অভিযোগ
সিলেটে বাবাকে খুনের অভিযোগে ছেলে আটক
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় পারিবারিক কলহের জেরে বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার মোগলাবাজার থানার সিলাম ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত তপন মিয়া রুস্তমপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দোকান কর্মচারীর হাতে আরেক কর্মচারী খুনের অভিযোগ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কহলের জেরে ছেলে আনছার মিয়া তার বাবা তপন মিয়াকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন। পরে আশপাশের লোকজন এসে ছেলেকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে তাকে আটক করে।
মোগলাবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুকুল আহমদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এছাড়া ঘাতক ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে।
তিনি আরও জানান, এবিষয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি। মামলা দায়েরের পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পাবনায় ১ হাজার টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
সিলেটে প্রবাসী যুবক খুন!
আরএনবির ২ সদস্যকে মারধরের অভিযোগ র্যাবের বিরুদ্ধে
নাটোর রেলস্টেশনে টিকিট চেক করাকে কেন্দ্র করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও র্যাবের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরএনবির দুই সদস্যকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে র্যাবের বিরুদ্ধে।
নাটোর স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, ট্রেনের যাত্রী সাদা পোশাকে থাকা র্যাব সদস্য আল মামুনের কাছে আরএনবি সদস্যরা টিকিট দেখতে চাইলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আরএনবি সদস্যরা ওই যাত্রীকে টেনেহিঁচড়ে তাদের অফিস কক্ষে আটকে রাখে।
আরও পড়ুন: জবি ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগে হল থেকে বহিষ্কার আরেক শিক্ষার্থী
পরে ওই যাত্রী র্যাবকে জানালে নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা রেল স্টেশনে গিয়ে ওই র্যাব সদস্যকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে মুক্তার হোসেন ও জিয়া নামে আরএনবির দুই সদস্যকে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
নাটোর সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শাফায়াত জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাকি পোশাক পরা দুই ব্যক্তিকে তার কাছে নিয়ে এসেছিল র্যাব সদস্যরা। ওই দুই ব্যক্তি তাদের শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা বলে জানিয়েছেন। খুব দ্রুত র্যাব সদস্যরা তাদের নিয়ে চলে যান।
রেলওয়ে পাকশির বিভাগীয় ম্যানেজার শাহ সুফি নুর মোহম্মদ বলেন, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যকে নাটোর র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে চোখ বেঁধে পেটানো হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে যাত্রীকে মারধরের অভিযোগ দিয়ে সান্তাহার জিআরপি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তাকে না জানিয়ে ডিউটিতে থাকা দুইজন সরকারি কর্মচারীকে এভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
র্যাব তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে বলেও দাবি করেন বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার শাহ সুফি নূর মোহম্মদ।
আরও পড়ুন: যশোরে ভাই ও মা-বাবার মারধরে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ
পাবনায় ১ হাজার টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
পাবনায় মাত্র এক হাজার টাকার জন্য বন্ধুকে খুনের অভিযোগে আব্দুস সামাদ ওরফে সম্রাট নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ আলম।
এর আগে শনিবার (১৬ মার্চ) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক ৬
নিহত আজাদ পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে এবং গ্রেপ্তার আব্দুস সামাদ ওরফে সম্রাট একইগ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, গত ১১ মার্চ সাড়ে ৭টায় আজাদ তার মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আজাদের লাশ দাপুনিয়া ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের মোশাররফ চেয়ারম্যানের খামারের পাশে লিচু বাগানে পাওয়া যায়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল হাকিম বাদি হয়ে ১২ মার্চ বিকালে পাবনা সদর থানায় নিখোঁজ জিডি করেন।
তদন্তের পর অভিযুক্ত আব্দুস সামাদ ওরফে সম্রাটকে শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আজাদ হত্যার কথা স্বীকার করেন সম্রাট।
সম্রাট জানান, সম্রাটের কাছ থেকে এক হাজার টাকা পেতেন আজাদ। টাকা চাওয়ার পর থেকেই তাদের দন্দ্ব। তারই জের ধরে আজাদকে হত্যা করেন সম্রাট।
এ ঘটনায় হত্যার দায় স্বীকার করে শনিবার বিকেলে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন সম্রাট। পরে তাকে সদর থানার মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
মোবাইল চুরির অপবাদে অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুভাষ দাশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাতে ফতেপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তালা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে ভুক্তভোগী শিশুর পিতা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে, পুলিশ তদন্ত শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, ৩ জন গ্রেপ্তার
জানা গেছে, ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুভাষ কুমার দাশ গত ৭ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে চতুর্থ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষে ডেকে নিয়ে তার হাত-পা টিপেয়ে নেন।
একপর্যায়ে কক্ষে আর কেউ না থাকার সুযোগে তিনি ওই ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপিড়ন করেন। ঘটনার পর শিশুটি ভীতসন্ত্রস্ত্রভাবে বাড়িতে এসে অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে।
এঘটনায় সন্দেহের একপর্যায়ে শিশুটির মায়ের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাটি ফাঁস হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ দেন শিশুটির পিতা। কিন্তু প্রধান শিক্ষক কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরবর্তীতে শিশুটির পিতা তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও তালা থানাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) এম. এম. সেলিম জানান, শিশুটিকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগ পাবার পর ঘটনার তদন্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর সংশোধিত ২০০৩ এর ১০ ধারায় মামলা (১০/২০২৪) রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরের নেতৃত্বে শুক্রবার দিবাগত রাতে ফতেপুর গ্রামের বাড়ি থেকে শিক্ষক সুভাষ দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক শিক্ষককে শনিবার সকালে সাতক্ষীরা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইষ্টম কুমার দাশ জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার আগেই শিক্ষক সুভাষ কুমার দাশকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ১০ জেলে গ্রেপ্তার
মোবাইল চুরির অপবাদে অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ: অপূর্বর পাশে সহকর্মীরা
অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বের দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ার। এই সময় এসেও টেলিভিশন নাটকের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
আর ওটিটিতে তাকে দেখা গেছে ভিন্ন এক রূপে। তার অভিনয় মুন্সিয়ানার প্রমাণ তিনি এখানে আরও তীব্রভাবে দিয়েছেন।
আর এমন সময় তাকে ঘিরে চুক্তি ভঙ্গ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেড (আলফা আই)।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে অস্কার পুরস্কার পেলেন যারা
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২৪টি নাটকের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন অপূর্ব। ৫০ লাখ টাকার চুক্তি অনুযায়ী ৩৩ লাখ টাকা নিয়েছেন এই তারকা।
তবে নাটক শেষ করেছেন মাত্র ৯টি। পরে আলফা আই তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও তা পারেনি।
স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনায় সবার প্রত্যাশা অপূর্ব কী বললেন। তবে তিনি বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে চাচ্ছেন না।
গণমাধ্যমে তার বক্তব্য, ‘বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় চলে গেছে এবং আমার সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ বিষয়টি দেখছে। পাশাপাশি টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপাব)ও বিষয়টি জানে। তারা যা বলার বলবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘একই সঙ্গে আমার আইনজীবী কথা বলবেন। যেহেতু আইনি প্রক্রিয়ায় আমি এগোচ্ছি, তাই এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য বা কথাবার্তা এ মুহূর্তে বলতে চাই না। এসব আমি কথা বললে আইনি প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আমার আইনজীবী জানিয়েছেন। তাই যা বলার তারাই বলবেন।’
অপূর্বের এমন অপ্রীতিকর ঘটনায় পাশে দাঁড়িয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকে। পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী ফেসবুকে পোস্টে অপূর্ব প্রসঙ্গে লেখেন।
তার কিছু অংশ হলো, ‘কাউকে ছোট করে, অসম্মানিত করে কেউ কখনই বড় হতেই পারে না কোনোদিন। ফেইসবুকে প্রকাশ্যে তো অবশ্যই নয়। আর ফেইসবুক কখনই আদালত না যে এইখানেই সবকথা বলতে হবে, বিশেষ করে নেগেটিভ কথা। প্রহেলিকার মতো বলতেই চাই, চোখে যা দেখা যায় তা আসলে দেখা যায় না।’
আরও লেখেন, ‘আর ইন্ড্রাস্ট্রি কখনোই একা একা এগোয় না। সব্বাইকে নিয়েই সামনে এগোয়। আর অপূর্বর ১৬/১৭ বছরের ক্যারিয়ার টানা ধরে রাখাও এমনি এমনি হয়নি। পাশাপাশি এও বলতে চাই, আমার খারাপ সময়ে বা দুঃসময়ে কে আমার পাশে থাকল না, তা আমি মাথায় রাখি না কখনই। বরং আমার প্রিয়জনদের জন্যে শুভ কামনা আমার মন থেকে সবসময় আসে।’
অভিনেতা খালেদ মাহমুদ ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘অপূর্ব ভাইকে ভালোবাসি। অপূর্ব ভাই সুপারস্টার ছিলেন, সুপারস্টার আছেন এবং সুপারস্টার থাকবেন। সব ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে রাজার মতো ফিরবেন প্রিয় অপূর্ব ভাই।’
পরিচালক জাকারিয়া সৌখিন লেখেন, ‘অপূর্বর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সত্যি বলতে, অপূর্বকে আমরা খুব ভালো চিনি। এই কাজ ওকে দিয়ে কোনোভাবেই সম্ভব না। তাই অভিযোগটি অগ্রহণযোগ্য এবং অবিশ্বাস্য! অপূর্ব, তুমি একা নও। আমরা তোমার পাশে আছি।’
আরও পড়ুন: বুয়েট ছেড়ে শান্তিনিকেতনে পাড়ি দেন সাদি মহম্মদ
নীরবে চলে গেলেন সাদি মহম্মদ
পরিবেশসংক্রান্ত অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ মন্ত্রীর
জাতীয় হটলাইন নম্বর ৩৩৩-৪ এ প্রাপ্ত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ও সংস্থা সংশ্লিষ্ট অভিযোগসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সিস্টেম উন্নতকরণ, নিয়মিত মনিটরিং সহ প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির পরে অভিযোগকারী সন্তুষ্ট কি না- তা নিয়মিতভাবে মূল্যায়নের সুযোগ রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সোমবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্মার্ট মন্ত্রণালয় বিনির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশ দূষণ ও বনসংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর জন্য জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩-এ কল করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা সফটওয়্যারে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের সঙ্গে কাস্টমাইজ করে ব্যবহার হবে।
তিনি আরও বলেন, মার্চ মাসের মধ্যেই ৩৩৩-৪ এ পরিবেশসংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির কার্যক্রম পুরোপুরি চালু করতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণের সহজে ব্যবহারের জন্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট নতুন কাঠামোতে তৈরি করতে হবে।
সভায় ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) লুবনা ইয়াসমিন, যুগ্মসচিব (পরিবেশ) মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, যুগ্মসচিব (বন) শাহানারা বেগম, বন অধিদপ্তরের বন সংরক্ষক (প্রশাসন) আব্দুল আউয়াল সরকার।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার মধ্যে জেলেদের খাদ্য সহায়তা বাড়ানোর দাবি সমাজকল্যাণমন্ত্রীর
মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে: কৃষিমন্ত্রী
দেবহাটায় মাদরাসা ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরার দেবহাটার পারুলিয়ায় হাফেজা সাইমা খাতুন নামের এক মাদরাসা ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামী তানজিম আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত হাফেজা সাইমা খাতুন (১৮) সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌখালী গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের ৩৭ সদস্য গ্রেপ্তার
নিহতের মা রাবেয়া খাতুন জানান, গত ৫ মাস আগে তার মেয়েকে ওই মাদরাসার পরিচালক মুফতি আব্দুস সবুর তার ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয় তাদের। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পরে ছেলের বাবা ফোন করে তাদের মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি জানান।
মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে ডায়রিয়া রোগে মারা গেছে বলে তারা জানায়। তখন তারা রাতেই ছেলের বাড়িতে চলে আসে এবং মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাদের সন্দেহ হয়।
তার আগে স্থানীয় একজন জাতীয় সেবা ৯৯৯- এ কল দেওয়ায় দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ও ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং তার স্বামী তানজিমকে গ্রেপ্তার করে।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ মাহমুদ হোসেন জানান, স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে তিনি জানান।
ওসি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মা রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ আইনজীবী গ্রেপ্তার: ডিবি
সিলেটে ২০২ বস্তা ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
গাজীপুরে বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মেয়েকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার হরিণহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত ইয়াসমিন আক্তার বৃষ্টি (১৪) গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার শিবপুর কানিপাড়া গ্রামের বুলু মন্ডলের মেয়ে ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বুলু মন্ডল দীর্ঘদিন আগে জীবিকার তাগিদে গাইবান্ধা জেলা থেকে কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তার শ্বশুর (চাঁন মিয়া) বাড়ি চলে আসেন।
স্ত্রীর সঙ্গে বুলু মন্ডলের ঝগড়া লেগেই থাকতো। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার বিকালে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার তার বাবাকে ঝগড়া করতে নিষেধ করলে এক পর্যায়ে মেয়ের কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে গলায় কোপ দেয়।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে কিশোরকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
এতে গুরুতর আহত অবস্থায় বৃষ্টি উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে গিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
কালিয়াকৈর থানা পুলিশ খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স থেকে লাশটি উদ্ধার করে। মেয়েকে গলাকেটে হত্যার পর বুলু মন্ডল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে নিজে শরীরে আঘাত করলে মাটিতে লুটে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) মনিরুজ্জামান জানান, লাশ ময়নাতদন্ত করাতে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে তরুণকে গলা কেটে হত্যা
চাঁদপুরে প্রবাসীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার
বগুড়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ
বগুড়ার আদমদীঘিতে স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর অভিযোগ বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের চা বাগান মহল্লায় তাকে কুপিয়ে যখম করা হয়।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটের হত্যা মামলায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নিহত রাজিয়া সুলতানা চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমাস্তাপুর উপজেলার স্রীকান্দ গ্রামের বদিউজ্জামানের স্ত্রী ও বর্তমান সান্তাহার চা বাগান মহল্লায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বকুল হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে স্বামী বদিউজ্জামানের সঙ্গে রাজিয়া সুলতানার মনমালিন্য হয়। একপর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে তরকারি কাটা বটি দিয়ে স্ত্রীর শরীর বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
এসময় স্ত্রী চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে বদিউজ্জামান পালিয়ে যান। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাজিয়া সুলতানাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তিনি মারা যান।
আদমদীঘি থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, ঘটনার পর তার স্বামী পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ছাত্রীদের উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যা
পিছিয়েছে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা
ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও দীর্ঘদিন ধরে মানসিক নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করেছেন এক শিক্ষার্থী।
অভিযোগের সময়কে 'অদ্ভুত' বলে প্রশ্ন তুলেছেন অধ্যাপক নাদির। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেওয়া এই অধ্যাপক জানান, শনিবার বিকাল পর্যন্ত ঢাবি কর্তৃপক্ষ তার কাছে অভিযোগটি জানায়নি।
প্রক্টর মো. মাকসুদুর রহমানের কাছে দাখিল করা অভিযোগে প্রেমের প্রস্তাব গ্রহণ না করায় তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া, সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে তাকে পর্যবেক্ষণ করা, সময়ে অসময়ে ফোন করা, যৌন ইঙ্গিত দেওয়াসহ নানা অভিযোগ আনেন ওই ছাত্রী।
অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘তিনি আমার শারীরিক গঠন নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করতেন এবং যৌন উত্তেজনা প্রকাশ করতেন। একই সঙ্গে তিনি আমাকে যৌন প্রকৃতির ফোনালাপে অংশ নিতে প্ররোচিত করতেন।’
শিক্ষার্থী লিখেছেন, এই সময়ে, অনুষদ বিভাগের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক বিষয়ে- বিভাগের কমিটির সিদ্ধান্ত, পরীক্ষার ফলাফল এমনকি শিক্ষকদের আচরণ সম্পর্কেও তার সঙ্গে কথা বলেছেন।
শিক্ষার্থী লিখেছেন, তিনি তার রোমান্টিক আলাপ-আলোচনা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অধ্যাপক নাদির বিভাগে ব্যাপক ক্ষমতাধর হওয়ায় ভয়ে তিনি পুরোপুরি যোগাযোগ বন্ধ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাবি ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা
তিনি বলেন, ‘গত দেড় বছর ধরে আমি প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করেছি। দুর্ভাগ্যবশত, এই যন্ত্রণা সরাসরি তার কাছে প্রকাশ করা আমার পক্ষে চ্যালেঞ্জিং বলে মনে হয়েছিল। মানসিক চাপের তীব্রতা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, আমি ঘুমাতে পারতাম না, রাতে অনিদ্রায় ভুগতাম। পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমি গত বছরের শুরুতে কাউন্সেলিং নিয়েছিলাম এবং দুঃখজনকভাবে ঘুমের ওষুধের আশ্রয় নিতে হয়েছিল।’
ওই ছাত্রী আরও লিখেছেন, তিনি সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করার চেষ্টা করলে অধ্যাপক নাদির শ্রেণিকক্ষে প্রকাশ্যে তাকে তিরস্কার করেন।
শিক্ষার্থী অভিযোগে লিখেছেন, “তিনি বারবার বলেন যে, আমি 'স্বাভাবিক' নই এবং আমার চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া উচিত। তার চাপ ক্রমাগত বাড়ছিল। তিনি আমার অনুভূতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। বারবার জিজ্ঞাসা করলেন কেন আমি তার রোমান্টিক আলাপে সাড়া দিই না। এটি মৌখিক নির্যাতনে পরিণত হয়েছিল। তিনি আমাকে 'নির্বোধ' বলে তিরস্কার করেছিলেন এবং আমাকে 'অনুভূতিহীন' বলতে থাকেন।
তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি অবিরাম যৌন হয়রানি সহ্য করেছি, তার কর্তৃত্বের অবস্থানের কারণে নিজেকে দুর্বল মনে করেছি।
এ বিষয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করে ওই শিক্ষার্থী বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছি। এটিকে আমি কেবল ব্যক্তিগত আগ্রাসন হিসেবে বর্ণনা করতে পারি।’
শিক্ষার্থীদের বারবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার না করার পরামর্শ দিলেও শিক্ষক অন্যের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আলোচনার ওপর ব্যাপক নজরদারি চালান। এতে বিভাগে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে বলেও মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্র ইউনিয়নের ৪ নেতা-কর্মী আহত
তিনি আরও লিখেছেন,‘১৬তম ব্যাচের একটি ক্লাস চলাকালীন তিনি তাদের ফেসবুক পোস্ট যাচাই-বাছাই করার বার্তা দিয়েছিলেন। এটি আমাদের বিভাগের মধ্যে ভয়ের সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে যা সহপাঠীদের মধ্যে স্ব-সেন্সরশিপকাজ করত। আমি এমন একজন শিক্ষকের দ্বারা কোণঠাসা বোধ করেছি যিনি ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছেন বলে মনে হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই জাতীয় আচরণের সম্ভাব্য ধারাবাহিকতা সম্পর্কে উদ্বেগ রয়েছে আমার।’
অধ্যাপক অন্যান্য নারী শিক্ষার্থীদের নাম উল্লেখ করতেন এবং তাদের শারীরিক গঠন সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করতেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ওই শিক্ষার্থী।
তিনি লেখেন, 'আমি বহুবার জেনেছি যে আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে তিনি এমন প্রস্তাব দিয়েছেন।’
লিখিত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান ওই শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরেই শুনে আসছি এ ধরনের অভিযোগ উঠতে পারে, এই সময় খুবই অদ্ভুত।’
কিছু স্ক্রিনশট ও অডিও রেকর্ডিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি, তাই এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির নতুন প্রো-ভিসি শিক্ষা অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার