আইনজীবী
জাপা নেতা রুহুল আমিনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে চার সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার এক দুর্নীতির মামলায় দুদকের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহন করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত বছরের ৬ ডিসেম্বর দুর্নীতির এক মামলায় রুহুল আমিন হাওলাদারকে খালাস দেন ঢাকার বিচারিক আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আরও পড়ুন: ৫ জেলার অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ হাইকোর্টের
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি জানান, হাইকোর্ট দুদকের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতের নথি তলব করেছেন। আর রুহুল আমিন হাওলাদারকে চার সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন।এছাড়া তিনি যদি আত্মসমর্পণ করেন তাহলে তাকে জামিন দিতে বলেছেন।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে রাষ্ট্রীয় তহবিলের ৪০ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৯৮৯ সালে তৎকালীন দুর্নীতি ব্যুরো রমনা থানায় এ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতি: তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে ১০ আইনজীবীর চিঠি
দুদক কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতি: নিরপেক্ষ তদন্তে ১০ আইনজীবীর রিট
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী।
বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করা হয়।
রিটকারী ১০ আইনজীবী হলেন-মোহাম্মদ শিশির মনির, রেজওয়ানা ফেরদৌস, জামিলুর রহমান খান, উত্তম কুমার বনিক, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. তারেকুল ইসলাম, মীর ওসমান বিন নাসিম, সৈয়দ মোহাম্মদ রায়হান, মো.সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নওয়াব আলী।
রিটে দুদকের চেয়ারম্যান, সচিব, কমিশনার (অনুসন্ধান), কমিশনার (তদন্ত), পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) এবং চাকরিচ্যুত সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দীনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদক কর্মকর্তাকে অপসারণে সহকর্মীদের প্রতিবাদ
এ বিষয়ে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘আমরা কোনো ব্যক্তির পক্ষে রিটটি করিনি। আমরা আলোচিত ওই ঘটনায় চাকরিচ্যুত শরীফ উদ্দীন এবং দুদকের পাল্টাপাল্টি যে বক্তব্য গণমাধ্যমে এসেছে তার তদন্ত চেয়েছি। কারণ তদন্তেই প্রকৃত সত্য উঠে আসবে জনমনে বিভ্রান্তি দূর হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজনে একটি কমিটি গঠন এবং ওই কমিটি কর্তৃক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা রিটে চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট নথি তলব করে বিষয়টি পর্যালোচনারও আবেদন জানানো হয়েছে।
এর আগে শরীফ উদ্দিনের জীবনের নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে চিঠির মাধ্যমে আবেদন করেছিলেন এই ১০ আইনজীবী। তবে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শরীফ উদ্দিনের ঘটনায় সংক্ষুব্ধ হলে ওই আইনজীবীদের যথাযথ আবেদন (রিট) নিয়ে আসার কথা বলেন। সে অনুযায়ী আজ রিট করলেন ওই ১০ আইনজীবী।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
এই সিদ্ধান্তকে অন্যায় আখ্যা দিয়ে পরের দিন ওই আদেশ প্রত্যাহার এবং ৫৪(২) বিধি বাতিলের দাবিতে দুদক সচিবকে স্মারকলিপি দেন কমিশনের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি দুদকের প্রধান কার্যালয়সহ সংস্থাটির অন্যান্য দপ্তরে মানববন্ধনও করা হয়।
আরও পড়ুন: ইউজিপিপি প্রকল্পে দুর্নীতি: ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
তবে ২০ রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ এনে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন দাবি করেন, ‘শৃঙ্খলা ও সুষ্ঠু কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে’ বিধি মোতাবেক তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
এরপর গণমাধ্যমে লিখিত জবাবে শরীফ উদ্দিন তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আপোস না করে প্রভাবশালীদের দুর্নীতি নিয়ে তদন্তের কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
এসব কারণে তাকে জীবননাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে- এমন অভিযোগে গত ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের খুলশী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শরীফ উদ্দিন।
শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতি: তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে ১০ আইনজীবীর চিঠি
দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে আলোচিত দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতির বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টকে চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। চিঠিতে কেন তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সে বিষয়ে দুদককে ব্যাখ্যা দিতে একটি শোকজ নোটিস ইস্যু করারও আবেদন জানানো হয়েছে।
রবিবার হাইকোর্ট রুলসের ১১ক এর বিধি ১০ অনুযায়ী ও বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর এই চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।
পড়ুন: দুদক কর্মকর্তাকে অপসারণে সহকর্মীদের প্রতিবাদ
সুপ্রিম কোর্টের যে ১০ আইনজীবী চিঠিটি পাঠিয়েছে তারা হলেন: মোহাম্মদ শিশির মনির, রেজওয়ানা ফেরদৌস, জামিলুর রহমান খান, উত্তম কুমার বণিক, মুস্তাফিজুর রহমান, মো: তারেকুল ইসলাম, আহমেদ আবদুল্লাহ খান, সৈয়দ মোহাম্মদ রায়হান, মো: সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নোয়াব আলী। চিঠিতে শরীফ উদ্দিনের ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শাতে এবং শরীফ উদ্দীনের জীবনের নিরাপত্তা বিধানের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
গত বুধবার দুদক কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ২০০৮ এর ৫৪(২) বিধি অনুযায়ী উপ সহকারী পরিচালক শরিফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
শরীফ উদ্দিন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীতে উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার আগে সাড়ে তিন বছর তিনি ছিলেন চট্টগ্রামে।
পড়ুন: দুদকের মামলায় ওসি প্রদীপের সাক্ষ্যগ্রহণ সাময়িক স্থগিত
সাবেক ডিআইজি মিজান ও দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুলের মামলার রায় ২৩ ফেব্রুয়ারি
জামিন জালিয়াতির মামলায় আইনজীবী রিমান্ডে
রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা জালিয়াতির মামলায় আইনজীবী শরীফ শাহরিয়ার সিরাজীর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একজন বিচারক।
কোতোয়ালি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাহমুদুর রহমান রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) আবু সাঈদ চৌধুরী ওই আইনজীবীকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আসামির পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজার এলাকা থেকে শরীফ শাহরিয়ার সিরাজীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ মামলায় ২ ফেব্রুয়ারি প্রকৃত আসামি যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মামাতো ভাই বড় সোহাগের হয়ে যাবজ্জীবন কারাভোগকারী মো. হোসেনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়িকা শিমু হত্যা: স্বামী ও গাড়িচালকের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর
জানা যায়, ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর রাজধানীর কদমতলী এলাকায় হুমায়ুন কবির নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় বড় সোহাগসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
ওই মামলায় ২০১০ সালে গ্রেপ্তার হন বড় সোহাগ। ২০১৪ সালে জামিনে গিয়ে পলাতক হন তিনি।
২০১৭ সালে বড় সোহাগসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। পরের বছর হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে নিজেকে বড় সোহাগ পরিচয় দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে সম্প্রতি প্রকৃত অপরাধী বড় সোহাগ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন।
১ ফেব্রুয়ারি সোহাগ ও হোসেনকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ হাজির করা হয়। প্রতারণার আশ্রয় নেয়ায় বিচারক জেসমিন আরা বেগম বড় সোহাগ, হোসেন ও দুই আইনজীবী শরীফ শাহরিয়ার সিরাজী ও ইব্রাহিম হোসেনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কে আদেশ দেন।
পরে আদালতের নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা করা হয়।
এ মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, তারাসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতারণার আশ্রয়ে আত্মসমর্পন করা আসামি প্রকৃত আসামি নয় মর্মে জেনেও তাকে মিথ্যা ব্যক্তির মাধ্যমে প্রকৃত আসামি সাজিয়ে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নথি উপস্থাপনের দরখাস্ত, জামিনের দরখাস্ত ও ওকালতনামায় জাল দরখাস্ত দিয়ে এসব সৃজন করে তা সঠিক মর্মে দাবি করেন। তা ব্যবহার করে মিথ্যা ও ভুয়া ব্যক্তিকে প্রকৃত ব্যক্তি সাজিয়ে প্রতারণার আশ্রয়ে আদালত আত্মসমর্পনণ করিয়ে একজন অপর জনের নামে সাজা ভোগ করিয়ে আদালতের সাথে প্রতারণা করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি অধ্যাপক হত্যা: রাজমিস্ত্রি আনারুল তিন দিনের রিমান্ডে
কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণ: দুই নম্বর আসামি বাবুর ৩ দিনের রিমান্ড
রাজশাহীতে হত্যা মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন
রাজশাহীর বাঘায় নাজমুল হোসেন হত্যা মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়াও দোষ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলার অপর ১৫ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মিন্টু আলী (৩৫), মো. রানা (২১), মো. পানা (২৫), আরিফ হোসেন (২৫) ও শরিফ হোসেন (২২) এবং নাটোরের লালপুর উপজেলার মনিহারপুর গ্রামের আরজেদ আলী ওরফে ভোলা (৪৭)।
আরও পড়ুন: নড়াইলে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনতাজুল হক বাবু বলেন, এ মামলার আসামি ২৫ জন। তবে তাদের মধ্যে চারজন শিশু। সম্পূরক অভিযোগপত্র দিয়ে ওই চারজনকে শিশু আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়। যা বিচারাধীন রয়েছে। বাকি ২১ জনের বিচার হয়েছে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। যাদের মধ্যে ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও ১৫ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
তিনি বলেন, ভাগ্নিকে উক্তক্তের প্রতিবাদের জের ধরে ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি বিকেলে বাঘার সুলতানপুর গ্রামে নাজমুল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নাজমুলের বাবা আজিজুর রহমান বাদি হয়ে বাঘা থানায় হত্যা মামলা করে। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তবে চারজনের বয়স কম হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে চলছে।
আরও পড়ুন: ২২ বছর পলাতক থাকা যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি গ্রেপ্তার
হয়রানি ছাড়া ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি
বিচারপ্রার্থীরা যেন হয়রানির শিকার না হন সেজন্য বিচারক ও আইনজীবীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘মানুষ তাদের সমস্যার সমাধান ও ন্যায়বিচার পেতে সহায়তার জন্য আপনাদের কাছে আসে। তাই তারা যাতে কোনো ভাবে কোনো ধরনের হয়রানি বা ভোগান্তির শিকার না হন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
রবিবার কিশোরগঞ্জ জেলার নবনির্মিত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবনের উদ্বোধন ও জেলা আইনজীবী সমিতির ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ’ ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, দেশে শুধু আইনের শাসন নয়, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সুশাসন প্রতিষ্ঠা সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধের সুফল সর্বত্র পৌঁছে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশ থেকে দুর্নীতিবাজদের বিতাড়নের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচার বিভাগের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, বর্তমান সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত আন্তরিক।
বিচারকদের সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও আদালত সংকট নিরসনের পাশাপাশি মামলা পরিচালনায় বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের আইনি সহায়তা দিতে দেশের ৬৪ জেলায় এবং সুপ্রিম কোর্টে আইনি সহায়তা অফিস স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় মানুষ আইনি সহায়তা পাচ্ছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আজকের উদ্বোধনসহ ৩১টি জেলায় মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। আমার আশা এই ভবনগুলো নির্মাণের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় ন্যায়বিচারের সুফল পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: সরকারি কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি বলেন, কিশোরগঞ্জে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন উদ্বোধন করা তার জন্য অত্যন্ত আনন্দের। কারণ এই জেলার সঙ্গে তার জীবন জড়িত।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে জেলার বিচারপ্রার্থী মানুষ দ্রুততম সময়ে বিচারিক সেবা পাবে। পাশাপাশি মানুষ সুন্দর পরিবেশ পাবে, এটা আমার জন্য আনন্দের।’
প্রয়োজনীয় স্থানের অভাবে দায়িত্ব পালনকালে বিচারক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের ফলে আপনারা সুন্দর পরিবেশে বিচার কার্য পরিচালনা করতে পারবেন।
কর্মক্ষেত্রে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং মানুষ উপকৃত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: তরুণদের মানবতা ও জনকল্যাণে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
নাগরিক অধিকার আইনজীবী লানি গুইনিয়ার আর নেই
নাগরিক অধিকার বিষয়ক আইনজীবী ও হার্ভার্ড আইন স্কুলের প্রথম কালার্ড নারী স্থায়ী অধ্যাপক লানি গুইনিয়ার ৭১ বছর বয়সে মারা গেছেন।
হার্ভার্ড আইন স্কুলের ডিন জন এফ. ম্যানিং জানান, গুইনিয়ার শুক্রবার মারা গেছেন। গুইনিয়ারের চাচাতো ভাই শেরি রাসেল-ব্রাউন জানিয়েছেন, তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।
গুইনিয়ার ১৯৯৮ সালে হার্ভার্ড ল স্কুলের প্রথম কালার্ড নারী স্থায়ী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন স্কুলের অধ্যাপক ছিলেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন কৌতুকাভিনেত্রী বেটি হোয়াইট আর নেই
এর আগে ১৯৮০ এর দশকে তিনি এনএএসিপি আইনি প্রতিরক্ষা তহবিলে ভোটাধিকার প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং রাষ্ট্রপতি জিমি কার্টারের প্রশাসনের সময় বিচার বিভাগের নাগরিক অধিকার বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন তাকে এ বিভাগের প্রধান হিসেবে মনোনীত করেন। তবে রক্ষণশীলদের সমলোচনার মুখে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয় ক্লিনটন প্রশাসন।
শুক্রবার টুইটারে এনএএসিপি লিগ্যাল ডিফেন্স অ্যান্ড এডুকেশন ফান্ডের প্রধান শেরিলিন ইফিল গুইনিয়ারকে নিজের ‘উপদেষ্টা’ ও ‘আপোষহীন পণ্ডিত’ বলে অভিহিত করেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল হাজারী আর নেই
হার্ভার্ড আইন স্কুলের ডিন ম্যানিং বলেছেন, তার পাণ্ডিত্য গণতন্ত্র সম্পর্কে আমাদের ধারণা পরিবর্তন করেছে।
১৯৫০ সালের ১৯ এপ্রিল গুইনিয়ার নিউইয়র্ক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ইওয়ার্ট গুইনিয়ার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আফ্রো-আমেরিকান স্টাডিজ বিভাগের প্রথম চেয়ারম্যান এবং মা ইউজেনিয়া ‘জেনি’ প্যাপ্রিন গুইনিয়ার একজন নাগরিক অধিকার কর্মী।
আরও পড়ুন: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ আর নেই
ঢাবিতে বিবাহিত ছাত্রীদের হলের সিট বাতিলের বিধান বাতিলে লিগ্যাল নোটিশ
অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী হলে থাকতে পারবেন না এবং বিবাহিত হলে তা কর্তৃপক্ষকে না জানালে ছাত্রীর হলের সিট বাতিল হবে-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলের এমন বিধান বাতিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশ প্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক এ সংক্রান্ত বিধানটি বাতিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করা হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শিশির মনির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ও শামসুন নাহার হলসহ তিনটি ছাত্রী হলের প্রভোস্ট বরাবর বুধবার এই নোটিশ পাঠান।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রকে নির্যাতনের দায়ে সিফাতকে হল থেকে বহিষ্কার
শিশির মনির জানান, কে বিবাহিত আর কে অন্তঃসত্ত্বা, হলে থাকার অধিকার তো এটার ওপর নির্ভর করে না। এটা আশ্চর্যের বিষয় যে, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও নারীদের প্রতি এমন বৈষম্যমূলক বিধান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিনা, হলে থাকার ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করে কিনা সেটাই বিবেচ্য বিষয়। কিন্তু এখানে বিবেচ্য বিষয় যেটি করা হয়েছে, সেটা সিরিয়াসলি ডিসক্রিমেনেটরি। এই সিদ্ধান্ত সংবিধানের ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের ক্লিয়ার ভায়োলেশন।
এদিকে ছাত্রী হলের এই নিয়ম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে এই নিয়মের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাবির উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।
আইনজীবীর পাঠানো লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে তিনি জানতে পারেন যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ছাত্রী হলে বিবাহিত হওয়ার কারণে কতিপয় ছাত্রীর আবাসিক সিট বাতিল করা হয়েছে। আইনি নোটিশে বলা হয়, শামসুন নাহার হলের আবাসিক ছাত্রীদের সিট বণ্টন সম্পর্কিত ও অন্যান্য শৃঙ্খলামূলক নিয়মবিধির ১৬ বিধিতে বলা হয়েছে, কোনো ছাত্রী বিবাহিত হলে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। অন্যথায় নিয়ম ভঙ্গের কারণে তাঁর সিট বাতিল হবে। শুধু বিশেষ ক্ষেত্রে বিবাহিত ছাত্রীকে চলতি সেশনে হলে থেকে অধ্যয়নের সুযোগ দেয়া হবে। অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী হলে থাকতে পারবেন না। নোটিশে আরও বলা হয়, ওই বিধানের কারণে কার্যত বিবাহিত ছাত্রীরা হলের আবাসিক সুবিধা গ্রহণ করে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।
আরও পড়ুন: ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবাহিত ছাত্রীদের হল ছাড়ার নোটিশ স্থগিত
শনিবারের মধ্যে খালেদাকে বিদেশ যেতে না দিলে আন্দোলন: বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
আগামী শনিবারের মধ্যে সরকার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিলে আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের (বিজেএএফ) আয়োজিত এক সমাবেশে বিজেএএফ-এর সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেন, আমরা সরকারকে চার দিন সময় দিচ্ছি- বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার (আমাদের দাবি পূরণের জন্য)। অন্যথায় আমরা আইনজীবীরা রবিবার সারা দেশে অনশন করব।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করতে তারা ধীরে ধীরে আন্দোলন জোরদার করবে।
ফজলুর রহমান বলেন, এমন সময় আসবে যখন দেশের মানুষ মিছিল নিয়ে রাজপথে নামবে। সেই দিন বেশি দূরে নয়। আসুন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার আন্দোলন শুরু করি।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর আইনি বিকল্প খুঁজে বের করতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, আইন মানুষের জীবনের চেয়ে বড় নয়।
আরও পড়ুন: এবার মুরাদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি বিএনপির
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১ ধারায় বিএনপি চেয়ারপার্সনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে।
ফখরুল বলেন, আইন নয়, দখলদার সরকার এখানে বাধা।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করায় আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সমাবেশ আমাদের আশার সঞ্চার করেছে। আমরা এই দাবিতে রাস্তায় নেমেছি। সারাদেশের আইনজীবীরা আজ (মঙ্গলবার) আন্দোলন করার ঘোষণা দিয়ে আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। আমরা নিশ্চয়ই সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে এক প্রবল গণআন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বিদেশে পাঠাতে পারব।
খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা সম্পর্কে ফখরুল বলেন, তিনি এত অসুস্থ যে আমি বলে বোঝাতে পারব না। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অবিলম্বে বিদেশের যেকোনো উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে তার চিকিৎসা করা দরকার।
ঘরে বসেই করা যাবে আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণ
আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজতর করতে ডিজিট্যাক্স নামক একটি ওয়েব অ্যাপলিকেশন নিয়ে এসেছে দেশ ইউনিভার্সেল নামক একটি প্রতিষ্ঠান। শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)-এর কার্যালয়ে ডিজিট্যাক্সের এ অনলাইন ট্যাক্স অ্যাপলিকেশনটি উদ্বোধন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (করনীতি) মো. আলমগীর হোসেন।
এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন ফরম ও সম্পদের হিসাব-নিকাশ এখন অনলাইনে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পূরণ করা যাবে। ঘরে বসেই করা যাবে আয়কর পরিশোধ ও রিটার্ন ফাইল দাখিল। বাসায় বসেই নেয়া যাবে আয়কর সংক্রান্ত যেকোনো সেবাও।
ডিজিট্যাক্সের মূল ফিচার বর্ননা করে প্রতিষ্ঠানটির টিম মেম্বার সৈয়দা নুসরাত হায়দার বলেন, আমাদের দেশে বিভিন্ন লেভেলের টেক্স পেয়ার রয়েছে, এর মধ্যে অধিকাংশই আয়কর ক্যালকুলেশন এর নিয়মাবলী ও আইন কানুন যথাযথভাবে জানেন না। ফলে সুচারুভাবে রিটার্ন প্রস্তুত করতে পারেন না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট খাতে ইনপুট দিয়ে সহজেই রিটার্ন প্রস্তুত করতে পারেন সে ব্যবস্থা নিয়ে এসেছি। আমাদের সিস্টেমে রয়েছে আইন অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয় আয়কর গণনা পদ্ধতি যাতে করে ব্যবহারকারীরা সহজেই আয়কর রিটার্ন প্রস্তুত করতে পারেন। ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে, বাংলা ভাষায়ও সফটওয়ারটি ব্যবহারের পদ্ধতি রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলই ভালো জানেন কুমিল্লার ঘটনা কিভাবে ঘটেছে: তথ্যমন্ত্রী
করদাতা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে রিটার্ন পূরণ করে নিজে আয়কর অফিসে জমা দিতে পারেন অথবা গ্রাহক যদি চান, তবে ডিজিট্যাক্সের পেশাদার আইনজীবীর মাধ্যমে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
ডিজিট্যাক্সের সিস্টেমটি এনবিআরের সাথে ইন্টিগ্রেট করতে পারলে ভবিষ্যতে তাদের মাধ্যমেই করদাতারা অনলাইনে তার রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সৈয়দা নুসরাত হায়দার। এতে করে মেনুয়াল পেপার বেইজ সাবমিশন প্রয়োজন হবে না এবং সরকারও ডাটা এন্ট্রি ছাড়াই রিয়েল টাইম আপডেট পাবে বলে জানান তিনি।
করদাতার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিষয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক করদাতার ব্যক্তিগত আইডি ও পাসওয়ার্ড থাকবে। তিনি ছাড়া আর কেউ এ তথ্য দেখতে পাবেন না। করদাতা তার তথ্য সেইভ করে রেখে যেকোনো সময় তা আবার এডিট করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লাসহ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকার একটি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে আয়করের আওতায় আনার জন্য এরইমধ্যে অনেক ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগের সাথে ব্যক্তি পর্যায়ে আমরা কাজ করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর অংশ হিসেবে আমরা এই সফটওয়্যার টি ডেভলপ করেছি। ভবিষ্যতে সরকারের সাথে ইন্টিগ্রেটেড হয়ে একসাথে কাজ করতে পারবো এটাই আমাদের লক্ষ্য।
আয়কর আইনজীবিরাও এর মাধ্যমে তাদের ক্লায়েন্টদের কর সেবা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সৈয়দা নুসরাত হায়দার।
অ্যাপলিকেশনটি উদ্ভোধন করে এনবিআর সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, মানুষের মধ্যে কর দেয়ার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। করদাতার সংখ্যাও বাড়ছে। এতো বিপুল সংখ্যক করদাতাকে প্রচলিত পদ্ধতিতে করসেবা দেয়া সম্ভব নয়। করদাতাকে সেবা দিতে সব কিছু অনলাইন করা ও রিটার্ন দাখিল স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি করার বিকল্প নেই। এনবিআর অনেক আগেই এ উদ্যোগটি নিয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে রিটার্ন ফরম পূরণ, দাখিল ও পেমেন্ট সিস্টেম চালু করছি। বেসরকারিভাবে ডিজিট্যাক্সের এগিয়ে আসা কর সেবাকে ডিজিটাল করার উদ্যোগ আরও সহজতর হবে।
তিনি বলেন, রিটার্ন দাখিল অনলাইন করার পাশাপাশি এক নভেম্বর থেকে আমরা আয়কর মাস পালন করছি। করদাতারা স্বাচ্ছন্দে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল হাসান খসরু বলেন, আয়কর আইন হলো পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিনতম একটি আইন। এটি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়। এ আইন নিয়ে এতো বড় উদ্যোগ নেয়ায় ডিজিট্যাক্স প্রশংসার দাবি রাখে।
তিনি বলেন, ডিজিট্যাক্সের এ উদ্যোগটি করদাতাদের সহায়তা করবে। এর ফলে বিপুল মানুষকে রিটার্ন দাখিলে আগ্রহী করা যাবে। সরকারও রাজস্ব পাবে।
এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্যে ডিজিট্যাক্সের এডভাইজার ও দেশ ইউনিভা্র্সেল নির্বাহী পরিচালক মোসারাত নাইমা বলেন, ডিজিট্যাক্স একটি স্বয়ংক্রিয় ট্যাক্স রিটার্ন ফরম পূরণের ওয়েব অ্যাপলিকেশন। রেজিট্রেশন করার পর করদাতা তার আয়ের তথ্য দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কর গণনা হয়ে যাবে।