কৃষিমন্ত্রী
কৃষিতে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন: বিশ্ব খাদ্য ফোরামে কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের কৃষি খাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। উন্নত দেশ, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার ইতালিতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বিশ্ব খাদ্য ফোরামের 'বিনিয়োগ সম্মেলনের' উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জনের কথা তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু কৃষিখাত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানিতে পিছিয়ে থাকলেও এ খাতে বিপুল সম্ভাবনা আছে।
কোল্ড স্টোরেজ এবং ফসলোত্তর ব্যবস্থাপনা, কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বিপণন, জলবায়ু সহনশীল কৃষি এবং সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা চারটি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে এসব খাতে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন। বাংলাদেশের এই খাতগুলোতে বিনিয়োগের জন্য খুবই আশাব্যঞ্জক এবং লাভজনক।’
আরও পড়ুন: অস্ত্রব্যয়ের একটি অংশ খাদ্য উৎপাদনে দিলে, কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে ...
আলু, পেঁয়াজ, আম ও টমেটোর জন্য হিমাগার স্থাপন, সংগ্রহ-পরবর্তী ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণে অবিলম্বে বিনিয়োগের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
পেঁয়াজ, আম এবং টমেটোসহ শাকসবজি সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশে পর্যাপ্ত প্রযুক্তি এবং কোল্ড স্টোরেজ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ফসলগুলো তোলার পরের পর্যায়ে ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের অবকাঠামো ও সরকারি সুযোগ-সুবিধাগুলো তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। ‘সুতরাং, বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসুন।’
কৃষি খাতের রূপান্তরে বিনিয়োগ বাড়াতে ১৮-১৯ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী 'বিনিয়োগ সম্মেলনের' আয়োজন করে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশটি দেশ এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে, যাদের কৃষি খাতে আরও বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন।
এছাড়া বিশ্বব্যাংক, আরব ব্যাংক, ইন্টার-আমেরিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ল্যাটিন আমেরিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা, ব্যাংক ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন এই বিনিয়োগ উৎসাহ সম্মেলনে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব খাদ্য ফোরামে যোগ দিতে ইতালি যাচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী
বিশ্ব খাদ্য ফোরামে যোগ দিতে ইতালি যাচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বিশ্ব খাদ্য ফোরামে যোগ দিতে ইতালির রোমের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। শনিবার সকালে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: আমাদের প্রশাসনের ব্যর্থতা নিশ্চয়ই আছে: কৃষিমন্ত্রী
‘স্বাস্থ্যকর খাবার, সুস্থ গ্রহ’- এই প্রতিপাদ্যে ১৭ থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন।এছাড়া, কৃষিমন্ত্রী সেখানে (রোমে) ‘বিনিয়োগ সম্মেলনে’- অংশগ্রহণ করবেন।
কৃষিখাতের রূপান্তরে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কাজ করছে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা। সেজন্য, এফএও ১৮-১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ‘বিনিয়োগ সম্মেলনের’ আয়োজন করেছে।
আগামী ২২ অক্টোবর কৃষিমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয়ভাবে দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে: কৃষিমন্ত্রী
সারের দাম বেশি নিলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
বাংলাদেশে এ মুহূর্তে দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে বর্তমানে ১৬ লাখ টন খাদ্যদ্রব্য মজুদ আছে। তাই এ মুহূর্তে দুর্ভিক্ষ হওয়ার হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই।
মঙ্গলবার সচিবালয় সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা নিত্যপণ্যের দাম কমানোর জন্য চেষ্টা করছি। দাম বৃদ্ধির জন্য সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, সেটা আমরা বুঝতে পারছি। দাম কমানোর উদ্যোগ হিসেবে চাল আমদানির ওপর শুল্ক মাফ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি শিল্প কারখানা যেন উৎপাদনশীলতার মডেল হয়: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও করোনার প্রভাবে বিশ্ব অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই এ দাম বৃদ্ধি। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সারে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে।
প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।চাল আমদানি উন্মুক্ত করা হলেও, আমদানি করছে না ব্যবসায়ীরা। গম প্রায় পুরোপুরি আমদানি নির্ভর হলেও সেক্ষেত্রেও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে চাল এবং গম পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তবে চালসহ পণ্যের দাম আর তেমন বাড়বে না। ২/১ টাকা এদিক সেদিক হতে পারে।
সাধারণ মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে চালসহ কয়েকটি পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। পণ্যমূল্য কিছুটা বেশি হলেও দেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
মন্ত্রী বলেন, আসলে কার্পেটের নিচে ধূলা লুকিয়ে রেখে লাভ হবে না। যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রভাবে সারা পৃথিবীতেই শঙ্কা আছে। অন্যান্য দেশে উৎপাদন অনেক কমেছে, সেটি হলে কিছু করার থাকবে না।
তবে দেশীয় উৎপাদন এখনো যথাযথ রয়েছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
ডিম আমদানির প্রয়োজন নেই: কৃষিমন্ত্রী
সরকারি শিল্প কারখানা যেন উৎপাদনশীলতার মডেল হয়: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশের সরকারি কারখানাগুলোর উৎপাদনশীলতা খুব সীমিত এবং বেশ পুরনো। কিন্তু এসব কারখানা এমন হওয়া দরকার যেন সেগুলো নিজ নিজ খাতে উৎপাদনশীলতার মডেল হয়ে ওঠে।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, সেটি না হয়ে যদি উল্টো কম উৎপাদনশীলতার বা খারাপের মডেল হয়ে উঠে, তাহলে তা খুব দুঃখজনক। সেজন্য সরকারি শিল্পকারখানাগুলোকে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার মধ্যে দিয়ে পরিচালনা করতে হবে।
উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে না পারলে শিল্পকারখানা লাভজনক হবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একটি সমন্বিত স্টাডি করে দেখা দরকার সরকারি শিল্পকারখানার কোনটির উৎপাদনশীলতা ভাল, কোনটির কম। জাতির সামনে সে স্টাডি তুলে ধরতে হবে। একইসঙ্গে, বেসরকারি শিল্পকারখানাগুলোর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতেও জোর দিতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিতে আগে উৎপাদনশীলতা অনেক কম ছিল। উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা এখন অনেক বেড়েছে। আগে এক বিঘা জমিতে চার থেকে পাঁচ মণ ধান হতো, এখন সেটা ১৭-১৮ মণ হয়েছে। এই উৎপাদনশীলতা বাড়ার ফলেই প্রায় ১৭ কোটি মানুষের খাবার যোগান সম্ভব হচ্ছে। তবে উৎপাদনশীলতা আরও বাড়ানো সম্ভব। আমাদের বিজ্ঞানীরা এমন জাত যেমন ব্রিধান ৮৯, ৯২ উদ্ভাবন করেছে যার ফলন বিঘাতে ৩০ মণের বেশি।
আরও পড়ুন: কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
এগুলো সম্প্রসারণের চেষ্টা চলছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের গাভীগুলো আগে পাঁচ লিটার দুধ দিত। এখন উন্নত জাতের কারণে ২৮-৩০ লিটারও দুধ দিচ্ছে। কিন্তু ইউরোপে আরও ভালো জাত ও লালনপালনের প্রযুক্তি রয়েছে। সেখানে ৬০ লিটারও দুধ দেয়। সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।
উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকস, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি এসেছে। কিন্তু উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে আমরা সে সুবিধাগুলো কতোটা কাজে লাগাতে পারছি, সেটা মূল্যায়নের সময় এসেছে। এসডিজিতে আমাদের উৎপাদনশীলতার টার্গেট দ্বিগুণ করার কথা। সেটা একটি খুব বড় চ্যালেঞ্জ। সেটা মাথায় নিয়ে কাজ করতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে সেটা অর্জন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আবার প্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদের দুর্বলতা রয়েছে। অনেক চাষী ধান উৎপাদনে সার, কীটনাশক ও সেচের প্রয়োজনীয়তা ঠিক রাখতে পারছেনা। কেউ বেশি দিচ্ছে, আবার কেউ কম। এতে একদিকে খরচও বাড়ছে, অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন হচ্ছে না। সেজন্য, এসব উপকরণের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাত্রা শিখতে হবে ও সর্বোচ্চ উৎপাদন করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সেরা অবস্থানে রয়েছে। সামগ্রিক অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান এখন ৩৭ শতাংশ।
যা ক্রমবর্ধমান উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বক্তব্য দেন।
সভাপতিত্ব করেন এনপিওর মহাপরিচালক মো. মেসবাহুল আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআইর হেড অব টেকনোলজি ফারুক আহমেদ জুয়েল।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
ডিম আমদানির প্রয়োজন নেই: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে হবে,নাহলে লাঠি দিয়ে আত্মরক্ষা হবে না।শুক্রবার বিকালে টাঙ্গাইলের পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে,সমাবেশ,মিছিল-মিটিং সুশৃঙ্খল হতে হবে; শান্তিপূর্ণ হতে হবে। কোনক্রমেই মানুষের জানমালের ওপর হুমকি বা ঝুঁকি সৃষ্টি করা যাবে না। কিন্তু আমরা দেখছি,বিএনপি সমাবেশ করে মানুষের জানমালকে হুমকিতে ফেলছে, সমাবেশ করতে এসেই পুলিশের উপর আক্রমণ করছে। তখন পুলিশ বাধ্য হয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে বিএনপিকে নিবৃত্ত করার জন্য। আমি অনুরোধ করব আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ, মিছিল- মিটিং করেন, নাহলে লাঠি দিয়ে আত্মরক্ষা করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: ১৩ বছরে একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট করেনি: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, যে কোন মানুষের, সে সরকারি দলের হোক বা বিরোধী দলের হোক, নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব পুলিশের-আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। বিএনপি যদি মনে করে তারা লাঠি দিয়ে আত্মরক্ষা করবে, তাহলে তারা ভুলপথে আছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি মিথ্যাচার করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা ২০১৩ সালে আবার ফিরে যেতে চাচ্ছে। তারা নির্বাচনে যাবে না, বরং গাড়িতে আগুন দিবে, ট্রেনে আগুন দিবে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারবে, বিদ্যুতের লাইন তুলে ফেলবে। আমরা কোনক্রমেই এটা করতে দিব না। মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার, সরকার তাই করবে। আমাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন অনেক সুশৃঙ্খল ও সক্ষম।
এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও দায়িত্ব পুলিশকে সহযোগিতা করা।
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হক আলমগীরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য মির্জা আজম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, সংসদ সদস্য ছোটোমনির, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন এবং জেলা ও শহর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
জামানাত ছাড়াই কৃষককে ঋণ দেয়া যায়: কৃষিমন্ত্রী
ডিম আমদানির প্রয়োজন নেই: কৃষিমন্ত্রী
ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে সব মন্ত্রণালয়কে মনিটরিং জোরদার করতে হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘ডিম আমদানি করলে আমাদের আমদানি নির্ভরতা বাড়বে যা আমরা চাই না। তাই বিদেশ থেকে ডিম আমদানি দরকার নেই।’
বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিছু অসাধু হ্যাচারি মালিক চাহিদা ও সরবরাহের ব্যবধানের অজুহাতে স্থানীয় বাজারে ডিমের দাম বাড়ানোর সঙ্গে জড়িত।
কর্মশালার কারিগরি অধিবেশন আগামী ১৩-১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
বর্তমানে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে ২১১টি ফসল নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ৬২৫টি উচ্চ ফলনশীল জাত এবং ৬১২টি উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তি সহ মোট ১ হাজার ২৩৭টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এ সকল প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য সব ধরনের ফসলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
জামানাত ছাড়াই কৃষককে ঋণ দেয়া যায়: কৃষিমন্ত্রী
জামানাত ছাড়াই কৃষককে ঋণ দেয়া যায়: কৃষিমন্ত্রী
কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, পণ্যের দাম নির্ধারণ নয়, বরং কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত। খোলাবাজার অর্থনীতেতে পণ্যের দাম একদম নির্ধারণ করে দিয়ে তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমরা একটা ইন্ডিকেটর দিতে পারি যে, দাম এত টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়।
সোমবার ময়মনসিংহে টাউন হলে অ্যডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে তেল ফসলের অন্তর্ভুক্তি এবং ধানের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জামানাত ছাড়াই কৃষককে ঋণ দেয়া যায়: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, কঠোরভাবে বাজার মনিটর ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মিলমালিকেরা হঠাৎ করে দাম বাড়িয়ে বিরাট মুনাফা করার চেষ্টা করে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে, লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।
তিরি বলেন, এসব বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে সবসময় আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমন্বয় করে কাজ করে।
পরে মন্ত্রী বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত কর্মশালায় যোগ দেন।
এসময় তিনি বলেন, আমন উৎপাদনে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। আর কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমনে উৎপাদন গতবছরের তুলনায় বেশিও হতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার খাদ্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় সঠিক পথে রয়েছে। গত ১৩ বছরে খাদ্যের কোন সংকট হয় নি। এমনকি করোনা ও যুদ্ধের অভিঘাতের মধ্যেও খাদ্য নিরাপত্তার দিক থেকে দেশ অনেক ভাল অবস্থানে আছে। সামনের দিনগুলোতে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছি।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। এতে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, বিনার মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম,
বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ১৩ বছরে একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট করেনি: কৃষিমন্ত্রী
৫০ লাখ মানুষকে ১৫ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
জামানাত ছাড়াই কৃষককে ঋণ দেয়া যায়: কৃষিমন্ত্রী
জামানাত ছাড়াই কৃষককে ঋণ দেয়া যায় বলে জনিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, সরকার কৃষিখাতে চার শতাংশ স্বল্প সুদে কৃষকদেরকে ঋণ দিচ্ছে। কিন্তু এ ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান কঠিন শর্ত অনেক সময়ই কৃষক পূরণ করতে পারে না। সেজন্য ঋণ দেয়ার পদ্ধতি আরও সহজ করতে হবে।
রবিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাণিসম্পদ খাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে আমাদের অবস্থান ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আদর্শ প্রাণিসেবা লিমিটেড এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ১৩ বছরে একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট করেনি: কৃষিমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদে অবশ্যই বীমা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে একটি গাভির দাম ৫-১০ লাখ টাকা। সেজন্য প্রাণিসম্পদে অবশ্যই বীমা হওয়া উচিত।
তবে বীমা কোম্পানির ওপর দেশের মানুষের বিশ্বাস নেই। তারা গ্রাহককে ব্যাপকভাবে হয়রানি ও প্রতারণা করে। এই হয়রানি ও প্রতারণা বন্ধ করে বীমাকে গ্রাহকবান্ধব করতে হবে। বীমাতে মানুষের আস্থা বৃদ্ধি করতে হবে।
ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে এটি সাময়িক; এবং শিগগিরই দাম কমে আসবে বলেও মন্ত্রী জানান।
ভোজ্যতেলের উৎপাদন বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ভোজ্যতেলের চাহিদা শতকরা ৪০ ভাগ দেশে উৎপাদনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
সেমিনারে কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাইল হোসেন, কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল্লাহ হারুন পাশা, কৃষিবিদ আওলাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংককিং ও বীমা বিভাগের অধ্যাপক হাসিনা শেখ, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কায়সার হামিদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ৫০ লাখ মানুষকে ১৫ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
বোরোতে ডিজেলে ভর্তুকি দেয়ার বিবেচনা করছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
১৩ বছরে একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট করেনি: কৃষিমন্ত্রী
১৩ বছরে একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট করেনি বলে দাবি করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেছেন, বিএনপির সময় মানুষ না খেয়ে মারা যেতো, আর এখন সবাই পেট ভরে ভাত খেতে পারে।
বুধবার ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে উত্তরবঙ্গে প্রতিবছর আশ্বিন-কার্তিক মাসে বেশিরভাগ মানুষের ঘরে খাবার থাকত না, মঙ্গা হতো, দুর্ভিক্ষ হতো, মানুষ না খেয়ে মারাও যেতো।
আরও পড়ুন: জিয়া দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল: কৃষিমন্ত্রী
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার মঙ্গাকে চিরতরে দূর করেছে। গত ১৩ বছরে একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট করেনি। আজকে সবাই পেট ভরে ভাত খেতে পারে।
বিএনপি খাদ্যের ঝুলি নিয়ে সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে দেশে খাদ্যের চরম ঘাটতি ছিল। ভিক্ষার মনোবৃত্তি নিয়ে তারা দেশ পরিচালনা করেছিল। খাদ্যের ঝুলি নিয়ে তারা সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে পাঁচ বছরে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেন। বিএনপির সময় যেখানে ৪০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি ছিল, সেখানে তিনি ২৬ লাখ টন খাদ্য উদ্বৃত্ত করেন। ২০০১-০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থেকে পাঁচ বছরে দেশকে আবার ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করে।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুণরায় ক্ষমতায় এসে সারের দাম কমানো, ভর্তুকিমূল্যে সার সরবরাহের ব্যবস্থা, কৃষিতে উন্নয়ন সহায়তা প্রদান, ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ, কৃষি প্রণোদনা প্রদানসহ বিভিন্ন কৃষকবান্ধব নীতি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে আবার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেন।
আরও পড়ুন: ৫০ লাখ মানুষকে ১৫ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
বোরোতে ডিজেলে ভর্তুকি দেয়ার বিবেচনা করছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
বোরোতে ডিজেলে ভর্তুকি দেয়ার বিবেচনা করছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
বোরো মৌসুমে ডিজেলে কৃষকদের ভর্তুকি দেয়ার বিষয়টি সরকার গভীরভাবে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের দাম না কমলে ডিজেলেও আমাদের কিছু একটা করতে হবে, যাতে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমে। বর্তমানে ডিজেলের দাম অনেক বেশি। এতে বোরো মৌসুমে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। আমরা সারে যেমন ভর্তুকি দেই, তেমনি বোরোতে প্রয়োজনে ডিজেলে ভর্তুকি দেয়া হবে। সরকার গভীরভাবে এ বিষয়টি বিবেচনা করছে।’
আরও পড়ুন: সারের দাম বেশি নিলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টার সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে 'খাদ্য নিরাপত্তায় ভূগর্ভস্থ পানির টেকসই ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের উপর কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন এর সহযোগিতায় ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং এ কর্মশালার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, অনাবৃষ্টির জন্য আমন রোপণ ব্যাহত হচ্ছে। এখন বৃষ্টির মৌসুম, সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী বৃষ্টি হওয়ার কথা, কিন্তু হচ্ছে না, এটাই আমাদের জন্যে কনসার্ন। প্রত্যেক দিনই আমরা ভাবছি বৃষ্টি হবে, কিন্তু হচ্ছে না। বৃষ্টি না হলে হয়তো আমনের উৎপাদন কম হবে। অন্যদিকে আমনের টাকা দিয়ে কৃষকেরা অনেক সময় বোরোতে বিনিয়োগ করে। সার, ডিজেল কিনে ও সেচ খরচসহ অন্যান্য খরচ মেটায়। কাজেই, বৃষ্টি না হওয়ার জন্য আমন উৎপাদন ব্যাহত হলে কৃষকের ওপর এর প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন: আমাদের প্রশাসনের ব্যর্থতা নিশ্চয়ই আছে: কৃষিমন্ত্রী
খাদ্য নিরাপত্তায় ‘টেকসই সেচ ব্যবস্থাপনা’ গড়ে তুলতে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা ভূগর্ভস্থ ও ভূউপরিস্থ পানির টেকসই ব্যবস্থাপনায় কাজ করে যাচ্ছি। একদিকে সেচকাজে ভূউপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে কাজ চলছে, অন্যদিকে বারিড পাইপ (ভূগর্ভস্থ পাইপ) ব্যবহার করে সেচদক্ষতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার নাদরিয়া সিম্পসন। গবেষণার সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন সিএসআইআরও বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন আইডব্লিউএমের নির্বাহী পরিচালক আবু সালেহ খান। এসময় ইমেরিটাস অধ্যাপক সাত্তার মণ্ডল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রশিদসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: জিয়া দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল: কৃষিমন্ত্রী