ওবায়দুল কাদের
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা চাইলেন ওবায়দুল কাদের
মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই সহযোগিতার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি একটি অতিরিক্ত বোঝা এবং তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীন ভূমিকা রাখতে পারে।
বৈঠকে উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা বিশেষ করে সড়ক, পরিবহন ও সেতু এলাকা এবং মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এছাড়া বাংলাদেশের নতুন সরকারকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা একটি চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
সরকার কারো স্বীকৃতির অপেক্ষায় নেই: ওবায়দুল কাদের
সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে কেউ হটাতে পারবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষমতা কারো নেই।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি আবারও কালো পতাকা মিছিলের নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতার সুর তুলছে। কিন্তু সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার ক্ষমতা কারো নেই।’
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনে না এসে বিএনপি যে ভুল করেছে তার খেসারত দিতে হবে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা একটি চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধান ও জাতীয় সংসদের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আগামীকাল থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘অগণতান্ত্রিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে জনগণ বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেছে, যা দেশে গণতন্ত্রের নতুন বিজয়।’ বিপুল সমর্থনের জন্য জনগণকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ রাজপথে রাজনৈতিক ইস্যু মোকাবিলা করবে। আর দেশের স্বার্থে কোনো অশুভ শক্তিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে বিকৃত করে এবং মিথ্যা তথ্য প্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাদের অপচেষ্টা সফল হয়নি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর নাম দেশে-বিদেশে শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার ও আলবদর শক্তির দল।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র এমপিরা সংসদে স্বতন্ত্র হিসেবেই ভূমিকা রাখবেন: কাদের
তিনি বলেন, বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের জন্য মঈন খানের উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এখন সরকারের অগ্রাধিকার হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
তিনি বলেন, ‘মৌখিকভাবে হুমকি দেওয়া সবসময় সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে না। আমাদের ইতিবাচক পদক্ষেপে যেতে হবে। এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ইতিবাচক ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে: কাদের
দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা একটি চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা একটি চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, এটা বাস্তবতা, অস্বীকার করে লাভ নেই এ নিয়ে সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে: কাদের
তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতিতে ভারত আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেছে। বিএনপি যখন কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল, তখন ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
‘আমি মনে করি, সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভেঙে দিয়েছেন।’
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের চিড় ধরার কোনো কারণ নেই।
রাজনীতি উত্তপ্ত হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, নতুন সরকারের কাজে যখন বাধা আসবে, তখন সেটা আমাদের অতিক্রম করতে হবে। তারা (বিএনপি) এখানে যদি সহিংস কর্মসূচি কিংবা সাধারণ কর্মসূচি দিয়ে সহিংসতা করে, তবে সেটার মোকাবিলা আমাদের করতে হবে। কারণ আমরা ক্ষমতায় আছি, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
সরকার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না, বিএনপির এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি এ পর্যন্ত যত স্বপ্ন দেখেছে, সব দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অনেক দিন পর গতকাল আবির্ভূত হলেন, এতদিন পলাতক ছিলেন। তিনি এতদিন কোথায় পালিয়ে ছিলেন, সেই জবাব তো পেলাম না। কঠিন সময় পার করা, চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার সৎ সাহস আমাদের আছে। আমরা পেরেছি, ভবিষ্যতেও পারব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে দায়িত্ব আমরা নিয়েছি, সেটা আমরা পালন করব।’
বিরোধী দল কারা হবে- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এখানে তো বিরোধী দল বলতে জাতীয় পার্টিই সামনে আসে। তারা আগেও ছিল। তাদের অনেক অভিজ্ঞতা আছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে কাদের
বিএনপি দেশে-বিদেশে গুজব ছড়িয়ে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এখন দেশে-বিদেশে গুজব ছড়িয়ে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার কারো স্বীকৃতির অপেক্ষায় নেই: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে গুজব সন্ত্রাস যোগ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বেই দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। কিন্তু তারা এই পরিস্থিতিকে সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘বিএনপি যদি ইতিবাচক রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যেত, তাহলে হঠাৎ করে এমন পতন হতো না। সরকার উৎখাতের চেষ্টা করতে গিয়ে তারা গর্তে পড়েছেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া রাজনৈতিক দলই হবে প্রধান বিরোধী দল।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
সরকার কারো স্বীকৃতির অপেক্ষায় নেই: ওবায়দুল কাদের
সরকার কারোর স্বীকৃতি পেতে মরিয়া হয়ে আছে- এমন ধারণা নাকচ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে, কারো স্বীকৃতির জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় বসে আছে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।’
রবিবার (২১ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিরোধী দল বিএনপির আচরণেরও সমালোচনা করে তিনি বলেন বিএনপি হতাশা ও ঘৃণায় জ্বলছে, কারণ তাদের দল নির্বাচন বর্জন করার পরও বিপুল সংখ্যক মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। এখন তারা ঈর্ষান্বিত।’
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'দেশপ্রেমিক সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ স্বপ্রণোদিতভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা করছে।’ বিক্ষোভের বিষয়ে বিএনপির আচরণের বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রতিবাদের নামে সহিংসতা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে আমরা তাদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।’
বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়েও কাদের বলেন, 'বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন অস্পষ্ট এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছে। আমরা তাদের এই কর্মকাণ্ডকে আমাদের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে দুর্বল করার চেষ্টা বলে মনে করি।’
তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপির শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অধিকার আছে। তবে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা বিশৃঙ্খলা করলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হবে: ওবায়দুল কাদের
মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
ঢাকা মেট্রোরেল উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণের জন্য জরিপ চলছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) উত্তরার দিয়াবাড়িতে ডিএমটিসিএল ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের নির্মাণ কাজ আগামী বছরের জুনের মধ্যে শেষ হবে।
তিনি বলেন, ইজতেমা ও বইমেলাসহ বিভিন্ন দিনে মেট্রোরেলের সার্ভিসের সময় বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে মেট্রোরেলের কারওয়ান বাজার-শাহবাগ স্টেশন
তিনি বলেন, ‘আজ থেকে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে এবং মতিঝিল থেকে শেষ ট্রেন রাত ৮টা ৪০ মিনিটে উত্তরা উত্তরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।’
ট্রেনের প্রতিটি ট্রিপের সময়ের ব্যবধান হবে পিক আওয়ারে ১০ মিনিট এবং অফ-পিক আওয়ারে ১২ মিনিট।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজ বিকালে উত্তরা উত্তর থেকে মেট্রোরেলে মতিঝিল যাব। সময় সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব মেট্রোরেলে নিয়মিত যাতায়াত করার জন্য আমি আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ‘
তিনি বলেন, মেট্রোরেলে যাত্রীদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের ছয়টি লাইন চালু হবে।
কাদের বলেন, 'সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: উত্তরা-মতিঝিল রুটে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল
টিআইবি বিএনপির ‘দালাল’: কাদের
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনকে একপেশে ও সরকারবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ সময় তিনি সংস্থাটিকে বিএনপির দালাল বলেও মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘টিআইবি বিএনপির সুরে কথা বলে। ইতিহাস বলে- তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ছিল, বিএনপির পক্ষে কথা বলে। তাদের গবেষণার নিরপেক্ষতা আমরা খুঁজে পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনা নিয়ে কথা বলা কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা ১০০ মারা গেলে ৫০০ বানিয়ে দেয়। টিআইবিও তাদের মতো। এই টিআইবি বলেছিল পদ্মা সেতু অসম্ভব। একই কথা সিপিডিও (সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ) বলেছিল।’
মন্ত্রী বলেন, মামলা করে সবকিছুর সমাধান হয় না। তাদের রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা হবে। কথা বা তর্কের মাধ্যমে সবকিছু বেরিয়ে আসবে।
বুধবার টিআইবি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক’ হয়নি।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হবে: ওবায়দুল কাদের
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে রণকৌশল থাকবেই। আমাদের দ্বন্দ্ব-কোন্দল আছে, থাকবেই। সব দলেই থাকে। এসব নিয়ে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাচ্ছে। যেখানে যত সমস্যায় থাকুক, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনের উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে করার বিষয় আওয়ামী লীগের বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংসদে বিরোধী দল কারা হবে, সংসদ চালু হলেই তা বোঝা যাবে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এজন্য শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ অন্য সব ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়গুলো বাস্তবতার নিরীখে তাদের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: ওবায়দুল কাদের
সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
২০২৪ সালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হবে: ওবায়দুল কাদের
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ চলতি বছরের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সেতু ভবনে সংবাদ সম্মেলনে দেশের অবকাঠামো নেটওয়ার্কে একটি বড় অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র রক্ষায় আবারও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ওবায়দুল কাদের
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৫০ শতাংশ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যান চলাচল শুরু হওয়ায় প্রকল্পটি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। অবশিষ্ট নির্মাণকাজ ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু থেকে দৈনিক ২ কোটি টাকা টোল রাজস্ব আয় হচ্ছে। এ পর্যন্ত মোট টোল আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। এই আয়ের মাধ্যমে পদ্মা সেতু দেশের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: ওবায়দুল কাদের
এ ছাড়া চলতি বছরের জুনের মধ্যে গাজীপুরে বিআরটিএ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওবায়দুল কাদের, যা বাংলাদেশের পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়নে আরেকটি মাইলফলক।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের 'অযৌক্তিক' বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর। দেশের উন্নয়নে ঈর্ষা পোষণ না করে জাতীয় উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি ও ভালোভাবে গ্রহণ করতে পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
এর আগে সেতু ভবন ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন এবং সারাদেশে চলমান অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: ওবায়দুল কাদের
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের ওপর বড় ধরনের বোঝা রয়ে গেছে বলে স্বীকার করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে সরকার এসব পণ্যের মূল্য সামর্থ্যের মধ্যে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।’
সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রাথমিক চ্যালেঞ্জের কথাও তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন,‘পদ্মা সেতু ও ঢাকা মেট্রোরেল উদ্বোধনের পরেও সড়কে শৃঙ্খলা এখনও ঠিক হয়নি। আমরা একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি, যা বাস্তবায়িত হলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যাবে।’
ওবায়দুল কাদের জাতীয় উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করেন এবং সাম্প্রতিক নির্বাচনের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, 'অনেক সংশয় থাকা সত্ত্বেও আমরা সফলভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছি। আমরা আরও চ্যালেঞ্জ প্রত্যাশা করছি, আমরা নির্ভীক এবং তাদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।’
সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
নতুন সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘এই তিন চ্যালেঞ্জ সামনে রয়েছে। এই তিন খাতে বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা এত সহজ নয়।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই এটি: ওবায়দুল কাদের
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন বলেন, 'এই সংকট কাটিয়ে আমরা আজ একটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী প্রভাবের কারণে।’
আরও পড়ুন: আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের পথে কখনো ফুল আসেনি। জন্ম থেকেই আমাদের কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব। সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দলের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র রক্ষায় আবারও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ওবায়দুল কাদের
৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের