ছিনতাই
সিরাজগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কড্ডার মোড় এলাকায় পুলিশের গাড়িতে ছিনতাইয়ের দু’দিন পর মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়ার সোনাতলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে সোনাতলা থানার একদল পুলিশ ঢাকা থেকে একটি মামলার ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে মাইক্রোবাসে করে বগুড়া যাচ্ছিলেন। এ সময় সাদা রংয়ের মাইক্রেবাসাটি উল্লেখিত এলাকায় পৌঁছলে ছিনতাইকারীরা এলোপাথারি ঢিল ছুঁড়ে ওই গাড়ির গতিরোধ করে এবং এতে মাইক্রোবাসের গ্লাস ভেঙ্গে যাওয়ায় চালক রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে দেয়। এ সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী মাইক্রোবাসে থাকা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে একটি ওয়াকিটকি, নগদ টাকা, দুটি মোবাইল ফোন ও র্স্বনের গহনা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই কিশোর কায়েসকে হত্যা!
ওসি জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়ার সোনাতলা থানার এসআই আব্দুল খালেক বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডলের নির্দেশনায় পুলিশের বিশেষ কয়েকটি টিমের অভিযান চলছে।
খুব শিগগিরই লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই: ২ মাস পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
বাগেরহাটে ‘ছিনতাইকারী’ চক্রের ৪ সদস্য আটক
অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই কিশোর কায়েসকে হত্যা!
অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই নারায়ণগঞ্জের বন্দরে কিশোর অটোচালক কায়েসকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজনের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, শনিবার রাতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় নিহত কায়েসের অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হচ্ছে- বন্দর উপজেলার পদুঘর এলাকার কাওছার, কামরুজ্জামান শ্যামল ও ফাহিম ওরফে জিকো।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাদের এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠায়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সেটি ভাড়া করে সাবদি এলাকায় যায়। সেখানে তারা মদপান করে পার্শ্ববর্তী নরপদি এলাকার গিয়ে চালক কায়েসের হাত-পা ও মুখ বেঁধে জবাই করে হত্যার পর লাশ ডোবায় ফেলে দেয়। পরে অটোরিকশাটি ছিনতাই করে পালিয়ে যায় তারা। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে এ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আরও একজন পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
এর আগে গত বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অটোরিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকার কাশেম মিয়ার ছেলে কায়েস। ঘটনার চারদিন পর শনিবার দুপুরে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরপদি এলাকার একটি ডোবা থেকে পুলিশ কায়েসের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় তার মা শারমিন বেগম অজ্ঞাতনামা তিন-চারজনকে আসামি করে ওইদিনই বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্লু লেস এই হত্যাকাণ্ডের তিনজনকে ১২ ঘন্টার মধ্যে শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: এক হত্যা মামলায় ৫ ভাইয়ের যাবজ্জীবন!
হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই: ২ মাস পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের পরিচয়ে ছিনতাইয়ের দুইমাস পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থেকে মামলার প্রধান আসামি রাসেল মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১২ টায় উপজেলার বিটুই গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রাসেল মিয়া সরাইল উপজেলা সদর ইউনিয়নের পূর্ব কুট্টাপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ১৯ জুলাই রাতে নরসিংদীর রায়পুর এলাকার সুমন ও তার বন্ধু মিলে সরাইলের শাহবাজপুর আশিকের চা-দোকানে নানা রংঙের বিখ্যাত চা খেতে আসেন। ফেরার পথে সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে ডিবি পরিচয়ে ৩/৪ জন ব্যক্তি তাদের ৫টি মোটরসাইকেলের পথরোধ করেন। পরে অস্ত্রের মুখে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, স্বর্ণের চেইন, নগদ টাকাসহ প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা মালামাল ছিনিয়ে নেয়।ে
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার১
এ ঘটনায় ছিনতাইয়ের শিকার নরসিংদীর রায়পুরার হাটুভাঙ্গা গ্রামের ভুক্তভোগী সুমন মিয়া সরাইল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
তার অভিযোগের ভিত্তিতে পর দিন ডাকাত ও ছিনতাইকারী চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে গাফফার মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গাফফারের দেয়া তথ্যমতে ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে সরাইল থানার পুলিশ নাসিরনগর উপজেলার বিটুই গ্রাম থেকে অভিযুক্ত রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে সরাইল থানায় ডাকাতি ও দস্যুতার একাধিক মামলা রয়েছে।
ওসি বলেন, শনিবার দুপুরে রাসেল মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পশু চোরদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন!
‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে কুষ্টিয়ায় যুবক গ্রেপ্তার
ডিবি পরিচয়ে ৮ লাখ টাকা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৬
ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আট লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় ছিনতাই ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ি, ডিবি পুলিশের পোশাকসহ পুলিশের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার দহাকালা গ্রামের মাসুদ করিম (৪৭), একই উপজেলার পাঙ্গাসী মধ্যপাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (৩২), বড় পাঙ্গাসী প্রামানিকপাড়া গ্রামের মাসুদ রানা (২৯), বড় পাঙ্গাসী পশ্চিমপাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম (৩৩), শাহজাদপুর উপজেলার চর আঙ্গারু গ্রামের শরিফুল ইসলাম (৩৮) ও ভোলার দুলারহাট গ্রামের আলমগীর হোসেন ওরফে ড্রাইভার হোসেন (৩৫)।
শুক্রবার দুপুরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
তিনি বলেন, গত ২৫ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে পাবনার বেড়া উপজেলার জনতা ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখা থেকে শরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ৮ লাখ টাকা তুলে ভ্যানযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় আমিনপুর থানাধীন নান্দিয়ারা গ্রামে কবরস্থানের পাশে একটি সাদা মাইক্রোবাস ভ্যানের গতিরোধ করে। পরে মাইক্রোবাসের ভেতর থেকে বের হয়ে আসা কয়েকজন নাম না জানা ব্যক্তি নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তির কাছে থাকা ৮ লাখ টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
পরে ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে আমিনপুর থানায় মামলা করলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে।
এছাড়া ডিবির একটি দল ভোলা জেলার চরফ্যাশন, গাজীপুর এবং সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ভুয়া গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে অপহরণ, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন থানায় ১৯টি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি ছিনতাই, ২ পুলিশ গুলিবিদ্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় ‘মাদক কারবারি’দের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার সময় গোলাগুলির এই ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহেল ও উপপরিদর্শক (এসআই) রনি সোরে রানা।
এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩/৪ জন অজ্ঞাতকে আসামি করে একটি পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চার্জশিটভুক্ত আসামির মৃত্যু
পুলিশ জানায়, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামের মৃত সুধন মিয়ার ছেলে মাদক কারাবারি মন্নাফ (৫০) ওরফে মনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চুরি, হত্যা, ধর্ষণসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায় পুলিশ। কিছুদিন আগে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আবারও মাদক বেচাকেনা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয় সে।
তার ছেলে শিপন ডাকাতি ও মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তারা বাবা-ছেলে এলাকায় অবস্থান করছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতেই নূরজাহানপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মনেককে আটক করে পুলিশ।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, আটক মনেককে ছাড়িয়ে নিতে তার ছেলে শিপন ও তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর গুলি ছুঁড়ে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষা করতে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপি নেতা ও তার সহযোগী গুলিবিদ্ধ
তবে সন্ত্রাসী মহলটি দুই পুলিশ সদস্যকে গুলিবিদ্ধ করে মনেককে নিয়ে পালিয়ে যায়।
মাদককারবারিদের গুলিতে নবীনগর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহেল ও উপপরিদর্শক (এসআই) রনি সোরে রানা গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মাথায় গুলিবিদ্ধ রনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় একটি পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, মাদক কারাবারি ও ডাকাত মন্নাক ওরফে মনেক ও তার ছেলে শিপনসহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে ব্যবসায়ী হত্যা: অভিযানে গ্রেপ্তার ৪, একজন গুলিবিদ্ধ, ৩ পুলিশ আহত
মেঘনায় গরুবাহী ট্রলারে ডাকাতি, ৩০ লাখ টাকা লুট!
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের মেঘনা নদীতে গরুবাহী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতরা ব্যবসায়ীদের মারধর করে ৩০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নদীর লালবয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সাভারে নাটোরগামী বাসে ডাকাতি, আহত ৪০
গরু ব্যবসায়ী আজিজ সিকদার বলেন, মঙ্গলবার সকালে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চর এককরিয়া থেকে গরু ব্যবসায়ীসহ ১৫ জন একটি ট্রলারে ২৮টি গরু ও ৫০টি ছাগল নিয়ে লক্ষ্মীপুরের মোল্লার হাটে যাই। সেখানে সব ছাগল ও ১৮টি গরু বিক্রি করে বাকি ১০টি গরু নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে ট্রলারে রওনা দেই।
ট্রলারটি মেঘনা নদীর লালবয়া এলাকায় পৌঁছালে লাঠি-সোটা নিয়ে আট জনের একটি ডাকাত দল হামলা করে। তারা আমাদের ট্রলারে উঠে ব্যবসায়ীদের মারধর করে নগদ ৩০ লাখ টাকা নিয়ে যায়। ডাকাতদের মারধরে ট্রলারের মাছি মাসুদ বয়াতি (২৫) ও ব্যবসায়ী মাইনুল আহত হন। আহত মাইনুলকে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খামারের আড়ালে ডাকাতি: ৪১টি গরু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, গরু ব্যবসায়ী আজিজ সিকদারের সঙ্গে কথা বলেছি। তার ভাষ্যমতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়ন অংশে পড়েছে। বিষয়টি হিজলা থানা ও সেখানকার নৌ-পুলিশের আওতাধীন। তবুও গরু ব্যবসায়ীকে ফাঁড়িতে আসতে বলেছি। তিনি এলে তাকে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছি।
শিশুকে বিক্রি করে মা সাজালেন ছিনতাইয়ের নাটক!
সীতাকুণ্ডে নিজের সন্তানকে বিক্রি করে মায়ের ছিনতাইয়ের নাটক সাজানোর ঘটনায় তিন দিনের মাথায় ১৪ দিন বয়সী শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার নগরীর সিটি গেইট এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে।
শিশুর মা জেনি আক্তারের তথ্যমতে নগরীর আকবর শাহ থানার পুলিশের সহায়তায় বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জেনি আক্তার তার ১৪ দিনের বাচ্চাটি নগরীর আকবরশাহ থানার সিটি গেইট এলাকায় এক ব্যক্তির কাছে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। তার আগের বাচ্চার বয়স ১৬ মাস। এরি মধ্যে জন্ম নিল দ্বিতীয় বাচ্চা। অভাবের সংসার তার উপর তার বয়স ২০ বছর। এসব কারণে প্রতিবেশীরা নানা কথা শোনাতে থাকে। তা নিয়ে মানসিকভাবে চিন্তিত ছিল জেনি।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় প্রবাসীর স্ত্রী ও অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার
সাজানো ঘটনায় জেনি দাবি করেছিলেন, গত ১৬ মে রবিবার ১৪ দিন বয়সের শিশু ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে গাড়ির জন্যে রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এসময় একটি সিএনজি অটোরিকশা এসে দাঁড়ায় তার সামনে। গাড়িটিতে উঠে দেখেন সেখানে এক নারী। সীতাকুণ্ডের জোড়আমতল থেকে ভাটিয়ারী যাওয়ার পথে ঔই নারী জেনি আক্তারের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেন, আপনার বাচ্চাটাতো সুন্দর, একথা শুনার পর আর কিছু মনে নেই জেনি আক্তারের।
এ অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ শিশুর সন্ধানে তদন্ত শুরু করলে পুলিশ জানতে পারে মা জেনি নিজেই ১৪ দিনের বাচ্চাকে অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
উদ্ধার হওয়া শিশুর বাবা মো. ইয়াসিন বলেন, তার বাড়ি খুলনার বাগেরহাটে। পেশায় সে অটোরিক্সা চালক। বাচ্চা জন্মের সময় হওয়াতে স্ত্রীকে কিছুদিন আগে সীতাকুণ্ডে বাবার বাড়িতে পাঠান। কিন্তু কি কারণে তার স্ত্রী এই ঘটনা ঘটিয়েছে তিনি তা জানেন না।
সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই ) নোমান বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিদ্যুৎ অফিসের দেয়াল ধসে এক শিশুর মৃত্যু, আহত ২
জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রাণ গেল শিশুর, গ্রেপ্তার ৪
সিলেটে রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিচার শুরু
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিহত রায়হান আহমদ হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ মো. আব্দুর রহিমের আদালতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়।আদালতের সরকারি কৌশলী নওশাদ আহমদ বিচার শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আগামী ১০ মে বাদির সাক্ষ্যের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।অভিযোগ গঠনকালে মামলার মূল আসামি সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ বহিষ্কৃত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এক আসামি পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: পলাতক নোমানের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হচ্ছেএর আগে কয়েকদফা পিছিয়ে যায় অভিযোগ গঠনের তারিখ। সর্বশেষ গত ১২ এপ্রিল আসামিদের পক্ষে ডিসচার্জ পিটিশন দাখিল ও তা শুনানি না হওয়ায় অভিযোগ গঠনের তারিখ পিছিয়ে যায়।প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রাতে নগরের আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে ধরে নিয়ে যায় বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। পরদিন সকালে তিনি মারা যান।পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় ফাঁড়িতে নির্যাতন চালিয়ে রায়হানকে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এই অভিযোগের সত্যতাও মিলে। এরপর এসআই আকবরসহ ফাঁড়িতে কর্মরত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণএদিকে, এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। গত বছরের ৫ মে এই মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (পিবিআই)।এতে বরখাস্ত হওয়া এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, হারুনুর রশিদ ও কথিত সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল নোমানকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে নোমান ছাড়া সবাই কারাগারে আছেন।চলতি বছরের ৮ মার্চ সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে মামলাটি সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরিত হয়।
রাজশাহীতে ছিনতাইয়ের পর প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’
রাজশাহীর পুঠিয়ায় অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কাচুপাড়া মাঠের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, বুধবার সকালে উপজেলার কাচুপাড়ার এক আত্মীয়র বাড়ি বেড়াতে যায় সে। ইফতারের পর একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা ভ্যান চড়ে বাড়ি ফিরছিল। তার ভ্যানে আরও দুজন ছিল। কাচুপাড়া মাঠের মধ্যে ছয় জন ধারলো অস্ত্র নিয়ে তাদের ভ্যানের গতিরোধ করে। এ সময় সবার কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে অটোরিকশা চালক গ্রেপ্তার
এরপর অস্ত্রের মুখে সবাইকে তাড়িয়ে দিয়ে তাকে তুলে একটি কলা বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং সেখানে রেখে চলে যায়। পরে সে বাজারে গিয়ে লোকজন দেখে কান্না শুরু করে। স্থানীয়রা তাকে থানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে মেয়েটি থানায় এসেছে। তার কাছে বিস্তারিত শুনার পর ঘটনাটি যাচাইসহ এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণচেষ্টা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা এবংমামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ওসি।
সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে চালককে হত্যা, অটোরিকশা ছিনতাই
গাজীপুরে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে চালককে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার দিবাগত রাতে শ্রীপুর উপজেলার বাঁশবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আনোয়ার হোসেন উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের মৃত হারেছ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চালককে হত্যা পর অটোরিকশা ছিনতাই
স্থানীয় ও পুলিশ জনায়, উপজেলার বাঁশবাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা। পরে ঘর থেকে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। সকালে স্বজনরা খালি ঘরে চালকের লাশ পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই
গাজীপুরের কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আজমির হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চুরি করতে দেখে ফেলায় আনোয়ার হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে।