চিকিৎসা
মনপুরায় হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
ভোলার দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় চিকিৎসা না পেয়ে এক শিশুর মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে মনপুরা ৫০ শয্যা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুটির নাম মো. আবদুল্লাহ।
শিশুটির চাচা মাওলানা রিয়াজ গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘শুক্রবার রাত ৮ টায় ভাতিজা আবদুল্লাহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ডা. আশিকুর রহমানকে দেখান। তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে যাবতীয় ওষুধের প্রেসক্রিপশন করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন এবং ক্যানোলা পুশ করে দ্রুত ওষুধ প্রয়োগ করতে বলেন। প্রথমে শিশুটিকে নিয়ে ইমারজেন্সি রুমে দায়িত্বরত কেউ না থাকায় সেখানে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। পরে শিশুটিকে হাসপাতালের দোতলার দায়িত্বরত নার্সদের রুমে নিয়ে গেলে এই ঘটনা ঘটে। দেড় ঘন্টা ধরেও দায়িত্বরত নার্সরা ওই শিশুর হাতে ক্যানোলা পড়াতে পারেননি। পরে ভাতিজার মৃত্যু হয়।’
আরও পড়ুন:চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগএ ব্যাপারে মনপুরা উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৈয়বুর রহমান অনুপস্থিত থাকায় ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, জ্বর ও ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় শিশুটির শরীরে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ক্যানোলা পড়াতে পারেনি নার্সরা। এতে ওষুধ প্রয়োগ করতে না পারায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৈয়বুর রহমান মোবাইলে জানান, ওই শিশুটির অবস্থা গুরুতর ছিলো। হাসপাতালের নার্স একাধিকবার চেষ্টা করেন তাকে ক্যানোলা পুশ করার জন্য। কিন্তু ভেইন শুকিয়ে যাওয়ায় তাকে ক্যানুলা পড়াতে পারেনি।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, শিশু মৃত্যু নিয়ে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে গণ্ডগোল শুরু হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, মৃত শিশুটি তার পরিবারের সদস্যরা নিয়ে গেছেন। তবে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি।
আরও পড়ুন:মোটরসাইকেলে পিকআপের ধাক্কা, মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
ফুলবাড়ীতে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণ, প্রতিবেশী আটক
ভারতের মেডিকেল ভিসা: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং ফি
স্বাস্থ্যসেবার দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে প্রসিদ্ধ দেশ হওয়ায় ভারতের মেডিকেল ভিসা বাংলাদেশিদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি নথি। ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী, দেশটির স্বাস্থ্যসেবা খাতে প্রায় ৪৭০ লক্ষাধিক লোক নিয়োগ করা হয়েছিলো, যা খাতটিকে দেশের সর্বোচ্চ নিয়োগকারি খাতে পরিণত করেছিল।
এক নজরে ভারতীয় পর্যটন পরিসংখ্যান-২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রায় ছয় লাখ ৯৭ হাজার ৩০০ বিদেশি পর্যটক ভারতে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। বিশ্বব্যাপী মেডিকেল ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত ৪৬টি গন্তব্যের মধ্যে ২০২০-২০২১ মেডিকেল ট্যুরিজম ইনডেক্স (এমটিআই)-এ ভারত দশম স্থানে রয়েছে। ভারতের মেডিকেল ভিসার আদ্যোপান্ত নিয়েই আজকের নিবন্ধ।
আরও পড়ুন: ভারতের টুরিস্ট ভিসা কীভাবে পাবেন: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রসেসিং ফি
ভারতের মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদনের নিয়ম
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
→ প্রিন্ট করা ভিসার আবেদনপত্র
→ ফাঁকা দুই পৃষ্ঠাসহ নূন্যতম ছয় মাস মেয়াদী পাসপোর্টের ফটোকপি। সঙ্গে বর্তমান পাসপোর্টের মূলকপির সঙ্গে পুরনো পাসপোর্টও (যদি থাকে) নিতে হবে। অনেক সময় নতুন পাসপোর্টে পুরনো পাসপোর্টের নাম্বারটি উল্লেখ থাকে না। সেক্ষেত্রে থানায় একটি জিডি (জেনারেল ডায়রি) করে তার কপি ভিসার আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
→ সদ্য তোলা দুই কপি ভারতীয় ভিসা সাইজের তথা দুই ইঞ্চি বাই দুই ইঞ্চি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডযুক্ত ছবি লাগবে।
→ ভোটার আইডি কার্ড অথবা অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্মসনদপত্র; যেটা দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছে তার ফটোকপি লাগবে।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
→ আবাসস্থলের প্রমাণস্বরূপ বর্তমান ঠিকানার সাম্প্রতিক গ্যাস/পানি/বিদ্যুৎ/টেলিফোন বিলের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে। প্রিপেইড মিটারের ক্ষেত্রে মিটার কার্ডের দুই দিকের ফটোকপি দেয়া যেতে পারে।
→ শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ইস্যুকৃত স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি দিবেন। সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সরকারি আদেশ এর কপি আর বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) দিতে হবে। ব্যবসায়ীরা তাদের ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি সরবরাহ করবেন। অন্যান্য পেশাজীবী যেমন- ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনজীবীদের ক্ষেত্রে নিজ নিজ পেশাজীবী সংগঠন থেকে সদস্য সার্টিফিকেট লাগবে।
এসময় খেয়াল রাখতে হবে যে পাসপোর্ট যদি স্টুডেন্ট হিসেবে করা হয়ে থাকে তাহলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ডই যথেষ্ট। কিন্তু প্রাইভেট সার্ভিস হিসেবে করা হয়ে থাকলে সেখানে এনওসি দিতে হবে। চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ীদের জন্য ভিজিটিং কার্ড সংযুক্তি ভিসা প্রাপ্তির সম্ভাবনা বাড়াবে।
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
→ ভারতীয় যে কোনো ভিসায় সর্বনিম্ন ১৫০ ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করা যায়। আর এই এন্ডোর্সমেন্ট অবশ্যই কোনো ব্যাংক থেকে করতে হবে। কোনো মানি এক্সচেঞ্জারের এন্ডোর্সমেন্ট গ্রহণযোগ্য নয়। আর এন্ডোর্সমেন্টটি অবশ্যই আবেদন জমা দেয়ার দিন থেকে বিগত এক মাসের মধ্যে করতে হবে।
এন্ডোর্সমেন্টের পর ব্যাংক একটি গ্রাহক কপি দিবে, যার একটি ফটোকপি আবেদনের সঙ্গে দিতে হবে। এছাড়া আবেদনকারী নিজের কিংবা বাবার ব্যাংক স্টেটমেন্টও জমা দিতে পারেন। এর জন্য অ্যাকাউন্টটিতে নূন্যতম ছয় মাস ধরে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা থাকতে হবে।
→ ভিসা ফি জমা রশিদের ফটোকপি
→ আবেদনকারীর রোগ সংক্রান্ত বাংলাদেশি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন কিংবা প্রত্যয়নপত্র
আরও পড়ুন: টেক্সট নেক সিন্ড্রোম: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
→ ভারতের কোন হাসপাতাল থেকে আবেদনকারীকে দেয়া ভিসা আমন্ত্রণপত্র। এর মাধ্যমে ভারতের সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল আবেদনকারীকে তাদের সম্ভাব্য সমস্ত চিকিৎসা অনুমোদন করে। এছাড়া এই প্রমাণপত্রের মাধ্যমে ভারতীয় অ্যাম্বেসি বুঝতে পারে যে রোগী হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর হাসপাতালটি সেখানে তার চিকিৎসা করতে সম্মত হয়েছে। এই আমন্ত্রণপত্রে রোগীর অসুস্থতার বিবরণ, চিকিৎসার পদ্ধতি ও সময়কাল লিপিবদ্ধ থাকে।
→ আবেদনকারী অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে তার বাবা-মাকে মেডিকেল মেডিকেল অ্যাটেন্ডেন্ট ভিসা নিতে হবে। এ সময় অ্যাটেন্ডেন্টের পাসপোর্টের পাশাপাশি রোগীর সঙ্গে সম্পর্কের প্রমাণপত্রও দাখিল করতে হবে।
→ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্তাপনের ক্ষেত্রে আইন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে।
আরও পড়ুন: এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার কার্যকরী উপায়
অনলাইনে ভারতের মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন
ভারত সরকারের ইন্ডিয়ান ভিসা অনলাইন সাইট থেকে এই ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। এর জন্য আগে থেকেই কিছু বিষয় আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা জরুরি। এগুলো হলো- নূন্যতম ছয় মাস মেয়াদী পাসপোর্টের স্ক্যান কপি, সদ্য তোলা ভারতীয় ভিসা সাইজের ছবির স্ক্যান কপি, ভারতীয় হাসপাতাল থেকে ভিসা আমন্ত্রণপত্রের স্ক্যান কপি।
এ নথিগুলোর সবই পিডিএফ ফরম্যাটে প্রস্তুত করতে হবে; শুধু ছবিটা হবে জেপিইজি ফরম্যাটে। আবেদনকারীর যাবতীয় তথ্যাদি নির্ভুলভাবে উল্লেখ করে উপরের নথিগুলো আপলোড করলে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
ভিসা প্রসেসিং ফি কীভাবে জমা দিবেন
টুরিস্ট ভিসার ন্যায় মেডিকেল ভিসা প্রসেসিং ফি ৮০০ টাকা। এই ফি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ও বিকাশ দিয়ে সহজেই পরিশোধ করা যাবে। এছাড়া সরাসরি আইভ্যাকে (ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার) গিয়েও তার আশেপাশে এই ফি জমা দেয়া যাবে।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়
ভিসার আবেদন কোথায় জমা দিতে হয়
সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র জমাদানের জন্য সকাল সকাল বিভাগীয় ভারতীয় ভিসা সেন্টারে চলে যেতে হবে। ভিসার আবেদনের জন্য এখন বাংলাদেশে আর ই-টোকেন প্রচলন নেই। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া যে কোনো কার্যদিবসে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা নাগাদ ভিসার আবেদন জমা নেয়া হয়। বাংলাদেশের ভারতের ভিসা আবেদনের কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- ঢাকা (যমুনা ফিউচার পার্ক), ময়মনসিংহ, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল এবং খুলনা।
ভারতীয় চিকিৎসা ভিসা পেতে কত দিন সময় লাগে
সাধারণত আবেদন জমাদানের পর থেকে প্রায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভিসা হাতে পাওয়া যায়। জরুরি অবস্থাগুলোর প্রতি অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হয়। এক্ষেত্রে আবেদন জমা নেয়ার দিনেই ভিসা পাওয়া যেতে পারে। একাধিক দিনগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণ ভিসা প্রসেসিংয়ের মতই অ্যাম্বেসি থেকে একটা টোকেন দেয়া হয়। এই টোকেনটির মাধ্যমে নির্ধারিত দিনে ভিসা-পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যায়।
ভারতের চিকিৎসা ভিসার মেয়াদ
চিকিৎসার জন্য প্রযোজ্য এই ভিসার সময়কাল এক বছর। এই সময়ে ভিসাধারি তিন বার ভারতে যেতে আসতে পারবেন। প্রায় সময় দেখা যায়, রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজনে মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে হয়। সেজন্যে ভারত স্বীকৃত হাসপাতাল কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট পাওয়ার পর রাজ্য সরকার বা এফআরআরও (বিদেশি আঞ্চলিক নিবন্ধন অফিস) এর আদেশানুক্রমে মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
তাই এই ধরনের রোগীদের জন্য ভারতে প্রবেশের ১৪ দিনের মধ্যে এফআরআরও-তে নিবন্ধন করা অপরিহার্য। মেয়াদ বৃদ্ধির এই কার্যক্রমটি এফআরআরওর সাইটে যেয়ে অনলাইন নিবন্ধনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে।
ভারতের মেডিকেল ভিসা সংক্রান্ত কিছু সতর্কতা
ভারতীয় অ্যাম্বেসির ভেতরে কোনো ধরনের ব্যাগ অনুমিত নয়। তাই ভিসা আবেদন জমা দেয়ার মুহূর্তে শুধু দরকারি কাগজপত্রগুলো একটা স্বচ্ছ ফাইলে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। ভারতে প্রবেশের সময় ভ্রমণ কর বাবদ ৫০০ টাকা দিতে হয়। এই খরচটা আগেই সোনালী ব্যাংকে জমা দিয়ে সঙ্গে রশিদ নিয়ে গেলে ভারত প্রবেশের সময় আর বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।
ভারতের বাইরে থেকে আগত লোকেরা প্রায়ই ভারতে ঢোকার সময় অতিরিক্ত ডলার নিয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশদের জেরার মুখে পড়েন। তাই পাসপোর্টে এন্ডোর্সকৃত পরিমাণের চেয়ে বেশি ডলার বহন করতে চাইলে তা মানিব্যাগে রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
শেষাংশ
শেষ কথাটি হলো-দেশের বাইরে চিকিৎসার বিষয়ে বিশেষ করে গুরুতর ক্ষেত্রগুলোতে হাজারো শঙ্কা কাজ করে। তাই ভারতের মেডিকেল ভিসা আবেদনের প্রতিটি ধাপ সতর্কতার সঙ্গে নিষ্পন্ন করা উচিত। প্রগতিশীল চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে ভারতের বাইরে থেকে আগত রোগীরা সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা পেয়ে থাকে। উন্নত ডায়াগনস্টিক সুবিধার জন্য প্রচুর পুঁজি বিনিয়োগসহ উচ্চ পর্যায়ের পরিষেবাগুলোর জন্যও দেশটি একটি নেতৃস্থানীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত সরকার জনস্বাস্থ্য খাতে ব্যয়কে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশতে উন্নীত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।
ফের খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি ফখরুলের
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ইসলাম আলমগীর দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় পার্টির (জাফর) এর প্রয়াত চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল (রবিবার) তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আমাদের দল দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে, কিন্তু ‘অনির্বাচিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ সরকার তাকে ক্ষমতায় থাকার প্রধান বাধা বলে মনে করে তাতে কর্ণপাত করছে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এই কর্মসূচি থেকে আমিও তার (নিঃশর্ত) মুক্তি দাবি করছি।’
এর আগে রবিবার রাতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা ও কিছু মেডিকেল টেস্টের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিমের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের মেডিকেল বোর্ড তার পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছে। ‘তার পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য তার আরও কিছু মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে।’
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
তার পরিবার একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে একটি উন্নত কেন্দ্রে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে বেশ কয়েকটি আবেদন জমা দিয়েছে। কিন্তু সরকার প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ তিনি দুটি মামলায় দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি
সরকার জনগণের ঐক্যে ভীত
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের ‘দুঃশাসনের’ কারণে জাতি এক সংকটময় সময় পার করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে গণতন্ত্র ও সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেশকে ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদীতে পরিণত করেছে।
ফখরুল বলেন, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি ২২ আগস্ট থেকে সারাদেশে আন্দোলন শুরু করেছে এবং সর্বত্র জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে এতে অংশ নিচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আন্দোলনকে ভয় পেয়ে সরকার আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের আমাদের নেতাকর্মীদের ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালাতে দিয়েছে।’
এছাড়া বিএনপি নেতা বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ছুঁড়ছে, হামলা চালাচ্ছে, বহু মানুষ আহত হচ্ছে। ‘এটি আবারো সরকারের ভয়ানক সন্ত্রাসী চেহারা উন্মোচিত করেছে।’
ফখরুল বলেন, ‘সরকারের সবচেয়ে বড় ভয় হচ্ছে জনগণ একটি দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলেছে। জনগণের এই ঐক্য সরকারের পতন ত্বরান্বিত করবে।’
আরও পড়ুন: বিকালে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
সরকারের পতনই এখন বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য: ফখরুল
বিকালে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে রবিবার আবারও রাজনাধীর এভারকেয়ার হাসপাতালে কিছু মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নেয়া হবে। ছয়দিন আগেও তাকে একই হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে আজ (রবিবার) বিকালে ম্যাডামকে কিছু পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হবে। এ বিষয়ে হাসপাতালে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
এর আগে ২২ আগস্ট করোনারি এনজিওপ্লাস্টির পর ফলোআপ হিসেবে খালেদা জিয়ার ইকো, ইসিজি, ইউএসজি, এক্স-রে এবং রক্ত পরীক্ষা করানো হয়।
ওইসব পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কিছু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করেছে মেডিকেল বোর্ড।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিএনপি প্রধানকে ছয়বার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার পরিবার তার একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসার জন্য বিদেশে একটি উন্নত হাসপাতালে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিক আবেদন জমা দিয়েছিল, তবে দুটি মামলায় আদালতে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সরকার প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকালে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
হৃদরোগে আক্রান্ত ৯২ শিশুকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিল কাতার চ্যারিটি
জন্মগতভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত ৯২ গরীর ও অসহায় শিশুর বিনামূল্যে অপারেশন হয়েছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে।
আর্ন্তজাতিক দাতব্য সংস্থা কাতার চ্যারিটির অর্থায়নে গত ১৩ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী মেডিকেল ক্যাম্পে শিশুদের এই ব্যয়বহুল অপারেশন হয়। কাতার থেকে আসা একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এই মেডিকেল ক্যাম্পে অংশ নেয়।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আব্দুল্লাহ শাহরিয়ার জানান, ‘ব্যয়বহুল এই চিকিৎসার পুরোপুরি অর্থায়ন করেছে কাতার চ্যারিটি। ৯২ শিশুকে হৃৎপিনণ্ডে ছিদ্রজনিত কারণে প্রয়োজনীয় ডিভাইস দিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়
তিনি বলেন, ‘এসব শিশুরা খুবই দরিদ্র পরিবারের। ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা বহন করার কোন সামর্থ্যই তাদের পরিবারের ছিল না। কাতার চ্যারিটি দরিদ্র এই পরিবারগুলোর সন্তানদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।’
কাতার চ্যারিটির কান্ট্রি ডিরেক্টর ড.আমিন হাফিজ ওমর বলেন, ‘জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা কার্যক্রমে বিভিন্ন দেশের প্রখ্যাত শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, টেকনোলোজিস্ট ও অ্যানেসথেটিস্টরা অংশ নিয়েছেন। খুব শিগগিরই এসব শিশু পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করবে।’
প্রতিবছরই এই হেলথ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন:উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়া মানতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা নিতে চাইলে তাকে আইনি প্রক্রিয়া মানতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শনিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আদালত নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া শুধু দেশের মধ্যেই চিকিৎসা নিতে পারবেন। যদি তিনি আরও কিছু চান তবে তাকে অবশ্যই আদালতকে জানাতে হবে এবং আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার হার্টে রিং বসানো হয়েছে: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর তার হার্টে শনিবার একটি রিং বসানো হয়েছে।
এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় শনিবার ভোররাতে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদাকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয় সরকার। শর্তগুলো হলো- তিনি তার গুলশানের বাসায় থাকবেন এবং দেশ ছাড়তে পারবেন না।
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৩১ রোগী হাসপাতালে
এডিশ মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বাড়ছে। সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৮৩ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং নতুন আক্রান্ত আরও ৩১ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩১ ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ২৮ জন ঢাকা বিভাগে এবং ঢাকার বাইরে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৭৮ জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বাইরে পাঁচ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৫১০ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৪২৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাছাড়া এই বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারোও মৃত্যু হয় নি।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৫৩ কোটি ৮১ লাখ ছাড়িয়েছে
দেশে করোনায় শনাক্ত আরও ৫৮, মৃত্যু নেই
বাড়ি থেকে অনলাইনে বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা পাবেন গ্রামবাসী: প্রধানমন্ত্রী
গ্রামীণ মানুষজন যেন ঘরে বসে চিকিৎসা পায় সে জন্য সরকার উপজেলাগুলোতে অনলাইন বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা সুযোগ তৈরি করছি যেন তারা (রোগীরা) তাদের নিজ অবস্থান ও উপজেলায় থেকে বিশেষায়িত চিকিৎসা পেতে পারে।’
সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এর সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও ১৪তম সমাবর্তনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশের সঙ্গে উন্নয়নের ভারসাম্য বজায় রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, তার সরকার প্রতিটি উপজেলা হাসপাতালে ওয়েব ক্যামেরা স্থাপন করেছে। ‘আমরা এটিকে (ওয়েব ক্যামেরার মাধ্যমে অনলাইন পরিষেবা) আরও উন্নত করবো। আমরা এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি যেন তারা (রোগীরা) অনলাইনে বিশেষায়িত চিকিৎসা নিতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, যদিও সরকার ইতিমধ্যে এই সুবিধা তৈরি করেছে, এটি আরও উন্নত করার পরিকল্পনা রয়েছে যাতে রোগীদের ঢাকায় আসতে না হয়। বরং তারা নিজ এলাকায় অবস্থান করে বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারে।
বিসিপিএসের সভাপতি অধ্যাপক কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে বিসিপিএস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সুবর্ণজয়ন্তী স্মারক ও সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিপিসিএস সভাপতির কাছ থেকে স্মারক ও ফেলোশিপ সনদ গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: দেশবাসীর জন্য দোয়া করুন, হজযাত্রীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
বিসিপিএসের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এবং প্রতিষ্ঠানটির জ্যৈষ্ঠ সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বিসিপিএসের অনারারি সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. বিল্লাল আলম ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিসিপিএস ফেলোদের হাতে স্বর্ণপদক এবং দেশি-বিদেশি বিশিষ্টজনের কাছে সম্মানসূচক ফেলোশিপ তুলে দেন।
নরসিংদীতে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ, আটক ২
নরসিংদীতে মেরি স্টোপস ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে শহরের বাসাইল মেরি স্টোপস ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্লিনিকের ম্যানেজারসহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সালেহা বেগম শহরের শালিধা এলাকার হান্নান মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের স্বজনেরা জানায়, শুক্রবার সালেহা বেগমকে আলটাসোনোগ্রাম করার জন্য স্বজনেরা মেরিস্টোপস ক্লিনিকে নিয়ে যান। এ সময় কর্মরত চিকিৎসক হেলেনা হালিম সিজার করার পরামর্শ দেন। সালেহা সিজারে রাজি না হলে তাকে বাচ্চার অবস্থা ভালো না বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে অপারেশনের জন্য ওটিতে নিয়ে যান। অপারেশনের টেবিলেই রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে রোগীকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছালে মা ও নবজাতককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী হাসপাতাল ভাংচুর চালায়।
নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম বলন, ঘটনার খবর পেয়ে মোবাইল কোর্ট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এঘটনায় ক্লিনিকের ম্যানেজারসহ দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রসূতির মৃত্যু: সালিশে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় সমঝোতা!
নওগাঁর সাপাহারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যু!
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস
শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বিএনপি নেতা তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন বলে তার চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘মির্জা আব্বাস বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।’
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল জানান, আব্বাসকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।
পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে রফিকুল বিএনপি নেতার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এর আগে ১৭ মে পেটে ব্যাথা নিয়ে অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র এবং খালেদা জিয়ার শেষ মন্ত্রিসভার সাবেক মন্ত্রী আব্বাসকে রাজধানীর শ্যামলী এলাকার বাংলাদেশ বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
পড়ুন: মির্জা আব্বাস পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি
বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী হবেন খালেদা জিয়া: মোশাররফ