কৃষক
বাগেরহাটে জমি নিয়ে বিরোধে কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
বাগেরহাটের কচুয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে উপজেলার আলিপুর গ্রামের একটি ধানের জমিতে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত মোজাহার মোল্লা (৫৫) বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার আলিপুর গ্রামের জোনাব আলীর মোল্লার ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
আরও পড়ুন: তিস্তা ব্যারাজ দোয়ানীতে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম জানান, কচুয়া উপজেলার আলিপুর গ্রামের হাফিজুর মোল্লার সঙ্গে একই গ্রামের আফসার শেখের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সকাল ১০টার দিকে আফসার গ্রুপের লোকজন আলিপুর সকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে একটি ধানের জমিতে বোরো ধানের বীজপাতা রোপণ করছিল। এসময় হাফিজ গ্রুপের লোকজন সেখানে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মোজাহার মোল্লাকে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মোজাহারকে মৃত ঘোষণা করেন।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়।
তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদেরকে আটক করতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক বা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ভোলায় ধান কাটা নিয়ে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১
কৃষকদের সফল ব্যবসায়ী হিসাবে গড়ার উদ্যোগ লাল তীরের
লাল তীর সীড লিমিটেড দক্ষিণ বঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলের সাতটি জেলায় কেএফডব্লিউ-ডিইজি এর সহযোগিতায় আধুনিক প্রযুক্তিতে সবজি চারা উৎপাদনের ওপর ডেভেলপ প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০২১ সাল থেকে বাস্তবায়ন করে আসছে।
প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে:
উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে গুণগত মানসম্পন্ন চারা সরবরাহ করার মাধ্যমে দক্ষ নার্সারিম্যান তৈরি করা, তাদের আর্থিক উন্নয়ন ঘটানো এবং পারিবারিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সর্বোপরি প্রত্যেক নার্সারিম্যানকে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসাবে গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিহীন, তীব্র তাপদাহে রোপা আমন ও সবজি নিয়ে বিপাকে নওগাঁর কৃষকরা
এ লক্ষ্যে লাল তীর সীড লিমিটেড উপকূলীয় অঞ্চলের সাতটি জেলায় প্রকল্পের মানদণ্ড অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ১৮ জন এবং তৃতীয় ধাপে ১০ জন হিসাবে মোট ৪০জন নার্সারিম্যান প্রতিষ্ঠা করে।
উক্ত কার্যক্রমকে অধিক সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার কবিতা মন্ডল, গ্রাম: কররী, ইউনিয়ন-রাখালগাছি, উপজেলা-বাগেরহাট সদর, জেলা-বাগেরহাট লাল তীর সীড লিমিটেডের সার্বিক সহায়তায় এক কৃষক মাঠ দিবসের আয়োজন করেন।
উক্ত মাঠ দিবসে সভাপতিত্ব করেন অত্র এলাকার কৃষক প্রশান্ত কুমার, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাহাবুব আনাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, লাল তীর সীড লিমিটেড, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মো. মেহেদী হাসান, উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা টিংকু রানী দাস এবং আবু রায়হান, সিনিয়র ম্যানেজার, লাল তীর।
মাঠ দিবসের কার্যক্রম উপস্থাপনা করেন লাল তীর সীড লিমিটেডের প্রকল্প সমন্বয়কারী ফোরকান আহমেদ।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অত্র এলাকার দুই শতাধিকের বেশি কৃষক-কৃষাণী।
প্রকল্পের কার্যক্রমকে অধিক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সীড-ট্রে’তে লবণ সহনশীল সবজির চারা উৎপাদন কৌশল ও চারা বিক্রয় কার্যক্রম বিষয়ক আলোচনা করা হয় এবং লাল তীর সীড লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন কার্যক্রম উপস্থাপন করা হয়।
নার্সারি মালিক কবিতা মন্ডল জানান, লাল তীর সীড লিমিটেডের সার্বিক সহায়তায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে লবণ সহিষ্ণু গুণগত মান সম্পন্ন উৎপাদন করে আজ আমি স্বাবলম্বী।
লবণ সহনশীল গুণগত মানসম্পন্ন চারা উৎপাদন কার্যক্রম অত্র এলাকার কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে এবং কবিতা মন্ডল একজন স্বাবলম্বী নার্সারিম্যান হিসাবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন এবং তার কার্যক্রম দেখে অন্যান্য কৃষকেরাও আধুনিক পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
উপস্থিত কৃষকেরা লাল তীর সীড লিমিটেড এমন কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারণ করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
আরও পড়ুন: ঘেরের পাড়ে সবজি চাষে স্বাবলম্বী তেরখাদার চাষিরা
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে বিপর্যস্ত যশোরের সবজির বাজার
কুমিল্লায় আগামজাতের রোপা আমনের ফলনে খুশি কৃষক
আগামজাতের রোপা আমনে ভালো ফলন পেয়ে খুশি কুমিল্লার কৃষকরা। ধানের জাত গুলোর জীবনকাল স্বল্প হওয়ায় ভালো ফলনের পাশাপাশি সরিষা চাষের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কৃষককেরা রোপা আমনের আগাম জাতের ধান কাটতে শুরু করেছেন কার্তিক মাসের শেষ সপ্তাহে। ব্রি ধান ৭১, ব্রি ধান ৭৫, বিনাধান-১৭ ইত্যাদি নতুন জাত দখল করে নিচ্ছে ব্রি ধান ৪৯ ও স্বর্ণমসুরি ধানের মাঠ। তাছাড়া আবাদ বেড়েছে ব্রি ধান ৮৭ ও ব্রি ধান ৯৫ জাত ধানের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, রোপাআমন মৌসুমের শুরুতে বুড়িচং উপজেলার কৃষকদের মাঝে ব্রি ধান ৭১, ব্রি ধান ৭৫, ব্রি ধান ৮৭, ব্রি ধান ৯৫, ব্রি হাইব্রিড ধান ৪, ব্রি হাইব্রিড ধান ৬, বিনাধান-১৬, বিনাধান-১৭, বিনাধান-২০ ও বিনাধান-২২ জাতের ১ টন বীজ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করে উপজেলা কৃষি অফিস। পুরাতন দীর্ঘ জীবনকালীন জাত গুলোর পরিবর্তে আগাম জাতের ধান আবাদের মাধ্যমে শস্য বিন্যাসে সরিষা চাষ অন্তর্ভুক্তির জন্য এ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। জাত গুলোর মধ্যে এ বছর প্রথমবারের মতো ছয় হেক্টর জমিতে চাষ হওয়া ব্রি ধান ৭১ বেশি পছন্দ হয়েছে কৃষকদের। ১১৫ দিনে ভালো ফলন হওয়ায় ও জাতটিতে রোগ পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় এই আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে রোপা আমনের বাম্পার ফলন
তাছাড়া ব্রি ধান ৭৫ জাতটি ৯৫ হেক্টর, ব্রি ধান৮৭ জাতটি ২৮৫ হেক্টর, ব্রি ধান ৯৫ জাতটি ৩১ হেক্টর ও বিনাধান-১৭ জাতটি ২১ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।
রোপা আমন মৌসুমে মোট ৯ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন অর্জিত হয়েছে বুড়িচং উপজেলায়। আগাম জাতের ধানে ফলন পাওয়া যাচ্ছে প্রতি হেক্টরে চাউলে দুই দশমিক ৮৭ টন থেকে দুই দশমিক ৯৮ টন পর্যন্ত। যা জাতীয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
উপজেলার পাহাড়পুর বেলবাড়ির কৃষক ওমর ফারুক জানান, আগাম জাত বিশেষ করে ব্রি ধান ৭১ চাষ করে আমরা ভালো ফসল পেয়েছি। সঙ্গে সময় কম লাগায় সরিষার চাষ করতে পারবো বলে মনে হচ্ছে।
বুড়িচং উপজেলার রামপুর ব্লকের উপ-সহকারী সুলতানা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের কৃষি অফিসার মহোদয় মাঠে পরীক্ষামূলক আগামজাতের ধানের বীজ দিয়েছেন। আগামজাতের ধানে ভালো ফলন হয়েছে। এতে সরিষা চাষে কৃষক জমি খালি পাবে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিহীন, তীব্র তাপদাহে রোপা আমন ও সবজি নিয়ে বিপাকে নওগাঁর কৃষকরা
উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, বুড়িচং উপজেলার কৃষকেরা সরিষা চাষে অভ্যস্ত ছিলেন না। ফলে ব্রি ধান ৪৯, ব্রি ধান৩২ ও স্বর্ণমসুরি ধানের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বেশি ছিল। সরিষা আবাদ বৃদ্ধির পরিকল্পনার অংশ হিসাবে আগাম জাতের ধানের বীজ সংগ্রহ করে কৃষকদের মাঝে বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বেশ কয়েকটি জাত জাত যেমন ব্রি ধান৭১, বিনাধান-২০, বিনাধান-২২ প্রথমবারের মতো চাষ হয়েছে। কৃষকেরা জাত গুলো পছন্দ করছেন।
যে জমি গুলো আগাম জাত করা যাবে সেগুলোকে সরিষা আবাদের আওতায় আনতে আমরা কাজ করছি বলেও জানান কৃষি অফিসার।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আমন ধান কাটা উৎসব উদযাপন
ফসলের খেত থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার সৈয়দপুর গ্রামের ফসলের খেত থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে নিজ গ্রামের ফসলের খেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
কৃষক সামছুল হক (৪৮) ওই গ্রামের মৃত জালাল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে আটকে থাকা লিফট থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার সন্ধ্যায় কৃষক সামছুল হক নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে কোথাও পায়নি।
মঙ্গলবার সকালে নিজ গ্রামের ফসলের খেতে তার লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। তবে এ হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পাবনায় কৃষককে গুলি করে হত্যা: ২১ জনের যাবজ্জীবন
পাবনার সদর উপজেলার চরতারাপুরে কৃষক সালাম হত্যার ঘটনায় ২১ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও আদালত প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে।
সোমবার দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান মুন্নী এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- সদর উপজেলার চরতারাপুরের ভাদুরীডাঙ্গী গ্রামের সোবাহান মোল্লার ছেলে শাহজাহান মোল্লা, আব্দুল বাছেদ শেখের ছেলে মিনহাজ, শাকের মোল্লার তিন ছেলে নবী শেখ, সুলতান মাহমুদ পক্ষী ও মোক্তার, মৃত ছোবা শেখের ছেলে বাছেদ শেখ, ইনাই খাঁর ছেলে আইয়ুব খাঁ, আমির মোল্লার ছেলে আসলাম, গফুর মোল্লার ছেলে লতিফ মোল্লা, রুস্তম মোল্লার ছেলে ছোবাই মোল্লা, বাহাই প্রামানিকের ছেলে কালাম, আকুল মোল্লার ছেলে মহির মোল্লা, হাচেন মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ আলী মোল্লা ও রেজাউল মোল্লা, গফুর মোল্লার ছেলে বাবু মোল্লা, সুজানগর উপজেলার চরভবানীপুর গ্রামের করিম মোল্লার দুই ছেলে ছেলে মোকছেদ মোল্লা ও বারেক মোল্লা, মৃত বশির মোল্লার ছেলে করিম মোল্লা, ভবানীপুর কাচারী মাঠ সংলগ্ন আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে খোকন, মানিকদিয়ার গ্রামের হবিবরের ছেলে রফিক এবং কোলচুরি গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে বাবলু।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্ত ২১ জনের মধ্যে বারেক, মিনহাজ, বাবলু, বাছেদ শেখ, লতিফ মোল্লা, ছোবাই পলাতক।
তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আর বাকি ১৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ৭ নভেম্বর সালাম কৃষি জমিতে কাজ করছিলেন। পূর্বশত্রুতার জেরে এসময় আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে ঘিরে ধরে। সালাম দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পেছন থেকে গুলি করা হয়।এসময় সালাম মাটিতে পড়ে গেলে তাকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এঘটনায় ২৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন তার ভাই জব্বার। পরের বছরে ১৯৯৯ সালের ১ আগস্ট ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
৩ জন আসামির মৃত্যুর ফলে দীর্ঘ স্বাক্ষী ও শুনানি শেষে আজ ২১ জন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হলো।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সনৎ কুমার সরকার এবং রাষ্ট্রপক্ষ পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলি (অতিরিক্ত পিপি) অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় কৃষক হত্যা মামলায় ৫ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
সাংবাদিক ফতেহ্ ওসমানী হত্যা: ৬ আসামির যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় কৃষক হত্যা মামলায় ৫ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বনগ্রামে রেজাউল নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে সহোদর পাঁচ ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সোমবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. তাজুল ইসলাম দীর্ঘ ১৬ বছর পর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মাঝগ্রামের মৃত রহমত আলী শেখের ছেলে উজ্জল শেখ (৫১), সেজ্জাত প্রকাশ সুজাত শেখ (৪১), সুজন শেখ (৩৯), আব্দুল গফুর শেখ (৬১) ও জালাল উদ্দিন শেখ (৫৪) ।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার সাত আসামিকে আদালত বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় চাচাকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে আব্দুল গফুর, ও জালাল উদ্দিনসহ মামলা থেকে খালাসপ্রাপ্ত সাতজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি তিন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌশুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা মাঝগ্রামের কৃষক আফিল উদ্দিন এবং তার ছোট ভাই জামাল উদ্দিন যৌথভাবে মাঠে সেচ দেয়ার জন্য একটি যন্ত্রচালিত সেচযন্ত্র পরিচলনা করতেন। জমিতে সেচ দেয়াসহ জায়গা-জমি নিয়ে তাদের সঙ্গে আসামিদের পূর্ব বিরোধ ছিলো।
পূর্ব বিরোধের জেরে ২০০৭ সালের ১১ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেচযন্ত্র চালু করার জন্য মাঠে যাওয়ার পথে আসামিরা জামাল উদ্দিন এবং তার ভাগনে রেজাউলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপালে ঘটনাস্থলেই রেজাউল নিহত হন। এসময় জামাল উদ্দিন গুরুতর আহত হন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরের দিন নিহতের মামা আফিল উদ্দিন বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
পরে দীর্ঘ শুনানী শেষে পাঁচ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক ফতেহ্ ওসমানী হত্যা: ৬ আসামির যাবজ্জীবন
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ১জনের মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন
ফুলবাড়ী: সবুজ রঙে সেজেছে কৃষকের মাঠ
সবুজ রঙে সেজেছে কৃষকের মাঠ। কৃষকের স্বপ্নের আমন খেতের চারিদিকে সবুজ রঙে ভরে উঠেছে। বিস্তৃর্ণ কৃষকের মাঠে মাঠে দু-চোখ জুড়ানো যেন এক অপরূপ সবুজের সমারোহ। যেন কোন জমি আর পতিত নেই।
প্রতিটি ধান গাছে র্শীষ বেড়া শুরু করেছে। বৃষ্টি ভেজা বাতাসে দোল খাচ্ছে আমন ধানের গাছগুলো। এ যেন এক নয়ন জুড়ানো দৃশ্যে মেতে উঠেছে ফসলের মাঠ জুড়ে। এখন মাঠ জুড়ে সবুজ রঙে সাজিয়ে তুলেছে প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য।
আরও পড়ুন: অনাবৃষ্টিতে আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় কৃষক
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অধিকাংশ প্রান্তিক কৃষক পরিবার কৃষির উপর নির্ভরশীল। ধানসহ সারা বছরেই কোন না কোন ফলন ফলায়। সেই ফসল বিক্রি করে পরিবার-পরিজন জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তাদের প্রধান ফসল ধান। চলতি আমন মৌসুমে অঞ্চলের চাষিরা তাদের প্রধান ফসল উৎপাদনের শুরুতেই বৃষ্টির দেখা মেলেনি।
ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির দেখা না পেয়ে সঠিক সময়ে বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন ও সেচযন্ত্রের মাধ্যমে পানি ক্রয় করে জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করেছেন চাষিরা। এ বছর পানি ক্রয় তাদের স্বপ্নের ফসল বাড়তি খরচ দিয়ে চাষাবাদ করলেও আমনের বাম্পার ফলনের এক উজ্জল সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় আমন চাষিদের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
আরও পড়ুন: চলাচলের অনুপযোগী ফরিদপুর পৌরসভার শতাধিক কিলোমিটার সড়ক
কুরুষাফেরুষা গ্রামের কৃষক আবুল কাসেম ও পুলিন চন্দ্র রায় জানান, ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির দেখা পাইনি। তবে সঠিক সময়ে শ্যালো-মেশিন ও সেচযন্ত্র দিয়ে পানি কিনে আমন ধান চাষাবাদ করেছি। রোপনের পর বৃষ্টির দেখা মেলে। মাঝে মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় এ বছর আমনের আবাদ গত বছরগুলোর চেয়ে ভাল ফলন দেখা দিয়েছে। জ্বালানি তেল ও সারের বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা অতিরিক্ত খরচ বহন করে আমন ধান চাষাবাদ করলেও এখন সেই স্বপ্নের ফসল দেখে আমাদের মন ভরে যায়।
ফসলি জমি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃষকদের খোলা চিঠি
খুলনার দাকোপ উপজেলার বাণীশান্তা ইউনিয়নের ৩০০ একর তিন ফসলি কৃষিজমি রক্ষার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি লিখেছে এক হাজার কৃষক পরিবার।
সম্প্রতি বাণীশান্তা-ভোজনখালী সংযোগ সড়কে এ উপলক্ষে চিঠি লেখা কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বাণীশান্তা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটি।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিহীন, তীব্র তাপদাহে রোপা আমন ও সবজি নিয়ে বিপাকে নওগাঁর কৃষকরা
পোস্টকার্ডের মাধ্যমে লেখা ওই চিঠিতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পশুর নদ খননের বালু কৃষিজমিতে না ফেলে বিকল্প জায়গায় ফেলার দাবি জানান কৃষকরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পশুর নদীর ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার ভুল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে কৃষকদের বিকল্প প্রস্তাব বিবেচনায় নেবেন। কিন্তু তারা তা না করে বিভিন্ন মহলকে উসকানি ও সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন। এ অবস্থায় বাণীশান্তার ৩০০ একর তিন ফসলি উর্বর কৃষিজমি রক্ষায় ১২০০ কৃষক পরিবারের পাঁচ হাজার মানুষের পক্ষ থেকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে অনাবৃষ্টিতে আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় কৃষক
তারা বলেন, উন্নয়ন করতে গিয়ে কৃষিজমি নষ্ট করা যাবে না, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি ফেলে রাখা যাবে না প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা জীবন দেবো, তবুও বাণীশান্তার তিন ফসলি কৃষিজমিতে বালু ফেলতে দেবো না।
সভাপতির বক্তব্যে ইউপি সদস্য কৃষক পাপিয়া মিস্ত্রি বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃক বাণীশান্তার কৃষিজমিতে বালু ফেলার বিরুদ্ধে দাকোপের জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা ঐক্যবদ্ধ।
আরও পড়ুন: তলিয়ে যাওয়া ফসল নিয়ে হাওরের কৃষকের হাহাকার
আমাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিকল্প জায়গায় বালু ফেলে বাণীশান্তার উর্বর কৃষিজমি রক্ষায় উদ্যোগী হবে।
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
যশোর চৌগাছায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে বাড়ি থেকে কৃষিকাজে মাঠে যাওয়ার সময় এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত কৃষক জ্যোতিন্দ্রনাথ বিশ্বাস (৫৫) উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর কয়ারপাড়া গ্রামের খগেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সকালে জ্যোতিন্দ্রনাথ বাড়ি থেকে ধান খেতে কাজ করতে মাঠে যাচ্ছিলেন। এ সময় একই গ্রামের প্রশান্ত কুণ্ডুর পোল্ট্রি মুরগির ফার্মে শিয়াল মারার জন্য পেতে রাখা বিদ্যুতের ফাঁদে তিনি পা দেন। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন।
পরে তাকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা সরকারি মডেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জুলকার নাইম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: শাহরাস্তিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু ২, আহত ৪
বরগুনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ জনের মৃত্যু
জামানাত ছাড়াই কৃষককে ঋণ দেয়া যায়: কৃষিমন্ত্রী
জামানাত ছাড়াই কৃষককে ঋণ দেয়া যায় বলে জনিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, সরকার কৃষিখাতে চার শতাংশ স্বল্প সুদে কৃষকদেরকে ঋণ দিচ্ছে। কিন্তু এ ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান কঠিন শর্ত অনেক সময়ই কৃষক পূরণ করতে পারে না। সেজন্য ঋণ দেয়ার পদ্ধতি আরও সহজ করতে হবে।
রবিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাণিসম্পদ খাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে আমাদের অবস্থান ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আদর্শ প্রাণিসেবা লিমিটেড এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ১৩ বছরে একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট করেনি: কৃষিমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদে অবশ্যই বীমা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে একটি গাভির দাম ৫-১০ লাখ টাকা। সেজন্য প্রাণিসম্পদে অবশ্যই বীমা হওয়া উচিত।
তবে বীমা কোম্পানির ওপর দেশের মানুষের বিশ্বাস নেই। তারা গ্রাহককে ব্যাপকভাবে হয়রানি ও প্রতারণা করে। এই হয়রানি ও প্রতারণা বন্ধ করে বীমাকে গ্রাহকবান্ধব করতে হবে। বীমাতে মানুষের আস্থা বৃদ্ধি করতে হবে।
ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে এটি সাময়িক; এবং শিগগিরই দাম কমে আসবে বলেও মন্ত্রী জানান।
ভোজ্যতেলের উৎপাদন বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ভোজ্যতেলের চাহিদা শতকরা ৪০ ভাগ দেশে উৎপাদনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
সেমিনারে কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাইল হোসেন, কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল্লাহ হারুন পাশা, কৃষিবিদ আওলাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংককিং ও বীমা বিভাগের অধ্যাপক হাসিনা শেখ, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কায়সার হামিদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ৫০ লাখ মানুষকে ১৫ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
বোরোতে ডিজেলে ভর্তুকি দেয়ার বিবেচনা করছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী