কক্সবাজার
কক্সবাজারে ৭ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার বিজিবির
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় শনিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রায় সাত কোটি টাকা সমমূল্যের মাদকদ্রব্য জব্দ করার দাবি করেছে।
জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রেয়েছে এক কেজি আইস (ক্রিস্টাল মেথ) ও ৫০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ এর কমান্ডার লেফট্যানেন্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মাদ ইফতেখার বলেন, গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে রাত পৌনে চারটার দিকে নোয়াপাড়া মোচোনি বাজার এলাকায় মিয়ানমার থেকে আসা দুই ব্যক্তিকে অনুসরণ করে বিজিবির একটি দল। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ওই ব্যক্তি চোরাচালান করা মাদকদ্রব্য ফেলে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
সেখানে বিজিবির সদস্যরা একটি ব্যাগে থাকা মাদকদ্রব্যগুলো পান। তবে অভিযানে কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।
আরও পড়ুন: জুন মাসে ১৩২ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ বিজিবির
মে মাসে ১৩২ কোটি টাকার চোরাচালান ও মাদক জব্দ করেছে বিজিবি
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এসময় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হিজলিয়া এলাকায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের উত্তর বড়বিল এলাকার বাসিন্দা মৃত জয়নালের স্ত্রী ছলেমা খাতুন (৪৫),একই ইউনিয়নের পাগলিরবিল এলাকার গুরা মিয়ার ছেলে আনোয়ার ইসলাম (২৫) ও রামু উপজেলার মেরংলোয়া এলাকার বাসিন্দা মনিন্দ্র ধরের ছেলে বিধু ধর (৫২)। তাৎক্ষণিক নিহত আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।
এ ঘটনায় রামু গর্জনীয়া এলাকার নুরুল আলমের ছেলে হাবিবুল্লাহ গুরুতর আহত হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
শাহপুরী হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে হিজলিয়ায় কক্সবাজারমুখী ট্রাক ও অটোরিক্সা সংর্ঘষের ঘটনায় পাঁচজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাইওয়ে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
গণহত্যার ৫ম বার্ষিকী উপলক্ষে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ
বাংলাদেশে আসার পাঁচ বছর পূর্তি ও মিয়ানমারে গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে সমাবেশ ও র্যালি করেছে রোহিঙ্গারা। এসব সমাবেশে রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে দ্রুত প্রত্যাবাসন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য সেফ জোন স্থাপন, নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প, শফিউল্লাহ কাটা, বালুখালী, জামতলি, হাকিমপাড়া, মধুরছড়াসহ বিভিন্ন ক্যাম্পে ১২টি সমাবেশ করেছে। এসব সমাবেশকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
২৫ আগস্টকে ‘রোহিঙ্গা জেনোসাইড ডে’ (রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস) আখ্যায়িত করে তারা নিজ ভূমি মিয়ানমারের আরাকানে ফিরে যেতে চায় এবং গণহত্যার বিচার দাবি করেন।
রোহিঙ্গা আগমনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট প্রথম বড় ধরনের সমাবেশ করেছিল রোহিঙ্গারা। ওই সমাবেশে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা উপস্থিত হয়েছিল। ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) সভাপতি মাস্টার মুহিবুল্লাহর নেতৃত্বে।
আরও পড়ুন:অবৈধ স্থাপনা: কক্সবাজারের ডিসিকে হাইকোর্টে তলব
এরপর গত দুই বছর রোহিঙ্গারা সমাবেশ করতে পারেনি। এ বছর সরকার বিভিন্ন ক্যাম্পে পৃথক পৃথক সমাবেশ করার অনুমতি দেয়।
২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত সমাবেশে অবিলম্বে প্রত্যাবাসন শুরু করা, রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার, রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া, ১৯৮২ সালের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব আইন বাতিল, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি ফিরিয়ে দেয়া, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য সেফ জোন প্রতিষ্ঠাসহ সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এসব দাবি বাস্তবায়নে জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় সমাবেশে।
কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এআরএসপিএইচ’র সেক্রেটারি মাস্টার জোবাইর, মাস্টার নুরুল আমিন, মোহাম্মদ রফিক, জুমাদিলা বেগম প্রমুখ।
এসব সমাবেশে রোহিঙ্গারা নিজেদের দেশে ফিরে যেতে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন মিয়ানমারের কয়েক লাখ রোহিঙ্গা।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের ডিসি-এসপি’র বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো জীবিত ডলফিন
অবৈধ স্থাপনা: কক্সবাজারের ডিসিকে হাইকোর্টে তলব
কক্সবাজারের ঝিলনজা, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টসহ সমুদ্র সৈকতের অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মামুনুর রশিদকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। ১৯ অক্টোবর সশরীরে হাজির হয়ে আদালতের আদেশ অমান্যের বিষয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ডিসিহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন। রুলে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
যাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়েছে তারা হয়েছে-কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ, উপপরিচালক, টাউন প্লানার তানভির হাসান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনর রশিদ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মজিবর রহমান।
বৃহস্পতিবার এক আদালত অবমাননার মামলার শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত অবমাননার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন তুষার কান্তি রায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের ডিসি-এসপি’র বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ৭ জুন হাইকোর্ট সমুদ্র সৈকতের অবৈধ স্থাপনা তৈরি বন্ধ ও স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে আদেশ দেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমুদ্র সৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। জনস্বার্থ বিবেচনা করে হাইকোর্ট ওই রায় দিলেও এতদিনেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ অবস্থায় আদালত অবমাননার অভিযোগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট আইনজীবী মনজিল মোরশেদ আদালত অবমাননার নোটিশ দেন।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ, উপপরিচালক, টাউন প্লানার তানভির হাসান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনর রশিদ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মজিবর রহমান বরাবর এ নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু নোটিশের পরও কোনো পদক্ষেপ না থাকায় হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন:কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো জীবিত ডলফিন
আসামিদের স্বীকারোক্তি: কক্সবাজারে নারী ও মাদক দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয় পর্যটকদের
কক্সবাজারের ডিসি-এসপি’র বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
পাহাড় কাটা বন্ধে পদক্ষেপ না নেয়ায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সংশ্লিষ্ট ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ কেন আনা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
যাদের বিরুদ্ধে রুল জারি করা হয়েছে তারা হলেন-পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবদুল হামিদ, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ভিসি) মো. মামুনুর রশিদ, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন সজিব, কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়া, উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), পরিবেশ বিভাগের কক্সবাজার জেলার সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল আশরাফ।
এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ও অ্যাডভোকেট রিপন বারৈ।
মনজিল মোরসেদ বলেন, পাহাড় সংরক্ষণ, পাহাড় কাটা বন্ধ ও পরিবেশ রক্ষায় ২০১২ সালের ১৯ জুলাই হাইকোর্ট এক যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। ওই রায়ে কক্সবাজার জেলায় পাহাড় কাটার কার্যক্রম বন্ধ করে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দেন আদালত। কিন্তু কক্সবাজারের উখিয়া ও সদর উপজেলায় পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এজন্য হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। শুনানি শেষে আদালত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন। এছাড়া ২০১২ সালে ১৯ জুলাই এইচআরপিবি বনাম বাংলাদেশ সরকার মামলায় হাইকোর্টের রায়ের আলোকে এই রুল দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচার নিয়ে সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য বিব্রতকর: হাইকোর্ট
ওয়াসার এমডি’র বেতন-বোনাসের হিসাব চাইলেন হাইকোর্ট
সাধারণ মানুষের জন্য দরজা খোলা রাখুন: ডিসিকে হাইকোর্ট
শিক্ষিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
কক্সবাজারে স্কুল শিক্ষিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে বেদার মিয়া (২৮), উত্তর তারানিয়াপাড়ার দিল মোহাম্মদের ছেলে মোস্তাক মিয়া (২৪) ও খরুলিয়া এলাকার মৃত রশিদ আহমেদের পুত্র মো. বেলাল উদ্দিন (২২)।
পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাশ জানান, মঙ্গলবার রাতে পিএমখালী এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
তিনি জানান, গত ১৯ আগস্ট রাতে মামলার প্রধান অভিযুক্ত বেদার মিয়া আরও তিন সহযোগীসহ ভুক্তভোগীকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ২৩ আগস্ট ভুক্তভোগী নিজে বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ হলে র্যাব বিষয়টি জেনে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য ছায়াতদন্ত শুরু করে। এর প্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।
এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা সকলেই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান ওই পুলিশ সুপার।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন:ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৩
চাচাতো বোনকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা!
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো জীবিত ডলফিন
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জীবিত একটি ডলফিন ভেসে এসেছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ইনানী পাটুয়ারটেক থেকে কিছু দূরে সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে।
জানা যায়, পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকতে একটি ডলফিন দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ডলফিনটি জীবিত দেখতে পেয়ে সাগরে ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করেন বিচ কর্মীরা। কিন্তু ডলফিনটি আবারও তীরে ফিরে আসে।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারে ট্রলারডুবি: ২ জেলের লাশ উদ্ধার
পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ জানান, ডলফিনের পেট ও শরীরের কয়েকটি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। যার কারণে ডলফিনটি দুর্বল হয়ে যায়। পরে ডলফিনটি মারা যায়।
সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট , বনবিভাগ ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ডলফিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে যাচাই-বাছাই করেন। তবে মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি।
আরও পড়ুন:আসামিদের স্বীকারোক্তি: কক্সবাজারে নারী ও মাদক দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয় পর্যটকদের
কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো জেসিআইয়ের সাধারণ সদস্য সভা
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: আরও ৩ জেলের মরদেহ উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক চ্যানেলে ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও তিন জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মহেশখালী চ্যানেল থেকে রবিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাদের মরদেহ ভাসতে দেখে জেলেরা। পরে স্বজনরা কোস্ট গার্ডের সহায়তায় মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে। এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
নিহতরা হলেন, হোসেন আহমদ, আজিজুল হক ও মোহাম্মদ আবছার। হোসেন ও আবছারের বাড়ি সদর উপজেলার খুরুশকুলের পূর্ব হামজার ডেইল এলাকায় এবং আজিজুলের বাড়ি একই ইউনিয়নের মামুনপাড়ায়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) সেলিম উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের কক্সবাজার স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এম হামিদুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার বিকালে নাজিরারটেক চ্যানেলে ডুবে যায় এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি ফিশিং ট্রলার। ট্রলারের ১৯ জেলের মধ্যে আটজনকে জীবিত উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড। অন্য ট্রলারে তীরে ফেরে আরও তিনজন।
নিখোঁজ আটজনের মধ্যে শনিবার তৈয়ব ও সাইফুল নামে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকি ছয়জনের মধ্যে আজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
কক্সবাজারে ট্রলারডুবি: ২ জেলের লাশ উদ্ধার
নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তালের কারণে কক্সবাবজার নাজিরারটেক চ্যানেলে ট্রলারডুবির ঘটনায় দুই জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকাল ও সন্ধ্যার দিকে বঙ্গোপসাগর থেকে কোস্টগার্ডের সদস্যরা দুই জেলের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন- মোহাম্মদ আবু তৈয়ব ও সাইফুল ইসলাম। তারা কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড পূর্বজোনের কক্সবাজার স্টেশনের কন্টিজেন্ট কমান্ডার এম হামিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার বিকালে নাজিরারটেক চ্যানেলে ডুবে যায় এফবি মায়ের দোয়া নামে একটি ফিশিংট্রলার। ট্রলারে থাকা ১৯ জেলের মধ্যে ৮ জনকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। অন্য ট্রলারে করে কুলে ফিরে আরও তিন জন। বাকি নিখোঁজ আট জনের মধ্যে তৈয়ব ও সাইফুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘ টনায় এখনও ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারডুবি: ১৭ জেলে উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার নাজিরারটেক চ্যানেলে ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনায় ১১ জেলে নিখোঁজ এবং আট জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে সাগর থেকে ফেরার পথে উত্তাল ঢেউয়ের মুখে পড়ে খুরুশকুলের জাকির হোসেনের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া ফিশিং ট্রলাটি ১৯ জন জেলে নিয়ে ডুবে যায়।
কোস্টগার্ড জানান, বোট ডুবির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতায় নামে কোস্টগার্ড। এসময় আট জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি ১১ জনকে উদ্ধারের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলার ডুবি: নিখোঁজ আরেক জেলের লাশ উদ্ধার
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জানে আলম পুতু জানান, আবহাওয়া খারাপ হলে ফিশিং ট্রলারগুলো কূলে ফিরে আসা শুরু করে। শুক্রবারও ফিরে আসার পথে কয়েকটি বোট দুঘর্টনার শিকার হয়।
আজমির ফিশিংয়ের মালিক মো.শওকত ওসমান ফারুক বলেন, ভরা মৌসুমে আবহাওয়া খারাপ থাকায় মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। তার মধ্যে তেল ও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে দুঃশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।