শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুর্ঘটনায় ৩ শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুর্ঘটনায় ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৩ জুলাই) বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আলমডাঙ্গা উপজেলায় পানিতে ঢুবে ৬ মাস বয়সী ইয়াসিন, দামুড়হুদা উপজেলায় চলন্ত ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে রাশেদ (২) এবং জীবননগর উপজেলায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে আয়েশা সিদ্দীকা (৯) নামের এই তিন শিশুর মৃত্যু ঘটে।
সংশ্লিষ্ট ৩ থানার ভারপ্তাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছোট ছেলে ইয়াসিন তার মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল। এ সময় গড়াগড়ি দেওয়ার সময় খাটের পাশে থাকা মাছ ভর্তি বালতির পানিতে পড়ে যায় ইয়াসিন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
ঘুম ভেঙে ছেলেকে পানিতে দেখতে পেয়ে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইয়াসিনকে মৃত ঘোষণা করেন। অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কন্দর্পপুর স্কুলের সামনে ট্রাক চাপায় আয়েশা সিদ্দীকা নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সে হাসাদহ ইউনিয়নের কন্দর্পপুর স্কুলপাড়ার বকুল উদ্দীনের মেয়ে ও কন্দর্পপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জীবননগর থানা পুলিশের পরিদর্শক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা বলেন, ঘটনার পর স্থানীয়রা ট্রাকটি জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে দিয়েছে। চালককে আটক করা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে, দামুড়হুদা উপজেলার নাপিতখালি গ্রামের রহিদুল ইসলামের ছেলে রাশেদ তার মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে অসাবধানতায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয় এবং দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নড়াইলে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নির্মাণাধীন ড্রেনে পড়ে শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌরসভার কলেজপাড়ার নির্মাণাধীন ড্রেনে পড়ে সাড়ে তিন বছর বয়সী এক মেয়েশিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌর এলাকার কলেজপাড়ায় ঢাকনাবিহীন ড্রেনের পানি থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
নিহত শিশু সামিয়া কলেজপাড়ার প্যাকেট ব্যবসায়ী রোকনুজ্জামানের মেয়ে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু, আহত ১
শিশুর পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় শিশু সামিয়া কলেজপাড়া সড়কে তার বাবার দোকানের সামনে খেলছিল। একা খেলতে গিয়ে সবার অজান্তে বাড়ির সামনে পৌরসভার নির্মাণাধীন ঢাকনাবিহীন ড্রেনে পড়ে যায় সে। এ সময় তাকে অনেক খুঁজেও না পেয়ে পরিবারের লোকজন হতাশ হয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে ড্রেনের খোলা জায়গা থেকে বাঁশ দিয়ে পানি নাড়াচাড়া করলে ভাসমান অবস্থায় সামিয়ার দেহ দেখতে পায় তারা। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন তিনি।
নাম না প্রকাশ করে বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে সড়কের পাশে নির্মাণ করা ড্রেনের উপরে অনেক স্থানে দীর্ঘদিনও ঢাকনা (স্ল্যাব) দেওয়া হয়নি। পূর্বেও ঢাকনাবিহীন এই ড্রেনের উপর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে অনেকেই নিচে পড়ে আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে গর্তে জমা বৃষ্টির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
বীরগঞ্জে পুকুরের পানিতে পড়ে ৭ বছরের শিশুর মৃত্যু
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নানার বাড়িতে ঈদের দাওয়াত খেতে এসে পুকুরের পানিতে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রিফাত (৭) জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের অর্জুনাহার এলাকার নোহাইল গ্রামের শহিদুল ইসলামের বড় ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর হাজারীবাগে মাদরাসার ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
জানা গেছে, বীরগঞ্জ উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম মিস্ত্রির বাড়িতে গতকাল শনিবার তার মেয়েসহ নাতিরা ঈদের দাওয়াত খেতে আসে। রবিবার বিকাল থেকে তার নাতি রিফাত নিখোঁজ ছিল। পরে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বাড়ির পিছনের পুকুরে রিফাতের ভাসমান লাশ দেখতে পায় স্বজনেরা।
নিজপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান আনিস জানান, খেলতে গিয়ে শিশুটি পুকুরের পানিতে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: পাবনায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
দিনাজপুরে বালতির পানিতে পড়ে ১৫ মাস বয়সী শিশুর মৃত্যু
পাবনায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২ জুলাই) দুপুরে উপজেলার মুলাডুলি ইক্ষু খামারের সামনে পাবনা-নাটোর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু তাসনিয়া আক্তার লামিয়া (৩) মুলাডুলি ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের সুমন আলীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে বজ্রপাতে ৩ শিশুর মৃত্যু
জানা গেছে, ঈশ্বরদী-নাটোর মহাসড়কের মুলাডুলি ইক্ষু খামারের নিকট মোটরচালিত ভ্যানে চড়ে মুলাডুলি থেকে ঈশ্বরদী অভিমুখে যাওয়ার সময় দ্রুতগামী একটি প্রাইভেটকার ভ্যানটিকে প্রচণ্ড গতিতে ধাক্কা দিলে লামিয়া তার মা সাথী খাতুনের কোল থেকে ছিটকে পড়ে প্রচণ্ড আঘাত পায় এবং সঙ্গে সঙ্গেই মারা যায়।
এ সময় মা সাথী খাতুন ও ভ্যানচালক আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পাকশী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিষ কুমার স্যানাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিশু লামিয়ার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বালতির পানিতে পড়ে ১৫ মাস বয়সী শিশুর মৃত্যু
ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
সিলেটের কানাইঘাটে বজ্রপাতে শিশুর মৃত্যু, আহত ১
সিলেটের কানাইঘাটে বজ্রপাতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের বড়দেশ উত্তর (পাঁচঘরি) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ফাহিম আহমদ (১২) একই গ্রামের ফয়েজ আহমদের ছেলে। আহত ফাহিমের চাচাতো ভাই আল-আমিন (১৩) নিজাম উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফাহিম ও আল-আমিন গ্রামের জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে যাচ্ছিল। এ সময় হালকা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ বজ্রপাত হচ্ছিল। হঠাৎ করে বিকট শব্দে বজ্রপাত ফাহিম ও আল-আমিনের পাশে পড়লে তাদের শরীর ঝলসে যায়।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু
তাদের চিৎকারে মসজিদে অবস্থানরত মুসল্লি ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
হাসপাতালের চিকিৎসক ফাহিম আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আল-আমিনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার অবস্থা মুমূর্ষু বলে জানা গেছে।
নিহত ফাহিম আহমদের মামা কানাইঘাট বাজারের ব্যবসায়ী ঠিকাদার হোসেন আহমদ জানান, মাগরিবের নামাজে বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে তার ভাগিনা ফাহিমের মৃত্যু হয় এবং আল-আমিন গুরুতর আহত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগির আহমেদ। নিহত ফাহিম আহমদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
টেকনাফে বজ্রপাতে ২ জন নিহত
হাজারীবাগে গলায় লিচুর বীজ আটকে বাক প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু
হাজারীবাগে গলায় লিচুর বীজ আটকে বাক প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু। রাজধানীর হাজারীবাগে মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে গলায় লিচুর বীজ আটকে বাক প্রতিবন্ধী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত অনিক (১০) নোয়াখালীর মাইজদী উপজেলার উদর হাট এলাকার মো. সাঈদের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
শিশুটির মামা রাকিব জানান, লিচু খাওয়ার সময় গলায় লিচু আটকে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, শিশুটির লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু
চাঁদপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
নীলফামারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু
নীলফামারী সদরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের পশ্চিম কুচিয়ারমোড় দোলাপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত লিমা আক্তার (৯) ওই গ্রামের এন্তাজুল ইসলামের মেয়ে এবং আরিফ হোসেন (৭) একই গ্রামের এনামুল হকের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাত ভাই-বোন।
পুলিশ জানায়, রবিবার দুপুরে পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতে বাড়ির উঠানে খেলছিল ওই দুই শিশু। এ সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে টিনের ঘরের চালে পড়লে ওই ঘরের টিনের বেড়াসহ বিদ্যুতায়িত হয়। শিশু লিমা খেলার ছলে ওই টিনের বেড়া স্পর্শ করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে শিশু আরিফও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু
এলাকাবাসীর ধারণা বিদ্যুৎ সংযোগে নিম্নমানের জোড়া লাগানো তার ব্যবহার করায় প্রচণ্ড তাপে সেটি ঘরের চালে ছিঁড়ে পড়ে।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিবারের অভিযোগ না থাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে ওই দুই শিশুর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কচুয়াতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু
চাঁদপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
চাঁদপুর সদরে নিজ বাড়ির পুকুরের পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ২নং আশিকাটি ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের হোসেন খানের বাড়ির পুকুরে গোসল করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু সেলিম খানের মেয়ে নুসরাত (৮) ও একই পরিবারের চান মিয়ার মেয়ে মরিয়ম আক্তার (১০)। তারা দু’জন সম্পর্কে চাচাতো বোন ছিল ও তারা দু’জনেই হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম ও ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী।
স্বজনরা জানান, শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে মরিয়ম আক্তার ও নুসরাত আক্তার দুই বোন একসঙ্গে বাড়ি পাশে পুকুরে গোসল করতে যায়। এদের মধ্যে মরিয়ম আক্তার সাঁতার জানলেও নুসরাতের সাঁতার জানা ছিলোনা। গোসল করার সময় হঠাৎ নুসরাত আক্তার পানিতে তলিয়ে যেতে দেখে বড় বোন মরিয়ম আক্তার তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যায়। নুসরাত প্রাণে বাঁচার জন্য বড় বোন মরিয়মকে জড়িয়ে আঁকড়ে ধরলে এতে দু’জনেই পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায়। পরে বাড়ির অন্যান্য লোকজন তাদেরকে পুকুরের পানিতে ভেসে উঠতে দেখে তাৎক্ষণিক সেখান থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
এ বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মনসুর আহমেদ কাউসার বলেন, পানিতে পড়া ওই দুই শিশুকে মৃত অবস্থায়ই এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। হাসপাতালে আনার পর তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদেরকে মৃত দেখতে পাই।
পরে স্বজনরা হাসপাতাল থেকে তাদের লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগ নেতা মো. বিল্লাল হোসেন মাষ্টার এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সুনামগঞ্জের শাল্লায় পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৯ মে) বিকালে উপজেলার ২নং হবিবপুর ইউনিয়নের হবিবপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
শিশু সূর্য্য দাস (২) একই গ্রামের সাধু দাসের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৯ মে) বিকালে শিশুটি বাড়ির উঠানে খেলা করার এক পর্যায়ে বাড়ির পাশে পুকুরের দিকে গিয়ে হঠাৎ পানিতে পরে নিখোঁজ হয়ে যায়। বাড়ির লোকজন অনেক খোজাঁখুজি করে না পেয়ে পরবর্তীতে পুকুরে নেমে পানির নীচে শিশুটির লাশ পায়ে লাগে। পরে লাশটি তুলে আনা হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি শাল্লা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, বিষয়টির খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাদারীপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পাবনায় পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
পাবনার চাটমোহরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৮ মে) দুপুরে উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুরা হলেন- চরপাড়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে নাহিদ (৭) এবং একই গ্রামের নাইম হোসেনের ছেলে রিদয় (৮)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে যায় নাহিদ ও রিদয়সহ আরও বেশ কিছু শিশু। গোসল করার মূহূর্তে হঠাৎ করেই পানিতে ডুবে যায় ওই দুই শিশু। পরে পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুজি করে তাদের লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, গুনাইগাছা ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাদারীপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু