আবদুল হামিদ
উত্তরসূরি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের শুভেচ্ছা
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার উত্তরসূরি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সোমবার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, আবদুল হামিদ নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে ফোনে শুভেচ্ছা জানান এবং তার সাফল্য কামনা করেন।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও দলের মনোনীত প্রার্থী সাহাবুদ্দিনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
রবিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে সাহাবুদ্দিনের জমা দেয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সিইসি এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী রবিবার সাহাবুদ্দিনের জন্য দুটি মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয় এবং আজ যাচাই-বাছাই শেষে একটি বৈধ বলে গ্রহণ করা হয়। অন্য মনোনয়নপত্র গ্রহণের প্রয়োজন ছিল না।
বিকালে এ সংক্রান্ত গেজেট জারি করা হয়।
ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীকে দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। কারণ সংসদে প্রতিনিধিত্বসহ অন্য কোনো রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য কোনো নাম প্রস্তাব করেনি।
রাষ্ট্রপতি হামিদ চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল তার মেয়াদ পূর্ণ করতে চলেছেন।
সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনই হচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি
দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু
শিশুদের সৃজনশীল কাজে নিয়োজিত করুন, অভিভাবকদের প্রতি রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অভিভাবকদের প্রতি তাদের সন্তানদের নিয়মিত শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২০ ও ২০২১-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, সৃজনশীল প্রজন্ম তৈরিতে সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রভাব অপরিসীম। শিক্ষার পাশাপাশি, শিল্প, সাহিত্য ও খেলাধুলাসহ বিভিন্ন পাঠক্রম বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে শিশুদের সম্পৃক্ত করে তাদের মানসিক বিকাশের পথ সুগম করা খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, প্রত্যেক শিশুরই একটি ব্যক্তিত্ব আছে। আসুন আমরা তাদের জন্য তা সঠিকভাবে প্রকাশ করার সুযোগ তৈরি করি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ইসি’র, নির্বাচন ১৯ ফেব্রুয়ারি
এছাড়া শিশুদের সৃজনশীল মন ও মানসিক বিকাশে শিশু একাডেমির বিরাট ভূমিকা রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুব ভালোবাসতেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, সময় পেলেই তিনি শিশুদের সঙ্গে মিশতেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শিশুদের সার্বিক উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক।
শিশুদের জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার হিসাবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, শিশুদের অবশ্যই ভালো নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। কারণ তারা ভবিষ্যতে দেশের দায়িত্ব বহন করবে।
ধর্ম, বর্ণ ও আর্থিক অবস্থা নির্বিশেষে রাষ্ট্রপতি হামিদ শিশুদের সার্বিক বিকাশে এবং তাদের অভ্যন্তরীণ সম্ভাবনাগুলিকে বিকাশে সাহায্য করার জন্য সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শিশুদের আলোকিত নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা সবার দায়িত্ব। এছাড়া শিশুদের তাদের প্রতিভা বিকাশের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ, যত্ন এবং অনুপ্রেরণা প্রয়োজন।
আবদুল হামিদ বলেন, সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেধাবী শিশুদের খুঁজে বের করে মানসম্পন্ন শিল্পী, চিত্রশিল্পী বা ক্রীড়াবিদ হওয়ার জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে, যাতে তারা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে।
সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার শিশুদের সার্বিক অধিকার নিশ্চিত করতে বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় শিশুদের স্বাস্থ্য-পুষ্টি, শিক্ষা-বিজ্ঞান প্রযুক্তি ইত্যাদিকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের বিকাশে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পরিকল্পনা রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি অভিভাবকদের প্রতি শিশুদের ন্যায়বিচার শেখা, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য, সততা, দয়া, দেশপ্রেম এবং জীবনের প্রতি ভালোবাসাসহ সঠিক শিক্ষা প্রদানের পরামর্শ দেন।
বিশ্বায়ন ও তথ্য প্রযুক্তির (আইটি) যুগে শিশুদের নৈতিক শিক্ষা দেয়ার ওপরও জোর দেন হামিদ।
তিনি বলেন, আজকাল প্রতিটি ঘরে শিশুদের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক ডিভাইস আছে, অনেকেই মোবাইল ফোনে আসক্ত। তারা খেলার মাঠে খুব একটা যায় না, তারা শিল্প-সাহিত্য চর্চা করে না এমনকি তারা জানেও না।
জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২০ এবং ২০২১-এ সব জেলার প্রায় ৬.৫০ লাখ শিশু ৩০টি বিভাগে অংশ নিয়েছে। এই ইভেন্টের লক্ষ্য শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের অভ্যন্তরীণ সম্ভাবনাগুলিকে বিকশিত করা।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে, প্রায় ৪৭৪ শিশু এই অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণ করে। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে রাষ্ট্রপতি ২০২০ সালের জন্য ছয়টি এবং ২০২১ সালের জন্য ছয়টি অন্যদের হস্তান্তর করেছেন।
অনুষ্ঠানে ‘শিশুদের বিকাশ ও নিরাপত্তা’ বিষয়ক একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে ‘আলোর ফুল (আলোর ফুল)’ শিরোনামের একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা নেছা ইন্দিরা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী এনাম এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত
জেলা প্রশাসকদের দুর্নীতি থেকে দূরে থাকতে ও জনগণের সেবা করতে বলেছেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত
নবনিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন। সোমবার চীনের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী এবং বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীনের সহযোগিতার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
করোনা মোকাবিলায় চীন সরকারকে সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি হামিদ।
আরও পড়ুন: সম্পর্ককে আরও গভীর করতে অপশক্তিকে পরাজিত করবে ঢাকা-নয়াদিল্লি: শাহরিয়ার
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মর্যাদার সঙ্গে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারে সে বিষয়ে চীন জোরালো ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা করেন।
সাক্ষাৎকালে চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত তার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৯ সালের পরেও জিএসপি+ সুবিধায় ফ্রান্সের সমর্থনের আশা বাংলাদেশের
২০২২ সালে রেকর্ড ৫ হাজার ৮৯১ বাংলাদেশি কর্মী দ.কোরিয়ায় গেছেন
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে ৫ জানুয়ারি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের ২১ তম অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
সোমবার সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের ধারা (১) অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তাকে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে ২০২৩ সালের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে ৫ জানুয়ারি বিকাল ৪টায়।
সংবিধানের ৭৩ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে নতুন বছরে প্রথম সংসদ অধিবেশনে ভাষণ দিতে হয়। পরে, অধিবেশন চলাকালীন হাউসে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর একটি ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর বর্তমান সংসদের ২০তম অধিবেশন ৬টি বৈঠকের পর স্থগিত করা হয়।
সুতরাং, ৫৯ দিনের অবকাশের পরে সংসদ অধিবেশনে বসতে যাচ্ছে।
সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী চক্রান্ত রোধ করুন: রাষ্ট্রপতি
সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী যেকোনো কর্মকাণ্ড ও চক্রান্ত প্রতিরোধে জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের চর্চা ও মূল্যবোধের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে সংবিধানের কার্যকারিতা ও মর্যাদাও বাড়বে।
শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশের সংবিধান বাস্তবায়ন ও সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতুতে রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি বলেন, ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দলের স্বার্থে সংবিধানকে কাজে লাগানো কখনোই ভালো উদাহরণ হতে পারে না।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টকে ‘সংবিধানের অভিভাবক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধানের পবিত্রতা ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে বিচার বিভাগ ও আইনজীবীদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
হামিদ বলেন, জাতির পিতা সংবিধানে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন, যেখানে সুপ্রিম কোর্ট এবং অধস্তন আদালত তাদের নিজ নিজ এখতিয়ার ও সীমার মধ্যে আইন অনুযায়ী স্বাধীনভাবে বিচারিক কাজ পরিচালনা করবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট যাত্রা শুরু করলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ নিশ্চিত হয়।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রশংসা করেন কারণ এটি মানবাধিকার রক্ষা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি শান্তি ও সংকটের সময়ে সংবিধানের অভিভাবক ও রক্ষক হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
‘পঞ্চাশ বছর (১৯৭২ থেকে ২০২২), সাহিত্য ও উত্তরাধিকার, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট’ শীর্ষক একটি প্রকাশনা চালু করা হয় এবং সংবিধানের ইতিহাসের ওপর একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।
উদ্বোধনী বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এবং আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শ্রীলঙ্কার প্রধান বিচারপতি জয়ন্ত জয়সুরিয়া।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আরও পড়ুন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজস্ব পরিচয় তৈরি করুন: এনডিসি স্নাতকদের রাষ্ট্রপতি
কিছু উপাচার্য ও শিক্ষকের কর্মকাণ্ডে সমাজে তাদের প্রতি সম্মান ক্রমশ কমছে: ঢাবি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি
কিছু উপাচার্য ও শিক্ষকের কর্মকাণ্ডে সমাজে তাদের প্রতি সম্মান ক্রমশ কমছে: ঢাবি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, কিছু উপাচার্য ও শিক্ষকের কর্মকাণ্ডে সমাজে তাদের প্রতি সম্মান ক্রমশ কমছে।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের সম্মান নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মাঠে ৫৩তম সমাবর্তনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এই জমকালো অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং নোবেল বিজয়ী ফরাসি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জিন তিরোলে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জার্মানির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন রাষ্ট্রপতি
এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পত্রিকা খুললে মনে হয়, কিছু উপাচার্যের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে পরিবারের সদস্য ও অনুগতদের চাকরি দেয়া এবং বিভিন্নভাবে প্রশাসনিক ও আর্থিক সুবিধা নেয়া।’
গুটিকয়েক অসাধু লোকের কর্মকাণ্ডের কারণে সমগ্র শিক্ষক সমাজের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা যাবে না উল্লেখ করে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখভালের ওপর জোর দেন তিনি।
আবদুল হামিদ বলেন যে অনেক শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিকে ঐচ্ছিক দায়িত্ব মনে করেন, কারণ তারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন কোর্স বা ক্লাস নিতে পছন্দ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষকরা সমাজে নেতৃত্বদানকারী ও সম্মানিত ব্যক্তি হওয়ায় তারা পেশার প্রতি দায়িত্বশীল হবেন এটাই সবার প্রত্যাশা।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই ভাইস-চ্যান্সেলরের নেতৃত্বে ও ছাত্র-শিক্ষকদের সহযোগিতায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও একাডেমিক শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠুক।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষকসহ যেকোনো নিয়োগে মেধা ও যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিতে হবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ৫৩তম পুরস্কারপ্রাপ্ত হিসেবে অধ্যাপক জিন তিরোলেকে ডক্টর অব লজ (সম্মানসূচক) ডিগ্রি প্রদান করা হয়। অধ্যাপক জিনের মাইক্রোইকোনমিক্স, গেম থিওরি ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্গানাইজেশনসহ অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী যারা সমাবর্তনের জন্য নিবন্ধন করেছেন তাদের ও আমন্ত্রিতদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার অনুমতি দেয়া হয়।
সমাবর্তনে মোট ৩০ হাজার ৩৪৮ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেন, যাদের মধ্যে ২২ হাজার ২৮৭ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং সাত হাজার ৭৯৬ জন অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থী।
গবেষণা ও একাডেমিকে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের মোট ১৫৩টি স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। এছাড়া ৯৭ জন ডক্টর অব ফিলোসফি (পিএইচডি) ডিগ্রি ও ৩৫ জন এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমাবর্তনে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: দ. কোরিয়ায় পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় রাষ্ট্রপতির শোক
প্রেস সচিবের ভাইয়ের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিনের ভাই হারুন রশিদের অকাল মৃত্যুতে শনিবার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
এদিন সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হারুন রশিদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
কিশোরগঞ্জে উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের মিঠামইন সেনানিবাসের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেছেন।
জেলার মিঠামইন উপজেলার প্রকল্প এলাকায় রাষ্ট্রপতির আগমনে ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চীফ (ই-এন-সি) মেজর জেনারেল মো. জুবায়ের সালেহীনসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।
পরে নির্মাণকাজ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়। সেখানে বটের চারা রোপণ করেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হামিদ ২৭৫ একর সেনানিবাস এলাকা এবং এর সংলগ্ন আব্দুল হামিদ পল্লী প্রত্যক্ষ করেন।
আরও পড়ুন:ফজলে রাব্বির মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের শোক
এর আগে রাষ্ট্রপতি তার পৈত্রিক বাসভবনের সামনে ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ফাউন্ডেশন’ নির্মাণের কাজ পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্যরা হলেন- আফজাল হোসেন ও রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান, মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রাষ্ট্রপতির বোন আছিয়া আলম, রাষ্ট্রপতির সম্পাদক সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সেক্রেটারি মো. জয়নাল আবেদীন, সেক্রেটারি (এমপি) মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি তার নিজ জেলায় চলমান কিছু উন্নয়ন প্রকল্প প্রত্যক্ষ করতে এবং স্থানীয় প্রতিনিধি ও পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে চারদিনের সফরে গত ২২ আগস্ট কিশোরগঞ্জে যান। বৃহস্পতিবার তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ৭৯তম জন্মদিন উদযাপিত
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ফজলে রাব্বির মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের শোক
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শনিবার শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, সংসদ পরিচালনায় মরহুম ফজলে রাব্বী মিয়ার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
রাষ্ট্রপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
পদ্মা সেতু আত্মনির্ভরশীলতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে শুক্রবার এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক পদ্মা সেতু উদ্বোধন হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি শুভেচ্ছা জানাই।’
তিনি বলেন, একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধনে ১০০ টাকার স্মারক নোট ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
তিনি বলেন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও কর্ণফুলী টানেলসহ অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। আজ উত্তাল পদ্মার (নদীর) বুকে জাতির গৌরবের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে পদ্মা সেতু।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংশা করেছেন। কেননা এসব অর্জনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অগ্রভাগ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা।
আবদুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাহসিকতা, বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
‘এই সেতুর বাস্তবায়ন আমাদের সম্পদ ব্যবস্থাপনা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও দক্ষতার প্রতীক হিসেবে বিশ্বজুড়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস দিয়েছে।
সেতুটি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
পদ্মা সেতুর মতো দেশের সব মেগা প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন কামনা করেন তিনি।