তথ্যমন্ত্রী
বাংলা ও অসমীয়া সংস্কৃতির যোগসূত্র গড়বে চলচ্চিত্র: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, চলচ্চিত্র বাংলা ও অসমীয়া সংস্কৃতির যোগসূত্র গড়বে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবটি এর একটি মাইলফলক।
ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম সফররত তথ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আসামের গুয়াহাটিতে হোটেল ভিভান্ত মিলনায়তনে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী এ উৎসব উদ্বোধনে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে যোগ দেন আসামের পরিবেশ, বন ও মৎস্যবিষয়ক মন্ত্রী পরিমল শুক্লাবৈদ্য। আসামের মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী রিংকি শর্মা ভুঁইয়া বিশেষ আলোচকের বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ আসামবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের আসাম আর বাংলাদেশের মানুষের ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনেক মিল রয়েছে। আমাদের পোশাকেরও মিল রয়েছে। আমরা একই পাখির কলতান শুনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের যৌথ উদ্যোগে নিশ্চয়ই দুই দেশের মানুষের বন্ধুত্ব আরও নিবিড় হবে, ব্যাবসা-বাণিজ্যসহ সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলেও আমাদের যোগাযোগ আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রীর বন্ধন রক্তের অক্ষরে লেখা: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী হাছান বলেন, একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি সাত বছরের শিশু। একাত্তরের অনেক স্মৃতি আমাকে আবেগতাড়িত করে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামে ভারতের আন্তরিক সহযোগিতা, ভারতের সেনাবাহিনীর ভূমিকা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস জুগিয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে লেখা যা কখনো ভুলবো না।
‘আমরা ভারতীয় হতে পারি, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নামটা মনে গেঁথে আছে’
আসামের পরিবেশমন্ত্রী পরিমল শুক্লাবৈদ্য বলেন, পৃথিবীর মধ্যে একটি বিখ্যাত নাম শেখ মুজিবুর রহমান যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্র স্বাধীনতা পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি ভারতের নাগরিক হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে আমার ঠাকুরমার সম্পর্ক। আমার পূর্ব পুরুষরা একজন বিশ্ব নন্দিত সংগ্রামী নেতা পেয়েছিলেন যার নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা ভারতীয় নাগরিক হতে পারি, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নামটা আমাদের মনের মধ্যে গেঁথে আছে।’
সমাজ গবেষক রিংকী শর্মা ভুঁইয়া বলেন, গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ যেহেতু প্রতিবেশী বাংলাদেশ এবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করছে।
বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রীর বন্ধন রক্তের অক্ষরে লেখা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের মৈত্রীর বন্ধন রক্তের অক্ষরে লেখা। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের ঐতিহাসিক অবদান বাংলাদেশ কখনো ভুলবে না এবং তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে।
বুধবার সকালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় ‘দ্বিতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ওয়ান ইলেভেনের কুশিলবরা আবার সরব হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
এসময় তথ্যমন্ত্রী ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক এখন অনন্য উচ্চতায়' বলে উল্লেখ করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন আয়োজিত এ উৎসব উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দে। এ সময় ত্রিপুরার তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সম্মানীয় অতিথি, বাংলাদেশের মমতাজ বেগম এমপি, সাইমুম সারওয়ার কমল এমপি, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন, ভারতে বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনার নুরাল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
সফরসঙ্গী চিত্রতারকা ফেরদৌস, অপু বিশ্বাস ও সংগীতশিল্পী ফকির শাহাবুদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুযোগ পেলে হাজার জায়গায় বোমা ফাটাবে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির হুমকি শুনে মানুষ হাস্যরস করে: তথ্যমন্ত্রী
ওয়ান ইলেভেনের কুশিলবরা আবার সরব হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
যারা ওয়ান ইলেভেনের কুশিলব তারা আবার সরব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।তিনি বলেছেন, নির্বাচন এগিয়ে আসছে তাই বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে, গুজব রটানো হচ্ছে। এমনকী দুর্নীতির অভিযোগ আনা হচ্ছে। যারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন তারা চারিদিকে দুর্নীতি ছাড়া কিছুই দেখতে পায় না।
রবিবার দুপুরে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সুযোগ পেলে হাজার জায়গায় বোমা ফাটাবে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সার্চ কমিটি নিয়েও সমালোচনা করেছে বিএনপি। দেশের গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদেরও তারা আওয়ামী লীগ বানিয়ে দিচ্ছে।
এই সময় তিনি সকল বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান ও খায়রুজ্জামান লিটন,কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা।
সুযোগ পেলে হাজার জায়গায় বোমা ফাটাবে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সুযোগ পেলে বিএনপি আবার হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবন খুলবে, পাঁচশ' নয় হাজার জায়গায় বোমা ফাটাবে। কিন্তু জনগণ তাদের সেই সুযোগ দেবে না।তিনি বলেন, 'রিজভী সাহেব বলেছেন- আমাদের নাকি বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। নয়া পল্টনে বসে গত ১২ বৎসর ধরে আমাদের বিদায় ঘণ্টা বাজাচ্ছেন। তারা যত ঘণ্টা বাজায় ততো আমাদের ভোট বাড়ছে। আমাদের নয়, আসলে তাদের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে।'শনিবার দুপুরে পাবনায় পুলিশ লাইন মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই সার্চ কমিটি ও সংলাপকে অবজ্ঞা করছে: তথ্যমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি সুযোগ পেলে এখন যারা গ্রামে গ্রামে ভাতা পাচ্ছে সেটা বন্ধ হয়ে যাবে, ওএমএস এর চাল বন্ধ হয়ে যাবে, যারা ঘর পাচ্ছে সেই ঘর বিএনপির গুন্ডাপান্ডারা দখল করে নেবে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর ছয় হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক দখল করে নিয়েছিল। আবার তারেক জিয়া আসবে, সব ব্যবসা থেকে চাঁদা তুলবে। আবার শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাইয়ের সৃষ্টি হবে।বিএনপি-জামাতের কোন রাজনীতি নেই, করোনাকালে বিএনপি নেতাদেরকে মানুষের পাশে দেখা যায় নি উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি আওয়ামী লীগের ভুল ধরা আর বেগম জিয়ার তাপমাত্রা আর ব্যথা নিয়ে। তাকে আলোচনায় রাখার জন্য কানাডার একনেতা অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। এই হলো তাদের রাজনীতি।অপরদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা দেশব্যাপী ত্রাণ ও করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী দিয়েছেন। পাঁচ জন আওয়ামী লীগ নেতা করোনায় সেবা দিতে গিয়ে মারা গেছেন বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তন এসেছে, শতভাগ বিদুৎ মানুষ পাচ্ছে, তিন কোটি মানুষ ভাতা পাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে ষাটোর্ধব সবার জন্য পেনশন স্কিম চালু করছেন, এসব মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির নাম জমা না দিলেও দেশের মানুষের কোনো যায় আসে না: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির নাম জমা না দিলেও দেশের মানুষের কোনো যায় আসে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যে নির্বাচন কমিশন গঠন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, আশেপাশের কোন দেশে এভাবে অংশগ্রহণমূলক ভাবে উদ্যোগ নেয়া হয় নাই। যেখানে ৩০০ মানুষের বেশি নাম জমা পড়েছে। সেখানে বিএনপির ঘরে বসে থাকলেও কোন লাভ নেই। নাম জমা না দিলেও কোনো যায় আসে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর জিলা স্কুল মাঠে নওগাঁ পৌর-আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি সরাসরি নাম জমা না দিয়ে গোপনে অন্যদের মাধ্যমে নাম জমা দিয়েছে এবং তাদের বুদ্ধিজীবীরা সেখানে গিয়েছে। দেশের মানুষ বলছেন তারা যে নামগুলো দিয়েছেন আসলে সেগুলো বিএনপির নাম।
হাছান মাহমুদ বলেন, এমন একটি নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে যার মাধ্যমে দেশে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে নির্বাচনে জনগণের মতামত প্রতিফলিত হবে। তাই বিএনপিকে অনুরোধ জানাব এই ভাবে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কোন লাভ হবে না। আপনারা সরাসরি নাম না দিয়ে এখন আসামির কাঠগড়ায় দাড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাহায্য বন্ধের চিঠি লেখায় মির্জা ফখরুলের বিচার হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। বিএনপি কখনোই খুশি হবে না। ফেরেশতা বসিয়ে কমিশন গঠন করা হলেও তারা মানবে না।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সমাজের সকল স্তরের মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যখন সবাই গিয়ে সার্চ কমিটির সঙ্গে দেখা করলো, সবাই নাম জমা দিলো; বিএনপি তখন এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত না হয়ে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলনে আমরা আসামির জবানবন্দি শুনেছি। সারা দেশের রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ সার্চ কমিটিতে নাম জমা দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি আজকে আসামির কাঠগড়ায়। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করার প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করার চেষ্টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে।’
সার্চ কমিটির মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন গঠন হবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সার্চ কমিটিতে নির্বাচন কমিশনের জন্য ৩০০ এর অধিক নাম জমা পড়েছে। যারা সার্চ কমিটিতে আছেন তাঁরা এমন একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন যে কমিশন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। যে নির্বাচন কমিশন আগামীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবেন এবং জনগণের রায়ে আওয়ামী লীগই আবারও ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি কখনই খুশি হবে না। জয়ের নিশ্চিয়তা না দিলে ফেরেশতা বসিয়ে কমিশন গঠন করলেও বিএনপি খুশি হবে না। স্বয়ং আল্লাহ পাক যদি ফেরেশতা পাঠিয়ে কমিশন গঠন করে দেন তখন বিএনপি সেই ফেরেশতাদের সঙ্গে কথা বলবেন, আমরা জয়লাভ করব সেই নিশ্চিয়তা দিতে পারবেন কিনা? যদি ফেরেশতা তারা জয়লাভ করবে সেই নিশ্চিয়তা দিতে পারে তখন কেবল বিএনপি সেই কমিশন মানবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির হুমকি শুনে মানুষ হাস্যরস করে: তথ্যমন্ত্রী
পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বসানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে সম্মেলনে উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সব সময় সুদিন থাকবে সেটি মাথায় রাখবে না। সব সময় একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকবে সেটি মনে করার কোনো সুযোগ নেই। জনগণ যদি আমাদের পক্ষে রায় দেন, আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যারা ক্ষমতার হালুয়া-রুটি নেয়ার জন্য দল করে তাদের নেতৃত্বে আনা যাবে না। যারা পিঠ বাঁচানোর রাজনীতি করে তাদেরকে নেতৃত্বে আনা যাবে না। মূল নেতৃত্বে তাদের হাতেই থাকবে যারা ত্যাগী এবং পরীক্ষিত সৈনিক। যারা জায়গা দখল, যারা মাদকের সাথে যুক্ত, দল ক্ষমতায় গেলে উধ্যত আচরণ করে তাদের নেতৃত্বে আনা সমুচীন নয়। ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়। উধ্যত আচরণ করলে যতই উন্নয়ন করা হোক না কেন মানুষ ভোট দেবে না।’
এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মালেক। সম্মেলনে প্রধন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সদস্য নূরুল ইসলাম, সাংসদ ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, শহীদুজ্জামান সরকার, ছলিম উদ্দিন তরফদার, নিজাম উদ্দিন জলিল, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতায় কর্মীদের স্বস্তি, নেতারা হতাশ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই সার্চ কমিটি ও সংলাপকে অবজ্ঞা করছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই রাষ্ট্রপতি, সার্চ কমিটি এবং সংলাপকে অবজ্ঞা করছে। তাদের এ আচরণ দেশের গণতন্ত্রের জন্য, দেশের জন্য অত্যন্ত হুমকিস্বরূপ।’
তিনি বলেন, 'আসলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ধ্বংস করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া আর ফেরেশতাও যদি তাদেরকে নির্বাচনে জয়লাভের নিশ্চয়তা না দেয় তার আগ পর্যন্ত তারা নির্বাচন মানবে না -এই তাদের উদ্দেশ্য।' বুধবার সকালে রাজধানীতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল মিলনায়তনে ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।সার্চ কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বসে তাদের কাছ থেকে নাম নিয়ে একটি অসাধারণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে, যা দেশের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতাটা সার্চ কমিটির হাতে দিয়েছেন। সার্চ কমিটি সেখান থেকে বাছাই করে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন, যেখান থেকে তিনি পাঁচ জনকে নিয়োগ দেবেন। বিএনপি’র ঘরোনা বুদ্ধিজীবীরাও সার্চ কমিটিকে বলেছেন, বিএনপির আসা প্রয়োজন, কিন্তু বিএনপি শুরু থেকেই পুরো প্রক্রিয়াকেই না করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির হুমকি শুনে মানুষ হাস্যরস করে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সার্চ কমিটি যেভাবে কাজ করছে এজন্য তারা সত্যিকার অর্থেই দেশবাসীর ধন্যবাদ পাওয়ার অধিকার রাখে এবং ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এমনকি কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও এতো অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় না।এর আগে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে ওআইসির সদস্যভূক্ত করেছিলেন। যে কারণে আজকে আমরা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটালের অনুষ্ঠানাদি আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক আগ্রহেই আজ বাংলাদেশ ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশ্বে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। যখন আমাদের যুব ক্রিকেট দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়, আমাদের নারী ক্রিকেট দল এশিয়া কাপ জিতে নেয়, নারী ফুটবল দল ১১ গোলে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয়, এমনকি আমাদের শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ যখন এশীয় অলিম্পিক থেকে পদক নিয়ে আসে তখন আমরা বিশ্ব সংবাদ হই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রীড়ায় উৎকর্ষ সাধনের যে নানা উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিয়েছেন সেজন্যই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।তারুণ্যই শক্তি, তারুণ্যই সমৃদ্ধি এবং তারুণ্যের শক্তি দিয়ে দেশ ও বিশ্বকে আমরা সমৃদ্ধির সোপানে উন্নীত করবো উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ এসময় ঢাকাকে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল হিসেবে নির্বাচিত করায় ওআইসি ইয়ুথ ফোরামকে এবং প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
সভাশেষে অতিথিরা ওআইসি ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ে ১০টি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
আরও পড়ুন: সাহায্য বন্ধের চিঠি লেখায় মির্জা ফখরুলের বিচার হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
ইসি গঠনের সার্চ কমিটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির হুমকি শুনে মানুষ হাস্যরস করে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির হুমকি শুনে মানুষ হাস্যরস করে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি নেতারা ঈদের পরে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাবেন এটা অন্তত ১২ বছর ধরে বলে আসছে। মানুষ তাদের এই হুমকি শুনে হাস্যরস করে।’
শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডে মন্ত্রী তার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ঈদের পর বিএনপি'র আন্দোলন ও গণ-অভূত্থ্যানে সরকারকে বিদায় জানানোর হুমকি প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জনগণ বিএনপির ডাকে সাড়া দেবে না। কারণ যারা গণবিরোধী রাজনীতি করে, জনগণ তাদের পাশে থাকে না।’
আরও পড়ুন: সাহায্য বন্ধের চিঠি লেখায় মির্জা ফখরুলের বিচার হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'বিগত দিনগুলোতে বিএনপি আন্দোলনের যে হুমকি দিয়েছিল, বর্তমানে সেটার ধারাবাহিতা ছাড়া কিছু নয়। খন্দকার মোশারফ সাহেবসহ বিএনপি নেতারা এমন বহু ঈদের পরে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাবেন এটা অন্তত ১২ বছর ধরে বলে আসছে।''আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার এক বছর পর থেকেই এই ঈদের পরে, এই শীতের পরে, এই বর্ষার পরে, পরীক্ষার পরে -এরকম বহু হুমকি আমরা শুনে আসছি এবং খালি কলসি যে বেশি বাজে, তাদের এই হুমকিগুলোও ঠিক সেরকম ছিল'- উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'খন্দকার মোশারফ সাহেবও যে বক্তব্য রেখেছেন, আগামী ঈদের পরে জাতীয় ঐক্য করে, সরকারের পতন ঘটাবেন সেগুলো আগের বক্তব্যের ধারাবাহিকতা ছাড়া আরও অন্য কিছু নয়। মানুষ তাদের এই হুমকি শুনে হাস্যরস করে।'সরকারবিরোধী জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ডান-বাম, অতি বাম, সবার সন্নিবেশ ঘটিয়ে একটা জাতীয় ঐক্যের মতো করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই ঐক্য করে কোন লাভ হয় নি। সেটি একেবারে ফানুসের মত নিভে গেছে। কারণ উন্নয়নের ফলে দেশের মানুষ শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে আছে। জনগণ তাদের (বিএনপি) ডাকে কখনও সাড়া দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতায় কর্মীদের স্বস্তি, নেতারা হতাশ: তথ্যমন্ত্রীবাংলাদেশ গণতন্ত্র সূচকে একধাপ এগিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিমাপে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়েছে। আমি মনে করি, দেশ গণতন্ত্র সূচকে আরও অনেক ধাপ এগুতে পারতো। কারণ গণতন্ত্র সংহত করা শুধুমাত্র সরকারি দলের কাজ নয়। যারা বিরোধীদলের রাজনীতি করেন, সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন, সরকারবিরোধী রাজনীতি করেন, তাদেরও দায়িত্ব এসব নিয়ে কথা বলার। বিএনপি যদি গণবিরোধী রাজনীতি না করতো, মানুষ ও গাড়িঘোড়া জ্বালাও-পোড়াও না করতো, হরতাল অবরোধের মাধ্যমে জনগণকে অবরুদ্ধ করার রাজনীতি না করতো, গণতন্ত্র সূচকে আমরা আরও বহু ধাপ এগুতে পারতাম।'
সাহায্য বন্ধের চিঠি লেখায় মির্জা ফখরুলের বিচার হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
দেশের সাহায্য বন্ধ করে লেখা বিএনপি মহাসচিবের চিঠির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেন, তারা দেশের সাহায্য বন্ধের জন্য চিঠি লিখেছে। এটা যদি ইউরোপের কোনো দেশে হতো তাৎক্ষণিকভাবে মির্জা ফখরুল ও বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা হতো। তিনি রাজনীতিতে অযোগ্য হতেন। তার বিচার হতো।
তিনি বলেন, আমি নিজেও মনে করি, এই যে দেশের বিরুদ্ধে তিনি চিঠি দিলেন, সাহায্য বন্ধের কথা বললেন, এটার জন্য তার বিচার হওয়া দরকার বিএনপিরও বিচার হওয়া দরকার।
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে, রপ্তানি বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য, দেশের ভাবমূর্তিকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য অর্থাৎ বিদেশের কাছে দেশকে হেয় করার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছে বলে যখন আমরা অভিযোগ উপস্থাপন করলাম প্রথমে বিএনপি অস্বীকার করেছে। এরপর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বললেন যে তিনি কোনো চিঠিও দেন নি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু নিয়ে বিরূপ মন্তব্যকারীরা আশাহত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
পরে যখন আমরা বিএনপির প্যাডে মির্জা ফখরুলের সই করা চিঠি উপস্থাপন করলাম, সেখানে যে তিনি বাংলাদেশের সাহায্য বন্ধ করার কথা বলেছেন, সেটি যখন আমরা উপস্থাপন করলাম। একই সঙ্গে বিএনপির কার্যালয়ের ঠিকানা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগের দলিল যখন আমরা উপস্থাপন করলাম তখন তারা নিশ্চুপ হয়ে গেলেন। তারা চুপসে গেলেন। কারণ তাদের জবাব নেই। তাদের অপকর্ম যখন দেশের মানুষের কাছে উপস্থাপিত হলো তখন তাদের কাছে কোনো জবাব নেই। সে জন্য এখন তারা নানা প্রশ্ন উপস্থাপন করার চেষ্টা করবেন, তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য। নানা কথা বলবে এটা খুবই স্বাভাবিক।
সরকারের লবিস্ট নিয়োগের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের পক্ষ থেকে রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য পিআর ফার্ম নিয়োগ করা হয়ে থাকে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও জানানো হয়েছে, আমরা পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছি।
এটি কেন করা হয়? এগুলো করার জন্যই তো রপ্তানি বেড়েছে। কোভিডের মধ্যেও রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এগুলো তো এমনি এমনি হয়নি। রপ্তানি বৃদ্ধি করতে নানা জায়গায় লবিং করা হচ্ছে দেখেই তো এটা হচ্ছে। এগুলো ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট। এগুলো সরকারি চুক্তি। এখানে প্রশ্ন রাখার কিছু নেই।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা এঁকেছিল জামায়াতে ইসলামী: তথ্যমন্ত্রী
সার্চ কমিটি নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিরূপ মন্তব্যেরও জবাব দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে। সেখানে দু’জন বাদে সবাই সাংবিধানিক পদধারী। যখনই সার্চ কমিটি হবে ভবিষ্যতেও নির্বাচন কমিশনের জন্য তখনও এই সাংবিধানিক পদধারীরা দায়িত্ব পালন করবেন।
তারা সাংবিধানিক পদধারী সরকারের কোন পদধারী নয়। রাষ্ট্রপতিও তাদের সরাতে পারবেন না। সেটির নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। দু’জন সিভিল সোসাইটির সদস্য নেয়া হয়েছে। তারা দু’জনই অত্যন্ত নিরপক্ষে মানুষ হিসেবে এবং সমাজে শ্রদ্ধেয় হিসেবে পরিচিত। এই সার্চ কমিটি নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের কোনো সুযোগ নেই।
বিএনপি নেতাদের সমালোচনায় তিনি বলেন, সবকিছুতেই যখন না বলার যে বাতিক এটি থেকে বিএনপি বের হতে না পারলে তারা যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে জানি না। নির্বাচন কখনো সরকারে অধীনে অনুষ্ঠিত হয় না। নির্বাচনের সময় সরকার একজন কনস্ট্রেবলও বদলি করতে পারেন না। তখন সবার চাকরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে হয়ে যায়। মূল কথা হচ্ছে, বিএনপির তো সরকারের প্রতি কোনো আস্থা নেই।
আরও পড়ুন: ধর্ম ব্যবসায়ীদের কাছে ইসলাম ধর্ম লিজ দেয়া হয়নি: তথ্যমন্ত্রী
সবকিছু নেগলেট করার তারা যে পদ্ধতি তারা বেছে নিয়েছে সেটিই তারা অব্যাহত রেখেছে। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জল ঘোলা করে কোনো কিছু করা যায় কিনা সেটাই তারা করে যাচ্ছেন।
ইসি গঠনের সার্চ কমিটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ: তথ্যমন্ত্রী
দেশবিরোধী অপপ্রচার না হলে দেশ আরও এগিয়ে যেতো বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগে গঠিত সার্চ কমিটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ।
তিনি বলেন, বিদেশিদের কাছে দেশবিরোধী অপপ্রচার চালানো না হলে দেশ আরও এগিয়ে যেতো।
শুক্রবার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই আইকন ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্নার ও ডাইরেক্টরস লাউঞ্জ উদ্বোধন এবং কোভিড সচেতনতা ভিডিও সঙ্গীত প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন 'দুঃখজনক হলেও সত্য, দেশের একজন সাবেক দুইবারের প্রধানমন্ত্রী নিজের নামে ওয়াশিংটন টাইমস পত্রিকায় নিবন্ধ লিখেছেন যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে যে জিএসপি সুবিধা দিয়ে আসছিল, তা বন্ধ করে দেয়। শুধু তাই নয়, দেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দল যারা দুইবার ক্ষমতায় ছিল, সেই দলের মহাসচিব নিজের দলের প্যাডে নিজে স্বাক্ষর করে যুক্তরাষ্ট্রে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশকে সাহায্য দেয়ার বিষয়টি পূণর্মূল্যায়ন করতে এবং সেটিকে একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।'
তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে রাজনীতি থাকবে, অবশ্যই সরকারের সমালোচনা হবে, কিন্তু দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, রপ্তানিকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য অপপ্রচার কখনো কাম্য নয়, সেটি দেশদ্রোহিতার শামিল'।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ইসি গঠন আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটিতে সাংবিধানিক পদধারীদের এবং একজন নারীসহ সুশীল সমাজেরও দু'জনকে রাখা হয়েছে। এবং তারা যে অত্যন্ত গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং নিরপেক্ষ মানুষ হিসেবে অতীতে ভূমিকা রেখেছেন, তা সবাই স্বীকার করবেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন 'আমি মনে করি সুন্দর একটি সার্চ কমিটি হয়েছে, তাদের মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনের দ্বারা বাংলাদেশে একটি সুন্দর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যেমনটি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে হয়েছে।'
এসময় বাজারে পণ্যমূল্যের অযথা বৃদ্ধি রোধকল্পে এবং কলকারখানার দুষিত বর্জ্য থেকে পরিবেশরক্ষায় এফবিসিসিআই সদস্যদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানান ড. হাছান।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সভাশেষে মন্ত্রী এফবিসিসিআই ভবনের তৃতীয় তলায় বঙ্গবন্ধু কর্নার ও ডাইরেক্টরস লাউঞ্জ উদ্বোধন ও শিল্পী হায়দার হোসেন পরিচালিত কোভিড সচেতনতা মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির রাষ্ট্রদ্রোহিতার তদন্ত করে কাজ শুরু হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সুস্থতায় কর্মীদের স্বস্তি, নেতারা হতাশ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থতায় কর্মীরা স্বস্তি প্রকাশ করলেও নেতারা হতাশ এই ভেবে যে, বেগম জিয়ার সুস্থতা তাদের আন্দোলনে জল ঢেলে দিয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য 'খালেদা জিয়া এখনো অসুস্থ, চিকিৎসার জন্য বিদেশেই নিতে হবে' -এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, 'বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরাতে বিএনপি নেতারা হতাশ; কারণ তাকে বিদেশে নেয়ার জন্য তাদের দেশব্যাপী যে সভা-সমাবেশ আন্দোলন করছিল, তাতে পানি ঢেলে দিয়েছে ডাক্তাররা। ডাক্তারেরা বলছেন, তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেছেন এবং তার যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা আর্থরাইটিসসহ বার্ধক্যজনিত।'
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
কোনো ডাক্তার কি কখনো কোনো সংকটাপন্ন রোগীকে বাড়িতে পাঠায় -প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, 'রিজভী সাহেব হতাশ হয়ে আবোল-তাবোল বকছেন। অপরদিকে কর্মীরা চেয়েছিলেন বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। তারা স্বস্তি প্রকাশ করছেন, কিন্তু এতে নেতাদের মনে স্বস্তি নেই।'
সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক কমিটির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সম্পাদক ফোরাম অনেকগুলো জনপ্রিয় পত্রিকার একটি বড় ফোরাম। করোনাকালের নানা প্রতিকূলতার এই সময়ে বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র বন্টন যেন কয়েকটি পত্রিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে তাদের বকেয়া বিল সহজে পাওয়ার বিষয়গুলো তারা তুলে ধরেছেন।
ড. হাছান বলেন, 'বাংলাদেশ আজকে অনেক এগিয়ে গেছে, কিন্তু যাদের এই উন্নয়ন- অগ্রগতি পছন্দ নয়, তারা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যসহ সার্বিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র ও বিদেশিদের কাছে নানা ভুল তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরছে। এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে এবং জনগণ যেন অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয় সেবিষয়ে সম্পাদক ফোরাম তাদের ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।'
বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শরিফ সাহাবুদ্দিন, বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসিমা খান মন্টি, সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার ও সদস্য দুলাল আহমেদ চৌধুরী, মফিজুর রহমান খান বাবু ও রিমন মাহফুজ প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বেগম জিয়ার কিছু হলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দায় বিএনপিরই: তথ্যমন্ত্রী