ফায়ার সার্ভিস
নৌকাডুবি: হাওরে নিখোঁজ তিনজনের লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা ইটনায় ইঞ্জিন চালিত নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ইটনা ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি দল এই তিনজনের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দামিহা ইউনিয়নের মো. মোস্তফার ছেলে মো. মাসুম (২৫), করিমগঞ্জের হালগড়া গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে সিরাজ উদ্দিন (৬০) ইটনা উপজেলার বেতেগাঁওর মৃত সওদাগরের ছেলে ওয়াসিম (৩৫)।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, গত সোমবার বিকালে করিমগঞ্জ উপজেলার দাহিমা এলাকা থেকে ইটনা সদর উপজেলার বেতেগাঁও আসার পথে, বড়িবাড়ি ইউনিয়নের এনসহিলা গ্রামের সামনের হাওরে ঝড়ের কবলে পরে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে দুই জন সাঁতার কেটে প্রাণে বেঁচে যান। তবে,নিখোঁজ থাকে অন্য তিনজন।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ ছাত্রলীগ নেতার লাশ উদ্ধার
মঙ্গলবার সকাল ৭টায় ইটনা ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি দল অভিযান শুরু করে। সকাল সাড়ে ৯টায় পানিতে তলিয়ে থাকা নৌকার ভিতর থেকে নিহত তিনজনের লাশ উদ্ধার করে।
ইটনা ফায়ার সার্ভিস সহকারী স্টেশন কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান বলেন, আজ সকালে অভিযান চালিয়ে হাওরে তলিয়ে থাকা নৌকা থেকে নিহত তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মোল্লা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুজনের লাশ উদ্ধার
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মাসুদ রানা নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জনে।
বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিইউর চিকিৎসক ডা.হারুনুর রশিদ।
নিহত মাসুদ রানা (৩৬) জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার বাসিন্দা এবং ওই কনটেইনার ডিপোর শ্রমিক বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এএসআই )মো. আলাউদ্দীন তালুকদার বলেন, ওই শ্রমিক কনটেইনার ডিপোতে মাল লোড-আনলোডের কাজ করতেন। পরবর্তী নিয়ম অনুসরণ করে তার লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তায় প্রস্তুত ভারত
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন,বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৫ জন রোগীর অবস্থা গুরুতর।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৪ জুন) বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। রাত পৌনে ১১টায় এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে টানা ৭২ ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীসহ ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, বর্তমানে প্রায় ১৩০ জন সিএমএইচের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফায়ার সার্ভিসের আরও ৩ সদস্য নিখোঁজ
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করে। ফলে মৃতের সংখ্যা ৪৩ হয়।
মঙ্গলবার বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে রাতে ডিপো থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাওয়ায় আগুন নেভানোর জন্য দমকলকর্মীরা এখনও ডিপোতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।
আগুন লাগার সঠিক কারণ জানতে ইতোমধ্যেই তিনটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: নিহতদের পরিচয় শনাক্তে চলছে ডিএনএ টেস্ট
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফায়ার সার্ভিসের আরও ৩ সদস্য নিখোঁজ
সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে ও বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তিন সদস্য এখনও নিখোঁজ আছে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিস্ফোরণের এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্য মারা গেছেন।
সোমবার বিকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের থেকে নিহত ও নিখোঁজ ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যের নাম ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা মো. শাজাহান সিকদার জানান, সীতাকুণ্ডের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯ জন কর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের সবার পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। বাকি নিখোঁজ তিন জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় সৃষ্ট আগুন এবং রাত পৌনে ১১টায় কন্টেইনার বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে সোমবার পর্যন্ত যে ৯ জন ফায়ারম্যানের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির
এখনও জ্বলছে সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপো
সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে লাগা আগুন নেভানো সম্ভব হচ্ছে না। ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অগ্নিনির্বাপণে কাজ করে যাচ্ছেন সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।
এদিকে সোমবার সকালে ডিপোর কন্টেইনারের ভেতর থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ৫০ জনে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, ‘জ্বলন্ত কনটেইনারগুলোর পাশে একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকতে পারে। এ কারণে সতর্কতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে তারা।’
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকা থেকে আনা হয়েছে হাজমত টেন্ডার (গাড়ি)। যা দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে মনে করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মনির হোসেন বলেন, কনটেইনারগুলো সরানোর জন্য হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট আনছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। ছয়টি টিম রেডি করেছি। ৮-১০ টি কনটেইনারে এখনও আগুন আছে। আলাদা করে আগুন নেভানো হবে। কেমিকেল আগুন নেভাতে দুটি হাজমত টেন্ডারসহ (গাড়ি) ২০ জনের টিম এসেছি ঢাকা থেকে।
সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ডিপোর ভিতরে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করছে।
মনির হোসেন বলেন, বিভিন্ন কন্টেইনারে আগুন জ্বলছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার। কোন কন্টেইনারে রাসায়নিক আছে তা বলতে না পারায় আমাদের সাবধানতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে। তারপরও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় লাগা এ আগুনে ডিপোতে থাকা বিভিন্ন কেমিকেল ভর্তি কন্টেইনার বিস্ফোরণ হয়ে এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে।
স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও চিকিৎসকদের আশঙ্কা সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ডিপোতে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, কনটেইনার ডিপোটিতে ‘হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড’ নামে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক ছিল। হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড একটি রাসায়নিক যৌগ; উচ্চতাপে এটি বিস্ফোরক হিসেবে আচরণ করে। বিস্ফোরণে পুরো এলাকায় রাসায়নিকের বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে। এতে উদ্ধারকর্মীরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
এর আগে শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে কদমরসুল এলাকায় বিএম ডিপোতে আগুনের পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫০ জনের মৃত্যু হয় এবং শতাধিক দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে বিস্ফোরণে আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালিক পক্ষ। গতকাল রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মালিকপক্ষ নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দেবে। গুরুতর আহত বা অঙ্গহানির শিকার প্রত্যেকেকে ছয় লাখ টাকা করে এবং বাকি আহতদের চার লাখ টাকা করে দেবে। বিএম ডিপোর জিএম মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণ নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হবে: হাছান মাহমুদ
হাটহাজারীতে বাড়িতে আগুন, দগ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বসত বাড়িতে আগুন লেগে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ফোরকান (৪৬) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সৃষ্ট আগুনের একটি বাড়ি পুড়ে গেছে। শনিবার ভোর ৫টায় পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এই আগুনের ঘটনা ঘটে।
নিহত ফোরকান উপজেলার নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবার ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, দুবাই প্রবাসী ছবুরের বোনের স্বামী ফোরকান প্যারালাইসিসে আক্রান্ত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। শনিবার ভোরে ছবুরের রুমে আগুন লাগলে তা দ্রুত অন্যান্য রুমেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ফোরকানকে আর বের করা যায়নি। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল ৭টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- মো. মঞ্জু, মো. ফরিদ, মো. মাসুম, মো. জমির, মো. সালাউদ্দিন ও মো. রহিম।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা শাহাজাহান বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল ৭টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় আগুনে পুড়ে ফোরকান নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনা দুদক কার্যালয়ে আগুন, পুড়ে গেছে ফাইলপত্র
চকবাজারে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন
হবিগঞ্জে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে আগুন
খুলনা দুদক কার্যালয়ে আগুন, পুড়ে গেছে ফাইলপত্র
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে আগুন লেগে বেশ কিছু ফাইল ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৬টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
দুদকের ডিএডি কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বিকাল ৫টায় অফিস ছুটি হওয়ায় বেশির ভাগ কর্মী অফিস ত্যাগ করে বাসায় চলে গিয়েছিল। হঠাৎ ৩য় তলায় শব্দ এবং পরে ধোয়া দেখে পাশেই দমকল বিভাগে খবর দেয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স দরজার তালা এবং জানালার কাচঁ ভেঙে ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে আলমারিতে থাকা মূল্যবান ফাইলপত্র বিনষ্ট হয়েছে বলে তিনি জানান।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, ৬টি কক্ষর ফাইলপত্র সব পুড়ে গেছে। দমকল বিভাগ দ্রুত আসায় আগুন ছড়াতে পারেনি।
পড়ুন: চকবাজারে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন
সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের একটি আবাসিক হোটেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে জেলার নীরব আবাসিক নামের একটি হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক (৩২)পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে। তিনি সিরাজগঞ্জের আরএফএল কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আতাউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আরএফএল কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি রাজ্জাক সিরাজগঞ্জে পেশাগত কাজে এসে ওই এলাকার নীরব আবাসিক হোটেলে থাকতেন। রবিবার সকালে হোটেলের বেলকনিতে স্টীলের পাইপ হাতে নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন কারো সঙ্গে। এক পর্যায়ে ফোনে উত্তেজিত হয়ে লোহার পাইপ ওপরের দিকে ওঠালে ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে সদর থানায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে জামাই-শ্বশুরের মৃত্যু
চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪
নাটোরের বড়াইগ্রামে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। বুধবার উপজেলার তরমুজ পাম্প এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বারিক সরদার (৬০) পাবনা জেলার বাসিন্দা।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, বেলা ১১টার দিকে উপজেলার তরমুজ পাম্প এলাকায় নাটোর থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের সঙ্গে বিপরীতমুখি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহত পাঁচ জনকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে বারিকের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার কারণে বনপাড়া-হাটিকুমরুল-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধসহ নিহত ২
চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
চট্টগ্রামে বন্দর থানাধীন মধ্যম হালিশহরে আগুনে পুড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার বেলা ১২টার দিকে বন্দর থানাধীন ৩৮নং মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডে ধুমপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির পাশে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।
নিহত বৃদ্ধ হলেন- আব্দুল করিম ভূ্ইযয়া (১০২)।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, ‘ইপিজেডের ধুমপাড়া এলাকায় কয়েকটি দোকান ও বসতঘরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আমাদের তিনটি ইউনিটের ১১টি গাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে কাজ করছে। আগুন লাগার কারণ সর্ম্পকে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারিনি।
তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।’
আরও পড়ুন: সেনবাগে চুলার আগুনে পুড়ে ভাই-বোনের মৃত্যু
মধ্যপ্রদেশে প্রেমে বিচ্ছেদ থেকে ভবনে আগুন, নিহত ৭
ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৪
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের চার জন দগ্ধ হয়েছে। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর ৫টায় ফতুল্লা পোস্ট অফিস এলাকার একটি টিনশেড বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- কারখানা শ্রমিক রোজিনা আক্তার (৩৩), তার স্বামী রিকশাচালক আনোয়ার হোসেন (৪০), একই দম্পতির দুই ছেলে রোমান (১৭) ও রোহান (৯)।
ফতুল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলম হোসেন বলেন, বাড়ির পেছনে গ্যাস লাইনের রাইজারের লিকেজ থেকে ভোর ৫টায় আগুন লেগে বাড়িতে ছড়িয়ে যায়। এ সময় ঘরে ঘুমিয়ে থাকা আনোয়ার হোসেন, তার স্ত্রী রোজিনা বেগম, দুই শিশু ছেলে রোহান ও রোমান দগ্ধ হন। আগুনে ঘরের সব আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ‘গ্যাস লিকেজ’ থেকে আগুন, একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
তিনি জানান, আগুনের খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভান। পাশাপাশি দগ্ধদের উদ্ধার করে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনইস্টিটিউটে পাঠান।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, রোজিনার শরীরের ১৪ শতাংশ, আনোয়ারের ১৭, রোহানের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের ৩ জনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। আর রুমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোনের মৃত্যু