করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি
করোনায় বিশ্বে মৃত্যু ৩০ লাখ ৮৩ হাজার ছাড়াল
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ লাখ ৮৩ হাজার ৪৪০ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৫২ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮৫ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আরও পড়ুন: জুনের আগে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না: বিশেষজ্ঞ মতামত
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৯ লাখ ৯১ হাজার ৭৫০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৭১ হাজার ১৯৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪২ লাখ ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪১৬ জনের।
মেক্সিকো মৃত্যুর দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মারা গেছেন ২ লাখ ১৪ হাজার ৫০৪ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে বলে শুক্রবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এক দিনে মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৮৮ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১০ হাজার ৮৬৯ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৬২৯ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭০৩ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার অধিদপ্তর জানায়, একদিনে ৯৮ জন মারা গেছে এবং ৪ হাজার ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: ২৫ এপ্রিল থেকে খুলবে দোকান-শপিংমল
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজার ৮৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ১৪ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ২২৫ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৬৭৪ জন। সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৭ শতাংশ।
করোনায় দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর নতুন রেকর্ড
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে সোমবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১১২ জন। যা এ পর্যন্ত দেশে একদিনে মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে টানা চারদিন শতাধিক মৃত্যু দেখলো দেশ।
এনিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪৯৭ জনে।
সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে ৪ হাজার ২৭১ জন নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ২৩ হাজার ২২১ জনে।
নতুন সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৬৪ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ২১ হাজার ৩০০ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ হাজার ১৫২টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৭.৬৮ এবং এ পর্যন্ত ১৩.৯২ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ। সুস্থতারহার ৮৫.৯১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সংকটের মাঝেই ব্রাজিলের করোনা পরিস্থিতির অবনতি
চলমান টিকাদান কার্যক্রম
সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হয়।
বিশ্ব পরিস্থিতি
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ লাখ ১৭ হাজার ৫৫৫ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ১১ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৮ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৬ লাখ ৬৯ হাজার ৮৮০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৬৭ হাজার ২১৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। রবিবার দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৩৯ লাখ ৪৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩৫ জনের।
আরও পড়ুন: 'জনসন অ্যান্ড জনসন'-র করোনাভাইরাসের টিকা কিনবে না অস্ট্রেলিয়া
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৮ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৫০ জন। দেশটিতে গত দুদিন ধরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি।
করোনায় একদিনে মৃত্যুতে আগের সব রেকর্ড চুরমার, শনাক্ত কমেছে
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ।
এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৬৬১ জনে দাঁড়িয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ওই সময়ের মধ্যে আরও ৫ হাজার ৩৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৭ জনে।
সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় ২৪৩টি পরীক্ষাগারে ২৫ হাজার ১৮৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩৬ হাজার ৭৭টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০.৪৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের চিন্তা করছে সরকার: কাদের
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৮৩৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৭৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমকি ৩০ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্ব পরিস্থিতি
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৯ লাখ ১৪ হাজার ৪৩১ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৪৫ লাখ ৩৬ হাজার ৮৯৫ জনে।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১০ লাখ ৮২ হাজার ৬২৩ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৬১ হাজার ৫২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩৩ লাখ ৭৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭১৮ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৪২ জন। এছাড়া মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২ লাখ ৭ হাজার ২০ জন।
ভয়ংকর হচ্ছে করোনা: পরিপূর্ণ লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ
জনগণ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সরকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরিপূর্ণ লকডাউনে যাচ্ছে।
‘১৪ এপ্রিল থেকে জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত অত্যন্ত কঠোর লকডাউন আসছে,’ শুক্রবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ইউএনবিকে এ কথা বলেন।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সারাদেশ শপিংমল, গণপরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার।
সরকারের প্রজ্ঞাপনে ১১ দফার নির্দেশনায় সরকারি ও বেসরকারি অফিস আদালত, ব্যাংক জরুরি প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে খোলা রাখার কথা বলা হয়েছিল।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করলেও কর্মজীবীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত বুধবার থেকে ঢাকাসহ দেশের সকল সিটিতে বাস চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়।
এরপর কয়েকদিন ধরে শপিংমল ও দোকান খোলার দাবিতে দেশব্যাপী
দোকান মালিক ও কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার লকডাউনের মধ্যেই ৯ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শপিং ও দোকান পাট খোলা রাখার অনুমতি দেয়।
গত সপ্তাহে দেশে রেকর্ড পরিমান করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে। কোভিড নির্দেশনা না মানলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
ফরহাদ বলেন, লকডাউনের সময় মানুষ যে যেখানে আছে সেখানেই থাকবে।
‘কেউ এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে পারবে না। অতি জরুরি সেবা ছাড়া কোনোভাবেই মানুষ বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না। সে ব্যবস্থা করা হবে,’ বলেন তিনি।
কবে প্রজ্ঞাপন জারি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আশা করছি আগামী রবিবার বা ১৩ এপ্রিলের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।’
শুক্রবার কোভিড-১৯ জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি মোহাম্মাদ শহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ বাড়ছে এবং মন্ত্রিসভার নির্দেশনা জনগণ মানছে না।
দুই সপ্তাহের পরিপূর্ণ লকডাউন ছাড়া পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না বলে জানায় কমিটি।
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ হাজার ৪৬২ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এনিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ জনে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ওই সময়ের মধ্যে করোনায় আরও ৬৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৫৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় ২৪৩টি পরীক্ষাগারে ৩১ হাজার ৮৭৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩১ হাজার ৬৫৪টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩.৫৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের চিন্তা করছে সরকার: কাদের
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৫১১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমকি ৪০ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনায় পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের মৃত্যু
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার মারা গেছেন।
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৪টা ১৪ মিনিটে তিনি মারা যান বলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১০ম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদানকারী রফিক আহাম্মদ ২৩ মার্চ থেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি।
এক শোকবার্তায় পরিবেশমন্ত্রী বলেন, তার মতো একজন সদালাপী, ধার্মিক, সৎ, দক্ষ এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের কর্মকর্তা বিরল। কর্মজীবনে তিনি দেশের পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় দেশি ও বিদেশি অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
উল্লেখ্য, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে ২০১৯ সালের ২২ মে যোগদানের পূর্বে তিনি দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিসে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর একান্ত সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি: বিশ্বে মৃত্যু ২৯ লাখ ১৪ হাজার ছাড়াল
সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি: বিশ্বে মৃত্যু ২৯ লাখ ১৪ হাজার ছাড়াল
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৯ লাখ ১৪ হাজার ৪৩১ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৪৫ লাখ ৩৬ হাজার ৮৯৫ জনে।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১০ লাখ ৮২ হাজার ৬২৩ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৬১ হাজার ৫২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩৩ লাখ ৭৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭১৮ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৪২ জন। এছাড়া মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২ লাখ ৭ হাজার ২০ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ হাজার ৪৬২ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এনিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ জনে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ওই সময়ের মধ্যে করোনায় আরও ৬৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৫৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় ২৪৩টি পরীক্ষাগারে ৩১ হাজার ৮৭৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩১ হাজার ৬৫৪টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩.৫৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের চিন্তা করছে সরকার: কাদের
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৫১১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমকি ৪০ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি: বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৮ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭৩ জনে। আগেরদিন এ সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৬ জন। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ২৯ লাখ ৭৫ হাজার ৬৫৪ জনে।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৯২ লাখ ১ হাজার ৯৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৫৯ হাজার ১০৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩১ লাখ ৯৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৭৬ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ২৮ লাখ ১ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ১৭৭ জন। এছাড়া মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২ লাখ ৫ হাজার ৫৯৮ জন।
দেশে করোনায় রেকর্ড শনাক্ত
দেশে টানা চতুর্থ দিনের মতো একদিনে ৭ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৫৯ হাজার ২৭৮ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না: মন্ত্রী
এছাড়া সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে আরও ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৪৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় একদিনে ৭ হাজার ২১৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত এবং ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৭টি পরীক্ষাগারে ৩৪ হাজার ৬৬৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩৪ হাজার ৬৩০টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২.০২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ২৫৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬১ হাজার ৬৩৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমকি ১৯ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি: বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৮ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৬ জনে। আগেরদিন এ সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৮ জন। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ২ হাজার ৪৫১ জনে।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩১ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৯৪৭ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৪৭ জন। এছাড়া মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২ লাখ ৪ হাজার ৯৮৫ জন।
দেশে করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৭ হাজার ২১৩ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৫১ হাজার ৬৫২ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে রেকর্ড আরও ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৩৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৩০ জুন ৬৪ জন মারা যান, যা একদিনে মৃতের সংখ্যায় এতদিন সর্বোচ্চ ছিল।
আরও পড়ুন: সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ২৮ লাখ ৫৯ হাজার ছাড়াল
সোমবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় একদিনে ৭ হাজার ৭৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত এবং ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৭টি পরীক্ষাগারে ৩৪ হাজার ৩৬০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩৪ হাজার ৩১১টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১.০২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৬৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমকি ৬৯ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ২৮ লাখ ৫৯ হাজার ছাড়াল
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১৩ কোটি ১৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সেই সাথে মৃতের সংখ্যা ২৮ লাখ ৫৯ হাজার ছাড়িয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৮ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৮ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ১৭ লাখ ৭ হাজার ২৬৭ জনে।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৭ হাজার ৩৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪০৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩০ লাখ ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৫২ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ২৫ লাখ ৮৯ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ১০১ জন। এছাড়া মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২ লাখ ৪ হাজার ৩৯৯ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ হাজার ৭৫ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৯ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে আরও ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৩১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করুন: প্রধানমন্ত্রী
করোনা: বিশ্বে মৃত্যু ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ছাড়াল
এর আগে রবিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় একদিনে রেকর্ড ৭ হাজার ৮৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত এবং ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৭টি পরীক্ষাগারে ৩১ হাজার ৯৭৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩০ হাজার ২৩৯টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩.৪০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৩২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪১৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমকি ১৯ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশব্যাপী লকডাউন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ এবং বর্তমান পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে সরকার সোমবার থেকে সাত দিনের জন্য জনগণের চলাচল ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ আরোপ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের খবরে বাজারে ক্রেতাদের ভিড়
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রবিবার এই প্রজ্ঞাপন জারি করে যা ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি: আরও ৭ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত, মৃত্যু ৫২
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ হাজার ৭৫ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৯ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে আরও ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৩১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করুন: প্রধানমন্ত্রী
করোনা: বিশ্বে মৃত্যু ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ছাড়াল
এর আগে রবিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় একদিনে রেকর্ড ৭ হাজার ৮৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত এবং ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৭টি পরীক্ষাগারে ৩১ হাজার ৯৭৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩০ হাজার ২৩৯টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩.৪০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৩২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪১৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমকি ১৯ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশব্যাপী লকডাউন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ এবং বর্তমান পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে সরকার সোমবার থেকে সাত দিনের জন্য জনগণের চলাচল ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ আরোপ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের খবরে বাজারে ক্রেতাদের ভিড়
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রবিবার এই প্রজ্ঞাপন জারি করে যা ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
বিশ্ব পরিস্থিতি
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী দ্রুত টিকাদান প্রচারণা সত্ত্বেও সোমবার বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ কোটি ১২ লাখ ছাড়িয়েছে।
সোমবার সকালে জেএইচইউ-র তথ্য দেখায় বিশ্বব্যাপী ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ১২ লাখ ৩ হাজার ৬৪৭ জনে এবং মৃতের সংখ্যা ২৮ লাখ ৫২ হাজার ১৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সোমবার থেকে মাঠে থাকার ঘোষণা ডিএসসিসি মেয়রের
গত ২৫ মার্চ কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে করোনায় মৃত্যু এখন ৫ লাখ ৫৫ হাজার ১ জন ছাড়িয়ে গেছে।
রবিবার ব্রাজিলে ৩১ হাজার ৩৫৯ জন নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এবং ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ২৪০ জন মারা যায় এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ৩১ হাজারে ৪৩৩ জনে পৌঁছেছে।
ব্রাজিলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার ৯৫৬ জনে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
শনিবার ব্রাজিলে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষকে কোভিড-১৯ এর টিকা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের করোনায় মৃত্যু ৫ লাখ ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে
এদিকে, ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ৫০৯ জনে পৌঁছেছে এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ৬২৩ জনে।