালাও ধরপাকড় হবে, বিনা বিচারে মানুষ জেল খাটবে, তা-ও কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না বলে মনে করে টিআইবি।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন: টিআইবি
শীতে কাবু কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষ
কুড়িগ্রামে এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। রবিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও শীতের দাপটে ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন চরাঞ্চলের শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও অতি দরিদ্র মানুষজন। ঠান্ডায় সময়মতো কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগ বেড়েছে তাদের।
আরও পড়ুন: শীতের পোশাক পেল পথশিশুরা, সঙ্গে দেয়া হলো চাইনিজ খাবার
দিনের অধিকাংশ সময মেঘে ঢাকা থাকছে সূর্য। গত এক সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে।
শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার দরিদ্র মানুষ।
এদিকে শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ইতোমধ্যেই ৪৫ হাজার কম্বল সংশ্লিষ্ট উপজেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. বাবলু মিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নটি নদীবেষ্টিত। এখানে প্রচুর শীত ও কুয়াশা। এখানকার মানুষ শীতে কাবু হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারি ভাবে শীতবস্ত্র পাইনি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আগামী ২০ তারিখের পরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ কি বিএনপি-জামাতের কানে পৌঁছায় না: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামাতের প্রতি প্রশ্ন রেখে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জীবন্ত দগ্ধ মানুষদের আর্তনাদ কি তাদের কানে পৌঁছায় না?
তিনি বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাসী ও তাদের হুকুমদাতা, অর্থদাতাদের বিচার হলেই কেবল অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ হবে।’
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’সংগঠন আয়োজিত ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার চাই’ শীর্ষক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংলাপ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়: তথ্যমন্ত্রী
‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’র আহ্বায়ক শাহাদত হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আইনজীবী খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় নিহত নাহিদের মা রুনি বেগম, আগুনে ঝলসে যাওয়া সালাউদ্দিন ভূঁইয়াসহ অনেক আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অগ্নিসন্ত্রাসী ও মদদদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
তাদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বা দ্রুততম সময়ে বিচারের মাধ্যমে ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে যারা আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছিল তাদের এবং হুমুকদাতা ও অর্থদাতাদের যদি আমরা বিচার করতে পারতাম, তাহলে আজকে ২০২৩ সালে এই আগুনসন্ত্রাস হতো না। সেই সময় তারা আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, আর এখন চালানো হচ্ছে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল অবরোধ ডেকে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে আর তাদের কিছু কর্মী, সন্ত্রাসী আর কিছু মানুষকে ভাড়া করে হাতে পেট্রোলবোমা তুলে দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে, গাড়িতে আগুন দেওয়াচ্ছে। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। পৃথিবীর কোথাও গত দুই দশকে রাজনীতির জন্য এভাবে আগুনসন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটেনি, যেটি বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত করছে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজকে সকালে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন থেকে এসেছি। সেখানে দুবাইয়ে কমনওয়েলথ সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় প্রশ্ন রেখেছিলাম, পৃথিবীর কোথাও রাজনীতির কারণে এভাবে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা, নিরীহ মানুষকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হত্যা করা হচ্ছে কি না, যেটি বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত ঘটাচ্ছে। তার পুরো দল স্বীকার করেছে পৃথিবীর অন্য কোথাও এটি ঘটছে না, গত ২০ বছরে কোথাও ঘটেনি।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের খাসলত বদলাবে আশা করেছিলাম, কিন্তু না, তারা আবার সেই পুরোনো আগুনসন্ত্রাস শুরু করেছে। আসলে কয়লা ধুলে ময়লা যায় না, বিএনপি-জামায়াতও কখনো ভালো হবে না। সুতরাং এদের প্রতিহত করতে হবে। গত এক মাসে তারা ৫৮০টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। অনেক ড্রাইভার-হেলপারকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে। আর এই সমস্ত কিছু পরিচালিত হচ্ছে তারেক রহমান আর বিএনপি নেতাদের নির্দেশে। সুতরাং তারাও দোষী এবং এই অগ্নিসন্ত্রাসের যারা শিকার তাদের আর্তনাদ ও দাবি অনুযায়ী নেতাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার অশুভ উদ্দেশ্য রয়েছে তাদের।
তিনি বলেন, 'শুধু ক্ষমতায় আসার জন্য আমি আর কোথাও এমন অমানবিকতা ও হত্যাকাণ্ড দেখিনি।’
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, যারা লাশের ওপর পা রেখে ক্ষমতায় আসার কথা ভাবে, তারা অমানুষ।
তিনি বলেন, 'আমার কাছে প্রশ্ন হলো, কেন মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে? আমি এখনও বুঝতে পারছি না, মানুষকে কেন পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে, বাস পোড়ানো হচ্ছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, দেশ একের পর এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাষা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন,‘আমরা একের পর এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি। উদাহরণস্বরূপ, কোভিড-১৯, আমরা এটি মোকাবিলা করেছি। এছাড়া প্রায়ই অগ্নিসন্ত্রাসের মতো নানা ধরনের ঝামেলা শুরু হয়।’
শান্তি প্রতিষ্ঠার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, শুধু দেশের মধ্যেই নয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিকভাবেও শান্তি চায় বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, 'আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব,কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়।’
বাংলাদেশকে শান্তির দেশ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
আমি গোপনে বিয়ে করার মতো মানুষ নই: লিজা
বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা।
তবে খবরটি হঠাৎ প্রচার হওয়ায় গণমাধ্যমে এই গায়িকা গোপনে বিয়ে করেছেন বলে খবর ছড়িয়েছিল।
কিন্তু এ নিয়ে এবার নিজেই জানালেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি তিশা, আত্মহত্যাচেষ্টার গুঞ্জন
গণমাধ্যমে লিজা বিয়ের খবরটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, গোপনে তিনি বিয়ে করেননি।
তিনি বলেন, ‘আমি গোপনে বিয়ে করার মতো মানুষ নয়। বিয়ের খবর আমার কাছের সবার জানা। উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে আমরা বিয়ে করেছি। অপেক্ষা করছিলাম সবাইকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাব।’
এক বছর আগে বিয়ে করেছেন বলে জানিয়ে লিজা আরও বলেন, ‘আমাদের ব্যস্ততার কারণে এখনও অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ করতে পারিনি। তবে শিগগিরই তা করব। এর আগেই খবরটি ছড়িয়ে যায়।’
লিজার বর একজন একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ দুই দেশেই তিনি ব্যবসা করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন তানজিন তিশা
আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে মিডিয়ার কিছু মানুষ: তানজিন তিশা
মানুষ হত্যা ও অগ্নিসংযোগের জন্য জনসমক্ষে ক্ষমা চান: বিএনপি-জামায়াতকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিএনপি ও জামায়াতকে মানুষ হত্যা ও অগ্নিসংযোগ করার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন।
ভোটের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত জানিয়ে তিনি ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সব দলকে আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘জামায়াত-বিএনপি অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা করেছে এবং জানমালের ক্ষতি করেছে। তাই আমরা চাই তারা জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে তারপর নির্বাচনে আসুক। নির্বাচনের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত।’
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
সবার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আসুন নির্বাচনে অংশ নিন। জনগণের কাছে যান এবং জনগণের কাছে আপনাদের ভোট দিতে বলুন।’
অগ্নিসংযোগের ভয় না পেয়ে নিয়ম মেনে যথাসময়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় তিনি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ধন্যবাদ জানান।
সময়মতো নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: মুণ্ডুহীন বিএনপি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এবং তাদের পছন্দের সরকার গঠনের জন্যই এই নির্বাচন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব- এই স্লোগান দিতে দিতে আপনারা (নির্বাচনে) ভোট দিতে যাবেন।’
যুব সমাজের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছে এবং এখন সবাই এর সুফল পাচ্ছে। এখন তার সরকার আগামীতে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি আমরা তাদের (তরুণদের) সহযোগিতা (এটি করতে) পাব।’
তিনি প্রশ্ন করেন, যারা খুন করেছে এবং সাধারণ মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে; জনগণ কেন তাদের ভোট দিতে যাবে এবং জনগণ কেন তাদের ওপর আস্থা রাখবে?
তিনি আরও বলেন, জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না, কারণ তারা খুনি ও ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত।
নির্বাচন জনগণের সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় এসেছে এবং জনগণ ভোট দেবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারো সাহস থাকলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। জনসমর্থন থাকলে তারা তা পাবে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোটে যে দল জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে তারাই সরকার গঠন করবে।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) জনগণের ওপর আস্থা রাখতে ব্যর্থ হয়ে হামলা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অবশ্যই অগ্নিসংযোগ সহিংসতা কাটিয়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: দলীয় সদস্যদের প্রতি শেখ হাসিনা