কুড়িগ্রাম
রৌমারীতে মা ও ৫ মাসের শিশুকে গলা কেটে হত্যা
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মা ও তার পাঁচ মাসের শিশুকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নতুন বন্দর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু হাবিব (৫ মাস) উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের ওকড়া কান্দা গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে। আর নিহত মা হাফসা আক্তার হারেছা (২০) সাহেব আলীর স্ত্রী এবং উপজেলার সদর ইউনিয়নের নতুনবন্দর গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে।
স্থানীয় ও রৌমারী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নতুনবন্দর এলাকার একটি পুকুরের পাড়ে এক শিশুর লাশ ও পুকুরে একটি নারীর লাশ দেখতে পায় পথচারীরা। পরে তারা রৌমারী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে এসময় মায়ের শ্বাস-প্রশ্বাস চলছিল বুঝতে পেয়ে তাকে দ্রুত রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে রৌমারী হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত!
হাফসার বাবা আব্দুর রশিদ বলেন, আমার মেয়ে হাফসা আক্তার হারেছার সঙ্গে একই উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বাহাদুরের ছেলে সাহেব আলীর সঙ্গে দেড় বছর হল বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। এর মধ্যে গত পাঁচ মাস আগে তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। তার সন্তান আমার বাড়িতেই হয়েছে। এর মধ্যে মেয়ের জামাই তার সন্তানের খোঁজ পর্যন্ত নেয়নি। ছেলেটি অসুস্থ্য হলে গতকাল সকাল ৮টার নৌকায় তার উকিল বাবার সঙ্গে কুড়িগ্রামের যায় ডাক্তার দেখাতে। এরপর সকালে তাদের লাশ পড়ে ছিল আমাদের বাড়িতে আসার পথের একটি পুকুর পাড়ে-এই বলতেই তিনি আবেগে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর লাশ ও গলাকাটা অবস্থায় তার মাকে উদ্ধার করা হয়েছে। মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পথে তিনি মারা যান। দুজনের লাশ আগামীকাল কুড়িগ্রাম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বাড়ি-ঘর
কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভাঙনে দলদলিয়া ইউনিয়নের অর্জুন ও লালমসজিদ এলাকার প্রায় ১০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়া গত দুই মাসের ব্যবধানে আরও অর্ধশতাধিক পরিবারের বাড়িঘর নদী গর্ভে চলে গেছে। নিঃস্ব এসব পরিবারের মানুষজন উঁচু বাঁধের রাস্তায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
সরেজমিন উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের গ্রাম দুটিতে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর সহায় সম্বল চোখের নিমিষেই নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও ভাঙন রোধে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে আমাদের সব কিছু তিস্তা নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে।
ভুরুঙ্গামারীতে কালবৈশাখীর তান্ডবে দুই শতাধিক বসতবাড়ি লন্ডভন্ড
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর পাঁচটি ইউনিয়নের কিছু এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে দুই শতাধিক বসতবাড়ি, গাছপালা ও বোরো ধান খেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। এতে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার (১৮ মে) ভোর চারটার দিকে ভুরুঙ্গামারী সদর, পাইকেরছড়া, চর ভুরুঙ্গামারী, শিলখুড়িসহ বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত শুরু হয়। যা প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলমান থাকে। এতে কালবৈশাখী তান্ডবে দুই শতাধিক বসতবাড়ি, গাছপালা, বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিক মেসবাহুল জানান, ভোররাতে হঠাৎ তার পাইকেরছড়া গ্রামে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত শুরু হয়। ঝড়ে তার গ্রামের রব্বানী, আমিনুল ও জলিলের বসত ঘর ভেঙে পড়াসহ বেশ কিছু বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়াও এলাকার কয়েকটি স্থানে গাছ বৈদ্যুতিক তারের ওপর উপড়ে পড়া ও বৈদ্যুতিক সিড়ি পরে যাওয়া বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে করে দুর্ভোগে রয়েছেন কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বলেও তিনি জানান।
পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য আবু সাহাদাত মো. বজলুর রহমান বলেন, ভোররাত চারটার দিকে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ওয়ার্ডের ২০-২৫টি পরিবারের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এবং ঝড় ও বৃষ্টিতে অন্তত ১শ’ একর জমির পাকা ও আধাপাকা বোরো ধান খেত হেলে পড়াসহ পানিতে তলিয়ে গেছে। ঝড়ে আমার বসতবাড়ির দুটি ঘরসহ গাছপালা ভেঙে পড়েছে। সেগুলো মেরামতে কাজ করছি আমি, যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ঝড়ে গাছচাপায় নারীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে তিন দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন পাকা ধান বিনষ্টের আশঙ্কা
গত তিনদিনের বৃষ্টিতে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার আটটি ইউনিয়নে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে শত শত বিঘা আধাপাকা বোরো ধান। এসব ইউনিয়নের নদী অববাহিকায় এবং মরাখাল সংলগ্ন এলাকার জলমগ্ন থাকা পাকা ধানগুলোর অর্ধেকটা এখন চিটা হয়ে গেছে। বিপাকে পরে বাধ্য হয়েই সেই আধাপাকা ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে কৃষক।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় এক লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় টার্গেট অর্জিত হয়েছে ১৩ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে সদরে ২৫ ভাগ ধান কর্তন করা হয়েছে। বাকী ধানগুলো এখনও জমিতে পড়ে রয়েছে। এসব ধান নিয়ে চিন্তিত রয়েছে কৃষক। গত তিনদিন অফিস বন্ধ থাকায় এখন পর্যন্ত কৃষি বিভাগের কাছে বোরোধান জলমগ্ন হওয়ার কোন পরিসংখ্যান নেই।
আরও পড়ুন: ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না কিশোরগঞ্জের হাওরের ধানচাষিরা
স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে কুড়িগ্রামে যুবকের ‘আত্মহত্যা’
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে এক যুবক বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ফরিদ মিয়া (২৯) উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব বাগভান্ডার গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অভাবের সংসারে স্ত্রী ববিতা বেগমের সঙ্গে প্রায় বিভিন্ন বিষয়ে ঝগড়া লাগতো ফরিদ মিয়ার। গত ঈদের দু’দিন আগে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার সূত্রে অভিমান করে বাড়ি থেকে ঢাকা চলে যান ফরিদ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে কলেজছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’
সোমবার দুপুরে সে ঢাকা থেকে বাড়িতে যায়। বিকালে পুনরায় স্ত্রীর সঙ্গে কেনা কাটা নিয়ে ঝগড়া লাগে। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরে থাকা ইদুর মারার দুটি বড়ি ও এক বোতল কিটনাশক পান করে। পরে স্থানীয়রা তাকে মুমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে ভুরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনিত হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠান।
সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রৌমারীতে পুলিশ কনস্টেবলের ‘আত্মহত্যা’
কুড়িগ্রামে হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হত্যা মামলায় আট জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দীর্ঘ ১৮ বছর পর সোমবার দুপুরে মামলার রায় দেন বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কাচকোল এলাকার ঘেতু শেখের ছেলে রাশেদ (৪০), মকবুল হোসেন (৫৪) ও তসলিম উদ্দিন (৫৬), দারাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কাদের (৪৩), মতিয়ার রহমানের ছেলে মিন্টু (৪১), মনির উদ্দিনের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৪৪), সেকেন্দার আলীর ছেলে মোনাল মিয়া ওরফে মোন্নাফ (৪৪) এবং ওসমান মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া (৫০)। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আট আসামিকে রায় শেষে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট সামসুদ্দোহা রুবেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচার মামলায় এনু-রুপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার কাচকোল বাজারে শিক্ষক মোখলেসুর রহমানের ছেলে মুদি ব্যবসায়ী নুরনবীকে (২২) তার দোকানে আসামিরা গলায় মাফলার পেঁচিয়ে হত্যা করে। এর আগে শ্যালো মেশিনে পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে আসামিদের সঙ্গে নিহত নুরনবীর বাক-বিতণ্ডা হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দিলেও আসামিরা তাতে সন্তষ্ট ছিল না। এরই জেরে আসামি রাশেদ নুরনবীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তারই দোকানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার বিষয়টি মামলার রায়ে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
নিহতের বাবা মোখলেসুর রহমান ৯ জনকে আসামি করে ২০০৪ সালের ২৩ জানুয়ারি চিলমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি ৪৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান আট আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, এতে সত্য উন্মোচিত হয়েছে। আদালত যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তাতে এমন অন্যায় কাজ করতে মানুষ দ্বিতীয়বার ভাববে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় ঘুষের মামলায় সহকারী প্রকৌশলীর ৩ বছরের কারাদণ্ড
কুড়িগ্রামে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ, থানায় মামলা
কুড়িগ্রামে কলেজছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের ঘটনায় ফুলবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা হয়েছে।
অভিযুক্ত মামুন সরকার উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ী এলাকার সাইফুর রহমানের ছেলে ও স্থানীয় ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সংঘর্ষে ৪ জন মৃত্যুর ঘটনায় দুই মামলা
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মামুন সরকারের সঙ্গে মহাবিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় ওই ছাত্রীর পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুযোগ নিয়ে মামুন তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই কলেজছাত্রীর বোনের বাড়িতে গত ২৫ এপ্রিল একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে মামুন অন্যত্র বিয়ে করে। প্রেমিকের বিয়ের খবর জানতে পেরে গত শনিবার সকালে বিয়ের দাবিতে মামুনের বাড়িতে অনশন করেন ওই ছাত্রী। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে না পেরে জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিলে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ রবিবার ভোরে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে প্রেমিকাকে ধর্ষণ, প্রেমিক গ্রেপ্তার
ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বলেন, মামুন আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে রবিবার ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে কুড়িগ্রামে পাঠানো হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে শিশু নিখোঁজ
কুড়িগ্রাম সদরে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে ছয় বছরের এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ শিশু জান্নাতি উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের রলা কাটা চর গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় স্পিডবোট উল্টে শিশু নিখোঁজ
যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার জানান, শিশু জান্নাতি শনিবার দুপুরের দিকে বাড়ির পাশে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল রাতে সেখানে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
আরও পড়ুন: ধলাই নদে ২ শিশু নিখোঁজের ঘটনাটি গুজব
কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, একটি শিশু ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত উদ্ধার হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ধরলা ব্রিজের নিচ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রাম সদরের সোমবার দুপুরে ধরলা নদী রক্ষা বাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত জিয়াউল হক (৩২) ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের খামার আন্ধারীঝাড় গ্রামের মৃত বাহাদুর মন্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী।
কুড়িগ্রাম সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাঈদ বাবলা জানান, সোমবার সকালে পথচারীরা ধরলা নদী রক্ষা বাঁধ সংলগ্ন লাশটি দেখতে পেয়ে থানার পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে থেকে লাশ উদ্ধার করে।
এসআই জানান, নিহত যুবক জিয়াউল রবিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হোন। পরে তার সন্ধানে পরিবার থেকে মাইকিং করেও খোঁজ মেলেনি। নিহত যুবকের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরবর্তী তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের পুরিরপটল গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু সাদিয়ার বাড়ি চট্টগ্রামে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে হাসান আলী স্ত্রী ও মেয়ে সাদিয়াকে নিয়ে পুরিরপটল গ্রামে শ্বশুর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে ঈদ করতে আসেন। ঘটনার দিন সাদিয়া খেলতে গিয়ে সবার অজান্তে নলকূপের গর্তের পানিতে ডুবে যায়। পরে অনেক খোঁজা-খুঁজির পর তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মৌনি সেন গুপ্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশুটিকে হাসাপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে পানিতে ডুবে ভাইবোনের মৃত্যু