আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ফারদিন হত্যার তদন্তে অগ্রগতি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: র্যাব
বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর হত্যা মামলার তদন্তকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অগ্রগতি করেছে। বিষয়টি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন।
সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাবের মিডিয়া অফিসে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘র্যাবসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হত্যার পেছনের উদ্দেশ্য খুঁজে বের করে দোষীদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনতে কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর
র্যাবের এই মিডিয়া পরিচালক জানান, ফারদিনকে হত্যার আগে তিনি যেসব স্থানে গিয়েছিলেন, সেখানে যারা ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছে র্যাব সদস্যরা। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করেছে র্যাব।
ফারদিন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা।
নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ৭ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়না তদন্তকারী নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শেখ ফরহাদ জানান, ফারদিনের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
ওই দিনই ফারদিনের বাবা কাজী নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় ছেলের হত্যার ঘটনায় মামলা করেন এবং পরে মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের চনপাড়ায় ফারদিনকে হত্যা করা হয়নি: পুলিশ
ফারদিন হত্যা: রিমান্ড শেষ, বুশরা জেলে
ঢাকায় ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬
রাজধানীতে ডাকাতি করতে গিয়ে ডিবি ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ছদ্মবেশ ধারণ করা ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোহাগ মাঝি (২৮), দেলোয়ার (২৬), জয়নাল হোসেন (২৮), সোহেল (২৭), জনি (৩২) ও আজিজ (৫৭) কে শুক্রবার রাতে ঢাকার সাভার ও যাত্রাবাড়ী এবং পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পিবিআই’র মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখালো আদালত
তাদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা, একটি মাইক্রোবাস ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ডিবি কর্মকর্তা জানান, ১৩ নভেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ডাকাতদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র ৮৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
পরে ভুক্তভোগী কেরামত আলীর অভিযোগে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
ডিবি প্রধান বলেন, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ডিবির একটি দল প্রথমে সাভারের কাউন্দিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে এবং পরে যাত্রাবাড়ী ও পটুয়াখালী থেকে আরও দুজনকে আটক করে।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার রাফির ৭ দিনের রিমান্ড
আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার ১
সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন, ‘মাদকদ্রব্য আমাদের দেশে তৈরি না হলেও পাশের দেশ থেকে সেগুলো আসছে। মাদকের ছোবল থেকে নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। এটি শুধু সরকার বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষ করার সম্ভব নয়। সমাজ মাদকমুক্ত করতে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী পুলিশ লাইন্সে ‘রাজশাহী পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি জাদুঘর’ উদ্বোধনকালে এ তথ্য জানান তিনি। পরে তিনি জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বইয়ে সাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন:দুর্গাপূজায় পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা বাধ্যতামূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আরাকান আর্মিদের সঙ্গে সে দেশের সরকারের যুদ্ধ হচ্ছে। এ কারণে মাঝে মাঝে আমাদের সীমান্তেও গোলা পড়ছে। এর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবাদ জানিয়েছে। মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, অচিরেই সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধ হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘রাজশাহীতে বিএমডিএর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় যিনিই জড়িত থাকনা কেন; তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তদন্ত করে সবাইকে আইনের মুখোমুখি করা হবে।’
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজশাহী অঞ্চলে শতাধিক পুলিশ সদস্য শহীদ হয়েছেন। তাদের বীরত্বগাঁথা ও দেশপ্রেমের স্মৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে জাদুঘর প্রতিষ্ঠার করা হলো। এর মাধ্যমে শহীদদের স্মরণ করা হচ্ছে। তাদের অবদান কখনো ভুলবে না বাংলাদেশ।’
জাদুঘর উদ্বোধন শেষে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি ‘মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী পুলিশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। পরে শহীদ পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করেন তিনি।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের দিকে গুলি চালানোর বিরুদ্ধে মিয়ানমারকে সতর্ক করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে এমআরপি পুনরায় চালুর বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইলিয়াস আলীর পরিবার অনেক বিপদে আছে: ফখরুল
গুম হওয়া ইলিয়াস আলীর পরিবার অনেক বিপদে আছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ইলিয়াস আলীসহ গুমের শিকার পরিবারের সদস্যরা তাদের নিকটাত্মীয়দের অনুপস্থিতিতে চরম সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
শনিবার নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর বনানী এলাকার বাড়ি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, এসব ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার কারণে সরকার এখনও পর্যন্ত গুমের শিকার ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। যদি এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতো তাহলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো।
আরও পড়ুন: আ’লীগ একদলীয় শাসনের সঙ্গে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, জনগণ দেখেছে এক দশক আগে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালককে ধরে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এটা খুব স্পষ্ট যে এই ঘটনাটি এই সরকারের মাধ্যমে ঘটেছে।
ফখরুল বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে সরকারের কোনো পদক্ষেপ না থাকায় তাদের পরিবারকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে এবং কঠিন সময়ের সম্মুখীন হচ্ছে।
দুপুরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে সঙ্গে নিয়ে ফখরুল ইলিয়াস আলীর বাসায় যান এবং তার স্ত্রী তাহসিনা রুশদির লুনাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাদের ঈদ উপহার দেন।
লুয়ানের সঙ্গে কথোপকথনের উদ্ধ্বৃতি দিয়ে ফখরুল বলেন, তারা খুব সমম্যায় পড়েছেন। তারা (ইলিয়াস আলীর) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারছেন না। তারা তার গাড়ির ট্যাক্সও দিতে পারেনি। এই জিনিসগুলো পরিবারকে অনেক কষ্ট দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে সহিংসতায় পুলিশ নিজেদের ব্যর্থতা ও ছাত্রলীগকে আড়ালের চেষ্টা করছে: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, কিছু কলেজ ভর্তির অনুমতি না দেয়ায় মেয়ের কলেজে ভর্তির বিষয়ে ইলিয়াসের পরিবারকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। শুধু ইলিয়াস আলীর পরিবারই নয়, গুমের শিকার সব পরিবারই অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তাদের দল নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের উপহার ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী তার গাড়িচালক আনসার আলীসহ নিখোঁজ হন।
আরও পড়ুন: জার্মান রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য প্রত্যাখান বিএনপির
রাঙামাটিতে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সরকার ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করতে দ্বিতীয় দিনে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করতে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ মাঠে রয়েছে। এসময় তারা বিভিন্ন পয়েন্টে চেক পোস্ট বসিয়ে অকারণে যারা ঘোরাঘুরি করছে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
গতকালের মতো শুক্রবার সকাল থেকে কঠোর অবস্থানে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটরা। একাধিক মোবাইল টিম শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল, ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭৬ জনকে অর্থদণ্ড
জেলা প্রশাসনের সাথে শহরে সেনাবাহিনীর টহল ছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে বিজিবি ও পুলিশ। রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম কাজ করতে দেখা গেছে।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে পুলিশ, আর্মড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। তারা বিভিন্ন চেকপোস্টে মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আর পৌর এলাকাজুড়ে করোনা সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে তথ্য অফিস।
এছাড়া শহরে ওষুধ ও হোটেল দোকান ছাড়া অন্যসব দোকান ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে। রাস্তাঘাটে লোকজনের উপস্থিতি আগের তুলনায় অনেক কম। সকল প্রকার যানবাহন ও নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: খুলনায় আরও ১১ মৃত্যু
রিকশাবিহীন রাঙামাটি শহরে অটোরিকশা বন্ধ থাকায় কার্যত সরকারের বিধিনিষেধ সফলভাবে পালিত হচ্ছে। তবে ব্যাংক, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রতিষ্ঠানের যানবাহনে অথবা পরিচয়পত্র নিয়ে বের হতে দেখা গেছে। স্থানীয় লোকজন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে বের হলেও মোবাইল টিমের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন চলবে আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত। এসময়ে জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
বাঘ শিকারি ‘বাঘ হাবিব’ আটক
সুন্দরবনে দুর্ধর্ষ বাঘ শিকারি বাঘ হাবিবকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার ভোর রাতে পুলিশের হাতে আটক হন দুর্ধর্ষ এই বাঘ শিকারী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বনবিভাগ ও স্থানীয়দের কাছে বাঘ হাবিব নামেই পরিচিত তিনি। বাঘ শিকার করাই তার নেশা।
বিভিন্ন সূত্রমতে, গত ২০ বছরে কমপক্ষে ৭০টি বাঘ মারা পড়েছে তার হাতে। তার নামে রয়েছে ৯টি বন অপরাধের মামলা। এর মধ্যে তিনটিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এতোগুলো মামলাও শিকারের নেশা থেকে ফেরাতে পারেনি তাকে। সুন্দরবনে বাঘ হাবিবের প্রবেশ নিষিদ্ধ, তবুও গোপনে ঢুকে একের পর এক শিকার করেন বাঘ-হরিণ-কুমির।
আরও পড়ুন: বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের শিকারি চক্র
আটক বাঘ হাবিব ওরফে হাবিব তালুকদারের (৫০) বাড়ি বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন মধ্যে সোনাতলা গ্রামে। তারা বাবার নাম কদম আলী তালুকদার। বাঘ হাবিব বর্তমানে বাগেরহাট জেলা কারাগারে বন্দি রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাঘ হাবিব দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। মাঝেমধ্যে গোপনে বাড়িতে এসে অন্যের ঘরে ঘুমাতেন। শনিবার ভোর রাতে প্রতিবেশী রফিকুলের বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন হাবিব। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঐদিন রাত আড়াইটার দিকে শরণখোলার মধ্য সোনাতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে রফিকুলের বারান্দা থেকে তাকে আটক করা হয়।
কে এই বাঘ হাবিব
তার বাবা কদম আলী তালুকদার সুন্দরবনের এক সময়ের দুর্ধর্ষ বনদস্যু ছিলেন। ৫ থেকে ৬ বছর আগে মারা যান সাবেক বনদস্যু বাবা। বনের পাশে বাড়ি হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই সুন্দরবনে মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহ করতেন তারা। সেই থেকে বনের সব এলাকা তার নখদর্পণে। তাছাড়া, বাবা বনদস্যু হওয়ায় জন্মসূত্রেই অপরাধী এই বাঘ শিকারী হাবিব। তার গোটা পরিবারই বন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। বন্যপ্রাণি শিকারের সহযোগী হিসেবে এখন কাজ করেন তার ছেলে হাসান (২০) ও জামাই মিজান (২৫)। তাদের নামেও একাধিক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত বাঘের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন
হাবিবের নামে যতো মামলা
তার নামে মামলা রয়েছে মোট ৮টি। গত ২০ বছর ধরে ৭০ টির মতো বাঘ হত্যা করলেও তার নামে বাঘ শিকারের ৩টি এবং হরিণ শিকারের ৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩টিতে রয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এর পরও তিনি বাঘ-হরিণ শিকার থেকে ফিরতে পারেননি।
বাঘ শিকার করেই চালান বাঘের মামলা
হাবিব এসব মামলা ও গ্রেপ্তারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে নিজের বাড়িতে থাকতেন না। বেশিরভাগ সময় বনেই কাটে তার জীবন। মাঝেমধ্যে রাতে এলাকায় এসে অন্যের বাড়িতে ঘুমাতেন। কোনো মামলাকেই পাত্তা দেন না। এ বছরের ১৯ জানুয়ারি শরণখোলার রাজৈর বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বাঘের চামড়াসহ গাউস ফকির নামে এক পাচারকারী আটক হয়। ওই চামড়াটিও হবিবের হাতে শিকার হওয়া বাঘের। ওই মামলায় তাকেও আসামি করা হয়েছে। এর চার দিনের মাথায় ২৩ জানুয়ারি একই এলাকা থেকে ১৯টি হরিণের চামড়াসহ দুই পাচারকারীকে আটক করে র্যাব। সেখানেও এই শিকারী হাবিব জড়িত। বনের বাঘ, হরিণ, কুমির শিকার করেই এসব মামলা পরিচালনা করেন এই দুর্ধর্ষ হাবিব।
চট্টগ্রামে ফুটপাত থেকে নবজাতক উদ্ধার
চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানার জিইসি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনে ফুটপাতে পড়েছিল সদ্য জন্ম নেয়া এক নবজাতক।
খবর পেয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পরিচয়হীন ওই নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:সিলেটে কবরস্থানের পাশের ড্রেনে মিলল নবজাতকের লাশ
স্থানীয় বাসিন্দা ও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা আল আমিন বলেন, রাত ১টার দিকে বাসার নিচে হইচই শুনে রাস্তায় নেমে এসে দেখি প্রিমিয়ারের সামনের ফুটপাতে সদ্য জন্ম নেয়া একটা ফুটফুটে বাচ্চা পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক ফোন দেই জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন ৯৯৯—এ। সেখান থেকে সিএমপির চকবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীরকে সংযুক্ত করে দিলে আমি তাকে ঘটনা বলার মিনিট দশেকের মধ্যেই ওসি তার ফোর্স নিয়ে হাজির হন। তারা সেখান থেকে নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: কন্যা শিশু জন্ম দেয়ায় তাড়িয়ে দিল স্বামীর পরিবার
চকবাজার থানার ওসি মো. আলমগীর বলেন, ‘৯৯৯ এ ফোন পেয়ে আমি সাথে সাথে নবজাতকটিকে উদ্ধার করতে যাই। এরপর সদ্যপ্রসূত ওই কন্যাসন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেই। বাচ্চাটি আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কারা বাচ্চাটি রেখে গেছেন সেটি জানতে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি বাচ্চাটির কোনো অভিভাবক পাওয়া না যায়, তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
আরও পড়ুন: কন্যা শিশু জন্ম দেয়ায় তাড়িয়ে দিল স্বামীর পরিবার
সেই আলোচিত ইউএনও এবারও লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে
করোনা শুরুর সময় সরকার ঘোষিত লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা, দরিদ্র মানুষের পাশে দাড়ানো, নিজ হাতে সনাতন ধর্মের মৃত ব্যক্তির শেষ দাহ সম্পন্ন করা সেই আলোচিত ইউএনও এবারও লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন।
দ্বিতীয় ধাপের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়াতে সরকার সোমবার ভোর ৬টা থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর নির্দেশনা ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে। তারই প্রেক্ষিতে এখন সারাদেশে লকডাউন চলছে।
আর সরকার ঘোষিত এই লকডাউন বাস্তবায়ন করার জন্য মাঠ পর্যায়ে তীব্র গরমের মধ্যেও সকাল থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম রেজা। সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে তিনি অবস্থান করছেন মহাসড়কে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল দুই ছাত্রী
বেলা ১১ টার দিকে ফরিদপুরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সরেজমিন দেখা যায়, ইউএনও মাসুম রেজা তার সহকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে মহাসড়কে অবস্থান করছেন। সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অমান্যকারীদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করছেন।
মাস্ক ব্যবহার বা সামাজিক দূরত্ব মেনে না চললেও সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসাচ্ছেন। সেই সাথে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পরামর্শও দিচ্ছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশব্যাপী লকডাউনের প্রথম দিনে জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের নির্দেশনায় সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন ইউএনও মো. মাসুম রেজা।
রাজবাড়ী রাস্তার মোড়, মুন্সির বাজার, বাখুন্ডা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম রেজা ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আল-আমিন। এ সময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পরিধানের গুরুত্ব সম্পর্কে হ্যান্ডমাইকে সকলকে সচেতন করা হয়।
আরও পড়ুন: ইউএনবিতে সংবাদ প্রকাশের পর অসহায় কদবানুর পাশে ইউএনও
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা বলেন, যে হারে করোনা সংক্রমিত হচ্ছে তাতে ভয়াবহ অবস্থা অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। আমরা এখনই যদি সচেতন না হই তাহলে আমাদের জন্য অনেক দুঃখ অপেক্ষা করছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন সরকার দেশের মানুষের মঙ্গলের কথা ভেবে ইতিমধ্যে সাত দিনের কঠোর নির্দেশনা ঘোষণা করেছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে সেটা বাস্তবায়ন করছি। এটা বাস্তবায়ন করা আমাদের সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব। আমরা এই অভিযান ১১ এপ্রিল মধ্য রাত পর্যন্ত অব্যাহত রাখবো।
আরও পড়ুন: নবীনগর ইউএনও’র সরকারি মোবাইল নম্বর ক্লোন করে টাকা দাবি
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জেলা সদর ও উপজেলা সদরগুলোতে কঠোর নজরদারিতে রেখেছে। আমরা চেষ্টা করছি বিনা কারণে যাতে কেউ বাইরে না বের হয়। সকলকে ঘরে থাকার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের লকডাউনে ইউএনও মাসুম রেজা যেভাবে কাজ করেছিলেন তাতে তিনি সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিলেন। করোনাকালীন সময়ে কেউ মারা গেলে তাকে দাফন করার কাজগুলো সম্পন্ন করতে ভয়ে কেউ এগিয়ে আসতে চাইত না। সেই সময়ে একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের মৃত্যুতে, তার দাহ কাজ সম্পন্ন করতে অনেক বাধার সৃষ্টি করে স্থানীয়রা। কিন্তু ইউএনও মাসুম রেজা সেই মুহূর্তে নিজে ওই মৃত ব্যক্তির চিতায় আগুন ধরিয়ে নিজের হাতে তার দাহের কাজ সম্পন্ন করে রীতিমত সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন।
এছাড়া হতদরিদ্র মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। দিনরাত মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন তিনি। সদর উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে গিয়ে অনাহারি মানুষের মুখে আহার তুলে দিয়েছেন মাসুম রেজা।
তাছাড়া তিনি করোনা প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত সকল নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করেন। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিভাগের জেলা পর্যায়ে একজন করে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ফরিদপুরের শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হন তিনি। ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
খুলনায় হালনাগাদ তালিকায় নতুন ৪১ মাদক ব্যবসায়ী
মহানগরী খুলনা ও পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে মাদক বিস্তার লাভ করছে। জেলার হালনাগাদ তালিকায় ৪১ নতুন মাদক ব্যবসায়ীর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর সব মুর্যাল ও ভাস্কর্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে: পুলিশের প্রতিবেদন
সারা দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সব নির্মিত ও নির্মাণাধীন ম্যুরাল ও ভাস্কর্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে একটি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।