কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ হকের ৮৬তম জন্মদিন পালিত
সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ৮৬তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। সোমবার দিবসটি উপলক্ষে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠের পাশে কবির সমাধিতে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান, উপাধ্যক্ষ মির্জা নাসির উদ্দিন, পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন, সৈয়দ হকের সহধর্মিনী সৈয়দ আনোয়ারা হক এবং প্রেস ক্লাবের সভাপতি আহসান হাবিব নীলুসহ কবির পরিবারের সদস্যরা। এরপর এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় কবির সহধর্মিনী কবির সমাধিস্থলে দ্রুত স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে হারানোর দিন আজ
সবশেষে কবির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
দেশবরেণ্য এই কথা সাহিত্যিক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুর পর কবির ইচ্ছানুযায়ী তাকে নিজ জেলা কুড়িগ্রামের সরকারি কলেজ মাঠের পাশে সমাহিত করা হয়।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে লেখক শামসুল হককে স্মরণ
সঞ্জীব চৌধুরীর কবিতা সমগ্র ‘তোমাকেই বলে দেব’ প্রকাশিত
কুড়িগ্রামে ভাঙন কবলিত পরিবারদের পাশে প্রশাসন
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ারচর গ্রামে ভাঙন কবলিত ৮৩টি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন।
গত ২০দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নেয়া এসব পরিবারকে পূনর্বাসনের আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এবং শনিবার সকালে তাদের হাতে শুকনো খাবার ও শীতবস্ত্র তুলে দেয়া হয়।
জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙনে গত দুই মাসে দ্বীপচর বেষ্টিত পোড়ারচর গ্রামটির ৯৫ ভাগ এলাকা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এখন খোলা আকাশে আশ্রয় নিয়েছে তারা। এ নিয়ে সংবাদকর্মীদের প্রশাসনকে বিষয়টি নজরে আনলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উত্তম কুমার রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেদুল ইসলাম, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার, ভূমিসহ (এসি ল্যান্ড) ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। সেখানে দুর্গতদের খোঁজখবর নেন। তাদেরকে শুকনো খাবার ও শীতবস্ত্র তুলে দেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে গভীর রাতে প্রশাসন ও আ'লীগের সমঝোতা!
এ সময় স্থানীয় হাসেম, কামরুল ও সৈয়দ বলেন, ‘আমাদের এখন নিজস্ব কোন জায়গা জমি নেই। সব ব্রহ্মপুত্রের পেটে চলে গেছে। এখন পাশেই সরকারি চারশ’ বিঘা খাস জমি রয়েছে। আমরা সেখানে বাড়ি নিয়ে গেলে প্রভাবশালীরা আমাদের ঘরবাড়ি ভাসিয়ে দেয়। তারা আমাদেরকে আশ্রয় না দেয়ায় এখানে আমরা প্রায় ২০দিন ধরে মানবতর জীবন যাপন করছি।’
একই এলাকার হামিদা, বানু ও মালতী বলেন, ‘আমাদের এখানে মসজিদে মাত্র একটি নলকূপ আছে। এছাড়া লেট্রিন নেই। বাধ্য হয়ে আমরা নদীর পানি খাচ্ছি, রান্না বান্না করছি, গবাদি পশুকে খাওয়াচ্ছি। এতে শিশুরা রোগ ব্যাধীসহ নানান সমস্যায় ভুগছে।
এসময় তাদেরকে দ্রুত স্থানান্তর করার জন্য দাবি জানায় তারা।
এ ব্যাপারে শরিফুল মাস্টার জানান, যাত্রাপুর মেইনল্যান্ড এলাকায় যারা প্রভাবশালী পরিবার ওই চারশ বিঘা জমি ভোগদখল করে আসছে। আমাদের জন্য সামান্য একটু জায়গাও ছেড়ে দিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে এক দম্পতি
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি দেখার পর আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়ে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে এসেছি। সরেজমিনে তাদের সার্বিক অবস্থাটা দেখলাম। আজকে আপাতত তাদেরকে খাবার সামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘নদী ভাঙনে এরা চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি খাস চর রয়েছে সেখানে আমরা তাদেরকে সংস্থাপনের চেষ্টা করব।’
ফুলবাড়ীতে আ’লীগের ১০ নেতাকে বহিস্কার
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ ( ইউপি) নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে কাজ করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কারকৃতরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাহান আলী বাদশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরকার মনোয়ার পাশা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মোছা. মনোয়ারা সরকার, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বকসি, সহ-দপ্তর সম্পাদক হরিপদ সরকার, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক মিজানুর রহমান মাষ্টার, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ সরকার রানা, সদস্য কার্তিক চন্দ্র সরকার ও কানাই চন্দ্র সেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নুরুল হুদা দুলাল জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা ও গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা মোতাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় সিদ্ধান্ত হওয়ায় গত বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে ১০ নেতাকে অব্যাহতি পত্র দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আ’লীগের ২৪ নেতা কর্মী বহিষ্কার
বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সাতক্ষীরায় আ’লীগের ৯ নেতা-কর্মী বহিষ্কার
কুড়িগ্রামে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে চালক নিহত
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী সড়কের ব্র্যাক অফিসের গেটের সামনে এই দুর্ঘটনায় অটোরিকশার এক যাত্রীও আহত হন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
নিহত চালক সাইফুল ইসলাম (৫০) পাইকেরছড়া ইউনিয়নের বেলদহ গ্রামের মৃত পনির উদ্দিনের ছেলে।
আহত ব্যক্তির নাম মনিকা। তার পুরো পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ভুরুঙ্গামারীগামী একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে চালক অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আলিম পরীক্ষার্থী নিহত
এ বিষয়ে ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান,অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সুরতহাল করে লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। নিহতের পরিবার ক্ষতিপূরণ বা কোন ধরনের আইনি সহায়তার জন্য অভিযোগ করলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রৌমারীতে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী (৯) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা শনিবার রৌমারী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন।
অভিযুক্ত সামিম (১৫) প্রতিবেশী সাইদুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী আটক
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, শনিবার বিকাল ৫টার দিকে শিশুটিকে বাড়িতে একা পেয়ে প্রতিবেশী সামিম শিশুটিকে জোর করে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে বাড়ির আশেপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে সামিম পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: মা-মেয়েকে ধর্ষণ: গাইবান্ধায় ৩ জিনের বাদশার যাবজ্জীবন
এব্যাপারে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, ধর্ষণের অভিযোগে সামিমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে আলামত ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রাম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কুড়িগ্রামে ১৩০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেলেন ৪৩ জন
কুড়িগ্রামে দারিদ্রপীড়িত চরাঞ্চল বেষ্টিত প্রত্যন্ত এলাকার শুধুমাত্র ১৩০ টাকা খরচ করে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরপি) পদে চাকরি পেল ৪৩টি দরিদ্র পরিবারের সন্তান। বিনা ঘুষে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়ে আবেগে আপ্লুত তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সদরের পৌরসভার ভেলাকোপা এলাকার বাসিন্দা অটোচালক নুরনবী ও রেহেনা বেগম দম্পত্যির তিন ছেলের মধ্যে মেজো ছেলে রাশিকুল ইসলামের পুলিশের চাকরির খবরের পরিবারে আনন্দের জোয়ার বইছে। আনন্দে অশ্রুসিক্ত পরিবারের সদস্যরা।
অটোচালক নুরনবী বলেন, ‘আমি এই অটো চালিয়ে যে আয় হয় তা দিয়ে বৃদ্ধ মাসহ পরিবারের সাত জনের সংসার চলে। ছেলেদের অনেক কষ্টে মানুষ করছি। আজ রাশিকুলের চাকরির খবর শুনে কান্না ধরে রাখতে পারছি না। সকলের কাছে আমার ছেলের জন্য দোয়া চাই সে যেন দেশ ও বাবা-মায়ের সেবা করতে পারে।’
রেহেনা বেগম বলেন, ‘আমার তিন ছেলের মধ্যে মেজো ছেলের বিনা টাকায় পুলিশের চাকরি হইছে। আমার স্বপ্ন ইচ্ছে ছিল সন্তানের মধ্যে একজন হলেও যেন পুলিশের চাকরি করতে পারে। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্যাতিত নারীদের সহায়তায় পুলিশের কিউআরটি
রাশিকুল ইসলাম বলেন, সত্যি আমি গর্বিত আমার মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি। শুধুমাত্র ১৩০ টাকায় পুলিশের চাকরি হবে ভাবতে পারিনি। তারপরেও পরিবার ও বন্ধুদের পরামর্শে লাইনে দাঁড়াই। এভাবে চাকরিটা হবে কল্পনাতেও ছিল না।
রাজারহাট উপজেলার নাজিমখা ইউনিয়নের পূর্ণিমা রাণী মন্ডল বলেন, ‘নিজ মেধা ও যোগ্যতা সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে চাকরির খবরটি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আজ যদি বাবা বেঁচে থাকতো খুব খুশি হতো। বাবার অবর্তমানে মা যে দায়িত্ব নিয়ে বড় করেছেন এই চাকরি হওয়াতে মায়ের সেই কষ্ট স্বার্থক হয়েছে।’
চিলমারী উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের নয়ারহাট ইউনিয়নের উত্তর ফেচুকা চরের কৃষক মো. আব্দুল গফুরের সন্তান আবু সায়েম বলেন, ‘শুধুমাত্র ১৩০ টাকায় কোন প্রকার তদবির বা দালাল ছাড়াই পুলিশের চাকরি হবে বিশ্বাসই করতে পারছি না।
কুড়িগ্রামে নিবার্চনী সংঘর্ষে একজন নিহত, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙামোড় ইউনিয়নে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনায় বাবুল মিয়া নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুতে সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধরা।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টায় পর্যন্ত ফুলবাড়ী-নাগেশ্বরী সড়কের বটতলা নামক এলাকায় প্রায় দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদকারীরা। এসময় সড়কের দু’পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিমল চাকমা, নাগেশ্বরী সার্কেল’র এএসপি সুমন রেজা, ফুলবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সারোয়ার পারভেজসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। পরে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফুলবাড়ী থানায় নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর রাতে ভাঙামোড় ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফ্যান মার্কার প্রার্থী মুকুল মিয়ার সমর্থক ও তালা মার্কার প্রার্থী শাহা আলমের সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় আহত বাবুল মিয়া ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে এসে মারা যান। এরই প্রতিবাদে বুধবার তার স্বজনসহ এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার রায় জানান, এ ব্যাপারে পরিবার থেকে এখনও কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। নির্বাচনী সহিংসতায় বাবুল মিয়ার মৃত্যু হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশ কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনা: কুড়িগ্রামে একই পরিবারের ৩ জনসহ নিহত ৪
বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে সাহসিকতা সম্মাননা পেল কুড়িগ্রামের ৭ কিশোরী
কুড়িগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় সেনা সদস্য নিহত
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ট্রাকের ধাক্কায় শিপন মিয়া (২৩) নামে এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার সোনাহাট সেতুতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সেনা সদস্য উপজেলার চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আওয়ালের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, নিহত শিপন সন্ধ্যার পরপরই একজন আরোহীসহ মটরসাইকেল যোগে ভূরুঙ্গামারী শহর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে সোনাহাট রেল সেতুর মাঝমাঝি পৌঁছেলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে মটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত শিপন মিয়া কিছুদিন আগে তার কর্মস্থল থেকে ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন বলে তার পারবারিক সূত্রে জানা গেছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রাকটিকে আটক করা গেলেও এর চালক পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় ২ মাদরাসা ছাত্র নিহত
চট্টগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় মা-মেয়ে নিহত
সুনামগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় শিশুসহ নিহত ২
শীত এলেই কিছুটা আয়ের মুখ দেখেন মমেনা
শীতের আগমনি বার্তা মমেনা বেওয়ায় ক্লান্ত শরীরে যেন একটু সুখের অনুভূতি নিয়ে আসে। বছরের ছয় মাস বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে ঝি’র কাজ করেন তিনি। নভেম্বর মাস এলেই সব কাজ ফেলে নেমে পরেন পিঠা তৈরীর কাজে। ফলে শীত এলেই দু’পয়সা আয় হয় তার সংসারে। এই চার মাস পিঠা তৈরী করে এক ছেলে আর দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন তিনি।
কুড়িগ্রাম শহরের কেন্দ্রীয় বাস্টস্টান্ড সংলগ্ন সিএন্ডবি মোড় এলাকায় প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পিঠা তৈরী করেন মমেনা বেওয়া। একাই দোকান সামলান তিনি। কারণ ছেলেমেয়েরা এখন দূরে থাকে। তাদের সাথে ঠিকমতো যোগাযোগ নেই তার।
মমেনা বেওয়া জানান, একমাত্র ছেলে বিয়ে করে ঢাকায় চলে গেছে। সেখানে রাজ মিস্ত্রীর কাজ করে সে। মায়ের সাথে কোন যোগাযোগ নেই। এই ভাপা পিঠা আর চিতই পিঠা বিক্রি করে টাকা জমিয়ে এক মেয়েকে সদর উপজেলার ঘোগাদহ ও অপর মেয়েকে যাত্রাপুরে বিয়ে দিয়েছেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে শহরের পৌরসভা এলাকার বাণিয়াপাড় গ্রামে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পুষ্টিগুণ অটুট রেখে শীতকালীন সবজি খাওয়ার সঠিক উপায়
ব্যবসার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন ৭০টাকা কেজি দরে পাচঁ কেজি আতপ চাল কিনে বাড়িতে উড়–ন-গাইনের সাহায্যে নিজেই আটা বানিয়ে নেন। এরপর ভাপা পিঠা ১০ টাকা এবং চিতই পিঠা ৫ টাকায় বিক্রি করেন। এতে দিন শেষে কখনো ৪শ’ কখনো বা ৫শ’ টাকা আয় হয় তার। সেই কষ্টের টাকা জমিয়ে তিনি ভবিষ্যতের আপদ-বিপদ থেকে পরিবারকে রক্ষা করেন।
মমেনা বেওয়া অভিযোগ করেন, চালসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন লাভ কম হচ্ছে।
মমেনা বেওয়ার মত বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রিক্সা প্যাডলার মাহিন আলম শীত এলেই মহাজনের কাছে রিক্সা জমা দিয়ে চার মাস পিঠা তৈরীর কাজ করেন। প্রতিদিন মাহিন আলমের আয় হয় এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা।অপরদিকে সিএন্ডবি ঘাট এলাকায় দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলমও শীতকালে পেশা পরিবর্তন করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় জমে উঠেছে শীতের পিঠা বিক্রি
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, কুড়িগ্রামে প্রাইভেট শিক্ষকের যাবজ্জীবন
কুড়িগ্রামে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক প্রাইভেট শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল কুড়িগ্রামের বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু আসামির উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আ. সবুর (৩০) কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার উত্তর পান্ডুল গ্রামের আ. নূরের ছেলে।
স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আ. রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পড়ুন: খুলনায় শিশু হত্যা মামলায় সৎ মায়ের মৃত্যুদণ্ড
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামি আ. সবুর ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে প্রাইভেট পড়াতো। ২০১৩ সালের ১৯ মে রাতে আ. সবুর ওই ছাত্রীকে বেশি সময় ধরে প্রাইভেট পড়ানোর পর রাত ৯ টার দিকে ওই ছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে পথিমধ্যে একটি বাঁশ ঝাড়ের আড়ালে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনা প্রকাশ করলে ওই ছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেয় সবুর।
রাতে ওই ছাত্রী তার অভিভাবককে কিছু না বললেও পরের দিন সকালে অসুস্থ হয়ে পড়ে। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়লে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সবুরকে আসামি করে উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দীর্ঘ আট বছর পর মঙ্গলবার বিকালে বিচারক রায় ঘোষণা করেন।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আ. রাজ্জাক এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এটিএম এনামুল হক চৌধুরী চাঁদ।
পড়ুন: নড়াইলে বোনকে হত্যার দায়ে ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড