নরেন্দ্র মোদি
ভারত প্রয়োজনে সব সময় বাংলাদেশকে সাহায্য করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার ভারতকে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে প্রশংসা করে বলেন, ভারত প্রয়োজনে সব সময় বাংলাদেশকে সাহায্য করে।
তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ এবং এই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক বিদ্যমান ও অব্যাহত থাকবে।’রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে এক আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপসচিব কে এম শাখাওয়াত মুন শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেন, প্রয়োজনে বাংলাদেশ সব সময় ভারতের কাছ থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা পায়।
আরও পড়ুন: রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়' পররাষ্ট্রনীতি বাংলাদেশ সর্বদা বজায় রেখেছে।
তিনি স্মরণ করেন, ‘১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যের জন্য আমরা তাদের (ভারত) কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
মোমেন ভারতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাচ্ছেন না: গণমাধ্যমে ‘বাদ’ শব্দটি ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন দীপু মনির
হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠকে হাসিনা-মোদি
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়েছে।
প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনার পর দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষর হবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার মধ্যকার আলোচনায় নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, তাদের নেতৃত্ব পর্যায়ের যোগাযোগের ‘উষ্ণতা এবং ফ্রিকোয়েন্সি’ ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী অংশীদারিত্বের প্রমাণ।
পড়ুন: দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে মোদির উষ্ণ অভ্যর্থনা
ভারত জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে দু’দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং বোঝাপড়াসহ বহুমুখী সম্পর্ক স্থাপিত হবে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ভারত থেকে উদ্বৃত্ত জ্বালানি কেনার বিষয়ে আজ (৬ সেপ্টেম্বর) আলোচনা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মাসুদ বলেন, ‘আমরা অনুকূল শর্তে ভারতের উদ্বৃত্ত জ্বালানি পেতে পারি। আমরা অবশ্যই তা বিবেচনা করব।’
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
ঢাকা-নয়াদিল্লির মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রক্রিয়া রাতেই চূড়ান্ত হবে: পররাষ্ট্র সচিব
দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে মোদির উষ্ণ অভ্যর্থনা
দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে মঙ্গলবার চার দিনের সরকারি সফরে নয়াদিল্লি সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সকাল সোয়া ৯টার দিকে (স্থানীয় সময়) রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে মোদি অভ্যর্থনা জানান।
রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষীদের একটি অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রপতি ভবনের গেট থেকে সামনের দিকে তার মোটরকেড নিয়ে যায়।
পরে শেখ হাসিনাকে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিনটি সার্ভিসের একটি চৌকস দল একটি গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।
এরপর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী প্রেজেন্টেশন লাইনে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও মোদির সঙ্গে তার সফরসঙ্গীদের পরিচয় করিয়ে দেন।
এসময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী এম নুরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুকসহ তার সফরসঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশকে গোড্ডা কেন্দ্রের বিদ্যুৎ দেয়ার প্রতিশ্রুতি আদানির
ঢাকা-নয়াদিল্লির মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রক্রিয়া রাতেই চূড়ান্ত হবে: পররাষ্ট্র সচিব
নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার সকালে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪০মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে) পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ এবং দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান স্বাগত জানান।
বিমানবন্দরে একটি সাংস্কৃতিক দল স্বাগত নাচ এবং বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে পরিবেশন করে।
ইউক্রেন সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই সফরকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য বর্ধিত সহযোগিতা বাড়াতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটে যাত্রা করেন।
৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে এবং রাষ্ট্রপতি ভবনে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
একই দিন হায়দরাবাদ হাউসে মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক করার কথা রয়েছে।
হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যকার আলোচনায় নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
পড়ুন: ৪ দিনের সফরে ভারতের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
পরে সেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া মধ্যাহ্নভোজে শেখ হাসিনা যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
একই দিনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা।
এছাড়াও ৫ সেপ্টেম্বর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি পৃথকভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন। ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়নমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী তার সাথে পৃথকভাবে বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিল্লির নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগাহ, খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ শরীফ এবং ৮ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের আজমির (আজমির শরীফ দরগা) পরিদর্শন করবেন।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত বিজনেস ফোরামে যোগ দেবেন।
একই দিনে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ ও গুরুতর আহত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২০০ জন সদস্যের বংশধরদের বাংলাদেশ সরকারের একটি উদ্যোগ মুজিব বৃত্তি প্রদান করবেন।
এর আগে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার আগে ২০১৯ সালে ভারত সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সফরে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন, যেখানে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক রয়েছেন।
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বেশ কিছু চুক্তির সম্ভাবনা
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: ঢাকা-দিল্লির ৭টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বেশ কিছু চুক্তির সম্ভাবনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরে দুই দেশের পানি ব্যবস্থাপনা, প্রতিরক্ষা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচারসহ বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে আগামী সোমবার রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েল একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে হায়দরাবাদ হাউসে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় মিলিত হবেন। সেখানে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচাররোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।
তিনি বলেন, ইউক্রেন সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই সফরকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে । কেননা দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য বর্ধিত সহযোগিতা চায়।
এর আগে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার আগে ২০১৯ সালে ভারত সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জন্যই এই সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরে দু’দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং বোঝাপড়াসহ বহুমুখী সম্পর্ক স্থাপিত হবে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সফরে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন, যেখানে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক রয়েছেন।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও হাসিনার সঙ্গী হবেন। কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
পড়ুন: সহযোগিতার নতুন দ্বার খুলবে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী অভ্যর্থনা জানাবেন এবং তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। সফরে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। হায়দরাবাদ হাউসে তিনি মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় মিলিত হবেন। পরে সেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া মধ্যাহ্নভোজে শেখ হাসিনা যোগ দেবেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও শেখ হাসিনা আজমীর শরীফ পরিদর্শনেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
সফরে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ ও গুরুতর আহত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২০০ জন সদস্যের বংশধরদের বাংলাদেশ সরকারের একটি উদ্যোগ মুজিব বৃত্তি প্রদান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে উভয় পক্ষই উচ্চ পর্যায়ের এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্পৃক্ততা বজায় রেখেছে।
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ঢাকা-দিল্লির বহুমাত্রিক সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রত্যাশা
হামলা হলে পুলিশের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির যৌথভাবে ১ম ইউনিট সম্পন্নের ঘোষণা
বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ খাতে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার অংশ হিসেবে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি অক্টোবরের শুরুতে বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
১৩২৯ (২x৬৬০) মেগাওয়াট কয়লা চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ সফলভাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়।
প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ এর কাজ শেষ হওয়া এবং ‘সফল সমন্বয়’ এর পরে বর্তমানে আরও সমন্বয় সম্পর্কিত কার্যক্রম হাতে নেয়া হচ্ছে। এরপরে ইউনিট-১ বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন:গুজরাট দাঙ্গা: ১১ দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় তিনি এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম ইউনিটের নির্মাণ কাজ শেষ করার ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে নয়াদিল্লি রওনা হবেন
মোদি-সোলিহ বৈঠক, ৬ চুক্তি স্বাক্ষর
দিল্লিতে মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সফররত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মোদি প্রেসিডেন্ট সোলিহের সাথে তার যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা মালদ্বীপকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাতে সমস্ত প্রকল্প সময়মত সম্পন্ন করা যায়।’
দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের পর উভয় দেশ সাইবার নিরাপত্তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং পুলিশ অবকাঠামো উন্নয়নের মতো ক্ষেত্রগুলোতে ছয়টি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
প্রেসিডেন্ট সোলিহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মালদ্বীপ-ভারতের সম্পর্ক কূটনীতির বাইরে। এই সফর আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধনের প্রতিশ্রুতি।’
আগের দিন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালেয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে অংশীদারিত্ব, ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্কের দ্বারা আবদ্ধ’ উল্লেখ করে টুইট করেন।
এর আগে চারদিনের ভারত সফরে সোমবার দিল্লি পৌঁছেন প্রেসিডেন্ট সোলিহ। সফরে একটি উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল রয়েছে।
পড়ুন: ভারতে মাঙ্কিপক্সে প্রথমবারের মতো একজনের মৃত্যু
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভ্যানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১০
অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় মোদি
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ‘ক্রমবর্ধমান জটিলতা ও চ্যালেঞ্জ’ সত্ত্বেও বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার মাধ্যমে নাগরিকদের জন্য অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি প্রদানের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব জোরদার করার জন্য আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যৌথ অঙ্গীকার। যার মাধ্যমে আমরা অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পারি’।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নয়াদিল্লিতে সাক্ষাতের সময় এটি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য উন্মুখ বলেও মোদি জানান।
এছাড়া ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদি।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা), আপনার পরিবার এবং বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে শুভেচ্ছা হিসেবে ঈদ মোবারক জানাতে পেরে আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদির মাকে ১০০ গোলাপ দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বঙ্গোপসাগরকে সংযোগ সেতুতে রূপান্তরের আহ্বান মোদির
শিনজো আবের মৃত্যুতে জাতীয় শোক ঘোষণা ভারতে
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের (৬৭) স্মরণে আগামীকাল শনিবার (৯ জুলাই) একদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে ভারত। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 'ভারতের প্রিয়তম বন্ধুদের একজনের হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।’
মোদি এক টুইটে লিখেছেন, 'আমার একজন প্রিয় বন্ধু শিনজো আবের মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমি স্তব্ধ ও শোকাহত। তিনি ছিলেন বিশ্বের একজন ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদ, একজন অসামান্য নেতা এবং একজন অসাধারণ শাসক। তিনি জাপান ও বিশ্বকে আরও উন্নত করার জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘ভারত-জাপান সম্পর্ককে একটি বিশেষ কৌশলগত এবং বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের পযায়ে উন্নীত করার জন্য অপরিসীম অবদানের জন্য’ আবের প্রশংসা করেছেন।
আরও পড়ুন: শিনজো আবের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আজ, সমগ্র ভারত জাপানের সঙ্গে শোক করছে এবং আমরা এই কঠিন মুহূর্তে আমরা আমাদের জাপানি ভাই ও বোনদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধার স্মারক হিসেবে ৯ জুলাই ২০২২ তারিখে একদিনের জাতীয় শোক পালন করা হবে।’
আবের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা স্মরণ করে মোদি বলেন, ‘গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা নেয়ার পর তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয় এবং আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পর্যন্তও আমাদের বন্ধুত্ব অটুট আছে। অর্থনীতি ও বৈশ্বিক বিষয়ে তার তীক্ষ্ণ অন্তর্দৃষ্টি, সবসময় আমার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে।’
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমার সাম্প্রতিক জাপান সফরের সময়, আমি মি. আবের সঙ্গে আবার দেখা করার এবং অনেক বিষয়ে আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছি। তিনি বরাবরের মতোই বুদ্ধিদীপ্ত ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ ছিলেন। আমি জানতাম না যে এটিই হবে আমাদের শেষ সাক্ষাৎ। তার পরিবার ও জাপানের নাগরিকদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।’
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নারাতে একটি প্রচারাভিযানের বক্তৃতা দেয়ার সময় নৌবাহিনীর এক সাবেক কর্মীর হাতে গুলিবিদ্ধ হন। এর পাঁচ ঘণ্টা পর দেশটির একটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ শিনজো আবে মারা গেছেন
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গুলিবিদ্ধ
মোদি সরকারের মুসলিম নেতা মুখতার আব্বাসের পদত্যাগ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকারের বিশিষ্ট মুসলিম নেতা মুখতার আব্বাস নকভি বুধবার ভারতের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
রাজ্যসভার (সংসদের উচ্চ কক্ষ) সদস্য হিসাবে মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগে ৬৪ বছর বয়সী এ নেতা আকস্মিক পদত্যাগ করেন।
যদিও ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: ভারতের মণিপুরে ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৪৭
আগের দিন নকভি প্রধানমন্ত্রী মোদি ও বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন।
সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, সভা শেষে তিনি মোদির কাছে পদত্যাগপত্র হস্তান্তর করেছেন।
নকভি ছাত্র নেতা হিসাবে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৯০ এর দশকের শেষদিকে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারে জুনিয়র তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
বর্তমান উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর পাঁচ বছরের মেয়াদ ১০ আগস্ট শেষ হচ্ছে। ৬ আগস্টে উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: নূপুর শর্মার দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট