মামলা
কুড়িগ্রামে নাশকতার মামলায় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
নাশকতার মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুর খালেক ময়নাকে গ্রেপ্তার করেছে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ।
পৌর শহরের জিয়া বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়। সেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নুর খালেক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ স্থানীয় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান।
ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় একজন গ্রেপ্তার রয়েছে। আগামীকাল শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে কুড়িগ্রাম যুবদলের সভাপতি মো. রায়হান কবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর কনস্টেবল হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
রাজধানীতে চার সহযোগীসহ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৩৭ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা
অবরোধ চলাকালে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও ওসিসহ ৫ পুলিশকে আহত করার ঘটনায় ২টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
মামলায় ৩৭ বিএনপি নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে আরো শতাধিক অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রায়পুর ইউনিয়নের মো. ইমতিয়াজ, চাতরী ইউনিয়নের মো. রুবেল, আবুল মঞ্জুর, বৈরাগ ইউনিয়নের মো. মারুফ হোসেন ও মো. জীবন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, ওসি আহত
বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
তিনি বলেন, স্থানীয় চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাশেদ নেওয়াজ চৌধুরী ও পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় মামলা দুইটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবনে দুদক, নথিপত্র জব্দ
মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপি ও যুবদলের কর্মীরা অবরোধের সমর্থনে মিছিল করে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে অবরোধকারীদের পাথরের আঘাতে আনোয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল আহমেদ চোখে মারাত্মক জখম হয়। এছাড়া আরও ৫ পুলিশ আহত হয়। এ সময় পুলিশের পিকআপসহ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে চট্টগ্রামে আরও দুই ওসিকে বদলি
দৈনিক ফেনীর সময়ের সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আইনজীবী আনোয়ারুল করিম ফারুককে 'ডামি প্রার্থী' উল্লেখ করায় দৈনিক ফেনীর সময়ের সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
পরে দৈনিক ফেনীর সময় পত্রিকার নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক সৈয়দ আবুল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন আইনজীবী কামরুল হাসান। সভায় সংসদ সদস্য প্রার্থী আনোয়ারুল করিম ফারুক ছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক এম. শাহজাহান সাজু, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন বাহার, দিলীপ কুমার সাহা, আহসান কবির বেঙ্গল, রসিক শেখর ভৌমিক, গাজী তারেক আজিজ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনে মানহানির সর্বোচ্চ শাস্তি জরিমানা: আইনমন্ত্রী
‘মানহানিকর’ মন্তব্যের জন্য রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন হিরো আলম
নাশকতার মামলায় বিএনপির ১১ নেতা-কর্মীকে ৪ বছরের কারাদণ্ড
পাঁচ বছর আগে রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা নাশকতার আরও একটি মামলায় বিএনপির ১১ নেতা-কর্মীকে পৃথক তিন ধারায় সাড়ে চার বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৯ নেতা-কর্মীর কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মামুন চৌধুরী, বিল্লাল হোসেন, অসীম ওরফে অসীম আকরাম, নুরুল ওরফে নূর হোসেন, শরীফ উদ্দিন ওরফে মামুন, আমিনুল ইসলাম, অহিদুল ইসলাম শাহীন, রফিকুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান প্রান্ত, জয়নাল ও মীর মোহাম্মদ স্বপন।
এক ধারায় তাদের ৬ মাস, অপর দুই ধারায় দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে নাশকতার অভিযোগে গুলশান থানায় মামলাটি করা হয়।
আরও পড়ুন: নাশকতা মামলায় বিএনপির ২৫ নেতা-কর্মীর ৩ বছরের কারাদণ্ড
হলি আর্টিজান হামলা: ৭ আসামির সাজা কমে আমৃত্যু কারাদণ্ড
নাশকতা মামলায় বিএনপির ২৫ নেতা-কর্মীর ৩ বছরের কারাদণ্ড
পাঁচ বছর আগের নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৫ নেতা-কর্মীকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির বিরুদ্ধে ৪৮ মামলা: ৭০০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
রায়ে এক ধারায় আসামিদের আড়াই বছরের কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরেক ধারায় ছয় মাস করে কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সোহেল, রাজু, হাজী সিরাজ, মামুন, রনি, মঈন, হাজী মো. মাছুম, গলাকাটা আজিম, ওমর ফারুক, রাজিয়া আলম ওরফে রাজিয়া সুলতানা প্রমুখ।
আসামিদের আইনজীবী নীহার হোসেন ফারুক এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিচারক জানান, আসামিদের গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে তাদের শাস্তি কার্যকর করা হবে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আসামিরা বংশালের এনসিসি রোডের সামনে মিছিল বের করে। তারা গাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজাহার হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০১৯ সালের ৩০ জুন মামলাটি তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: কঙ্কালের সূত্র ধরে সন্দেহভাজন খুনি গ্রেপ্তার
রাজনৈতিক সহিংসতা-নাশকতার অভিযোগে ৭ জন গ্রেপ্তার : র্যাব
খুবিতে বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বিএনপির ডাকা অবরোধে বৃহস্পতিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশিক রেজা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক শের আলম সান্টু, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, তৈয়েবুর রহমান, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, মেখ সাদী, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান মনি, সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সদস্য সচিব সাজ্জাদ আহসান পরাগ, বিএনপি নেতা একরামুল কবির মিল্টন, তারিকুল ইসলাম তারেক, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ইসতি, সদস্য সচিব তাজিম বিশ্বাস, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি একরামুল হক হেলালসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৯ নেতা-কর্মীর কারাদণ্ড
এছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে বাস ভাঙচুরের ঘটনায় ১৯নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস হাওলাদার, বিএনপি কর্মী নাসির আহমেদ ও মো. দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, খুবির বাস ভাঙচুরের মামলায় বৃহস্পতিবার বিএনপির ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর শেরে বাংলা সড়কে খুবির শিক্ষক বাসে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে চালকের সহকারী জুয়েলসহ ২ জন আহত হন। বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি ও যুবলীগ পরস্পরকে দায়ী করেছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর মামলা: ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি ৭ ডিসেম্বর
সাংবাদিক কাজলের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে যশোরের বেনাপোলের বিজিবি’র দায়ের করা মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মামলাটি বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী-শাশুড়ি কারাগারে
রুলে এ মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে সাংবাদিক কাজলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাজমুস সাকিব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
পরে সুজিত চ্যাটার্জি বলেন, মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেছিল। হাইকোর্ট ছয় মাসের জন্য মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দিয়েছেন।
২০২০ সালের ১১ মার্চ রাজধানীর চকবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে ‘নিখোঁজ’ হন সাংবাদিক কাজল। ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলে সীমান্তের সাদিপুর মাঠ থেকে তাকে আটক করে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)।
পরে ২০২০ সালের ৩ মে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের নামে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে একটি মামলা করে বিজিবি।
এই মামলায় তাকে যশোরের আদালতে পাঠায় বেনাপোল বন্দর থানা পুলিশ। বেনাপোলের রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্প তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের আইনে মামলা দিয়ে বেনাপোল থানায় সোপর্দ করা হয়।
বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান সেসময় বলেছিলেন, সাংবাদিক কাজলকে রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক এবং অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের অভিযোগে মামলা দিয়ে থানায় হস্তান্তর করে।
আরও পড়ুন: দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পর কারাগারের পরিবর্তে গৃহবন্দী হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন
কাশিমপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু
২৮ অক্টোবর থেকে ৮৩৭ মামলায় বিএনপির ৭৩,১২৩ জনকে আসামি, গ্রেপ্তার ২০,৩২৬ জন: জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম
ঢাকায় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির ৭৩ হাজার ১২৩ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ৮৩৭টি মামলা দায়ের এবং ২০ হাজার ৩২৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তিনি বলেন, তাছাড়া ২৮ অক্টোবর থেকে গত এক মাসে সারা দেশে এক সাংবাদিকসহ ১৭ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্বজনদের
লিখিত বিবৃতিতে কায়সার দাবি করেন, প্রতিশোধ নিতে সরকারি সংস্থা ও আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে হামলায় ২৮ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ২৪৯ জন আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, গত তিন মাসে বিএনপির ৬৩৬ জন অনুসারীকে ৩৫টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে কায়সার বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেড় লাখের বেশি মামলায় বিএনপির ৫০ লাখের বেশি নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
কায়সার অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্তমান সরকারের বেআইনি গ্রেপ্তার ও হয়রানি থেকে দেশের সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক কর্মীদের আইনি সহায়তার পথ রুদ্ধ করতে আইনজীবীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া তালিকা ধরে নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করবে ইসি: বিএনপি
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের আত্মীয় স্বজন; অসুস্থ, পঙ্গু এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্কদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দেশব্যাপী বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর করা হচ্ছে। এমনকি গভীর রাতে নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করা হচ্ছে।’
বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হয়রানি বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদসহ গ্রেপ্তারদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুটপাট করে নতুন দল তৈরি করছে সরকার: রিজভী
পিটার হাসকে হুমকি: আ.লীগ নেতাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বাঁশখালী ও কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিনের আদালতে মামলাটির আবেদন করেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট এম এ হাশেম রাজু।
আরও পড়ুন: পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপের উপায় বের করার আহ্বান পিটার হাসের
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ব্যাপারে আদালত কোনো মতামত দেয়নি।
মামলার আসামিরা হলেন- বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী, মহেশখালীর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদুল আলম, বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইফতেখার উদ্দিন বাবু, সাজ্জাদ, এহছান, ফরহাদ, নাছির ও সাইফুল।
এ ব্যাপারে বাদীর আইনজীবী ইরফান উদ্দিন বলেন, একজন সম্মানিত ব্যক্তি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এ মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে মামলা গ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
মামলার আর্জিতে বলা হয় — গত ৬ নভেম্বর বাঁশখালীর এক জনসভায় মুজিবুল হক চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকি দেন।
ওই সময় তিনি বলেছিলেন — ‘পিটার হাস বলছেন, এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। পিটার হাস আমরা আপনাকে ভয় পাই না। আমরা মোটা চালের ভাত খাই। আপনি বিএনপির ভগবান। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ ইমান বেচি না। আপনাকে এমন মারা মারব, বাঙালি কত দুষ্টু তখন বুঝতে পারবেন।’
এছাড়াও একইদিন কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ৬ নভেম্বর কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন— ফরিদুল আলম।
সেই বক্তব্যের ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ফিরেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
পিটার হাসকে হুমকির বিষয়ে সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে: মার্কিন দূতাবাস
অর্থপাচারের আরেক মামলায় এনু-রূপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত দুই নেতা এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াকে অর্থপাচারের মামলায় সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৫২ কোটি ৮৮ হাজার ৭৮৮ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঁঞা এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় যুবদলনেতা জাহাঙ্গীরসহ ৭৫ জনের কারাদণ্ড
অপর ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- শহীদুল হক, মো. রশিদুল হক ভূঁইয়া, মো. মেরাজুল হক শিপলু, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান ও ভুলু চন্দ্র দেব।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, এ দেশের মানুষ দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করেন। আর যারা মানি লন্ডারিং অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তারা শুধু আমাদের সম্পদ চুরি করছে না, তারা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত চুরি করছে। তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় এনে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য।
এর আগে গত বছরের ২২ এপ্রিল মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আরেক মামলায় এনামুল ও রুপনের সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
২০১৯ সালে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াদের পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসাসহ ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে তাদের দুই সহযোগী আবুল কালাম ও হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব।
এরপর ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা হয়।
২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি এনু ও রুপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর মধ্যে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট বংশাল থানায় সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. মেহেদী মাকসুদ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলার বিচারকালে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে শিশু বলাৎকার: যুবককে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড
যুবদলনেতা ইসহাক সরকারসহ ১২ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড