টিকা সরবরাহ
দেশে করোনা আক্রান্ত ১৪ লাখ ছাড়াল
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৮ হাজার ৪৬৫ জন শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট আক্রান্ত ১৪ লাখ ৫ হাজার ৩৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া একই সময়ে ১৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ৮১০ জনে পৌঁছেছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ৬৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার ২০.৮৩ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৬৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ৪৫৭ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৫২২ জন।দেশে সুস্থতার হার ৯০.৬২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৭৮ জন, খুলনা বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রামে ৫৩ জন, রংপুরে ৯ জন, বরিশালে ১১ জন, সিলেটে ৮ জন, রাজশাহীতে ৮জন এবং ময়মনসিংহে ১২ জন মারা গেছেন।
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ডেল্টা ধরনের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৬৮ হাজার ৮৫০ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৪৫৭ কোটি ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩১৬ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৫ হাজার ৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ১৯ হাজার ৯৮ জন।
অপরদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮৮ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ২ লাখ ৮৫ হাজার ৬৭ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে মোট ৩ কোটি ২১ লাখ ১৭ হাজার ৫২ জনের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের স্থানে অবস্থান করছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ২৮৫ জনে।
তবে, ইন্দোনেশিয়ায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত ২৮ দিনে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ৪২ হাজার ৯৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৬৬৪ জন।
আরও পড়ুন: রামেকের করোনা ইউনিটে আরও ১৩ মৃত্যু
সিলেট বিভাগে করোনায় আরও ৮ মৃত্যু
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত সাড়ে ২০ কোটির বেশি মানুষ
খুলনায় ফের যুবককে একসাথে ২ ডোজ টিকা প্রদান
খুলনায় এক যুবককে এক সঙ্গে দুই ডোজ করোনা টিকা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে এক সপ্তাহে দুজনের শরীরে এক সঙ্গে দুই ডোজ টিকা দেয়ার ঘটনা ঘটলো।
মো. রোকনুজ্জামান (৩৬) নামে ওই যুবক খুলনার কয়রা উপজেলা শ্রীফলতলা গ্রামের বোনাই মোড়লের ছেলে। বর্তমানে বসবাস করেছেন মহানগরীর দক্ষিণ টুটপাড়ায়।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতাল টিকা কেন্দ্রে রোকনুজ্জামানকে বাম হাতে দুই ডোজ করোনা টিকা দেন নার্স।
রোকনুজ্জামান বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমি টিকা দিতে ঢুকে চেয়ারে বসি। এক নার্স এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করেন আমার হাই পেসার আছে কিনা। আমি বলি না। তিনি আমাকে টিকা দিয়ে কাগজটা দেন। আমি বসেছিলাম। ১ মিনিটও হয়নি। এর মধ্যে অন্য একজন নার্স এসে আমাকে আবার টিকা দিয়ে দেন। এ সময় আমার পাশে থাকা একজন বলেন ওনাকে কেন টিকা দিলেন? ওনাকে তো টিকা দেয়া হয়ে গেছে। আমি তখন বলি আমাকে টিকা দিয়েছে আবার দিলেন কেন? আপনি আমার কাছে জিজ্ঞাসা করেছেন? তখন সেই নার্স কোন উত্তর দিতে পারেন নি। আমি তো একজন সচেতন লোক আমি একটা টিকা দিতে এসেছি। কেন দুইটা টিকা দিবো? এতে আমার কি লাভ?
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ২৩ হাজার ছাড়াল
তিনি অভিযোগ করেন বলেন, ভুল করে দুই ডোজ টিকা দেয়ার পর আমি যখন জানতে চাই কেন দেয়া হলো তখন নার্সরা আমাকে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। বর্তমানে আমি টিকা কেন্দ্রের পাশের ৬ নং বেডে আছি। শরীর বেশ দুর্বল লাগছে।
খুলনা সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, আমরা তো টিকা দিচ্ছি। এখন পর্যন্ত কোন ভুল হয়নি। হাজার হাজার মানুষকে টিকা দিচ্ছি। একটা ভুল হলে হতে পারে। হাসপাতাল থেকে কেউ এখনো বিষয়টি জানায়নি। আমি খোঁজ নিচ্ছি।
এর আগে শনিবার (৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুলনায় জহুরা বেগম (৭৩) নামে এক বৃদ্ধাকে দু’বার করোনা টিকা দেয়ার অভিযোগ উঠে। হাফিজুর রহমান ঈদগাহ ময়দান টিকাদান কেন্দ্রে তাকে দু’বার টিকা দেওয়া হয়।
জহুরা মহানগরের সোনাডাঙ্গা ময়লাপোতা কেসিসি স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দা ও মরহুম মুনসুর খাঁর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনা রোগীর জন্য হেল্প ডেস্ক চালু করল মোমেন ফাউন্ডেশন
খুলনা বিভাগে করোনা আক্রান্ত লাখ ছাড়াল
দুর্গম পাহাড়েও পৌঁছালো টিকা
করোনা মোকাবিলায় রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম ৪নং বড়থলি ইউনিয়নে গণটিকা পৌঁছাল।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার জেলা প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সরকারের গণটিকা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে বড়থলি ইউনিয়নে রওনা দেন।
আরও পড়ুন: সিলেট নগরীতে গণটিকা নিলেন ২২ হাজার ৭৫৩ জন
এসময় বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমার নেতৃত্বে তিনজন স্বাস্থ্য কর্মী টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনায় তাদের সাথে রয়েছন। প্রথমবারের মতো বিলাইছড়ি উপজেলার কোন নির্বাহী কর্মকর্তার এই ইউনিয়ন পরিদর্শনে গেলেন।
ডা. রশ্মি চাকমা জানান, ফারুয়া ইউনিয়নে গণটিকার প্রথম ডোজ দেয়া হলেও দুর্গমতার কারণে বড়থলি ইউনিয়নে টিকা দেয়া সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার সকালে থেকে দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নে ৬০০ জনকে এই গণটিকা প্রদান করা হবে।
টিকাদান কার্যক্রমের পাশাপাশি বিলাইছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে চিকিৎসা সেবা এবং ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান।
আরও পড়ুন:সিলেটে ৭ আগস্ট থেকে গণটিকাদান শুরু
বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান জানান, ইতিপূর্বে বড়থলি ইউনিয়নের মানুষের সুবিধা অসুবিধা সচক্ষে দেখার জন্য ও ইউনিয়নের প্রকল্পসমূহ সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য একাধিক বার উদ্যোগ নেয়া হলেও দুর্গমতা এবং নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণে সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়নি।রাঙামাটি, ১০ আগস্ট (ইউএনবি)- করোনা মোকাবিলায় রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম ৪নং বড়থলি ইউনিয়নে গণটিকা পৌঁছাল।
করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ৪২ লাখ ৯৪ হাজার ছাড়াল
বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ডেল্টা ধরনের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪২ লাখ ৯৪ হাজার ৪০০ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ৫৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৪৩৪ কোটি ৭৯ লাখ ৮ হাজার ৯৮৬ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৮২৯ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে মোট ৩ কোটি ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫৪ জনের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের স্থানে অবস্থান করছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৩০৯ জনে।
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগে করোনা আক্রান্ত লাখ ছাড়াল
অপরদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১৫১ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৭২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় শনাক্ত হয়েছে আরও ১০ হাজার ২৯৯ জন।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নতুন মৃত্যুসহ দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৬৫২ জনে। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯৫ জন।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলা: বাংলাদেশকে আরও ১১.৪ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
রামেকের করোনা ইউনিটে আরও ১১ মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার শতকরা ২৪.৫২ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৬৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১৬ হাজার ৬২৭ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১২ লাখ ৫ হাজার ৪৪৭ জন। সুস্থতার হার ৮৯. ০৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ১০৫ জন, খুলনা বিভাগে ৩০ জন, চট্টগ্রামে ৫৯ জন, রংপুরে ১০ জন, বরিশালে ১২ জন, সিলেটে ৭ জন, রাজশাহীতে ১২ জন এবং ময়মনসিংহে ৬ জন মারা গেছেন।
কোভিড-১৯: দেশে আরও ২৪১ মৃত্যু, শনাক্ত ১০,২৯৯
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় শনাক্ত হয়েছে আরও ১০ হাজার ২৯৯ জন।
রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নতুন মৃত্যুসহ দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৬৫২ জনে। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার শতকরা ২৪.৫২ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৬৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১৬ হাজার ৬২৭ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১২ লাখ ৫ হাজার ৪৪৭ জন। সুস্থতার হার ৮৯. ০৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ১০৫ জন, খুলনা বিভাগে ৩০ জন, চট্টগ্রামে ৫৯ জন, রংপুরে ১০ জন, বরিশালে ১২ জন, সিলেটে ৭ জন, রাজশাহীতে ১২ জন এবং ময়মনসিংহে ৬ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: আক্রান্ত ও উপসর্গে বরিশাল বিভাগে ২০ মৃত্যু
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ডেল্টা ধরনের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪২ লাখ ৮৫ হাজার ৫৯৫ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ কোটি ২২ লাখ ১১ হাজার ৪৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৪৩৭ কোটি ৬৮ লাখ ৮ হাজার ৯৯৭ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৩৮ হাজার ৭০০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭১৩ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে মোট ৩ কোটি ১৮ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৫ জনের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের স্থানে অবস্থান করছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৭ হাজার ৩৭১ জনে।
অপরদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬২ হাজার ৭৫২ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৭৯ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
আরও পড়ুন: আরও ২২৪ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
করোনায় রামেক হাসপাতালে আরও ১২ মৃত্যু
কঠোর লকডাউন ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ল
মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউন ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ১১ আগস্ট থেকে অফিস আদালত, দোকানপাট, কল-কারখানা খুলে দেয়ায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। গণপরিবহন বাইরুটেশনের মাধ্যমে সীমিত আকারে চলবে।
মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আন্ত: মন্ত্রণালয় সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: লকডাউন বাড়ানো নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ভার্চুয়ালি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা যুক্ত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, আজকের এ সিদ্ধান্ত সাময়িক। পরবর্তী পরিস্থিতিতে আবারও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে করোনা নিয়ন্ত্রণে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছিল সরকার।
পড়ুন: বাংলাদেশে করোনা: বেশি ঝুঁকিতে বয়স্করা
বিশ্বজুড়ে করোনায় প্রাণহানি ৪২ লাখ ৩৫ হাজার ছাড়াল
রামেকের করোনা ইউনিটে ১৯ জনের মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনায় সাতজন ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১১ জন মারা গেছেন। সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে এই ১৯ জনের মৃত্যু হয়।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মারা যাওয়াদের মধ্যে রাজশাহীর সাতজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারজন, নাটোরের পাঁচজন, নওগাঁর দুজন ও পাবনার একজন। এদের মধ্যে নয়জন পুরুষ এবং ১০ জন নারী।
শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৪৭ জন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩০ জন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটের ৫১৩ বেডের বিপরীতে ভর্তি আছে ৩৯২ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১৯ জন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনা: বেশি ঝুঁকিতে বয়স্করা
বিশ্বজুড়ে করোনায় প্রাণহানি ৪২ লাখ ৩৫ হাজার ছাড়াল
ফরিদপুর মেডিকেলের আইসিইউতে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে ১৭৩ জনের করোনা পজিটিভ রয়েছে। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছে ১৪৭ জন, যাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়ে পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলাতায় চিকিৎসাধীন ৭২ জন।
বাংলাদেশে করোনা: বেশি ঝুঁকিতে বয়স্করা
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭.৫ শতাংশ ৬০ বছর বা তার চেয়ে বেশি, ফলে কোমরবিডিটি এবং দুর্বল ইমিউনের কারণে করোনা আক্রান্ত বয়স্কদের মধ্যে ৮০ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে।
তারা বলছেন, সরকার ৭ আগস্ট থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে অন্তত এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার জন্য একটি বিশেষ কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে। দেশে ক্রমবর্ধমান কোভিডে মৃত্যুর হার কমাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বয়স্ক নাগরিকদের টিকা দেয়ার কৌশল নেয়া উচিত।
বিশ্লেষকরা বলেন, বয়স্ক ব্যক্তিদের বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে টিকা নিশ্চিত করার জন্য কমিউনিটি এনগেজমেন্ট এবং ভ্রাম্যমাণ ভ্যাকসিনেশন টিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বয়স্করা টিকা সম্পর্কে কম সচেতন। এছাড়া তাদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ এবং টিকা কেন্দ্রে যেতে অক্ষম।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রবিবার বলেছেন, ৭ থেকে ১৪ আগস্ট এই সাত দিনে উৎসবমুখর পরিবেশে দেশের মানুষকে অন্তত ১ কোটি টিকা দেয়া হবে।
কম সংক্রমণ, উচ্চ মৃত্যুহার
ইউএনবির সাথে আলাপকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র রোবেদ আমিন বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম, কিন্তু এই গ্রুপে মৃত্যুর হার অনেক বেশি কারণ তাদের অনেকে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।
তিনি বলেন, বয়স্ক নাগরিকদের বেশিরভাগই তরুণদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে এবং তাদের ৮০ শতাংশ ভাইরাস সংক্রমণে মারা যাচ্ছে। আমাদের তথ্য অনুসারে, দেশে প্রায় ৮০ শতাংশ কোভিডের মৃত্যু ৬০ বা তার বেশি বয়সের লোকদের মধ্যে রয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম নূর উন নবী বলেন, ‘৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণরা দেশের মোট জনসংখ্যার ৭. ৫ শতাংশ (১২.৫ মিলিয়ন)। বয়স্ক ব্যক্তিরা সাধারণত যে কোনো রোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল রোগে ভোগে। তাই, সারা বিশ্বে বয়স্ক কোভিড-১৯ রোগীদের মৃত্যুর হার খুব বেশি।’
আরও পড়ুন: সিনোফার্মেরর সাথে যৌথ টিকা উৎপাদনে সমঝোতা স্মারক প্রস্তুত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
টিকাদানে অগ্রাধিকার
ডা. রোবেদ বলেন, আসন্ন গণটিকা কর্মসূচিতে সরকার বয়স্ক নাগরিকদের অগ্রাধিকার দেবে।
তিনি বলেন, প্রতিটি টিকা কেন্দ্রে পুরুষ ও মহিলা বয়স্কদের জন্য আলাদা সারি থাকবে।
রোবেদ বলেন, ‘বয়স্ক নাগরিকরা শুধুমাত্র এনআইডি কার্ড দেখিয়ে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবে। যাদের এনআইডি কার্ড নেই তারা অন্যান্য নির্ভরযোগ্য ডকুমেন্ট যেমন পাসপোর্ট, জন্মসনদ বা জনপ্রতিনিধিদের অন্যান্য সার্টিফিকেট দেখিয়ে ভ্যাকসিন নিতে পারবে।’
তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয় যাতে বয়স্করা সহজেই কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই টিকা গ্রহণ করতে পারে। যদি আমরা সফলভাবে বয়স্ক নাগরিকদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে পারি, তাহলে কোভিডের মৃত্যুর হার পরবর্তীতে হ্রাস পাবে।’
অন্তঃসত্ত্বা নারীদের টিকা নিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত চায় হাইকোর্ট
অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করোনা টিকা প্রদানের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, অন্তঃসত্ত্বারা টিকা নিতে পারবেন কি না বা নিলে কীভাবে নেবেন, এ বিষয়ে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেলকে যোগাযোগ করতে বলেছেন আদালত।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করোনার টিকা প্রদানে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে আজ সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একক ভার্চুয়াল বেঞ্চ এসব কথা বলেন।
এর আগে ৩১ জুলাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করোনার টিকা প্রদানে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে ওই রিট দাখিল করেন চার আইনজীবী। তাদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা আইনজীবীও রয়েছেন। আজ রিটটি শুনানির জন্য ওঠে।
শুনানির এক পর্যায়ে রিট আবেদনকারী আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবিরের উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘মাঝখানে টিকা নিয়ে কথা উঠল যে টিকা পাব, পাব না, কী হবে? মনে হয় এখন পরিস্থিতি অনুকূলে আছে।’
আরও পড়ুন: চিকিৎসক নিয়োগে হস্তক্ষেপ করবেন না হাইকোর্ট
রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘আপনারা কথা বলবেন অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ব্যাপারে। যদিও গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রেসের সামনে বলেছেন যে অন্তঃসত্ত্বাদের টিকার বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আসা প্রয়োজন। অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলবেন উনি যাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করেন, যাতে তারা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।’
এই আইন কর্মকর্তার উদ্দেশে আদালত আরও বলেন, ‘কোনো আনুষ্ঠানিক আদেশ দিচ্ছি না, যেহেতু মন্ত্রী সাহেব বলেছেন। আশা করছি এমনিতে হওয়ার কথা। তবু অ্যাটর্নি জেনারেল (এ এম আমিন উদ্দিন) যাতে যোগাযোগ করেন।’
এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, আদালতের কার্যক্রম শেষে জানিয়ে দিচ্ছি।
পড়ুন: শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শিশু থাকবে মায়ের কাছে, দেখা করতে পারবেন বাবা: হাইকোর্ট
তখন আদালত বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন তাই মনে করছি বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এই প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত হয়। যাতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত আসে। আসলে অন্তঃসত্ত্বারা টিকা নিতে পারবেন কি না বা নিলে কীভাবে নেবেন, এ বিষয়ে একটা গাইডলাইন আসা দরকার।’ এরপর আদালত রিটের শুনানি মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) রাখেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারও ভার্চুয়াল আদালতে যুক্ত ছিলেন।
অন্তঃসত্ত্বাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রদানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে ২৯ জুলাই আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবিরসহ সুপ্রিম কোর্টের দুজন আইনজীবী সরকারের তিন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচ ব্যক্তি বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান। ওই নোটিশের জবাব না পেয়ে গত শনিবার চার আইনজীবী রিটটি দাখিল করেন।
চার আইনজীবী হলেন মোহাম্মদ হুমায়ন কবির, রাশিদা চৌধুরী, মোহাম্মদ কাউছার ও মো. মোজাম্মেল হক। রিটে স্বাস্থ্যসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালককে বিবাদী করা হয়।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে আজ
ঢাকার সব জেলা ও মহানগরে আজ সোমবার থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় টিকার ডোজ প্রয়োগ শুরু হবে। এছাড়া আগামী ৭ আগস্ট দেশের সকল কেন্দ্রে এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু হবে।
রবিবার (০১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত করোনা স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামীকাল (সোমবার) ঢাকা বিভাগের সকল জেলায় এবং আগমী ৭ আগস্ট দেশের সকল কেন্দ্রে ঘাটতি টিকার ডোজ প্রয়োগ শুরু হবে। সেক্ষেত্রে প্রথম ডোজের পর অপেক্ষমানদের মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হবে। তবে দ্বিতীয় ডোজের জন্য ইতোপূর্বে যাদেরকে এসএমএস দেয়া হয়েছিল কিন্তু টিকা পাননি তাদের দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসএমএস প্রয়োজন হবে না।
পরিচালক বলেন, জাপান থেকে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার সোয়া দশ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশ এসেছে। আগামী মঙ্গলবার আরও সোয়া ছয় লাখ ডোজ আসবে। এতে ঘাটতি টিকার সংস্থান হয়েছে। ফলে এ টিকার দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষামানদের পূণাঙ্গ টিকা দেয়া সম্ভব হবে।
পড়ুন: সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকা দেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশে পৌঁছেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রায় ৮ লাখ টিকা
দু’একদিনের মধ্যেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু
গত ফেব্রুয়ারি থেকে কোভিশিল্ড টিকার মাধ্যমে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করে সরকার। তবে টিকার ঘাটির কারনে ১৫ লাখ ২১ হাজার ব্যক্তি দ্বিতীয় ডোজ পাননি। এ টিকা প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪২ লাখ।