নড়াইল
নড়াইলে পৃথক মাদক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
নড়াইলে পৃথক দু’টি মাদক মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মশিয়ার রহমান এ আদেশ দেন।
এর মধ্যে যশোরের চৌগাছা থানার হুদাপাড়ার জুয়েল রানা ও কারিগরপাড়ার জহুরুল ইসলামকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে তারা দু’জন পলাতক আছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ১০ নভেম্বর সকালে নড়াইল-যশোর সড়কের চাঁচড়া এলাকায় ইঞ্জিনচালিত করিমন গাড়িতে থাকা জুয়েল রানা ও জহুরুলের কাছ থেকে ২০২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দু’জনের নামে নড়াইল সদর থানায় মামলা হয়।
আরও পড়ুন: কলেজছাত্রী হত্যা মামলায় শ্বশুড় শাশুড়িসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৩
অন্যদিকে, রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত যশোরের কোতোয়ালি থানার খোজারহাট দক্ষিণপাড়ার কার্তিক দেবনাথকে (৪৫) সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ছাড়াও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। টাকা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
২০১৩ সালের ১১ অক্টোবর নড়াইল-যশোর সড়কের আবাদ এলাকায় ইঞ্জিনচালিত আলমসাধু গাড়িতে থাকা কার্তিক দেবনাথের কাছ থেকে ৫২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার নামে নড়াইল সদর থানায় মামলা হয়।
সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত আলাদা দু’টি মাদক মামলায় এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
নড়াইলে হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবন
নড়াইল সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে কৃষক মফি শেখ (২৮) হত্যা মামলায় জামিনুর রহমান মোল্যা নামে এক যুবকের ফাঁসির আদেশসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ প্রত্যককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মশিয়ার রহমান এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই দুপুরে নড়াইলের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক মফি শেখ তার ১১ বছরের ছেলেকে নিয়ে স্কুল থেকে উপবৃত্তির টাকা তুলে বাড়িতে ফেরার পথে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মফি শেখকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী রেকসোনা খাতুন। ছয় আসামির মধ্যে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দু’জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ১ ব্যক্তির যাবজ্জীবন
নড়াইলে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
নড়াইলে হত্যা মামলায় পলাশ মিনা (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৫০ হাজার জারিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মশিয়ার রহমান এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাশ মিনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ঠান্ডু সরদারকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায় আসামি পলাশ মিনা। রাতে ঠান্ডু সরদার বাড়িতে ফিরে না আসায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরেরদিন দুপুরে ইতনা বালিকা বিদ্যালয়ের পাশের ক্ষেত থেকে ঠান্ডুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আসামি পলাশ মিনা ভুক্তভোগী ঠান্ডু সরদারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহত ঠান্ডুর মা গোলাপী বেগম বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ১ ব্যক্তির যাবজ্জীবন
নড়াইলে হত্যা মামলায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড, বাবাসহ ২ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
নড়াইলে হত্যা মামলায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড, বাবাসহ ২ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
নড়াইলের নড়াগাতী থানার কালিনগর গ্রামে ফিরোজ ভূঁইয়া হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি ও তিনজনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। একই সাথে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আলমগীর ভূঁইয়া (৫০) জেলার কালিনগর গ্রামের ছায়েন উদ্দিনের ছেলে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাবা ছায়েন উদ্দিন ভূঁইয়া ও তার দুই ছেলে হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া (৫৫) ও জঙ্গু ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: খুলনায় শিশু হত্যা মামলায় সৎ মায়ের মৃত্যুদণ্ড
রায় ঘোষণার সময় চার আসামির মধ্যে জঙ্গু ভূঁইয়া ছাড়া অন্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নড়াইলের নড়াগাতী থানার কালিনগর গ্রামে বাদী রবিউল ইসলাম ভূঁইয়াদের সাথে আসামিপক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ২০১৪ সালের ১৮ জানুয়ারি কালিনগর বাজারে উভয়পক্ষের মধ্যে শালিস বৈঠক হয়। এরপর দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাদীর ভাই ফিরোজ ভূঁইয়াকে কালিনগর বাজার এলাকায় দেশি অস্ত্র ধারালো গুপ্তি বুকে ঢুকিয়ে হত্যা করে। ১৬ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ব্যবসায়ী হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
নড়াইলে বোনকে হত্যার দায়ে ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
নড়াইলে বোনকে পিটিয়ে ও পানিতে ডুবিয়ে হত্যার দায়ে ভাইকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার সকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ আদেশ দেন। এসময় আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
ফাতেমা নামে একজনকে হত্যার দায়ে রিপন মোল্যা নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশে দিয়েছেন আদালত। এসময় আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন বিচারক।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রিপন নড়াইলের নড়াগাতি থানার কালিনগর গ্রামের মোকছেদ ওরফে মকু মোল্যার ছেলে।
আরও পড়ুন: একরাম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এমদাদুল ইসলাম ইমদাদ মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মকু মোল্যার মেয়ে ফাতেমা ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর বেলা ৩টার দিকে কালিনগর গ্রামের নালিয়া নদীর ঘাটে কাপড় পরিষ্কার কতে যায়। তখন তার ভাই রিপন মোল্যা পেছন থেকে ধাক্কা মেরে পানিতে ফেলে চুবিয়ে বাঁশের লাঠি ও টেংগারী দিয়ে জখম করে তাকে হত্যা করে। পরে লাশ পানির নিচে কাদায় পুঁতে রাখে। এ বিষয়টি রিপন মোল্যার ছেলে রাশেদ মোল্যা দেখতে পায়। বিকালে ফাতেমাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে এক পর্যায়ে রাশেদ মোল্যার বর্ণনা অনুযায়ী নদীর ঘাট থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ আসামি রিপন মোল্যাকে আটক করলে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা শিকার করে সে। এ ঘটনায় ফাতেমার বাবা বাদী হয়ে নড়াগাতি থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: আপিল শুনানির আগে মৃত্যুদণ্ডের সংবাদ সঠিক নয়: আইনমন্ত্রী
লোহাগড়ায় বোমা বিস্ফোরণে যুবকের হাত বিচ্ছিন্ন
নড়াইলের লোহাগড়ায় বোমা বিষ্ফোরণে এক যুবকের ডান হাতের কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রবিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলা সদরের কুন্দশী চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শাহাজাদা মোল্লা (৩৮) উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের মঙ্গলহাটা গ্রামের আকবার হোসেন মোল্লার ছেলে ও মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের ভাগ্নে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বোমা বিষ্ফোরণে আহত আবু বক্করের মৃত্যু
জানা গেছে, এঘটনার পর স্থানীয় লোকজন তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল জানান, কুন্দশী চৌরাস্তা মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময়ে তার ওপর বোমা হামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজন কেউ মুখ খুলছেন না।
আরও পড়ুন: নাটোরে ৪টি হাতবোমা নিষ্ক্রিয়
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম জানান, তার ডান হাতের কনুই থেকে হাড়-মাংস আলাদা হয়ে গেছে। শুধু চামড়ার সঙ্গে একটু ঝুলে আছে। দ্রুত অস্ত্রোপচার করে হাত ফেলে দিতে হবে।
লোহাগড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হরিদাস রায় জানান, শাহাজাদা পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন থাকবেন। পরে তাকে এ ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
অন্ধত্ব নিয়ে প্রাণে বেঁচে আছেন সুলতানের পালিত কন্যা নিহার বালা
বরেণ্য চিত্রশিল্পী সুলতানকে দীর্ঘ দুই দশক আগলে রেখেছিলেন নিহার বালা। শিল্পী সুতলতানও তাকে মেয়ে পরিচয় দিতেন। পরিবারের রান্না-বান্না থেকে শুরু করে শিল্পীর চিড়িয়াখানায় পশু পাখিদের খাওয়ানো ও দেখভাল করেছেন নিহার। অথচ গত আট বছর ধরে অন্ধত্ব বরণ করে কোন রকম প্রাণে বেঁচে আছেন তিনি।
জানা গেছে, ৮৪ বছর বয়সের এই নারী অর্থভাবে ছানি অপারেশন করতে না পারায় দীর্ঘ আট বছর অন্ধ হয়ে জীবন কাটাচ্ছেন। সরকারিভাবে যে ভাতা পান তার চেয়ে ওষুধ কিনতে খরচ হয় বেশি।
আনুমানিক ১৯৬৮ সাল থেকে শিল্পী সুলতান শহরের কুরিগ্রামস্থ জমিদারদের একটি পরিত্যক্ত দ্বিতল জরাজীর্ণ বাড়িতে (বর্তমান সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালার শিশুস্বর্গ ভবন) থাকতেন। প্রতিবেশী হিসেবে নিহার বালার স্বামী হরিপদ সাহার সাথে শিল্পীর ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। এই সুবাদে নীহার শিল্পী সুলতানকে কাকু বলে সম্বোধন করতেন। ১৯৭৫ সালের দিকে স্বামীর আকস্মিক মৃত্যুর পর ছোট ছোট দু’মেয়ে নিয়ে আর্থিক অনিশ্চতার জীবন-যাপন করছিলেন নীহার বালা। এদিকে শিল্পী সুলতান রোগে আক্রান্ত, তাকে দেখাশুনা করার কেউ ছিলেন না। এই সময় শিল্পীর সেবায় এগিয়ে আসেন নিহার বালা। সেই থেকে নিহার বালা ছোট ভাই দুলাল সাহা ও দুই সন্তানকে নিয়ে শিল্পীর বাড়িতে বসবাস শুরু করেন।
আরও পড়ুন: সুলতানের শিল্পকর্ম গবেষণায় অর্থায়ন করবে যুক্তরাষ্ট্র
১৯৯৪ সালে সুলতানের মৃত্যর পর শহরের কুরিগ্রামে শিল্পীর বাড়িতে গড়ে ওঠা ছোট চিড়িয়াখানাটির পশু পাখি নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা চিড়িয়াখানায়। ২০০৪ সালে শিল্পীর বাড়িতে তৈরি হয় সংগ্রহশালা। এ সময় সংগ্রহশালা এলাকা সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম পার্শ্বে সরকারিভাবে একটি টিনের ঘর করে দেয়া হয়। সেখানেই জীবন যাপন করছেন শিল্পীর পালিত কন্যা।
নিহার বালার নাতি সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালার কর্মকর্তার সহায়ক নয়ন সাহা বলেন, ‘ দিদা সরকার থেকে ভাতা পান পাঁচ হাজার টাকা। আমি সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা থেকে পাই চার হাজার টাকা। স্ত্রী,সন্তান ও দিদাকে নিয়ে চার জনের সংসার। প্রতি মাসে দিদার ওষুধের পেছনে সাড়ে ছয় হাজার টাকার মতো খরচ হয়। অনেক সময় টাকার অভাবে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না। তাই দিদার জন্য আর্থিক বরাদ্দ বাড়ানো জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের বসতঘরের করুণ দশা
সুলতানের শিষ্য নড়াইল সরকারি বালক বিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষক সমির বৈরাগী বলেন, চিরকুমার শিল্পী সুলতানের পারিবারিক জীবন বলতে ছিল নিহার বালা ও তার দু’কন্যাকে নিয়ে। নিহার বালা পিতৃতূল্যে শিল্পীর সেবা করেছেন। তিনিও তাকে মেয়ে বলে পরিচয় দিতেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, তার অসুস্থতার বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ডিজি মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে।
বরেণ্য এই শিল্পী ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট শহরের মাছিমদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়।
নড়াইলে ১১ ইউনিয়নের ১৫ আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বহিষ্কার
নড়াইলে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা অমান্য করে দলীয় প্রতীক নৌকার বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ায় ১৫ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৪ নভেম্বর) উপজেলা আওয়ামী লীগের সুপারিশে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস এবং সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে নড়াইল সদরে ১৩টি ইউনিয়নের ১১টিতে আ’লীগের ১৫ জন নেতা নৌকা প্রতিকের প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন:ডুমুরিয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে ১৫ চেয়ারম্যানপ্রার্থী বহিষ্কার
এ বিষয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ্যাডভোকেট অচীন চক্রবর্ত্তী বলেন,সংগঠনের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা ভঙ্গ করে দলীয় প্রতিক নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় তাদের প্রথমে সতর্ক করা হয়।তারপরও প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করায়, উপজেলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গত রবিবার জেলা কমিটি ১৫জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- চন্ডিবরপুর ইউনিয়নে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, হবখালীতে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন চঞ্চল, শাহাবাদে ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য দেলোয়ার হোসেন পান্না ও ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান, তুলারামপুরে ইউনিয়ন আ’লীগ সদস্য টিপু সুলতান ও ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি শরীফুল ইসলাম, কলোড়াতে জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আব্বাচ আলী সরদার, ভদ্রবিলায় ইউনিয়ন আ’লীগ সদস্য আল ইমাম সিকদার, ইউনিয়ন আ’লীগ সদস্য নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল, বাঁশগ্রামে ইউনিয়ন আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন আ’লীগ সদস্য নাজমুল আলম, বিছালীতে ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি এস.এম আনিসুল ইসলাম, মুলিয়ায় ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি বিপুল সিকদার, আউড়িয়ায় ইউনিয়ন আ’লীগ সদস্য আকরাম হোসেন ভূঁইয়া এবং সিঙ্গাশোলপুরে ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি উজ্জ্বল শেখ।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১১ নভেম্বর সদরের ১৩ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৪জন, সংরক্ষিত নারী আসনে ১৩১জন এবং সাধারন ওয়ার্ডে ৩৮২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন:নির্বাচনে দলের বিরোধীতা: আ’লীগের ৮ কর্মী বহিষ্কার
সরকারি অফিসে অস্ত্রের মহড়া: আ’লীগ-যুবলীগের ৩ নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ
নড়াইলে হত্যা মামলা: একজনের ফাঁসি, দু’জনের যাবজ্জীবন
নড়াইল শহরের ভওয়াখালীতে হালিমা বেগম নামে এক নারীকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অপর দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ আদেশ দেন। এর মধ্যে আসামি মোমেনা বেগম রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক আছেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম সেলিম সরদার ভওয়াখালীর সলেমান সরদারের ছেলে। অন্য দু’জন সলেমান সরদারের স্ত্রী মোমেনা বেগম ও মেয়ের ছেলে (নাতী) সাজ্জাদ খান।
আরও পড়ুন:নড়াইলে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৭ মে আসামি সেলিম সরদার ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজারের টাকা ছিনতাই করেন। ঘটনাটি প্রতিবেশি হালিমা বেগম দেখে স্থানীয় লোকজনকে জানান। ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে সেলিমের মা আসামি মোমেনা বেগম নিহত হালিমাকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসেন। কথা কাটাকাটিরএক পর্যায়ে সেলিম সরদার কোদাল দিয়ে হালিমার মাথায় আঘাত করেন। এ সময় সেলিমের মা মোমেনা বেগম ও তার নাতি সাজ্জাদ খান হালিমাকে কিল,লাথিসহ মারধোর করে।
আহত হালিমা খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় মো.সেলিম সরদার,মোছা.মোমেনা বেগম ও সাজ্জাদ খানকে আসামি করে নড়াইল সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলার শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে মো.সেলিম সরদারকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং মোছা. মোমেনা বেগম ও সাজ্জাদ খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন:নড়াইলে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ নিহত ২
নড়াইলের জেলা আ’লীগ কমিটিতে সদস্য মাশরাফি, উপদেষ্টা বাবা
নড়াইলে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় সন্ত্রাসীরা এক ফল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চরমল্লিকপুর গ্রামের নিহতের বাড়ির কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পলাশ মাহমুদ (৩২) ওই এলাকার খোকন শেখের ছেলে ও লোহাগড়া বাজারের তার ফল ব্যবসা ছিলেন।
আরও পড়ুন: শাহরাস্তিতে নারীকে কুপিয়ে হত্যা
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন জানান, পলাশ মাহমুদকে কী কারণে কে বা কারা হত্যা করেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালে পাঠানো হলেও এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জন্য মৌখিক তালাক দেয়ায় প্রবাসী স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা