সংঘর্ষ
হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০
ক্যাম্পাসে আধিপত্যের জের ধরে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুন) রাত ১২ পর্যন্ত দফায় দফায় ৪ ঘন্টা ধরে ওই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ছাত্রলীগের দুই পক্ষের কর্মীরা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চাচা-ভাতিজা নিহত
জানা গেছে,বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলে সিট বরাদ্ধসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার কর্তৃত্ব নিতে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে একক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় জড়িয়ে রয়েছে ধারাবাহিকভাবে ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপ।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান,বিশ্ববিদ্যালয়ে সিট বাণিজ্য আধিপত্য বিস্তারে চেষ্টায় দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রলীগের রিয়াদ-সজল গ্রুপের সঙ্গে আলমগীর হোসেন আকাশ গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে
কোন্দল রয়েছে। এরই জের ধরে শনিবার বিকালে ছাত্রলীগ নেতা আকাশের সঙ্গে রিয়াদ ও সজলের বাকবিতণ্ডা ঘটে। একা পেয়ে আকাশকে ক্যাম্পাস থেকে তারা বের করে দেন। পরে আকাশের সমর্থকরা ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। দফায় দফায় রাত ১২টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে জিয়া হলে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।
অন্য সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে শেখ রাসেল হলে শেখ রাসেল কর্নারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মঞ্চে সামনের আসনে ছিলেন ছাত্রলীগের একাংশের নেতা আলমগীর হোসেন আকাশসহ তার অনুসারীরা। আকাশ ওই হলের নুর হোসেন অংশের আবাসিক ছাত্র।
অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন অপর অংশের নেতা শেখ রাসেল এক্সটেনশন হলের আবাসিক ছাত্র রিয়াদ খান এবং সফিকুল ইসলাম সজলসহ তাদের অনুসারীরা। এসময় উভয়ের মধ্যে কথাকাটিকাটির মত ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে পরদিন রিয়াদ ও সজলদের গালিগালাজ করে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন শোয়াইব নামে আকাশের অনুসারী। ফেসবুকের ওই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে শনিবার সন্ধ্যা থেকে সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে দুই গ্রুপের মধ্যে।
কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম তানভীর জানান, ফেসবুকের স্ট্যাটাস নিয়ে দুই গ্রুপের মধে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটেছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদ বলেন,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবলীগ কর্মী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ২ মামলা
নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
নড়াইলের কালিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া ৬টি দোকান এবং ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরেরোভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার নড়াগাতি থানার বাগুডাঙ্গা গ্রামে থেমে থেমে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নড়াইলের বাগুডাঙ্গা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বায়জিদ মোল্যা এবং আমিনুল কাজী গ্রপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাগুডাঙ্গা বাজারে দুই গ্রপের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
আহতদেরকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও ঢাকায় ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচন: ২ কাউন্সিল প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ
একটি পক্ষের মাতুব্বর বায়াজিদ মোল্যা বলেন, হঠাৎ করে আমিনুল কাজীর নেতৃত্বে তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। হামলায় আমাদের ১২জন গুরুতর আহত হয়েছে। তিনটি মোটরসাইকেল ও ছয়টি দোকান ভাঙচুরসহ দুই লক্ষাধিক টাকা এবং দোকানের মালামাল লুট করেছে প্রতিপক্ষরা। এছাড়া শুক্রবার সকালেও আমাদের দুইজনকে ব্যাপক মারধর করেছে।
এদিকে অপরপক্ষের মাতুব্বার আমিনুল কাজী বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বায়জিদ মোল্যার নেতৃত্বে তার সমর্থকরা আমাদের লোকজনের ওপর প্রথমে হামলা করেছে। এ হামলায় সাতজন আহত হয়েছে।
নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহা বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি।’
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
কুমিল্লায় আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ
হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আধাবেলা পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টে আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে অবস্থান করা ভারতীয় ট্রাক চালকদের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন চালক আহত হয়েছেন।
এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আধাবেলা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে দুই দেশের ব্যবসায়ী, ট্রাক পরিবহন চালক ও পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টির সুরাহা হলে দুপুর ২টা থেকে ফের আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, ‘গতকাল বুধবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত বিভিন্ন পণ্যবাহী শতাধিক ভারতীয় ট্রাক পানামা পোর্টে প্রবেশ করে। এসময় কিছু পণ্যবাহী ট্রাক থেকে পণ্য খালাস করা হলেও অন্য ট্রাকগুলো পণ্য খালাসের অপেক্ষায় পানামা পোর্টে অবস্থান করছিল। গতরাত ১১টার দিকে ভারতের হিলির ট্রাক চালকরা কোনো কারণ ছাড়াই উত্তর প্রদেশের ট্রাক চালকদের ওপর চড়াও হয়। এসময় উত্তর প্রদেশের চালকরা বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উত্তর প্রদেশের চালক খুরশিদের হাত এবং মাথা ফেটে যায় এবং আনাস অজ্ঞান হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পানামা পোর্টের নিরাপত্তা কর্মীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বিকল, ৪ ঘণ্টা পর হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
তিনি আরও জানান, ‘পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে আহত দুজন চালককে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সংঘর্ষের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে উত্তর প্রদেশের চালকরা সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দরের গেটে অবস্থান নেয়। এতে করে সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে দুপুরে চেকপোস্টের জিরোপয়েন্টে দুই দেশের ব্যবসায়ী, পুলিশ, ট্রাক চালক ও বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও জানান, বৈঠকে আহতদের ক্ষতিপূরণসহ নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিতের আশ্বাস দিলে উত্তর প্রদেশের ট্রাক চালকেরা ব্যারিকেড তুলে নেয়। এরপর দুপুর ২টা থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ট্রাক চালকদের আকস্মিক ধর্মঘটে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি বন্ধ
হিলিতে চালকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার, পণ্য আমদানি শুরু
কুষ্টিয়ায় সংঘর্ষে ২ জন নিহতের ঘটনায় আটক ১০
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বুধবার (১৪ জুন) বিকালে দুইজন নিহতের ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ সময় অভিযান চালিয়ে উজ্জ্বল সর্দারের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে দেশীয় অস্ত্রসহ একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জনিয়েছেন দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান।
বুধবার বিকালের দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভুরকাপাড়া গ্রামের হাটখোলাপাড়া এলাকায় বজলু মালিথার জমিতে সরদার গ্রুপের ফরিদ খশরুর গরু পাট খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৫
এক পর্যায়ে সরদার গ্রুপের উজ্জ্বল সরদারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা মালিথা গ্রুপের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় ভেলশ মালিথা ও বজলু মালিথা নামের দুই কৃষক নিহত হন। এতে অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান আরও জানান, এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত
নোয়াখালীতে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ে পথচারী নিহত
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৫
গরু খেতের পাট খাওয়াকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছে আরও ১৫ জন।
বুধবার (১৪ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ভুরকাপাড়া হাটখোলাপাড়া এলাকায় সরদার গ্রুপ ও মালিথা গ্রুপের মধ্যে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে নিহতরা হলেন- ভেলশ মালিথা (৪০) ও বজলু মালিথা (৪২)।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রাকচাপায় নির্মাণশ্রমিক নিহত
সংঘর্ষে আহতদের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকালের দিকে নিহত বজলু মালিথার জমিতে সরদার গ্রুপের ফরিদ খসরুর গরু পাট খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক পর্যায়ে সরদার গ্রুপের উজ্জ্বল সর্দারের নেতৃত্বে মালিথা গ্রুপের ওপর হামলা করেন। সর্দার গ্রুপের লোকজন মালিথা গ্রুপের লোকজনের ওপর গুলিবর্ষণ করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
এতে ভেলশ মালিথা ও বজলু মালিথার মৃত্যু হয়। অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান সংঘর্ষে দুই জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গরু জমির পাট খেয়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটেছে।
বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত
নোয়াখালীতে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ে পথচারী নিহত
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫
চট্টগ্রামে বিএনপির আঙ্গ সংগঠন সমূহের উদ্যোগে তারুণ্য সমাবেশকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (১৪ জুন) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম কলেজ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে ৩ কমিটি
আহতদের মধ্যে চান্দগাঁও থানা যুবদল কর্মী ফয়সাল সায়েম, মহসিন, জুনায়েদ রয়েছেন।
আহত যুবদল কর্মী সায়েম জানায়, চান্দগাঁও এলাকা বাস নিয়ে আমরা কাজীর দেউড়ি এলাকায় তারুণ্যের সমাবেশ যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম কলেজ এলাকায় আমাদের গাড়িকে লক্ষ্য করে ইটপাটকের মেরে গাড়ি থামিয়ে ২০/২৫ জন ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলা চালায়। পরে আমরা সংগঠিত হয়ে তাদের ধাওযা করি। এছাড়া তাদের হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছে।
সিএমপির চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচন: ২ কাউন্সিল প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ
বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
মুন্সীগঞ্জে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মালিক-কর্মচারী নিহত
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও তিন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা শ্রীনগর-দোহার বাইপাস সড়কের জুশুরগাঁও এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শ্রীনগরের গিয়াসউদ্দিনের ছেলে মুদি দোকানী মো. ইয়াসিন (২২) ও কর্মচারী বাবুর দিঘিরপাড় গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে সাইমন (১৮)।
আহত ফুলকুচি এলাকার রাতুল (২৫) ও ফারদিন (১৮) এবং কয়কীর্তন গ্রামের জয় (১৯)।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রাকচাপায় নির্মাণশ্রমিক নিহত
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, দুইটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা দুই মোটরসাইকেলের পাঁচজনকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে সাইমনকে ঢাকা রেফার্ড করা হলে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। আহত তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এই ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের কাখোভকা বাঁধ ধ্বংস, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এআরএসএ ও আরএসও গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত: পুলিশ
নারায়ণগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচন: ২ কাউন্সিল প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভা নির্বাচনে দুই কাউন্সিল প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১২ জুন) দুপুরে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নাগেরচর মহিলা ভোটকেন্দ্রে উটপাখি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন এবং ডালিম প্রতীকের প্রার্থী শব্দর আলী ভূঁইয়ার মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে আ.লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির ৫ নেতাকর্মী আহত
এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নাগেরচর মহিলা কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে দুই নারী বিতর্কে জড়িয়ে যান। পরে কেউ একজন জাহাঙ্গীরের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে। এ ঘটনায় তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শব্দর ভূঁইয়াকে সন্দেহ করেন।
এরপরই তারা একে অপরের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে যান। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীরের সমর্থকরা পরপর কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে কিছুক্ষণ সময় ধরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে। পরে প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ব্যাপারে এই কেন্দ্রের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলশাদ জাহান বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। মারামারির বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ওই কেন্দ্রে মোতায়েন রয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে ৩ কমিটি
বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম ও তার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকার কর্মীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল নগরীর কাউনিয়া মেইন রোডের একটি কেন্দ্রে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে কাউনিয়ার মেইন সড়কের এ কাদের চৌধুরী স্কুল কেন্দ্রে হাতপাখার ভোটার ও মানিক মিয়া স্কুল কেন্দ্র থেকে পুলিং এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা শুনে ফয়জুল কেন্দ্রগুলোতে প্রবেশ করে প্রিজাইডিং অফিসারকে অভিযোগগুলো জানান। এরপর মানিক মিয়া স্কুলের অপরদিকের কাউনিয়া বালিকা বিদ্যালয় ঢুকতে চান ফয়জুল।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: এজেন্টদের ঢুকতে বাধা, ধীরগতিতে ভোটগ্রহণের অভিযোগ
এ সময় নৌকার নেতাকর্মীরা হাতপাখার প্রার্থীকে বলেন, কয়েকজন ভিতরে ঢুকতে পারবেন। আপনারা সবাই ঢুকলে আমরাও ঢুকবো।
এরপর হাতপাখার প্রার্থীসহ নেতাকর্মী ও নৌকার নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। হাতপাখার প্রার্থীর অভিযোগ, কেন্দ্রে ঢুকতে চাইলে তাকে বাধা দেয় নৌকা প্রতীকের লোকজন। তারপর আমরা ঢুকতে চাইলে আমাকেসহ নেতাকর্মীদের আহত করেন।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু
নৌকার আহত কর্মী বিদ্যুত জানান, তারা দলবল নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকতে চায়। তখন তাদের বলি এতো মানুষ ঢোকা যাবে না। তারপর আমার ওপর চাকু নিয়ে হামলা করেছে হাতপাখার কর্মী। আমরা বহুজন আহত হয়েছি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, হাতপাখার প্রার্থী দলবল নিয়ে ঢুকতে চেয়েছিল। এই নিয়ে নাকি ঝামেলা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
এটি কেন্দ্রের বাইরের বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাত পোহালে বরিশাল সিটি নির্বাচন
নন্দীগ্রামে অটোরিকশা-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, চালক নিহত
বগুড়ার নন্দীগ্রামে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক সিএনজিচালক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১০ জুন) ভোর ৬টার দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে নন্দীগ্রাম উপজেলার কুন্দারহাট হাইওয়ে থানা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: জামালপুরে ট্রাক-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ৩
নিহত সিএনজিচালক শাহাবুল ইসলাম (২৪) রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের মানিক মন্ডলের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, একটি মাছ বোঝাই সিএনজিচালিত অটোরিকশা বগুড়া শহরের দিকে যাচ্ছিল। সিএনজিটি উপজেলার কুন্দারহাট হাইওয়ে থানা এলাকায় পৌঁছার পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই ওই চালক মারা যান।
কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্বাস আলী বলেন, দুর্ঘটনায় অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন। অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যান পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে তেলবাহী ওয়াগনের সঙ্গে লরির সংঘর্ষে নিহত ১
টেকনাফে মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের সংঘর্ষে কলেজ ছাত্রসহ নিহত ৩