শেখ হাসিনা
অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
যারা অগ্নিসংযোগ, ধ্বংসযজ্ঞ ও রেললাইন থেকে ফিশপ্লেট অপসারণের আশ্রয় নেয়, তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরে পরাজিত দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর প্রেতাত্মারা এখন এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা মানুষ হত্যা করছে এবং আরও হত্যার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সবাইকে তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানাচ্ছি। যেসব জায়গায় ফিশপ্লেট অপসারণ করা হয় সেখানে জনগণ এগিয়ে এলে এই ষড়যন্ত্রকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে না।’
তিনি এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এসব মানুষ কেবল ধ্বংস করতে জানে, তারা তৈরি বা গড়তে জানে না। তারা মানুষকে হত্যা করতে পারে, কিন্তু মানুষের জীবনে শান্তি ও নিরাপত্তা দিতে পারে না। তাদের থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা যেকোনো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগের সময় অপরাধীদের হাতে নাতে ধরার জন্য সবাইকে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ট্রেন লাইনচ্যুত ও মানুষ হত্যায় রেললাইনের ফিশপ্লেট তুলে নিয়ে তারা গণতন্ত্রের কথা বলছে।
তিনি বলেন, তারা কীভাবে গণতন্ত্রের কথা বলতে পারে, খুনিরা গণতন্ত্র দিতে পারে না, দেশের মানুষকে তা বুঝতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শহীদদের রক্ত বৃথা যায়নি বলেই আজকের বাংলাদেশ পরিবর্তিত বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন সত্যিকারের স্বাধীন দেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছে। তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তারা শান্তিতে থাকবে এবং উন্নত জীবন পাবে। এটা আমাদের লক্ষ্য।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী তারানা হালিম প্রমুখ।
শহীদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও নুজহাত চৌধুরীর সন্তানেরাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ক্ষমতায় থাকতে বাইরের কারো চোখ রাঙানি সহ্য করবে না: শেখ হাসিনা
অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
গোপালগঞ্জ সফরে নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
গোপালগঞ্জে দুই দিনের ব্যক্তিগত সফর শেষে সবেমাত্র ঢাকা ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার সহকারী প্রেস সচিব জানান, সতর্কতার সঙ্গে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন না করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রধানমন্ত্রী তার নিজ জেলার টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া পরিদর্শন করেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বিকালে তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে গোপালগঞ্জে যান এবং সফরকালে তার গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়াননি।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর
গোপালগঞ্জে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বিকালে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া করেন।
বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সমাধিতে দোয়া ও ফাতেহা পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী।
মাজার থেকে পায়ে হেঁটে তার টুঙ্গিপাড়ার বাসায় যান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ৪৬তম ক্ষমতাধর নারী: ফোর্বস
ঢাকার খাল-বিল ও নদীগুলো দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
বেগম রোকেয়া পদক- ২০২৩ প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা
দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ সালের বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত পাঁচ নারীর নাম ঘোষণা করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে নাম ঘোষণা করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
পদকপ্রাপ্তরা হলেন- নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রথম নারী উপচার্য খালেদা একরাম, মরণোত্তর (ঢাকা জেলা), নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ডা. হালিদা হানুম আখতার (রংপুর জেলা), নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা, মরণোত্তর (নেত্রকোনা জেলা), নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার (লক্ষীপুর জেলা) এবং পল্লী উন্নয়নে রনিতা বালা (ঠাকুরগাঁও জেলা)।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীর শিক্ষা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারী অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বেগম রোকেয়া দিবস নারীর অগ্রযাত্রায় অন্তহীন প্রেরণার উৎস। নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, নারীর আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, পল্লী উন্নয়ন এবং নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচ নারীকে বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ দেওয়ার জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কারুশিল্পীদের হাতে লোক ও কারুশিল্প বিষয়ক পদক ২০২৩ তুলে দিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদকদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন।
পদকপ্রাপ্তরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পদক গ্রহণ করবেন।
পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের রেপ্লিকা, প্রত্যেকে চার লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়াসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: একুশে পদক ২০২৩ বিজয়ী কনক চাঁপাকে গ্যালারি কসমসের সংবর্ধনা
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২৩ পেলেন ৪ নারী ও জাতীয় নারী ফুটবল দল
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত সফরে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে পদ্মা সেতু পার হয়ে সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৈতৃক বাড়িতে পৌঁছান।
আজ রাত টুঙ্গিপাড়ার বাসায় কাটিয়ে আগামীকাল তার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ৪৬তম ক্ষমতাধর নারী: ফোর্বস
আ. লীগ ক্ষমতায় থাকতে বাইরের কারো চোখ রাঙানি সহ্য করবে না: শেখ হাসিনা
বিএনপি-জামায়াত আসন্ন নির্বাচন বানচাল করলে পরিণতি ভালো হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ৪৬তম ক্ষমতাধর নারী: ফোর্বস
ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০২৩ সালের বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় ৪৬তম অবস্থানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ফোর্বসের এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন, দ্বিতীয় স্থানে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লেগার্ড, তৃতীয় স্থানে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
এছাড়া পঞ্চম স্থানে রয়েছেন আমেরিকান সংগীতশিল্পী-গীতিকার টেইলর সুইফট। এর মাধ্যমে এই তালিকার শুরু থেকে প্রথমবারের মতো কোনো বিনোদন তারকা শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফোর্বসে এশিয়ার ১০০ ডিজিটাল তারকার তালিকায় পরীমনি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে আমেরিকান বিজনেস ম্যাগাজিনে বলা হয়েছে, 'শেখ হাসিনা ওয়াজেদ বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি নারী সরকার প্রধান।’
ফোর্বস বলছে, 'তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী, বর্তমানে তিনি চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন।’
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলোর পদত্যাগের আহ্বানের কথাও ম্যাগাজিনে তুলে ধরা হয়েছে।
ম্যাগাজিনে লেখা হয়েছে, 'বিরোধী দলের পক্ষ থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানানো সত্ত্বেও ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা পঞ্চম মেয়াদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।’
ভারতের অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (৩২তম) সহ দেশটির চারজন নারীর নাম সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নারীর তালিকায় রয়েছে। তালিকার অন্য তিনজন হলেন: এইচসিএল কর্পোরেশনের সিইও রোশনি নাদার মালহোত্রা (৬০তম); স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়ার চেয়ারপার্সন সোমা মণ্ডল (৭০তম) এবং বায়োকনের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিরণ মজুমদার শ (৭৬তম)।
আরও পড়ুন: সামিটের আজিজ খান সিঙ্গাপুরের ৫০ ধনীর মধ্যে ৪১তম: ফোর্বস
ফোর্বসের ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’তে বাংলাদেশের প্রকৌশলী বাশিমা
ঢাকার খাল-বিল ও নদীগুলো দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
রাজধানী ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকার সব খাল এবং বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদী যত দ্রুত সম্ভব পুনরুদ্ধার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) তিনি তার কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে ঢাকার চারপাশের নদ-নদীর নাব্য রক্ষা ও দূষণ রোধে প্রণীত মহাপরিকল্পনার আলোকে সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়ে এক সভায় এ নির্দেশনা দেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠকে ঢাকা ও আশপাশের নদী ও খাল পুনরুদ্ধারের জন্য সাতটি হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে।
এগুলো হলো- গাজীপুর, গড়চটবাড়ী, সাভার, পূর্বাচল, কল্যাণপুর, নারায়ণগঞ্জ ও কামরাঙ্গীরচর।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের সময় পরিবেশের বিষয় মাথায় রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী এই সাতটি চিহ্নিত হটস্পটে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমন্বিত প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দেন এবং পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই হটস্পট কৌশল বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন।
বৈঠকে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
এর আগে বৈঠকে শেখ হাসিনা নদী দূষণ বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, দেশকে রক্ষা করতে হলে নদী বাঁচাতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আমাদের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নদ-নদীগুলো বাংলাদেশের জন্য রক্ত সঞ্চালনের জন্য শরীরের শিরার মতো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের টিকে থাকাও এই নদীর ওপর নির্ভরশীল।
বিগত বছরগুলোতে নদী দূষণ, দখল ও নাব্য পুনরুদ্ধারে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় আসার পর তারা সব সময় নদী রক্ষা ও নাব্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নিচু সেতু নৌ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘...সেই সেতুগুলো মানুষের জন্য উপকারী হয়েছে। কিন্তু নির্মাণের সময় নৌযান চলাচলের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। এ কারণেই আমরা নদীগুলো ড্রেজিং শুরু করার পর নৌ চলাচলের সমস্যা দেখা দেয় এবং এই সেতুগুলো বাধা হয়ে দাঁড়ায়।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু বাস্তুচ্যুতি মানবিক সংকটে পরিণত হওয়ার আগে বিশ্বকে পদক্ষেপ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
টিএসসিতে মেট্রো স্টেশনের জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রলীগ
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্রের (টিএসসি) পাশে মেট্রোরেলের স্টেশন নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার নেতা-কর্মীরা।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু স্মৃতি ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে ‘টিএসসিতে মেট্রো: ধন্যবাদ শেখ হাসিনা’- শীর্ষক দিনব্যাপী ধন্যবাদ জ্ঞাপন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানবীর হাসান সৈকত।
ঢাবি ছাত্রলীগের জিএস সৈকত বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি মেট্রোরেল ঢাবি শিক্ষার্থীদের পরিবহন চ্যালেঞ্জগুলো দূর করবে।’
উদ্বোধনের পর দেশাত্মবোধক গান, প্ল্যাকার্ড, পোস্টার প্রদর্শন ও সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনী, ছবি আঁকা, গণস্বাক্ষর গ্রহণ অভিযান এবং শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে গানসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প থেকে বাঁচতে দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দিলেন ঢাবি শিক্ষার্থী
ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড পেলেন শেখ হাসিনা
জলবায়ু বিষয়ে কর্মকাণ্ডের নেতৃত্বে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিযুক্ত মানুষের পক্ষে বিশ্বব্যাপী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে 'ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড' দিয়েছে আইওএম ও জাতিসংঘ সমর্থিত গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি সংস্থা।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে দুবাইতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন-কপ ২৮ এর সাইডলাইনে একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল অধিবেশনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি রাষ্ট্রদূত ডেনিস ফ্রান্সিস এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গাইনাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপের কাছ থেকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।
কপ-২৮ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান তথ্যমন্ত্রী ও পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ এ সময় 'অভিযোজন ও সহনশীলতার জন্য জলবায়ু গতিশীলতা নিয়ন্ত্রণ'-শীর্ষক উচ্চ-পর্যায়ের এ প্যানেল অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
হাছান মাহমুদ জানান, জলবায়ু গতিশীলতার বিষয়টিকে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচনার মূলধারায় আনার এখনই উপযুক্ত সময়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ক্লাইমেট মোবিলিটি সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ুজনিত কারণে বাধ্য হয়ে অভিবাসন ও বাস্তুচ্যুতির দিকটি বিশ্ব নেতাদের নজরে নিয়ে আসেন। এর আগেও বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরে ঢাকায় আইওএমের সহযোগিতায় আয়োজিত দুটি সংলাপ এবং গত বছর মিশরের শার্ম এল শাইখে কপ-২৭ সম্মেলনে বিষয়টি তুলে ধরেছে।
একইসঙ্গে কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত, ৪০০ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম বহুতল সামাজিক আবাসন প্রকল্প নির্মাণসহ জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উদ্যোগের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু বাস্তুচ্যুতি মানবিক সংকটে পরিণত হওয়ার আগে বিশ্বকে পদক্ষেপ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রী হাছান বলেন, ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং জলবায়ু গতিশীলতা এবং এ থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের ক্রমাগত নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বের সমর্থন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সন্তুষ্ট যে এখন জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর একটি বিস্তৃত জোট এই ইস্যুতে একযোগে কাজ করছে।
পুরস্কার প্রদানকারী গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি সংস্থাটি জাতিসংঘ, আঞ্চলিক আন্তঃসরকারি সংস্থা এবং উন্নয়ন অর্থ সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতায় জলবায়ু গতিশীলতা মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক বিস্তৃত সমাধানের জন্য কাজে ব্যাপৃত।
কমনওয়েলথ মহাসচিবের সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর বৈঠক
এদিন বিকালে দুবাইয়ে কপ-২৮ সম্মেলনস্থলে কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এ সময় বন ও পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী হাছান সাংবাদিকদের বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে, কমনওয়েলথ মহাসচিব তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তার সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে জি-২০ নেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
যুক্তরাজ্য ও জার্মানিকে পেছনে ফেলে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৯ম বৃহত্তম বাজার হবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন খেলাফত রাব্বানী ও নেজামে ইসলামের নেতারা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সাক্ষাৎ করেছেন খেলাফত রাব্বানী বাংলাদেশ ও নেজামে ইসলাম পার্টির নেতারা।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাতে মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী ও মাওলানা আনোয়ারুল হক নিজ নিজ দলের নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ক্ষমতায় থাকতে বাইরের কারো চোখ রাঙানি সহ্য করবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন জানান, বৈঠকে নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
শেখ হাসিনা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন এবং নির্বাচনে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করেন।
নেতারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন তারা।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত আসন্ন নির্বাচন বানচাল করলে পরিণতি ভালো হবে না: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসরণ করে ডামি প্রার্থী দিতে বাধা নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেওয়া ‘কৌশলগত সিদ্ধান্ত’।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সময়ের প্রয়োজনের আলোকে কৌশল পরিবর্তন করে এগিয়ে যাচ্ছে। দলীয় প্রধানের (শেখ হাসিনা) গাইডলাইন অনুসরণ করে ডামি প্রার্থী দিতে কোনো বাধা নেই।’
সোমবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ ড. মিলন দিবস উপলক্ষে ড. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে দলীয় টিকিট পাননি আওয়ামী লীগের ৭১ সংসদ সদস্য
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গীর দরকার নেই, কারণ জনগণই তাদের শক্তি। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির অপকর্মের জন্য সহযোগী দরকার।
তিনি বলেন, দেশে নির্বাচনের মৌসুম শুরু হওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ব্যাপক জনসমর্থনের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, যা বিক্ষিপ্ত বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে বানচাল করা যাবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও অভিযোগ করেন, আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর বিএনপি এখন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের মনোনয়ন তালিকা থেকে বাদ পড়লেন ৩ প্রতিমন্ত্রী